ধার্মিকতা

 


আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা মানুষের প্রতি এতোই দয়ালু যে তিনি মানুষের জন্য জান্নাত সৃষ্টি করেছেন। আর এই জান্নাত তাদেরকে তাদের কিছু কাজের পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে। তারা যদি সেকাজগুলো করে তাহলে তারা জান্নাত লাভ করবে।

কিন্তু, ঐ কাজগুলো কোনোদিনও প্রবৃত্তির আকাঙ্ক্ষা থেকে করা সম্ভব নয়। যেসব আমলের উপর জান্নাত পাওয়া নির্ভর করে সেগুলো কোনোদিনও মানুষ প্রবৃত্তির আকাঙ্ক্ষা থেকে করবে না। আবার অন্যের জোর-জবরদস্তির ফলশ্রুতিতেও এই কাজগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এই কাজগুলো কেবল তখনই করা সম্ভব যখন মানুষ এ সম্পর্কে জানবে, বুঝবে এবং নিজে নিজে করার সিদ্ধান্ত নিবে তারপর এগুলো করবে। প্রবৃত্তির আকাঙ্ক্ষার সাথে সম্পর্কযুক্ত কাজগুলোর ক্ষেত্রে জোর করা যায় না। কারণ, কেউ আপনার ইচ্ছার উপর জোর খাটাতে পারবে না। তখন, মুনাফেকি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। অনেক সময় ক্ষমতা আপনাকে দিয়ে জোর করে কিছু করাতে পারে, কিন্তু তারা আপনার ইচ্ছা পরিবর্তন করতে পারবে না। সহজ কথায়, কেউ আপনার উপর জান্নাত পাওয়ার ক্ষেত্রে জোর-জবরদস্তি করতে পারবে না। অন্যভাবে বললে, কেউ আপনাকে জোর করে ধার্মিক বানাতে পারবে না। ধার্মিকতা প্রবৃত্তির আকাঙ্ক্ষা থেকেও আসে না। এমনটি হওয়া অসম্ভব। ধার্মিকতা কেবল তখনি আসতে পারে যখন আপনি চিন্তা-ভাবনা করবেন, বুদ্ধি খাটাবেন, জীবন সম্পর্কে উপলব্ধি করবেন, তারপর নিজের মাঝে আল্লাহর আদেশ নিষেধ পালন করার ইচ্ছা জাগ্রত করবেন এবং তারপর সেটা কর্মে বাস্তবায়ন করবেন। অতএব, এটা হল আপনার চিন্তা-ভাবনা, আপনার উপলব্ধি, আপনার ইচ্ছা এবং আপনার কর্ম। আপনার যদি ইচ্ছা থাকে কিন্তু কর্ম না থাকে ধার্মিকতা আসবে না। প্রতিটি মানুষকে আল্লাহ স্বাধীন বুদ্ধি এবং চিন্তা করার ক্ষমতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। আপনি যদি এগুলো ব্যবহার না করেন আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দিবেন না। -- ডঃ আকরাম নদভীর আলোচনা অবলম্বনে। -- Tafsir Surah Baqarah 5.1


Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট