নামাজের বৈজ্ঞানিক তাতপর্য

 

নামাজের বৈজ্ঞানিক তাতপর্য 


Mushahid Ali12

নামায ইসলামের পঞ্চ স্থম্ভের দ্বিতীয় স্থম্ভ।ঈমানের পড়ে নামাজ থেকে বেশী গুরুত্ব আর কোন ইবাদতে দেয়া হয় নি।এর কারন হল - নামায শুধু শীর্ষ স্থানীয় ইবাদত ই নয়,ইহা মানব দেহের সুস্থতার জন্য ও অতীব গুরুত্বপূর্ণ।আমরা শুধু আজ এ দৃষ্ট কোণ থেকে নামাজের বৈজ্ঞানীক কিছু বিশ্লেষণ করার প্রয়াস পাব।

মহা প্রভূর মহাজ্ঞান উতসারিত জলদগম্ভীর নির্দেশ হল- " তোমরা নামাজ ক্বায়িম কর।" নামাজ অবশ্যম্ভাবী রুকন এ জন্য যে উহা ক্বায়েম কর্তাদের দৈহিক,মানসিক ও আধ্যাত্মিক প্র‍্যোজনীয়তা ই সর্বাধিক।অন্যান্য উপকারীতা তো আছে ই।

নামায শুদ্ধ হওয়ার পূর্বশর্ত হল ওযু।এর মধ্যে রয়েছে ফরয,সুন্নাত মোস্তাহাব।এগুলো প্রত্যেকটি বিজ্ঞান সম্মত।অর্থাৎ এটা শারিরিক ও মানসিক রোগের প্রতিষেধক।সাস্থ বিজ্ঞানের একটি থিউরী হল-  Five F' s are the main cusese of contagious deseases.        অর্থাত- পাঁচটি  এফ এ হল সংক্রামক রোগের মূল কারণ।আর পাঁচটি  এফ হল- Food. খাদ্য     Fly মাছি           Face.   মূখ     Fingers.  অংগুলী                 Fearr. ভয়।

মূখ  :  উল্লেখিত পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে মূখমন্ডল  ও আংগুলির মাধ্যমে একদেহ থেকে অন্য দেহে সর্বাধিক রোগ জীবানু সংক্রমন ঘটতে পারে। অযুর মাধ্যমে মূখ ও আংগুলি পরিস্কার হয়।ফলে রোগ জীবানোর সংক্রমন হয় না।হাতের উলটা পিঠ দিয়ে গর্দান মাসেহ করা মোস্তাহাব।এ ক্ষুদ্রতম মোস্তাহাব আমলের গুনাগুন বৈজ্ঞানীক দের কে আকৃষ্ট করেছে।শরিরের Anatomical  বিশ্লেষনে দেখা গেছে- পিঠের মধ্যখান দিয়ে ঘাড়ের উপরি অংশে একটি লম্বা হাঢ় Spinal cord প্রবাহিত।এটা মানব দেহের ব্রেন ও হার্টের সংযোগকারী যন্ত্র বিশেষ।মাথা মাসেহের পর গর্দান মাসেহ দ্বারাস্পাইনাল কর্ড ঠান্ডা হাতের স্পর্শে  মস্থিস্ককে ঠান্ডা করে দেয়।ফলে এভাবে ওযু কারীর প্রেশার রোগ হয় না।   

মিসওয়াক : নামাজের মধ্যে বৈজ্ঞানিক গুরুত্বের মূখ সংশ্লিষ্ট আলোচনা করতে মিসওয়াকের কথা  প্রথমেই চলে আসে। আল্লাহর নবী হাদীছ করেছেন- " আমি আমার উম্মতের জন্য কষ্টের আশংকা না করলে প্রত্যেক নামাজের পূর্বে মিসওয়াক কে বাধ্যতামূলক করে দিতাম।অন্য হাদীছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এরশাদ করেন- মিস্বয়াকের মধ্যে ৭০ টি উপকার আছে।তন্মধ্যে সর্বকনিষ্ট উপকার হল, মৃত্যু কালে ঈমান নসিব হবে।এখানে আমি বিজ্ঞান গবেষণায়  যে সব উপকারিতা রয়েছে, তা আলোচনার প্রয়াস পাব।আমরা প্রতিদিন যেসব খাদ্য গ্রহন করি তার কিছু অংশ দাতের ফাঁকে ফাঁকে  লেগে থাকে।এর থেকে মূখে ব্যাক্টেরিয়া নামক এক প্রকার রোগ জীবাণু  জন্ম নেয়।এরা খাদ্য বস্তুর সংস্পর্শে এসে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়।ফলে দাতের ক্ষয় রোগ, পায়ওরিয়া,, রক্ত পূজ পড়া,অল্প দিনে দাতপড়ে যাওয়া, দাতের মারিতে ফাক সৃষ্টি সহ ইনফেকশন করে মূখের আলসার,গল্গন্ডের আলসার,পাকস্থলির আলসার, কথায় জড়তা,তোতলাম- প্রভৃতি রোগের সৃষ্টি করতে পারে।এমনকি এ ইনফেকশন মস্থিস্কে ও আঘাত হানতে পারে।নিয়মিত মিসওওয়াক করলে এসব রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।নবীজি গাছের নরম কাচা দাল দিয়ে মিসওয়াক করতে বলেছেন।দাতের প্রয়োজনীয় দুটি উপাদান ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস গাছের কাচা ডালে প্রচুর পরিমানে বিদ্যমান থাকে।বিশেষ করে নিম ও পিলু গাছের ডালে Anticeptic    গুন থাকায় দাতকে ভিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।চিকিতসা  বিজ্ঞান বলে - Mouth is the canal of the Bekteria.অর্থাৎ মূখ হল পেঠে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশের রাস্থা।সুতরাং নিয়মিত মিসওওয়াক কারীর পেঠে পীড়া হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।অযু এবং মিসওয়াক  করে নামাযী যখন নামাযে দাঁড়ান তখন তার দেহ মনে বিরাজ করে এক অনাবিল স্বর্গীয় প্রশান্তি ও সজীবতা।

নামাযে শারিরিক কসরতের বিষয়ে পড়ে আলোচনার আশা রাখি।


নামাজের মধ্যে তাকবীরে তাহরিমা :- বৈজ্ঞানিক গবেষনায় প্রতীয়মান হয়েছে নামাজের মধ্যে নামাযী ( পূরুষ)  যখন নাভীর উপরে হাত বাধেন- তখন তার উভয় হাত থেকে এক প্রকার আলোক রশ্মি নির্গত হয়।যা ইতিবাচক (   positive) ও নেতি বাচক( Negative) পর্যায়ে থাকে।অত: পর  দুটি আলোকরশ্মি একত্রে মিশ্রিত হয়ে একটি বিস্ময়কর ক্রিয়ার সৃষ্টি করে; যা নাভীর ভিতর দিয়ে উদরস্থ প্রতি শিরা উপশিরায় প্রবেশ করে হৃতপিন্ডকে প্রবল শক্তিশালী করে তোলে।নামাজের মধ্যে ক্বিয়াম তথা দাঁড়ানো অবস্থায় শরিরের অংগ প্রত্যংগ গুলো আপন আপন স্থানে রেখে সুন্দরভাবে দাঁড়াতে  হয়।এতে মেরু দন্ড সোজা থাকে এবং রক্ত চলাচল সঠিকভাবে হয়।

নামাজের রুকু সিজদা;- রুকুর দ্বারা মস্তিস্কের ও চোখের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়।বিধায় মস্তিস্ক ও চোখের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।রুকু ঐ সকল রোগ -যার কারনে দেহের অংগ প্রত্যংগ গুলো দূর্বল হয়ে পড়ে,  তা সবল করে হৃতপিন্ডে পাথর সৃষ্টি হওয়াতে বাধা সৃষ্টি করে।

নামাযীর সিজদা:- নামাযী যখন সিজদায় যান তখন তার শিরা উপশিরা গুলোতে রক্ত চলাচল এত বৃদ্ধি পায় যে,মূখমন্ডলের বিভিন্ন অংগের  কার্যক্রমের মধ্যে একটা নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়।এ ছাড়া সিজদার সময় নাকের দিকে চোখের দৃষ্টি নিবন্ধ থাকায় চোখে যে পানি আসা ভাব হয়,এটা চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী।নামাযী ব্যক্তির ছেহারা সর্বদা উজ্জ্বল ও সজীব থাকে।কারণ নামাজে পর্যায়ক্রমে রুকু ও সিজদার কারণে সর্বাংগের শিরা,ধ্বমনিতে রক্ত চলাচল উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায়।ফলে ছেহারা উজ্জ্বল ও সজীব থাকে।এ উজ্জ্বলতা  ময়দানে ক্বিয়ামতে ও ভেসে উঠবে।দুনিয়ায় তো আছেই।আল্লাহ ফরমান - "ফি উজুহি হিম মিন আসারিস সুজুদ।"

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট