আক্বিদা বিশুদ্ধকরণ

 

আক্বিদা বিশুদ্ধকরণ ।


Mushahid Ali12

সূচনাঃ আল আক্বিদাতু শব্দটি একবচন, বহুবচনে عقاءد  ।শাব্দিক অর্থ - আন্তরিক মজবুত বিশ্বাস। আক্বদুন শব্দ থেকে এর অর্থ-অংগীকার, চুক্তি,বন্দন ইত্যাদি।

পারিভাষিক অর্থ -العقيدة ــ الحكم الذي لا يقبل الشك فيه لدي معتقيده আক্বিদা হচ্ছে ঐ  বিশ্বাস যে ,বিশ্বাসীর কাছে কোন সন্দেহ গ্রহন যোগ্য নয়।ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় আক্বিদা হলো -আমল নয়, ঐ বিশ্বাস যা সন্দেহ ক্ববুল করে না।যেমন- وجود الله و بعثة الرسل (عليهم السالام) আল্লাহর অস্থিত্ব।রাসূল গন কে প্রেরণ ।(মু'জামুল ওয়সীত)

আক্বিদার গুরুত্বঃ ইসলামী শরীয়তে আক্বিদা এমন একটি বিষয়, যা পরিশুদ্ধ নাহলে শরীয়তের কোন কাজ কর্ম আল্লাহর কাছে গ্রহন যোগ্য নয়।সে ও ইসলামের অন্তর্ভুক্ত নয়।যেমন আল্লাহ পাক এরশাদ করেন-عاملة ناصبة আমল করে ক্লান্ত ক্লিষ্ট ব্যক্তি। تصلي نارا حامية  প্রজ্জ্বলিত অগ্নি কূন্ডে প্রবেশ করবে।(সূরা গাশিয়া)এখানে আক্বিদাহীন আমলের কথা বলা হয়েছে।নবীজি আবু হোরায়রা বর্নিত এক হাদীছে ঘোষণা করেন-আমি মুহাম্মদের প্রান যে সত্ত্বার হাতে,তার শপথ।এ উম্মতের কেউ ইয়াহুদী কিংবা নাসারা যে ই হোক আমার ব্যাপারে শুনার পর ও আমি যা নিয়ে এসেছি তার উপর বিশ্বাস করল না অতঃপর মৃত্যু বরণ করল;সে জাহান্নামী ছাড়া কিছু নয়।(মুসলিম)সুতরাং বুঝা গেল আক্বিদার পরিশুদ্ধি মুক্তির জন্য একান্ত অপরিহার্য।

আক্বিদার ক্ষেত্রঃ হাদীছের পরিভাষায় পরিলক্ষিত হচ্ছে- দয়াল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে যা নিয়ে এসেছেন ইজমালান সে সকল বিষয়ের উপর আন্তরিক বিশ্বাস স্থায়ী ভাবে পোষণ করা হচ্ছে আক্বিদার স্থল বা ক্ষেত্র।আল্লামা আব্দুল আজিজ মোহাদ্দিছে দেহলবী (রাঃ)এর মতে জরূরিয়তে দ্বীনের প্রতিটি বিষয়ের ব্যপারে দৃঢ় প্রত্যয় রাখা হচ্ছে আক্বিদা ।এ আক্বিদা ছাড়া কোন মানুষ নিজেকে মোমিন দাবী করতে পারে না ।(ফতওয়ায়ে আজিজী)

জরূরিয়াতে দ্বীনঃ- যে সকল ধর্মীয় বিষয় অকাট্য প্রত্যক্ষ দলীল আদিল্লা বা প্রমাণাদি দ্বারা প্রতিষ্টিত্‌,তাকে জরুরীয়াতে দ্বীন বলা হয়।যেমন-আল্লাহ ,রাসূল, কিতাব,ফেরেশতা, জান্নাত,জাহান্নাম ইত্যাদি।

আল্লাহ চাহেতু প্রথমে ই  আমি আল্লাহর ওয়াহদানিয়তের  প্রমানাদী পরবর্তিতে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করার আশা রাখি।আল্লাহ তাওফিক্ব দাতা।

*************************************************

যার বিশ্বাস যে রকম প্রতিদান প্রাপ্তিটা সে রকম ই হয়ে থাকে ।আবু বকর ছিদ্দিক (রাঃ)'এর এক রাতের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম খেদমতের সওয়াব বাকী সকল উম্মতের চেয়ে বেশী হয়ে গেল।এটা বিশ্বাসের বলেই। আজ হযরত আলী (রাঃ)এর দৃঢ় বিশ্বাসের একটি জলন্ত উদাহরন পেষ করব।সেটা হল খাতুনে জান্নাত বিদ'য়াতুর রাসূল ফাতিমা (রাঃ)শেরে খোদা আলী (রাঃ)'র কাছে একটি আনার ফলের ছাহিদা প্রকাশ করলেন ।সে মর্মে হজরত আলী (রাঃ)চেষ্টা করে আনার ফল যোগার করে বাড়ি ফিরছিলেন।পথি মধ্যে জীর্ণ শীর্ণ এক ফকির হযরত আলী (রাঃ)'র কাছে নিজের প্রবল জটর জ্বালা উল্লেখ করে আনার ফলটি ভিক্ষা হিসেবে দাবী করে বসল।আলী আনার ফলটি ভিক্ষুককে দান করে বাড়ির দিকে ফিরে আসলেন।আলী (রাঃ) কে দেখে ফাতেমা (রাঃ)এগিয়ে এসে বললেন -একটি লোক এসে আমাদের কে নয়টি আনার ফল দিয়ে গেল।শেরে খোদা আলী বলে উঠলেন-আনার তো দশটি হবে।নয়টি বলছ কেন?তাই ফাতিমা (রাঃ) আনার গুলো দ্বিতীয়বার গুনে দেখেন সত্য ই আলী(রাঃ)'র কথানুযায়ী আনার দশটি।আলী (রাঃ)তিলাওয়াত করেন-من جاء با الحسنة فله عشر امثالها  যে ব্যক্তি কোন একটি পূন্যকাজ সম্পন্ন করে তার জন্য রয়েছে এর অনুরুপ দশ গুন প্রতিদান।তাই আমি একটি আনার আল্লাহর ওয়াস্থে দান করেছি হেতু দশটি আনার ই প্রতিদান পাওয়ার কথা।

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট