আপনার নামে অন্যের কুৎসা রটনা,অপবাদ
আপনার নামে অন্যের কুৎসা রটনা,অপবাদ, মিথ্যে বলা দেখে মনে খারাপ করবেন না। এটার বিনিময়ে সবর করলে আপনি খুব বড় ধরনের পুরস্কারে পুরস্কৃত হতে যাচ্ছেন। চিন্তা করুন,আপনি কোন পরিশ্রমই করছেন না অথচ আপনার আমলনামায় অটো নেক আমল জমা হয়ে যাচ্ছে। সুবহানআল্লাহ! এর চাইতে বড় পরিশ্রমহীন ইবাদাত কি হতে পারে? আর যারা পেছনে এসব মন্দ বলে বেড়ায় তারা সবসময় পেছনের সারিতেই অবস্থান করবে। মনে রাখবেন যারা আপনার গীবত করে তারা কখনো আপনাকে সামনাসামনি আঘাত করতে পারবেন না, বিপরীতে তারা নিজেরাই নিজেদেরই আঘাতে জর্জরিত হচ্ছে। দুনিয়াতে গীবতকারীর জন্য যেমন লাঞ্চনা,অপমান,অপদস্থতা আছে। আখিরাতে ও তার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ংকর আযাব। কাতাদাহ রাহিমাহুল্লাহ্ বলেন,“কবরের মানুষকে সামগ্রিকভাবে যত আযাব,শাস্তি দেওয়া হবে, আযাবের তিন ভাগের এক ভাগ হবে গীবতের কারণে।” এছাড়া ও একটা ঘটনা প্রচলিত আছে যে, “একজন ব্যক্তি একবার এসে হাসান আল বসরী রাহিমাহুল্লাকে বলেন,ওমুক লোক আপনার গীবত করেছে। হাসান বসরী রাহিমাহুল্লাহ্ তখন গীবতকারী লোকের উদ্দেশ্যে এক বাটি মিষ্টি খেজুর উপহারস্বরূপ পাঠিয়ে তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,‘আমি শুনেছি তুমি তোমার নেক আমলসমূহ দিয়ে আমাকে পুরস্কৃত করেছো তাই বিনিময়ে আমি তোমাকে কিছু উপহার পাঠালাম কিন্তু আমাকে ক্ষমা করো আমি তোমাকে পরিপূর্ণ ভাবে তোমার কাজের জন্য পরিশোধ করতে পারলাম না।’’ ইমাম শাফিঈ রাহিমাহুল্লাহ্ বলেন,“একটি নেকড়ে পর্যন্ত তার স্বজাতি নেকড়ের মাংস খায় না আর আমরা মানুষেরা জেনে শুনেই তার ভাইয়ের মাংস আহার করি(গীবত করার মাধ্যমে)।” সুফিয়ান ইবনে উয়ানাহ রাহিমাহুল্লাহ্ বলেন,“গীবত ঋন করার চাইতেও ভয়াবহ। কারণ ঋণ শোধ করা যায় আর গীবত শোধ করা যায় না।”
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন