সঠিক কাজটি করুন


যদি বুদ্ধি বলে ধূমপান ক্ষতিকর তবে বুদ্ধির কথা শুনে ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। হয়তো তখন মনে মনে বলবেন- "কিন্তু বিড়ি টানা ছাড়া তো ভালো লাগে না।" চিন্তা করবেন না। ভালো লাগা কোনো ব্যাপার না। সঠিক কাজটি করুন। সঠিক কাজ করুন আপনার ভালো লাগুক বা না লাগুক। আপনি পছন্দ করেন বা না করেন এতে কিছু যায় আসে না। ঠিক কাজটা করুন। নিজেকে দিয়ে জোর করে ঠিক কাজটা করান। তবেই আপনি সফল হবেন।

যদি শুধু নিজের কাছে যা ভালো লাগে তাই করেন, তবে কোনোদিন সফল হতে পারবেন না। আপনার কাছে কি কি ভালো লাগবে তা শিক্ষা দিতে কুরআন আসেনি। কুরআন এসেছে আপনাকে শিক্ষা দিতে কোন কোন জিনিস আপনার উপকারে আসবে। কুরআন একজন ভালো মানুষ তৈরী করতে চায়, সুখী মানুষ নয়। সুখ একসময় আসবে যা হবে সত্যিকারের সুখ। প্রথমে আপনাকে ভালো মানুষ হতে হবে তারপর ইনশাআল্লাহ আপনি সুখী হবেন। কিন্তু যদি শুধু সুখ চান, ভালো মানুষ হতে না চান তবে এই বই আপনার জন্য নয়। সুতরাং, নিজের বিবেক-বুদ্ধি যখন কিছু করতে বলে করে ফেলুন। - ড. আকরাম নদভী
*******************************************************************
যখন সূরা বাকারার ২৪৫ নং আয়াত নাজিল হলো, তখন ইহুদিদের মাঝে শোরগোল পড়ে গেল। ‘এমন কে আছে যে, আল্লাহকে কর্জ দেবে? উত্তম কর্জ; অতঃপর আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ-বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেবেন। আল্লাহই সঙ্কোচিত করেন ও তিনিই প্রশস্ততা দান করেন এবং তাঁরই কাছে তোমরা সবাই ফিরে যাবে।’
কর্জ দ্বারা বোঝানো হয়েছে আল্লাহর রাস্তায় খরচ করা। আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে জান্নাত কিনে নেয়া। কিন্তু ইহুদিরা বুঝতে ভুল করল। তিরস্কার করে বলল, মুসলমানদের আল্লাহ দেখি বড় ফকির! আমাদের থেকে কর্জ চাচ্ছেন। তাদের রব আমাদের মুখাপেক্ষী; আমরা হলাম ধনী, বিত্তবান! এক ইহুদি তিরস্কার করতে শুনে ফেলেন আবুবকর রা:। তিনি এটি সহ্য করতে পারলেন না। ইহুদির গালে চড় বসিয়ে দিলেন।
চড় খেয়ে ইহুদি বিচার নিয়ে গেলো নবীজী সা:-এর কাছে। আপনার সাহাবি আবু বকর আমাকে থাপ্পড় মেরেছে। নবীজী সা: শুনে বললেন, ‘তুমি হয়তো ভুল বলছ। আমার আবু বকর কখনো কাউকে থাপ্পড় দিতে পারে না। তোমাকে হয়তো ওমর থাপ্পড় দিয়েছে। কারণ, ওমর হলেন রাগী।
ইহুদি নাছোড়বান্দা, ‘না, আমাকে আবু বকরই থাপ্পড় দিয়েছে। আমি আবু বকরকে চিনি। নবীজী সা: বললেন, ‘আচ্ছা, ঠিক আছে। আবু বকরকে ডাকো।’ আবু বকর নবীজীর খেদমতে উপস্থিত হলেন। নবীজী সা: বললেন, হে আবু বকর! তুমি এই ব্যক্তিকে কেন থাপ্পড় মারলে?
আবু বকর রা: ভদ্রতার সাথে নরম সূরে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সা:! এই ব্যক্তি আল্লাহকে ফকির বলেছে তাই থাপ্পড় দিয়েছি।’ ইহুদি সাথে সাথে বলে উঠল, আবু বকর মিথ্যা বলছে। আমি এরকম বলিনি। নবীজী সা: বললেন, ‘তোমার পক্ষে সাক্ষী পেশ করো।’
আবু বকর রা: বললেন, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ সা:! সেখানে শুধু আমিই ছিলাম।’
রাসূল সা: নিষ্ঠাবান বিচারক ছিলেন। সাহাবা রা: যতই প্রিয় হোক না কেন, বিচারের ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেন না। কারো পক্ষপাতিত্ব করতেন না। রাসূল সা: বললেন, ‘যদি তুমি সাক্ষী পেশ করতে না পারো, তাহলে তুমি ইহুদিকে যেভাবে থাপ্পড় দিয়েছিলে ঠিক সেভাবে ইহুদিও তোমাকে একটা থাপ্পড় দেবে।’
সাথে সাথে আল্লাহ তায়ালা আবু বকর রা:-এর পক্ষে সাক্ষ্য হিসেবে রাসূল সা:-এর ওপর আয়াত নাজিল করেন। ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাদের কথা শুনেছেন, যারা বলেছে যে, আল্লাহ হচ্ছেন অভাবগ্রস্ত আর আমরা বিত্তবান’ (সূরা আলে ইমরান-১৮১)!
এই আয়াত নাজিল হলে আবু বকর রা: সত্য বলে প্রমাণিত হলো। আর উপযুক্ত সাক্ষ্য পেয়ে রাসূল সা: আবু বকর রা:-এর পক্ষে রায় দিলেন।collected

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট