অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা

 


সাবধান! বহু সংখ্যক জ্বীন এবং মানুষকে আল্লাহ জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ পবিত্র কোরানে জাহান্নামীদের এই বহু সংখ্যক জ্বীন এবং মানুষ করা, তার কিছু আলামত বর্ণনা করেছেন। এদের প্রধান আলামত হচ্ছে, তাদেরকে কোরান হাদিসের কোন উপদেশ দিলে তারা তা দেখবে, শুনবে কিন্তু তাতে কোন ভ্রুক্ষেপ করবে না। অর্থাৎ তাদের অন্তর দিয়ে বুঝার চেষ্টা করবে না, শুনেও না শুনার ভান করবে, দেখেও না দেখার ভান করবে। যেমনঃ- এত এত পোস্ট করি যে, বিয়ের আগে প্রেম করা যাবে না, কোন বেগানা ছেলে-মেয়ের মধ্যে কোন ধরণের রিলেশান মেইন্টেইন করা যাবে না, ফেসবুকে বা মোবাইলে কথা বলা যাবে না, এধরনের সকল সম্পর্ক হারাম। তবুও অন্যদের কথা না হয় বাদই দিলাম অনেক দ্বীনি ভাই-বোন যারা নামায পড়ে, রোজা রাখে, বোরকা পড়ে, তাদের মধ্যেও অনেকেই এই পোস্টগুলো পড়ে, দেখে এবং শুনে কিন্তু অবৈধ এই প্রেম-ভালোবাসা, অবৈধ এই সম্পর্ককে যে বর্জন করতে হবে, তার প্রতি তারা কোন ভ্রুক্ষেপই করে না, আর বর্জন করা তো পরের কথা বরং হারাম জেনে, দেখে, শুনেও অবৈধ এই সম্পর্ককে তারা কন্টিনিউ করে।

আবার এত এত পোস্ট করি যে, ফেসবুকে মেয়েদের নিজের ছবি তো দুরের কথা বরং মেয়েদের কোন ছবিই সেটা খোলামেলা হোক, বোরকা পড়া হোক, আধা হিজাবী হোক, শুধু পা এর ছবি হোক, শুধু হাতের ছবি হোক, মাথায় একটা ত্যানা পেঁচিয়ে শুধু মুখের ছবি হোক বা পরিপূর্ণ পর্দা করে শুধু চোখ বের করেই হোক, মেয়েদের এমন কোন ছবিই ফেসবুকে দেয়া যাবে না, এটা মারাত্মক একটা কবিরাহ গুনাহ। তবুও অন্যদের কথা না হয় বাদই দিলাম, অনেক মেয়েই ফেসবুকে যাদের নামের সাথে আলেমা, হাফেজা এধরণের বড় বড় সাইনবোর্ড লাগানো আছে, তারাও দেখি মেয়দের ছবি দিয়ে তার প্রোফাইলকে সাজিয়ে রেখেছে, যেন তাদের প্রোফাইলটা হচ্ছে বোরকা পড়া মেয়েদের একটা বাজার। তো ফেসবুকে যে মেয়েদের কোন ছবিই পোস্ট করা যাবে না, এই ধরণের পোস্টগুলো ঐ সকল নামের সাথে আলেমা, হাফেজা বড় বড় সাইনবোর্ডধারী মেয়েরাও পড়ে, দেখে, এবং শুনে কিন্তু তাদের ফেসবুক থেকে এসব ছবি ডিলিট করে দেওয়া তো দুরের কথা বরং যতই দিন যাচ্ছে ততই আরও নতুন নতুন ছবি দিয়ে আপডেট করছে। এক সময় দেখা যেত তার নিজের কোন ছবি আপলোড দিত না, কিন্তু অন্য মেয়েদের ছবি আপলোড করার পাপে লিপ্ত থাকার ফলে, আস্তে আস্তে তার নিজের ছবিই আপলোড দেয়া শুরু করে দিয়েছে। নাউূজুবিল্লাহি মিন যালিক। যাইহোক, আমি এখানে দুটি বিষয় উল্লেখ করেছি তবে এমন আরও বহু উদাহরণ রয়েছে। আর পবিত্র কোরানে এদেরকে পশুর মত বরং পশুর থেকেও নিকৃষ্ট বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা এদের সম্পর্ক বলেন, “অবশ্যই আমি বহু সংখ্যক জ্বীন আর মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি, তাদের অন্তর রয়েছে কিন্তু তা দিয়ে তারা উপলব্ধি করে না, তাদের চোখ রয়েছে কিন্তু তা দিয়ে তারা দেখে না, তাদের কান রয়েছে কিন্তু তা দিয়ে তারা শোনে না। তারাই হচ্ছে জন্তু-জানোয়ার বা পশুর মত, বরং তার থেকেও পথভ্রষ্ট। তারাই হচ্ছে গাফেল। (সুরা আরাফঃ ১৭৯) সুতরাং সময় থাকতেই নিজেকে পরিবর্তন করুণ। দয়াকরে, যখন কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন যে তা হারাম, তখন তা সঙ্গে সঙ্গে বর্জন করে ফেলবেন, একটুও দেরি করবেন না। বিশেষ করে আমি যে দুটি বিষয়ের উদাহরণ দিয়েছি, বিয়ের আগে প্রেম করা, বেগানা ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে যে কোন সম্পর্ক করা, ফেসবুকে বা মোবাইলে কথা বলা, এই বিষয়গুলো এক্ষনই তওবা করে পরিপূর্ণ বর্জন করে ফেলুন, এক্ষণই তার সাথে সকল যোগাযোগ ছিন্ন করুণ। আর ফেসবুকে মেয়েদের কোন ছবি দিয়ে থাকলে, তওবা করে এক্ষনই ডিলিট করে দিন। যদি আপনি আল্লাহকে ভয় করেন, আর যদি আপনি জাহান্নাম থেকে বাঁচতে চান। আল্লাহ আমাদের সকলকে সহি বুঝ এবং তা মেনে চলারও তৌফিক দান করুক। হে আল্লাহ, আপনি আমাদেরকে জান্নাত দান করুণ এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন। আমিন।
নিজের ভুল স্বীকার করতে আমাদের ‘দ্বিধা’ হয়। কাছের মানুষের অন্যায়কে অন্যায় বলতে ‘দ্বিধা’ হয়। গরিব বয়স্ক লোককে সম্মান জানাতে ‘দ্বিধা’ হয়। বাসার কাজের লোককে নিজেদের মতো মানুষ ভাবতে 'দ্বিধা' হয়। এমন কতো মন্দ ‘দ্বিধা’ আমরা পদে পদে লালন করি। collected

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট