সকাল ও সন্ধ্যার যিকির


 সকাল ও সন্ধ্যার যিকিরঃ প্রাণপন চেষ্টা করুন নিচের এই দুয়াগুলো মুখস্থ করে প্রতিদিন আমল করার জন্য। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাহ থেকে যিকিরের জন্য তিনটি বিশেষ সময় পাওয়া যায়। আর তা হলোঃ (১) সকাল বেলা, (২) সন্ধ্যা বেলা এবং (৩) রাতে ঘুমানোর পূর্বে। এখানে সকাল বেলা অর্থ হচ্ছেঃ ফযরের পর থেকে যোহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত, আর সন্ধ্যা অর্থ হচ্ছেঃ আসরের পর থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত সময়। সকাল ও সন্ধ্যার যিকির থেকে কয়েকটি বিশেষ দুয়া, যেইগুলো ছোট কিন্তু আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী ও প্রয়োজনীয়, অশেষ সওয়াব ও মর্যাদার অধিকারী তার বর্ণনা দেওয়া হলো। দুয়াগুলো মুখস্থ না হওয়া পর্যন্ত বই দেখে দেখে পড়া যাবে, কোনো সমস্যা নাই। এই দুয়াগুলো করা সুন্নত, ফরয নয়। তবে চেষ্টা করা উচিত, সবার নিজেদের সময় ও সাধ্য অনুযায়ী যতগুলো দুয়া সম্ভব হয়, তার উপর আমল করা। যার পক্ষে যগুলো সম্ভব ও ভালো লাগে। মা-বোনেরা মাসিক ঋতু থাকা অবস্থাতেও এই দুয়াগুলো পড়বেন, কোনো বাঁধা নাই।

সকাল ও সন্ধ্যার যিকিরের গুরুত্বঃ হা’ফিজ ইবনুল ক্বাইয়িম রহি’মাহুল্লাহ বলেছেন, “সকাল সন্ধ্যার যিকির হচ্ছে যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত ঢালের মতো সুরক্ষা স্বরূপ। এই ঢাল যত পুরু হবে, সেটা তত বেশি নিরাপত্তা দিবে। এমনকি এই দুয়ার সুরক্ষা এমন যে, কোন তীর নিক্ষেপ করা হলে সেই তীর ঢালে বাঁধা পেয়ে উল্টা নিক্ষেপকারীকে আঘাত করবে।” এতো দুয়া পড়ার সময় কোথায়? এই দুয়াগুলো পড়তে খুব অল্প সময় লাগবে। মোটামুটি ৫-৭ মিনিটের মতো সময় লাগতে পারে। সর্বোচ্চ নাহয় সকালে ১০ আর বিকালে ১০, মোট ২০ মিনিট সময়ই ব্যয় করলেন আল্লাহর রাস্তায়। সর্বোত্তম হয়, আপনি যদি নামাযের পরপর মুসাল্লাতে বসেই দুয়াগুলো পড়ে নেন। এতে আপনি বেশি আন্তরিকতা ও মনোযোগের সাথে দুয়াগুলো পড়তে পারবেন, আর যতক্ষণ মসজিদে বসে থাকবেন, ফেরেশতারা আপনার জন্য রহমতের দুয়া করতে থাকবে। আর যদি আপনার ব্যস্ততা একটু বেশি হয়ে থাকে, ফযর ও আসর সালাত মসজিদে পড়ে বাসায় আসতে আসতে পড়ে নিতে পারেন। মা-বোনদের ঘরের ছোটখাট কাজ যাতে খুব বেশি মনোযোগ দিতে হয় না, সেইগুলো করার সময়ও দুয়াগুলো পড়তে পারেন। দুয়াগুলো অনেক কঠিন! সত্যি কথা বলতে দুয়েকটা দুয়া যারা আরবী মুখস্ত করে অভ্যস্ত না, তাদের জন্য একটু কঠিন মনে হতে পারে। এমনকি আমার কাছেও প্রথম প্রথম একটু কঠিন মনে হতো। কিন্তু একটু চিন্তা করে দেখুন, আপনি যদি দুয়াগুলো কষ্ট করে একবার মুখস্থ করে নিতে পারেন, এরপরে সারা জীবন প্রত্যেকদিন এইগুলো পড়তে পারবেন। বিইজনিল্লাহ, আপনার যেইদিন মৃত্যু হবে সেই দিন যদি আপনি ‘সাইয়্যিদুল ইসতিগফার’ পড়ে থাকেন, ইন শা’আল্লাহ আপনি জান্নাতে যাবেন। এটা সহ এমন দুয়া আছে যা আপনাকে অনেক বিপদ আপদ, এক্সিডেন্ট ও দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত চিন্তা ভাবনা থেকে মুক্তি দিবে। এতোবড় “আল্লাহর রহমত” পাওয়ার জন্য আপনি সামান্য মুখস্থ করার এই কষ্টটুকু করতে পারবেন না? (১) সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ দুয়াঃ (২) জান্নাত প্রার্থনা করা ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাওয়ার জন্য দুয়াঃ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ’উযু বিকা মিনান্নার। অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে তিন বার জান্নাত প্রার্থনা করে, জান্নাত আল্লাহর কাছে দুয়া করে, হে আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করো। যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে তিনবার জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে, জাহান্নাম আল্লাহর কাছে দুয়া করে, হে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাও।” তিরমিযিঃ ২৫৭২, ইবনে মাজাহ ৪৩৪০, সহীহ, শায়খ আলবানী। উল্লেখ্যঃ সকাল সন্ধ্যায় ৭ বার “আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার” পড়ার হাদীসটা জয়ীফ বা দুর্বল, শায়খ আলবানী সিলসিলা জয়ীফাহঃ ১৬২৪। সুতরাং সেটা না পড়ে “আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ’উযু বিকা মিনান্নার”, এই দুয়াটা সকাল ও বিকালে তিনবার করে পড়বেন, কারণ এটাতে জান্নাত চাওয়া ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া দুইটা দোয়া আছে আর এটা সহীহ। ঐটা থেকে এই দুয়াটা বরং ভালো এবং সহীহ। (৩) কিয়ামতের দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি বা জান্নাত পাওয়ার জন্য সহজ আমলঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ (তাঁর বান্দাদের সাথে) ওয়াদা করেছেন যে, যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন সকালে তিনবার ও সন্ধ্যা বেলায় তিনবার এই দুয়া পড়বে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট থাকবেন।” হিসনুল মুসলিম, পৃষ্ঠা ১৩৮। رَضِيْتُ بِاللهِ رَبـاًّ، وَبِاْلإِسْلاَمِ دِيْنـًا، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيـًّا উচ্চারণঃ রদ্বীতু বিল্লা-হি রব্বাহ, ওয়াবিল ইসলা-মি দ্বীনাহ, ওয়াবি মুহা’ম্মাদিন সাল্লাল্লা-হু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামা নাবিয়্যাহ। অর্থঃ আমি আল্লাহকে রব হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম-কে আমার নবী হিসেবে গ্রহণ করে সন্তুষ্ট।” আহমাদঃ ১৮৯৬৭, নাসাঈ, ইবনুস সুন্নীঃ ৬৮, আবু দাউদঃ ১৫৩১, তিরমিযীঃ ৩৩৮৯। শায়খ আব্দুল আজীজ ইবনে বায রাহিমাহুল্লাহ তাঁর ‘তুহফাতুল আখইয়ার’ বইয়ের ৩৯ পৃষ্ঠায় হাদীসটিকে “হাসান সহীহ” বলেছেন। (৪) হঠাৎ কোন বিপদ-আপদ ও দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য আমলঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সকালে তিনবার ও সন্ধ্যায় তিনবার এই দুয়স পড়বে, কোনো কিছুই ঐ ব্যক্তির ক্ষতি করতে পারবেনা।” بِسْمِ اللهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ العَلِيمُ আরবী উচ্চারণঃ বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াযুররু মা আ’সমিহী শাই’উন ফিল আরযি, ওয়ালা ফিস সামা-য়ী, ওয়াহুয়াস সামীউ’ল আ’লীম। অর্থঃ আমি সেই আল্লাহর নামে শুরু করছি, যার নামে শুরু করলে আসমান ও যমীনের কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারেনা। প্রকৃতপক্ষে তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী। আবু দাউদ, তিরমিযীঃ ৩৩৮৮, হিসনুল মুসলিম, পৃষ্ঠা ১৩৮। হাদীসটি হাসান। (৫) দুনিয়া ও আখেরাতের যেকোনো দুঃচিন্তা, পেরেশানি এবং মানসিক অস্থিরতা থেকে বাচার জন্যে দুয়াঃ আপনি কি দুনিয়া অথবা আখেরাতের কোনো বিষয় নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করছেন? কি হবে না হবে? না জানি কি ক্ষতির মাঝে পড়ে গেলাম? যা করছি ভুল করছি নাতো? এইরকম দুনিয়াবি অথবা আখেরাতের যেকোনো দুঃশ্চিন্তা, টেনশান বা পেরেশানি থেকে বাচার জন্য একটা দুয়া আছে যা সকাল ও সন্ধ্যায় ৭ বার করে পড়তে হয়। নবী (সাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় সাত বার এই দুয়া পাঠ করবে আল্লাহ্‌ তার সকল চিন্তা, উৎকণ্ঠা ও সমস্যা মিটিয়ে দেবেন।” হিসনুল মুসলিমঃ ১৩২-১৩৩ নাম্বার পৃষ্ঠা। সুনান আবু দাউদঃ ৫০৮১। উল্লেখ্য, এই দুয়াটা সুরা তাওবার সর্বশেষ ১২৯ নাম্বারে আয়াতে আল্লাহ তাআ’লা পড়ার জন্য বলেছেন। حَسْبِيَ اللهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ উচ্চারণঃ হা’সবিয়াল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা-হুয়া, আ’লাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়া হুয়া রাব্বুল আ’রশিল আ’যীম। অর্থঃ আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া আর কোন মা’বুদ নাই, আমি তাঁরই উপর নির্ভর করছি, তিনি মহান আরশের প্রভু। (৬) ছোট বড় যেকোন শিরক থেকে বাঁচার দুয়াঃ মনে করুন, একজন মানুষ ৪০ বছর ধরে আল্লাহর ইবাদত করলো, এরমাঝে কতযে নফল সুন্নত নামায পড়লো আর রোযা রাখলো, কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে কোন শিরকে লিপ্ত হলো আর এই অবস্থায় তোওবা না করেই মারা গেলো! শিরকে লিপ্ত হওয়ার কারণে তার সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে সে চিরজাহান্নামী হবে (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)। কেয়ামতের দিন তার আমলগুলোর কোনো ওযন আল্লাহ তাকে দেবেন না, এইগুলোকে ধূলো বালিতে রূপান্তরিত করে দেবেন। সে লাঞ্চিত হয়ে চিরজাহান্নামী হবে। অবশ্য ঈমানদার যারা, তারা যদি অজ্ঞতাবশত ছোট শিরক যেমন রিয়াতে লিপ্ত হয় তাহলে চিরজাহান্নামী হবেনা, কিন্তু এইগুলো থেকে তোওবা না করে মারা গেলে কঠিন শাস্তির পরে জান্নাতে যেতে পারবে। আর জেনে হোক বা না জেনেই হোক, যে কেউ, যেকোনো সময় শয়তানের ধোকায় পড়ে কিংবা অজ্ঞতাবশত কোন শিরকে লিপ্ত হয়ে যেতে পারে, যে যত বড় নেককারই হোক না কেনো। এজন্যে শিরক করা অথবা অনিচ্ছায় শিরকে লিপ্ত হওয়া থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হয়। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর শেখানো একটা দুয়া আছে, কেউ যদি প্রতিদিন সকাল বিকালে একবার করে পড়েন, তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তাকে শিরক থেকে হেফাজত করবেন। আপনি কি জানেন, সেই দুয়াটা কি? দুয়াটা হচ্ছেঃ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لاَ أَعْلَمُ উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ’উযুবিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আ’লাম, ওয়া আস-তাগফিরুকা লিমা লা আ’লাম। অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার জানা অবস্থায় তোমার সাথে শিরক করা থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আর আমার অজানা অবস্থায় কোনো শিরক হয়ে গেলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আহমাদ ৪/৪০৩, হাদীসটি সহীহ, সহীহ আল-জামে ৩/২৩৩। হিসনুল মুসলিমঃ পৃষ্ঠা ২৪৬। (৭) অনেক “বড় সওয়াব” পাওয়ার জন্যে একটা আমলঃ উম্মুল মু’মিনীন জুওয়াইরিয়া বিনতিল হারিস রাদিয়াল্লাহু আ’নহা থেকে বর্ণিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন সকাল বেলা ফযরের সালাত পড়ার পর তাঁর নিকট থেকে বের হলেন। তিনি তখন নিজের সালাতের জায়গাযতেই বসা অবস্থায় ছিলেন। তারপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আবার চাশতের পর ফিরে এলেন। তখনো তিনি জায়নামাযেই বসা অবস্থায় ছিলেন। অতঃপর নবীজি সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “আমি তোমাকে যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলাম সেই একই অবস্থায় তুমি বসে রয়েছো?” তিনি জবাব দিলেনঃ জি হ্যাঁ। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমি তোমার এখান থেকে যাওয়ার পর এমন চারটি কালেমা তিনবার পড়েছি, যা তুমি আজ যা কিছু পড়েছো তার সাথে যদি ওজন করা যায় তাহলে তুমি ওজন করতে পার, অর্থাৎ তার সমান হবে। সেই কালেমাগুলো হচ্ছেঃ سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ: عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ উচ্চারণঃ সুবহা’নাল্লাহি ওয়া বিহা’মদিহি, আ’দাদা খালক্বিহি, ওয়া রিজা নাফসিহি, ওয়া যিনাতা আ’রশিহি, ওয়া মিদাদা কালিমাতিহ। অর্থঃ আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি এবং তাঁর প্রশংসা গাইছি, তাঁর সৃষ্টির সমান সংখ্যক, তাঁর মর্জি অনুযায়ী, তাঁর আরশের ওজনের সমান এবং তাঁর বাক্যাবলীর সমান সংখ্যক। সহীহ মুসলিম। প্রতিদিন সকালে এই দুয়া তিনবার করে পড়া সুন্নাহ। (৮) জিনের আসর, যাদু-টোনা, চোখের নজর, অসুস্থতা, রোগ-ব্যধিসহ সমস্ত বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অথবা এইগুলোতে আক্রান্ত হলে শিফা বা চিকিতসার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটা আমলঃ আব্দুল্লাহ ইবনে খুবাইব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেনঃ “সকাল-সন্ধ্যায় ‘ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ (সুরা ইখলাস) এবং ‘ক্বুল আঊযু বিরাবিবল ফালাক্ব’ (সুরা ফালাক্ব) ও ‘ক্বুল আঊযু বিরাবিবন্নাস’ (সুরা নাস) তিনবার করে পড়। তাহলে যেকোন (ক্ষতিকর) জিনিস থেকে নিরাপত্তার জন্য এটা তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।” তিরমিযী ৩৫৭৫, আবু দাউদ ৫০৮২, নাসায়ী, হাসান সহীহ, শায়খ আলবানী।  পড়ার নিয়ম হচ্ছে আউযুবিল্লাহ...বিসমিল্লাহ...পড়ে সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস, এক বার পড়ার পরে এই সিরিয়ালে আরো দুইবার রিপিট করবেন। প্রত্যেক নতুন সুরার পূর্বে শুধু বিসমিল্লাহ...পড়বেন।

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট