নামাজ পড়ুন

 


আমার প্রিয় ভাই এবং বোনেরা, নামাজ পড়ুন। আপনার জীবনে যাই ঘটুক না কেন নামাজ পড়ুন। আপনি যে পাপই করেন না কেন যত পরিমাণই করেন না কেন, নামাজ পড়ুন। কোন অজুহাত দেখাবেন না।

কোন কোন বোন এসে বলেন, ভাই আমি তো হিজাব পরি না। আমি তাকে বলি, নামাজ পড়ুন। সে বলে, দেখুন, আমি শালীন পোশাকও পরি না। আমি তাকে বলি, নামাজ পড়ুন। ভাই আমি মদ খাই, নামাজ পড়ুন। ভাই আমি তো মাদক বিক্রি করি, নামাজ পড়ুন। আমি মাদক গ্রহণ করি, নামাজ পড়ুন। আমার মেয়ে বন্ধু আছে এবং আমি তার সাথে রাত্রি যাপন করি, আমি তাকে বলি, নামাজ পড়ুন। আপনার জীবনে যাই ঘটুক না কেন, নামাজ পড়ুন। "কিন্তু ভাই, এটা কীভাবে সম্ভব যে আমি এতো সব পাপ করা সত্ত্বেও নামাজ পড়বো!! এটা অসম্মানজনক, এর ফলে তো আমি মুনাফিক হয়ে গেলাম। "আমি তাকে বলি, না, ঠিক এজন্যই আমরা নামাজ পড়ি। কারণ আমরা কেউই নিখুঁত নই, আমরা সবাই কম বেশি পাপ করি। আমরা ভুল কাজ করি। নামাজ পড়ুন। আল্লাহ বলেন, ‘’নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে।" নামাজ পড়ুন। কখনো কখনো মানুষ বলে, ‘’ আগে আমার জীবন ঠিক করে নেই, তারপর ইনশাল্লাহ, আমি নামাজ পড়া শুরু করবো।" প্রিয় বন্ধু, আপনি কোন কিছুই ঠিক করতে পারবেন না, যদি আপনি নামাজ না পড়েন। এজন্যই আমরা নামাজ পড়ি, আমাদের জীবনকে সঠিক পথে নিয়ে আসার জন্য। কোন কিছুকেই, কোন মানুষকেই আপনার এবং আল্লাহর মাঝে আসতে দিবেন না। নামাজ পড়ুন। আপনার জীবনে যাই ঘটুক না কেন, নামাজ পড়ুন। আপনি যেখানেই থাকেন না কেন, নামাজ পড়ুন। মাঝে মাঝে মানুষ এসে আপনাকে বলে, "ভাই/বোন, আপনি তো একটা মুনাফিক। আপনি হিজাব পরেন না, আবার নামাজ পড়েন। তাকে বলুন," ধন্যবাদ বোন। আমি একটা মুনাফিক। আল্লাহ আপনাকে উত্তম পুরস্কার দান করুন। কিন্তু আমার নামাজ হলো আমার এবং আল্লাহর মাঝে। এটা অন্য কারো বিজনেস না। রাসূল (সঃ) বলেছেন, "আমাদের এবং কাফেরদের মাঝে পার্থক্য হলো নামাজ।" কিয়ামাতের দিন আপনি প্রথম যে বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবেন, তা হলো নামাজ। এখানে আপনি যদি পাশ করেন, এরপরের সব কিছু সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি আপনি ফেইল করেন, এরপরের সব কিছু আপনার জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। তাই, নামাজ পড়ুন, প্রিয় ভাই এবং বোনেরা, আপনি আল্লাহর ভালবাসা লাভ করতে পারবেন। নামাজ পড়ুন, তাহলে আপনি তাঁর করুণা এবং ক্ষমা লাভ করতে পারবেন। একবার ভাবুন, আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালা হলেন আপনার বন্ধু। জানেন তো, এই পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের মালিক তিনি। আপনি হয়ে পড়বেন এক অদম্য শক্তি যখন আল্লাহ আপনার পাশে থাকবেন। তাই প্রিয় ভাই এবং বোনেরা, আপনার জীবনে যাই ঘটুক না কেন, নামাজ পড়ুন। কেউ যেন আপনাকে আল্লাহর কাছে থেকে দূরে সরিয়ে দিতে না পারে। জানেন, যখন আপনার কপাল মাটি স্পর্শ করে, তখনই আপনি আল্লাহর সবচেয়ে নিকটে থাকেন। তাঁর নিকট কান্না করুন, কাকুতি মিনতি করুন। আল্লাহর কাছে হেদায়াত প্রার্থনা করুন। আপনি আপনার নামাযের মাধ্যমে প্রশান্তি খুঁজে পাবেন। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন আমাদের এমন মানুষে পরিণত করেন যারা সর্বাবস্থায় নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, যাই ঘটুক না কেন নামাজ পরিত্যাগ করে না। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। --- উস্তাদ মোহাম্মদ হোবলোস

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট