তওবা করতে চান...?


 গুনাহ করেছেন? তওবা করতে চান...? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “একজন মুসলিম কোনো পাপ কাজ করার পরে ছয় ঘন্টা সময় পার না হওয়া পর্যন্ত বাম পাশের ফেরেশতা সেটা তার আমল নামায় লিপিবদ্ধ করেন না। সে যদি অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তখন বাম পাশের ফেরেশতা তা একপাশে ছুঁড়ে ফেলে দেয় (অর্থাৎ সেই পাপ তার আমলনামায় লিপিবদ্ধ করেন না)। আর সে যদি তোওবা না করে, তাহলে সেটা খারাপ কাজ হিসেবে তার আমল নামায় লিপিবদ্ধ করা হয়।” (আল-মাজমু আল কাবীরঃ ৮/১৫৮, শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি সহীহ)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “যদি কোনো বান্দা কোনো পাপ কাজ করে ফেলে, অতঃপর সে উত্তমরূপে ওযু করে পবিত্রতা অর্জন করে এবং দাঁড়িয়ে যায় ও দুই রাকআ’ত (নফল) সালাত আদায় করে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।” (আবু দাউদঃ ১৫২১, শায়খ আলবানী (রহঃ) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন) তাওবাহ করার জন্যে দুই রাকাত নফল নামাযের বিবরণঃ (১) কৃত পাপের জন্য আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হতে হবে। (২) উত্তমরুপে পূর্ণাংগ ওযু সম্পাদন করতে হবে। (৩) "আমি তোওবার জন্যে দুই রাকাত নফল নামায পড়ছি", অন্তরে এতোটুকু চিন্তা করে বা স্থির করে আল্লাহু আকবার বলে বুকে হাত বেধে নামায শুরু করতে হবে। এটাই হচ্ছে নিয়ত, মুখে উচ্চারণ করে আলাদা কোন নিয়তের দুয়া পড়তে হবেনা। (৪) দুই রাকাতে যেকোন সুরা বা আয়াত কিরাত হিসেবে পড়া যাবে। (৫) একমনে আল্লাহমুখী হয়ে নামায পড়তে হবে, নামাযে অন্য কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করা যাবেনা। (৬) নামাযের সিজদাতে বা সালাম ফেরানোর পূর্বে আল্লাহর কাছে তোওবা ও ইস্তেগফারের দুয়াগুলো পড়তে হবে। (৭) কুরান ও হাদীসের দুয়াগুলো আরবীতে মুখস্থ করে পড়া ভালো তবে আরবী না জানলে এই নামাযে বাংলাতে দুয়া করা যাবে। (৮) আর নামাযে দুয়া পড়তে না চাইলে সালাম ফিরিয়ে মুনাজাতে আল্লাহর কাছে তোওবা ও ইস্তেগফারের দুয়াগুলো পড়তে হবে। আল্লাহ আমাদেরকে পরিপূর্ণ তওবা করার তৌফিক দান করুক এবং সেই সাথে আমাদের সকলকে ক্ষমা করুক। আমিন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে