নামাজ মর্যাদা বৃদ্ধি ও গুনাহ মাফের কারন

 


★নামাজ যখন মর্যাদা বৃদ্ধি ও গুনাহ মাফের কারন ★

নামাজ ইসলামের প্রধান ইবাদত। ঈমানের পরেই এর স্থান। যার নামাজের হিসাব সহজ হবে তার সব কাজের হিসাবই সহজ হবে। আল্লাহ তাআলা কিছু নামাজির গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। এসব নামাজি কারা? গুনাহ মাফ ও মর্যাদা বৃদ্ধির অন্যতম আমল নামাজ। যেসব নামাজি নামাজ পড়ার জন্য নিজেদের নিয়োজিত রাখে তারাই পাবে এ মর্যাদা। গুনাহ মাফ ও মর্যাদা পেতে হাদিসে ৩টি দিকনির্দেশনা এসেছে। তাহলো হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‌আমি কি তোমাদের এমন কাজের কথা বলব না? যা দ্বারা আল্লাহ তাআলা পাপরাশি দূর করে দেবেন এবং মর্যাদা উঁচু করে দেবেন? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘হ্যাঁ’, অবশ্যই (বলবেন) হে আল্লাহর রাসুল! তখন তিনি বললেন- ১. অসুবিধা ও কষ্ট থাকা সত্ত্বেও (নামাজের জন্য) পরিপূর্ণভাবে অজু করা। ২. মসজিদে যাওয়ার জন্য বেশি পদচারণা করা। ৩. এক নামাজের পর অন্যনামাজের জন্য অপেক্ষা করা। জেনে রাখ! এটাই হলো রিবাত।’ (মুসলিম) রিবাত : এটি হলো নিজেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যে আটকে রাখা ও শয়তানের মোকাবেলায় নিজেকে প্রস্তুত রাখা। যা অধিকাংশ ঈমানদার মানুষের জন্যই সহজ। সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, হাদিসের অনুসরণে নামাজের জন্য উত্তমরূপে অজু করা। মসজিদে যাওয়ার সময় যথাসম্ভব বেশি পদচারণার মাধ্যমে মসজিদে যাওয়া। জামাতে এক ওয়াক্তের নামাজ পড়ার পর অন্য ওয়াক্তের নামাজের জন্য অপেক্ষা করা। আর এতেই রয়েছে নামাজির গুনাহ মাফ ও মর্যাদা বৃদ্ধির ঘোষণা। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত নিয়তে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিন। জীবনের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিন।
**************************************************************************

তোমরা নির্জনে গুনাহ করিওনা, কারণ নির্জনে গুনাহ করলে সাক্ষী যিনি বিচারকও তিনি। ا لله 👉আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা প্রকাশ্য ও গোপন পাপ বর্জন করো, যারা পাপ করে, অচিরেই তাদের পাপের সমুচিত শাস্তি দেওয়া হবে।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ১২০) 📚 হাদিসে এসেছে, কিছু উম্মত বিশাল পাহাড়সম আমল নিয়ে কেয়ামতের দিন( বিচারের মাঠে ) উপস্থিত হবে কিন্তু তাদের গোপনে করা পাপ সমূহের কারনে আল্লাহ সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করবেন। [সংক্ষিপ্ত] (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৪১৮) 📳• স্মার্টফোন হল একজন মানুষের গোপন পাপের প্রধান হাতিয়ার। আমরা সবাই কম বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার করি। Facebook/YouTube এ সময় দেই। এগুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর।আপনি যা দেখবেন, এর পরিপেক্ষিতে সাজেস্টেট ভিডিও আসতে থাকবে। এজন্য আমাদের এগুলো ব্যবহার করার সময় মনে রাখতে হবে। আল্লাহ কিন্তু দেখতেছে আপনি কি দেখতেছেন।তাই নিজের দৃষ্টির হেফাজত করুন। মনে রাখবেন আপনার মোবাইলটি আপনার চরিত্রের সাক্ষী। আল্লাহ তায়ালা বলেন,👇👇👇 👉👉👉আমি প্রত্যেক মানুষের কর্মকে তার গ্রীবলগ্ন করে রেখেছি। কেয়ামতের দিন বের করে দেখাব তাকে একটি কিতাব, যা সে খোলা অবস্থায় পাবে। পাঠ কর তুমি তোমার কিতাব। আজ তোমার হিসাব গ্রহণের জন্যে তুমিই যথেষ্ট। _সূরা বনী ইসরাঈল: ১৩,১৪ ◾আমরা কেউই জানি না কখন মৃত্যু হবে। এমন হলো আপনি খারাপ কিছু দেখছেন/করছেন ঐ অবস্থায় মারা গেলেন। তাহলে তো তওবা করার সুযোগও পেলেন না। আপনি ভাবতে পারেন আল্লাহর সামনে কিভাবে দাঁড়াবেন!! তাই বেশি বেশি মৃত্যুর কথা স্বরণ করা উচিত। 🔲 দৃষ্টির হেফাজত, মৃত্যুর কথা স্বরণ,আল্লাহ তায়ালাকে হাজির-নাজির এবং সর্বক্ষন আমার পাপ-পুন্য লিখার জন্য ফেরেশতা নিয়োজিত রয়েছে। এগুলো গভীরভাবে মনে গেথে রাখি।ইনশাআল্লাহ সহজে গোপন পাপ থেকে রক্ষা পাবো। 🤲 আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুজদান করুক, এবং এই ধ্বংসের পথ থেকে দূরে রাখুক। ◦•●◉✿(( আমীন ))✿◉●•◦


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে