কিয়ামতের দিন


 **কিয়ামতের দিন**

রাসূল (স:) থাকবেন সবচেয়ে ব্যস্ত মানুষ। পুলসিরাত, মিযানের পাল্লা,হাউসে কাউসার একসাথে ছুটাছুটি করতে থাকবেন 'ইয়া উম্মাতি'! 'ইয়া উম্মাতি'! বলে। জিব্রাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে তুলবেন কবর থেকে। রাসূল (স:) জিজ্ঞেস করবেন,'কী ব্যাপার জিব্রাইল! আমার উম্মাত কী উঠেছে?' ওইদিকে আবার মূসা কালিমুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরশের খুটি ধরে আছেন আর বলছেন 'ইয়া নাফসি! ইয়া নাফসি!' সেদিন ইমামুল আম্বিয়ার মুখে থাকবে 'উম্মাতি! উম্মাতি!' আর, সেদিন তাঁর পায়ে থাকবে দৌড় আর মুখে থাকবে আওয়াজ! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইসি ওয়াসাল্লাম খুব অশান্ত ছোটাছুটি করছেন। হঠাৎ উনার মনে পড়ে, আমার উম্মাত ক্লান্ত, পিপাসার্ত নয়তো! ছুটে যান হাউজে কাউসারে। হ্যাঁ, এইতো পিপাসার্ত উম্মাত। নিজের হাতে হাউজে কাউসার থেকে পানি পান করাবেন আর বলবেন পান করো। আর কখনো তৃষ্ণার্থ হবে না। হঠাৎ মনে হবে মিযানের সামনে দাড়ানো উম্মাতের কথা। ছুটে যাবেন সেখানে। দেখবেন উম্মাতের বাম পাল্লা ভারি হয়ে যাচ্ছে। পেরেশান, তিনি হয়রান!!! অতঃপর দৌড়ে যাবেন দুরূদের পিটারার সামনে। যেখানে তাঁর জন্য পড়া দুরূদ উম্মাতের নামসহ একটা বক্সের মধ্যে জমা আছে। সেখান থেকে দুরূদ নিয়ে ডান পাল্লায় দিতে থাকবেন যতক্ষণ না তা বাম পাল্লা থেকে ভারি হয়ে যায়। মাক্বামে মাহমুদের পাশে উনার জন্য আসন পাতা থাকবে৷ আল্লাহ বলবেন۔ 'হে নবী বসুন।' তিনি উত্তরে বলবেন, 'না বসবো না।' আল্লাহ্ বলবেন - 'জান্নাতে যান!' নবী (স:) বলবেন- 'না, যাবো না!' আল্লাহ্ বলবেন- 'জান্নাতের পোশাক পড়ুন!' নবী (স:) বলবেন- 'না, পড়বো না!' আল্লাহ্ বলবেন - 'বোরাকে উঠুন!' নবী (স:) বলবেন- 'না, উঠবো না। আমি চলে গেলে উম্মাতের কী হবে?' কিয়ামতের দিন মানুষ তার ভাই থেকে, সন্তান থেকে, পিতা-মাতা থেকে পালিয়ে বেড়াবে। কিয়ামতের দিন এক রাসূল (স:) ছাড়া কেউ কাউকে চিনবেনা। অতএব রাসূল এর সূন্নাত ও আদর্শ অনুসারে জীবন তৈরি করা। আল্লাহ সবাই কে হেদায়াত দান করুক! আমিন.....!!🤲
****************************************************************************************************
লেখাটা পড়তে গিয়ে শরীরের লোম দাড়িয়ে গেছে : জান্নাতীরা জান্নাতে নিজ গৃহে অবস্থান করবেন।এমন সময় দরজায় কেউ কড়া নাড়বে। দরজা খুলে দেখবেন একজন ফেরেস্তা দাঁড়িয়ে।তিঁনি বলবেন ‘চলো আল্লাহ সুবহানাহু ওতায়ালার সাথে দেখা করে আসি। তিনি তখন খুবই উল্লসিত হয়ে বের হয়ে এসে দেখবেন খুব সুন্দর একটা বাহন তাঁর জন্য প্রস্তুত।বাহন ছুটে চলবে খুব বিস্তৃত নয়নাভিরাম মাঠ দিয়ে যা স্বর্ণ আর মণি মুক্তা খচিত পিলারে সাজানো । জান্নাতিরা খুব পরিতৃপ্তি নিয়ে ছুটবে।এমন সময় আলো দেখবে আলোর পর আরো আলো।তারপর আরো আলো । জান্নাতীরা তখন উল্লসিত হয়ে ফেরেস্তাদের জিজ্ঞেস করবেন ‘ আমরা কি আল্লাহকে দেখেছি ?’ না, আমরা সে পথেই ছুটছি।ফেরেস্তা বলবেন । হঠাৎ জান্নাতীরা শুনবেন গায়েবী আওয়াজ - * আস সালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল জান্নাহ * আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা স্বয়ং সালাম দিচ্ছেন জান্নাতীদের । খুবই আবেগময় হবে সে মুহূর্তটা !!! আল্লাহু আকবার । আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালার সালামের জবাবে তখন জান্নাতীরা বলবেন, আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম,ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম। হে আল্লাহ!আপনি শান্তিময় এবং আপনা হতেই শান্তি উৎসারিত হয়।। আপনি বরকতময় হে মহান ও সম্মানের অধিকারী । তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা জিজ্ঞেস করবেন, তোমরা কি খুশী ? তোমরা কি সন্তুষ্ট ? ও আল্লাহ, জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচিয়ে আমাদের আপনি জান্নাত দিয়েছেন ! আমরা অসন্তুষ্ট হই কি করে ! জান্নাতীরা জবাব দিবেন । আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা তখন জিজ্ঞেস করবেন, তোমাদের আর কি চাই ? তখন জান্নাতীরা (ইনশাআল্লাহ) বলবেন- আর কিছু চাই না । আল্লাহ বলবেন না না।আজ তো দেয়ার দিন। আমি আরও দিব।বলো কি চাই । তখন জান্নাতীরা (ইনশাআল্লাহ) সমস্বরে বলে উঠবেন- ও আল্লাহ,আমরা আপনাকে দেখতে চাই । আপনাকে দেখি নি কখনও।আপনাকে আমরা ভালবাসি । আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা তখন পর্দা সরিয়ে দেবেন । সৃষ্টি এবং স্রষ্টা মুখোমুখি।চোখ বন্ধ করে একটু চিন্তা করুন। সারাজীবন দুনিয়াতে যাকে ডেকেছেন।যাকে না দেখে চোখ দুটো অঝোরে কেঁদেছেন।কাউকে না বলা আপনার একান্ত কথাগুলো যাকে বলেছেন।খুব বিপদে কেউ নেই পাশে,কেঁদে কেঁদে যাকে বলেছিলেন। পকেট ফাঁকা, ঘরে খাবার নেই, অনিশ্চিত উৎস থেকে খাবারের ব্যবস্হা যিনি করেছেন।কত চাওয়া,মাকে বলেন নি, বাবাকেও না , রাতের আঁধারে কেঁদে কেঁদে যাকে বলেছিলেন । কত অপরাধ করেছি, কেউ দেখে নি।একজন দেখেছেন কিন্তু গোপন রেখেছেন।বারবার ভুল করেছি, যিনি মাফ করে দিয়েছেন, অদৃশ্য ইশারায় সাবধান করেছেন।মমতাময়ী মা, আমার আদরের সন্তান, প্রিয়তমা স্ত্রীর ভালবাসা দিয়ে অদৃশ্য ভালবাসায় আমাকে যিনি ভালবেসেছেন সবচেয়ে বেশী । সবচেয়ে আপন, সুমহান সেই প্রতিপালকের মুখোমুখি ... সাহাবীদের প্রশ্নের জবাবে নবীজী বলেছেন,পৃথিবীতে আমরা যেমন চাঁদকে স্পষ্ট দেখি ,আমরা আল্লাহ সুবহানুওতায়ালাকে তেমনি দেখব। ইনশাআল্লাহ । আল্লাহকে দেখাই জান্নাতের সবচেয়ে বড় নেয়ামাহ্ ! 💕ইয়া আল্লাহ - স্বল্প সংখ্যক সেই মহা সৌভাগ্যবানদের তালিকায় আমাদের নামটা যোগ করে দিন। আমিন👏

collected

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে