আল্লাহর সিংহাসন কত বড়?

 


আমাদের বাংলাদেশটা পৃথিবীর বুকে কত ছোট। সেই পুরো বাংলাদেশই একবার ঘুরতে কত সময় লাগবে একবার চিন্তা করুন! তেমনি পৃথিবীতে অনেক বড় বড় দেশ আছে সেগুলো বাদই দিলাম!

২২৮ টি দেশ নিয়ে পৃথিবী। পৃথিবী থেকে সুর্য ১৩ লক্ষ গুন বড়। ব্যাটেল জুইস নামে একটা ছোট তারা আছে, যা সূর্যের চেয়ে ৩৩ কোটি গুণ বড়। আল্লাহু আকবর। প্রক্সিমা সেন্ট্রাই, আলফা সেন্ট্রাই, ব্যাটেল জুইস এরকম ৫০০ বিলিয়ন তারকা নিয়ে গঠিত গ্যালাক্সি। আল্লাহ তায়ালা কোটি কোটি গ্যালাক্সি সৃষ্টি করেছেন। 👉পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রতগামী যান Apollo 11. 👉সেকেন্ডে চলে ১১ কিঃমিঃ বেগে। 👉মিনিটে চলে ৬৬০ কিঃ মিঃ বেগে 👉ঘন্টায় চলে ৩৯ হাজার কিঃমিঃ বেগে। যদি কেউ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের তারকা প্রক্সিমা সেন্ট্রাই Apollo 11 তে চড়ে যেতে চায়, সময় লাগবে ১ লক্ষ ১৫ হাজার বছর। যাহা কোন ক্রমেই সম্ভব নহে। গ্যালাক্সি, সুপার নোভা, ব্লাক হোল এগুলো ১ম আকাশ নয়, ১ম আকাশের মহাশুন্য। তারপর ১ম আকাশ। তারপর ২য় আকাশের মহাশুন্য, তারপর ২য় আকাশ। তারপর ৩য় আকাশের মহাশুন্য, তারপর ৩য় আকাশ। তারপর ৪র্থ আকাশের মহাশুন্য, তারপর ৪র্থ আকাশ। তারপর ৫ম আকাশের মহাশুন্য, তারপর ৫ম আকাশ। ৬ষ্ঠ আসমানে একটা গাছ আছে। গাছটির নাম সিদরাতুলমুনতাহা। বিশ্ব নবী( সাঃ) বলেছেন, তোমার আংটি যদি সাহারা মরুভূমিতে ফেলে দেওয়া হয়, বিশাল মরুভূমির তুলনায় আংটিটা যত ছোট, আল্লাহ তায়ালার ২য় আসমানের তুলনায় ১ম আসমান ততো ছোট। আল্লাহু আকবর। ৭ম আসমানে আছে বিশাল সমুদ্র জগৎ ও আল্লাহর আরশ। আরশের ভিতর আছে আল্লাহর কুরশি, আল্লাহর সিংহাসন। আল্লাহর সিংহাসন কত বড়? আল্লাহর সিংহাসনের উপর যদি সাত আসমান, সাত জমিন রাখা হয়, বিশাল মরুভূমিতে আংটি ফেলে দিলে যেমন হারিয়ে যাবে, সাত আসমান, সাত জমিনও তদ্রূপ হারিয়ে যাবে। আল্লাহু আকবর। এসব কিছু সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করলে মাথার ব্রেনও ঠিকভাবে কাজ করবে না। মালিক তোমার সৃষ্টি সম্পর্কে জানা ও বোঝার তাওফিক নসিব করো। আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য অজানা সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারনাই নেই! দুই দিনের দুনিয়ায় সুখের জন্য আমরা কত কিছু করে যাচ্ছি, কত সময় নষ্ট করে যাচ্ছি! পরকালে অনন্তকালের জীবনের জন্য আমরা কি করছি একটু ভেবে দেখেছেন! যে জীবনের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। মহান রবকে খুশি করার জন্য আমরা কি করতেছি? যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন।

আল্লাহ তা'আলা যেন আমাদের সবাইকে সঠিক আমল করার তৌফিক দান করেন আমিন🥰🤲


**********************************************************************


আপনার জীবনসঙ্গী ধার্মিক না হলে কী করবেন?

--------------- * ------------------ * --------------- ইসলামী ধর্মতত্ত্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা হলো— আপনি কাউকে ভালবাসেন বলেই তাকে হেদায়েতের পথে আনতে পারবেন না। আল্লাহ তাঁর রাসূল (স)কে বলেন— اِنَّکَ لَا تَهۡدِیۡ مَنۡ اَحۡبَبۡتَ وَ لٰکِنَّ اللّٰهَ یَهۡدِیۡ مَنۡ یَّشَآءُ ۚ وَ هُوَ اَعۡلَمُ بِالۡمُهۡتَدِیۡنَ - "নিশ্চয় তুমি যাকে ভালবাস তাকে তুমি হিদায়াত দিতে পারবে না; বরং আল্লাহই যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দেন। আর হিদায়াতপ্রাপ্তদের ব্যাপারে তিনি ভাল জানেন।" (২৮:৫৬) আপনি ধার্মিক হয়েছেন বলেই যে আপনার জীবনসঙ্গী ধার্মিক হয়ে যাবে, এমনটা হবে না। প্রিয় ভাই/বোনেরা, আরেকটি ব্যাপার বুঝার চেষ্টা করুন। আপনার পার্টনারের অন্তর ধর্মের দিকে নরম করার সর্বোত্তম উপায় এটা নয় যে, তাকে লম্বা লম্বা লেকচার দিবেন বা তার কঠোর সমালোচনা করবেন। সাধারণভাবে বলতে গেলে— ঝগড়া করার মাধ্যমে, নোংরা ব্যবহার করার মাধ্যমে, তীব্র সমালোচনা করার মাধ্যমে তো কারো মন জয় করা যায় না। আপনার ভালোবাসার পাত্রের বা জীবন সঙ্গীরটা তো আরও অসম্ভব। আপনাকে দীর্ঘ মেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে। তাকে দেখান— ধর্ম পালন করার কারণে আপনার জীবনে কি কি ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তাকে দেখান— ধর্ম পালন করার কারণে আপনি এখন আগের চেয়ে উত্তম একজন মানুষ। তাকে দেখান— আপনি এখন আগের চেয়ে বেশি ভালবাসাময়, বেশি পরিপক্ব, বেশি সহানুভূতিশীল। মোটকথা, আপনার কাজের মাধ্যমে ধার্মিক হওয়ার সৌন্দর্য প্রদর্শন করুন। কঠোর বাক্যবাণে নয়, থ্রেটের মাধ্যমে নয় বা অসুন্দর আচরণের মাধ্যমে নয়। — ড. ইয়াসির কাদি

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট