কষ্ট ভোগের উদ্দেশ্য


 প্রিয় ভাই এবং বোনেরা, দুঃখ-কষ্ট নিয়ে আমাদের মাইন্ডসেটটা নিম্নরূপ।

উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা এবং কষ্ট ভোগের উদ্দেশ্য হলো...রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন- কোনো ব্যথা, কোনো উদ্বেগ, কোনো চাপ, কোনো দুঃখ মুমিনকে আঘাত দিল আর এমতাবস্থায় সে ধৈর্য ধারণ করলো তখন আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দিবেন এবং তার মর্যাদা উন্নত করে দিবেন। এমনকি একটি কাঁটার আঘাতের জন্যেও সে পুরস্কার পাবে। আমরা পরীক্ষিত হতে চাই না। কিন্তু যখন পরীক্ষা এসে যাবে, বুঝতে চেষ্টা করুন, আল্লাহ আপনাকে সুযোগ দিয়েছেন অন্য সবার থেকে এগিয়ে যাওয়ার। যদি তিনি আপনাকে সে সুযোগ দান করেন, তিনি জানেন, আপনি সে পরীক্ষায় পাশ করবেন যদি আপনি পাশ করতে চান। আল্লাহ কখনোই ব্যর্থ হওয়ার জন্য আপনাকে পরীক্ষা দেন না। আল্লাহ তায়ালা বলেন- لَا یُکَلِّفُ اللّٰهُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَهَا- "আল্লাহ কোন ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের অতিরিক্ত কিছু আরোপ করেন না।" (বাকারা, ২৮৬) অনেক সময় পরীক্ষা এসে গেলে চাপে পড়ে আমরা বলে ফেলি- না। আমার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। আমার পক্ষে এটা পাশ করা সম্ভব নয়। আমার জন্য এটা অনেক কঠিন। আমি তখন বলি- না। কক্ষনো এভাবে চিন্তা করবেন না। কখনোই মনে করবেন না যে, পরীক্ষা পাশ করার মত না। বিপরীতপক্ষে, আপনার অন্তরে নিশ্চিত বিশ্বাস থাকতে হবে যে, আপনি এ পরীক্ষায় পাশ করবেন। কিভাবে আপনি নিজ সামর্থের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করেন যখন আল্লাহ আপনার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ রাখেননি। আল্লাহ আপনার সামর্থের উপর কোনো সন্দেহ রাখেননি। তিনি আপনাকে পরীক্ষা করছেন কারণ তিনি জানেন আপনার পক্ষে পাশ করা সম্ভব। এটা কুরআনেই আছে। আপনার সাধ্যের অতিরিক্ত আপনাকে পরীক্ষা করা হবে না। তাই, যদি নিজেকে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে দেখেন, তখন কী মনে করবেন? আপনার প্রতি আল্লাহর বিশ্বাস আছে যে আপনি পাশ করতে পারবেন। আল্লাহ জানেন আপনি পাশ করতে পারবেন। আপনার নিজের ভেতরে আছে ঈমান, তাক্বওয়া, আল্লাহর উপর নির্ভরতা।পরীক্ষায় পাশ করার জন্য আপনার নিজের ভেতরেই সমস্ত উপায় উপকরণ বর্তমান আছে। কিন্তু, আপনাকে আল্লাহর দিকে ফিরতে হবে এবং সেসব উপায় উপকরণ খুঁজে পেতে হবে। হাল ছেড়ে দিবেন না। এবং বলবেন না যে, আমাকে কেন এভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। আল্লাহ যদি কাউকে ভালোবাসেন তিনি তাকে পরীক্ষা করবেন। তিনি যাকে বেশি ভালোবাসেন তাকে বেশি পরীক্ষা করা হবে। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা চাই না। কিন্তু যখন তা এসে পড়ে জেনে রাখুন, আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা আপনাকে পছন্দ করেছেন। - ড. ইয়াসির কাদি

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট