হিংসা থেকে বাঁচার দোয়া
অন্যের সুখ, শান্তি ও ধন–সম্পদ বিনষ্ট বা ধ্বংস করে নিজে এর মালিক হওয়ার বাসনাকে আরবিতে হাসাদ বা হিংসা বলা হয়। ইসলাম অন্যের প্রতি হিংসা করাকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে।
পরম করুণাময় পরম দয়াময় আল্লাহর নামে।
১. বলো, ‘আমি শরণ নিচ্ছি মানুষের প্রতিপালকের, মানুষের অধীশ্বরের, মানুষের উপাস্যের, তার কুমন্ত্রণার অমঙ্গল হতে, যে সুযোগমতো আসে ও সুযোগমতো সরে পড়ে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্য থেকে বা মানুষের মধ্য থেকে।’ (সুরা ফালাক, কোরানশরিফ: সরল বঙ্গানুবাদ, অনুবাদ: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রথমা প্রকাশন)।
২. বলো, ‘আমি শরণ নিচ্ছি উষার স্রষ্টার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অমঙ্গল হতে; অমঙ্গল হতে রাত্রির, যখন তা গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়। অমঙ্গল হতে সেসব নারীর যারা গিটে ফুঁ দিয়ে জাদু করে। এবং অমঙ্গল হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।’ (সুরা নাস, কোরানশরিফ: সরল বঙ্গানুবাদ, অনুবাদ: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রথমা প্রকাশন)।হাদিসে বলা হয়েছে, ‘তিন ব্যক্তির গুনাহ মাফ হয় না, তার মধ্যে একজন হচ্ছে অন্যের প্রতি বিদ্বেষ–পোষণকারী ব্যক্তি।’ হিংসা-বিদ্বেষের কঠিন পরিণতি সম্বন্ধে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার মানুষের আমলগুলো পেশ করা হয় এবং সব মুমিন বান্দার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়; কিন্তু যাদের পরস্পরের মধ্যে বিদ্বেষ ও দুশমনি আছে, তাদের ক্ষমা করা হয় না।’ (মুসলিম শরিফ)
পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ পরিত্যাগ করা। বিশ্বের সব সৃষ্টির সেবা ও জনকল্যাণ কামনাই হলো ইসলামের অনুশীলন। নিজের যা কিছু আছে, তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। অন্যের দিকে তাকিয়ে বিদ্বেষ পোষণ করে হিংসার আগুনে জ্বলেপুড়ে ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ নেই।
বলো, ‘আমি শরণ নিচ্ছি উষার স্রষ্টার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অমঙ্গল হতে; অমঙ্গল হতে রাত্রির, যখন তা গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়। অমঙ্গল হতে সেসব নারীর যারা গিটে ফুঁ দিয়ে জাদু করে। এবং অমঙ্গল হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।’ (সুরা নাস, কোরানশরিফ: সরল বঙ্গানুবাদ, অনুবাদ: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রথমা প্রকাশন)।
Comments
Post a Comment