মুসলিমের যে ১০টি কাজ করতে মানা

 


হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর বরাতে এ হাদিসের বর্ণনা আছে।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.)–এর বর্ণনা: আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর কাছে যখন কোনো ঋণী ব্যক্তির মরদেহ জানাজার জন্য উপস্থিত করা হতো, তিনি জিজ্ঞেস করতেন, তিনি তাঁর ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত সম্পদ রেখে গেছেন কি না। যদি জবাব হতো যে তিনি তাঁর ঋণ পরিশোধের মতো সম্পদ রেখে গেছেন, তখন তিনি তাঁর জানাজা পড়াতেন। নয়তো বলতেন, ‘তোমরা তোমাদের সঙ্গীর জানাজা আদায় করে নাও।’পরে আল্লাহ যখন তাঁর বিজয়ের দরজা উন্মুক্ত করে দেন, তখন তিনি বললেন, ‘আমি বিশ্বাসীদের জন্য তাদের নিজের চেয়ে বেশি নিকটবর্তী। তাই কোনো বিশ্বাসী ঋণ রেখে মারা গেলে সেই ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব আমার। আর যে ব্যক্তি সম্পদ রেখে যায়, সে সম্পদ তার উত্তরাধিকারীদের জন্য।’

বুখারি, হাদিস: ৪৭৬

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

আবু হুরায়রা (রা.)–র বরাতে নিচের হাদিসটি বর্ণনা করা হয়েছে।

আবু হুরায়রা (রা.) জানিয়েছেন যে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘পরস্পর হিংসা কোরো না, একে অন্যের জন্য নিলাম ডেকে দাম বাড়িও না, পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ কোরো না, একে অন্যের থেকে আলাদা হয়ে যেয়ো না, একজনের কেনার ওপর দিয়ে আরেকজন ক্রয় করো না। হে আল্লাহর বান্দারা, পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও। মুসলিম মুসলিমের ভাই, সে তার ওপর জুলুম করে না, তাকে নিঃসঙ্গ ও অসহায়ভাবে ছেড়ে দেয় না। সে তার কাছে মিথ্যা বলে না, তাকে অপমান করে না।

তাকওয়া হচ্ছে এখানে—’ এই বলে তিনি নিজের বুকের দিকে তিনবার ইশারা করেন। ‘কেউ যদি তাঁর মুসলমান কোনো ভাইকে নীচ ও হীন মনে করে, তার জন্য সেটুকু মন্দই যথেষ্ট। এক মুসলমানের রক্ত, সম্পদ ও মান-সম্মান অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।

 মুসলিম, হাদিস: ২,৫৬৪

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

নফল আদায়ের মাধ্যমে একজন বান্দা আল্লাহর প্রিয় হয়ে উঠতে থাকেন। নফল ইবাদত প্রকাশ্যে করলে কোনো অসুবিধা নেই, তবে গোপনে করলে উত্তম। এতে উপকার অনেক বেশি।

নফল শব্দের অর্থই হলো ‘অতিরিক্ত’। অর্থাৎ এটি ফরজের মতো আবশ্যক না হওয়া সত্ত্বেও আমি পড়ছি কেবলমাত্র নিজেরই ইচ্ছায়। আমার উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধান।

আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান করো, তবে তা ভালো। আর যদি তা গোপনে করো ও অভাবীকে দাও, তবে তা তোমাদের জন্য আরও ভালো। আর এর জন্য তিনি তোমাদের কিছু-কিছু পাপ মোচন করবেন। তোমরা যা করো, আল্লাহ্ তো তা জানেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৭১)ফরজ নামাজ যে জামাতে মসজিদে পড়তে হয়, এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে নফল নামাজের ক্ষেত্রে নিজ ঘরই সর্বোত্তম। ফরজ ইবাদত প্রকাশ্যে করা সংগত, যদি না যুক্তিসংগত ও অনিবার্য কোনো কারণ থাকে। যেসব ফরজ প্রকাশ্যে আদায় করাই নিয়ম, সেগুলো অবশ্য গোপনে করা যাবে না। যেমন পুরুষদের মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করা।

রাসুল (সা.) বলেছেন, ফরজ ছাড়া অন্য নামাজ ব্যক্তির নিজ ঘরে আদায় করা উত্তম। (বুখারি শরিফ)

নফল আমল প্রকাশ্যে করার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা তাই বলে নেই। তবে দান যেমন প্রকাশ্যে করার চেয়ে গোপনে করাই সুন্দর, নফলও তেমনই গোপনে আমল করাই উত্তম।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে