হজযাত্রী মা-বোনদের জন্য দুটি কথা

 


● হজে গেলে প্রতি ওয়াক্তে আপনাকে জামাতে নামাজ পড়তে হবে। তাই পরিচিত কারও কাছ থেকে জামাতে নামাজ পড়ার নিয়মটি জেনে নিন।

● হজ বা ওমরাহে গেলে অনেক দোয়া, দরুদ, সুরা, আয়াত মুখস্থ করতে হবে, তা নয়। কাজেই এসব দোয়া মুখস্থ করতে গিয়ে শুধু শুধু চিন্তা করবেন না। বই দেখে দেখে সবকিছু পড়া যাবে। শুধু নিয়মগুলো জেনে নেবেন কোথায় কী করতে হবে।

● নারীদের হজে যেতে হলে মাহরামের প্রয়োজন হয়। 

● নারীরা ইহরাম হিসেবে সেলাই করা যেকোনো পোশাক পরতে পারেন।

● ইহরাম অবস্থায় নারীরা মুখমণ্ডল আবৃত রাখবেন না।

● ইহরাম অবস্থায় নারীরা গয়না পরিধান করতে পারবেন। জুতা বা স্যান্ডেল এবং মোজা পরতে পারবেন। 

● নারীদের ইজতিবা করতে হবে না। 

● তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে দ্রুত ও বীরদর্পে চলাকে রমল করা বোঝায়। নারীদের জন্য রমল করারও প্রয়োজন নেই।

● ঋতুমতী নারীদের জন্য নামাজ আদায় ও তাওয়াফ করা যাবে না। এ ছাড়া ইহরাম বাঁধা, সাঈ করা এবং হজের অন্যান্য কার্যক্রম করা যাবে। 

● সাঈ করার পুরো অংশই তাঁরা স্বাভাবিক গতিতে চলবেন। 

● ওমরাহ বা হজের পর নারীরা তাঁদের চুলের সামান্য অংশ (প্রায় এক সেন্টিমিটার বা আঙুলের এক কড়া পরিমাণ) কাটবেন। 

● মিনা ও আরাফাহর তাঁবুতে যথাসম্ভব সময়কে কাজে লাগিয়ে দোয়া-দরুদ, তাসবিহ, তাহলিল, তওবা ও ইস্তিগফার পাঠ করা উত্তম। 

● মদিনার মসজিদে নববিতে বেশি বেশি দরুদ ও কোরআন তিলাওয়াত করতে পারেন। 

● হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর রওজা মোবারকের সামনে ধাক্কাধাক্কি, তাড়াহুড়া বা উচ্চ স্বরে কথা না বলে অত্যন্ত আদবের সঙ্গে দরুদ ও সালাম পেশ করুন। রিয়াজুল জান্নাতে নম্র ও বিনয়ের সঙ্গে সুবিধামতো নামাজ আদায় করতে পারেন।

● নারীরা অন্যের পক্ষে হজ বা বদলি হজ করতে পারবেন। নারীরা ছোট বাচ্চা নিয়েও হজ করতে পারবেন। 

আরফিন আরা নাজ

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট