বিপর্যয় সৃষ্টিকারী বনি ই*সরাইল

 


বিপর্যয় সৃষ্টিকারী বনি ইসরাইল, তাদের ঔদ্ধত্য এবং আল্লাহর শাস্তি

-------------------------------------- আল্লাহ তায়ালা বলেন— "আমি কিতাবের মাধ্যমে বনী ইসরাঈলকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, তোমরা অবশ্য অবশ্যই পৃথিবীর বুকে দু’ দু’বার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং ঔদ্ধত্য দেখাবে মারাত্মকভাবে। অতঃপর যখন এ দু’য়ের প্রথম ওয়াদা আসল, তখন আমি তোমাদের উপর আমার কিছু বান্দা পাঠালাম, যারা কঠোর যুদ্ধবাজ। অতঃপর তারা ঘরে ঘরে ঢুকে ধ্বংসযজ্ঞ চালাল। আর এ ওয়াদা পূর্ণ হওয়ারই ছিল। অতঃপর আমি তোমাদেরকে তাদের উপর বিজয় দান করলাম আর তোমাদেরকে ধন-সম্পদ আর সন্তানাদি দিয়ে সাহায্য করলাম, তোমাদেরকে জনবলে বহুগুণ বাড়িয়ে দিলাম। তোমরা ভাল কাজ করলে নিজেদের কল্যাণের জন্যই তা করবে, আর যদি তোমরা মন্দ কাজ কর, তাও করবে নিজেদেরই জন্য। অতঃপর যখন দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি পূরণের সময় আসলো, (তখন অন্য বান্দাদের প্রেরণ করলাম) যাতে তারা তোমাদের চেহারাসমূহ মলিন করে দেয়, আর মাসজিদে (আকসায়) ঢুকে পড়ে যেভাবে তারা সেখানে প্রথমবার ঢুকে পড়েছিল, আর তাদের সম্মুখে যা পড়ে তাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়। (এরপরও) হয়তো তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের প্রতি দয়া করবেন, কিন্তু যদি তোমরা (তোমাদের পূর্বকৃত পাপের) পুনরাবৃত্তি কর, তবে আমিও (পূর্বে দেয়া শাস্তির) পুনরাবৃত্তি করব। ঈমান প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য আমি জাহান্নামকে কারাগার বানিয়ে রেখেছি। নিশ্চয় এ কুরআন এমন একটি পথ দেখায় যা সবচেয়ে সরল এবং যে মুমিনগণ নেক আমল করে তাদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার। (১৭:৪-৯)" ----- চলুন, আয়াতগুলো ব্যাখ্যা করার পূর্বে তাদের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু জেনে নিই। ইব্রাহীম (আ) এর দুই সন্তান ছিলেন। বড় ছেলে ইসমাইল আর ছোট ছেলে ইসহাক। ইসমাইল (আ) বসবাস করতেন মক্কায় আর ইসহাক (আ) জেরুজালেমে। ইসহাক (আ) এর ছেলে ছিলেন ইয়াকুব (আ)। তাঁর বার জন সন্তান ছিলেন। তাঁর একটি উপাধি হলো ইসরাইল। এজন্য তাঁর বংশধরদের বলা হয় বনী ইসরাইল। এই বার সন্তানের একজন ছিলেন ইউসুফ (আ)। এই বার জন সন্তান থেকে বারটি গোত্রের আবির্ভাব হয়। সূরা ইউসুফ থেকে আমরা জানি কীভাবে বনী ইসরাইল ফিলিস্তিন থেকে মিশরে আগমন করে। এরপর সেখানেই বসবাস করতে থাকে। পরবর্তীতে, মিশরীয়রা বনী ইসরাইলকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে। এরপর আল্লাহ তায়ালা মূসা (আ) কে প্রেরণ করেন। ফেরাউনকে ডুবিয়ে দেন। বনী ইসরাইলকে ফিলিস্তিন জয় করার জন্যে আহবান করা হয়। কিন্তু তারা যুদ্ধ করতে অস্বীকার করে। ফলে চল্লিশ বছর যাবত তারা মরুভূমিতে ঘুরে বেড়ায়। এরমধ্যে মূসা (আ) এর মৃত্যু হয়। ইসরাইলীদের মধ্যে নতুন এক প্রজন্মের আগমন ঘটে যারা মরুভূমিতে বড় হয়। এরমানে তারা কঠোর জীবন যাপনে অভ্যস্ত এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। মূসা (আ) এর খলিফা ছিলেন ইউসা ইবনে নুন (আ)। তাঁর নেতৃত্বে তারা ফিলিস্তিন জয় করে। জমিনে নেতৃত্ব পাওয়ার পর কী হয় তখন জানেন? সমগ্র অঞ্চল বারটি রাজত্বে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই বিভক্তির দরুন তারা দুর্বল হয়ে পড়ে। তৎকালীন অ্যাসিরীয়রা সুযোগ দেখে। তারা আক্রমণ চালিয়ে বারটি রাজত্ব দখল করে নেয়। কিছুকাল যাবত এই শাসন অব্যাহত থাকে। এরপর তালুত (আ) এর নেতৃত্বে বনী ইসরাইল অ্যাসিরীয়দের পরাজিত করে। এই যুদ্ধে দাউদ (আ) বীরত্ব দেখিয়ে জালুতকে হত্যা করেন। যাইহোক, সমগ্র অঞ্চল আবার স্বাধীন হয়ে পড়ে। এরপর ১৬ বছর তালুত (আ), ৪০ বছর দাউদ (আ) এবং সুলাইমান (আ) আরও ৪০ বছর রাজত্ব করেন। সর্বমোট প্রায় একশো বছর। সুলাইমান (আ) এর দুই ছেলে ছিলেন। সুলাইমানের মৃত্যুর পর তারা মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েন। সমগ্র অঞ্চল দুই ছেলের দুই রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। উত্তরের রাজ্যকে বলা হতো ইসরাইল আর দক্ষিণেরটিকে জুদাইয়া। এইসময়ে যেহেতু তারা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। জাতীয়তাবাদ জেগে উঠে, দুই অঞ্চলের মধ্যে শত্রুতা বৃদ্ধি পায়। এই সময় জাদুর প্রচলন হয়। তারা সব ধরণের বিকৃতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। শরীয়তকে উপহাস করা হয়। ধর্মের প্রতি সিরিয়াস্নেস হারিয়ে যায়। ধর্মের চেয়েও সংস্কৃতি প্রাধান্য পায়। তাদের এই বিকৃতির সুযোগে অ্যাসিরিয়ারা উত্তর রাজ্য দখল করে নেয়। দক্ষিণ রাজ্য বেঁচে যায়। সময়কালটা ছিল ঈসা (আ) আগমনের ৭০০ বছর পূর্বে। এর একশো বছর পরে আসল আক্রমণ ঘটে। এই ভয়াবহ আক্রমণ আসে ব্যাবিলনীয়দের (বর্তমান ইরাক) কাছ থেকে, রাজা নেবুকাদনেজারের নেতৃত্বে। ঈসা (আ) এর আগমনের ৫৮৭ বছর পূর্বে। এই আক্রমণে জুদাইয়া এবং ইসরাইল উভয় রাজ্যকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। নেবুকাদনেজার মসজিদে আকসা ধ্বংস করে দেয়। যা সুলাইমান (আ) জীনদের মাধ্যমে নির্মাণ করেছিলেন। আর ৬ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়। তৎকালীন জনসংখ্যা ছিল ১২ লাখ। বাকি ৬ লাখ মানুষকে সে ইরাকে নিয়ে আসে দাস হিসেবে। এটাকে বলা হয় প্রথম ডায়াসপারা। এটা ছিল বনী ইসরাইলের প্রথম পতন। ভয়াবহ পতন। কুরআনে এটার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়। আল্লাহ বলেন- "আমি কিতাবের মাধ্যমে বনী ইসরাঈলকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, তোমরা অবশ্য অবশ্যই পৃথিবীর বুকে দু’ দু’বার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং ঔদ্ধত্য দেখাবে মারাত্মকভাবে। অতঃপর যখন এ দু’য়ের প্রথম ওয়াদা আসল, তখন আমি তোমাদের উপর আমার কিছু বান্দাকে পাঠালাম, যারা কঠোর যুদ্ধবাজ। অতঃপর তারা ঘরে ঘরে ঢুকে ধ্বংসযজ্ঞ চালাল। আর এ ওয়াদা পূর্ণ হওয়ারই ছিল।" (১৭:৫) এরপর আবার বনী ইসরাইলের পুনর্জাগরণ ঘটে। কারো কারো মতে এটা ঘটে উজাইর (আ) এর মাধ্যমে। এ সময় বিশ্ব মানচিত্রে আরেকটি বিখ্যাত রাজনৈতিক ঘটনা ঘটে। ইরানীরা ইরাক জয় করে রাজা সাইরাস দ্যা গ্রেটের নেতৃত্বে। তখন ইয়াহুদিদের বলা হয়- তোমরা এখন চাইলে তোমাদের জন্মভূমিতে ফেরত যেতে পারো। তো, উজাইর (আ) এর নেতৃত্বে বনী ইসরাইল দাসত্ব থেকে মুক্তি লাভ করে। একটি সাইড নোটঃ আমাদের কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে এই সাইরাস দ্যা গ্রেট হলেন কুরআনে বর্ণিত জুলকারনাইন। তো, বনী ইসরাইল দ্বিতীয়বারের মত আরেকটি খিলাফা প্রতিষ্ঠা করে। এই রাজত্ব এমনকি সুলাইমানের রাজত্বের চেয়েও বিস্তৃতি লাভ করে। যখন সর্বোচ্ছে পৌঁছেন এরপর কী শুরু হয়? পতন। আবার নৈতিক অধঃপতন শুরু হয়। নির্লজ্জতা, জুয়া, জাদু বিভিন্ন ধরণের বিকৃতিতে তারা আবার নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। কোনো জাতির নৈতিক অধঃপতন হলে ভেতরগতভাবে তারা দুর্বল হয়ে পড়ে। সুযোগ দেখে গ্রীকরা আক্রমন করে। এরপর পরবর্তীতে রোমানরা তাদের আক্রমণ করে এবং শাসন কর্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করে। তো, এই সময়ে তাদের চূড়ান্ত পতন হয়নি। রোমানরা ছিল মূল শাসক। তাদের নীচে ছিল ইহুদি পুতুল শাসক। এই রোমান শাসনকালেই ঈসা (আ) এর জন্ম হয়। বনী ইসরাইল ঈসা (আ) কে মেনে নেয়নি। তারা তাকে হত্যা করার চেষ্টা চালায়। ঈসা (আ) এর সত্তর বছর পরে সম্রাট টাইটাস জেরুজালেম অবরোধ করে। সে একদিনে এক লাখ ত্রিশ হাজার মানুষ হত্যা করে। এবারও দ্বিতীয়বারের মত মসজিদে আকসাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। ইহুদিরা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। এটাকে বলা হয় দ্বিতীয় ডায়াসপারা। সূরা বনী ইসরাইলের ৭ আয়াতে এই দ্বিতীয় ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়। আল্লাহ বলেন- "এরপর যখন পরবর্তী ওয়াদা এল, (তখন অন্য বান্দাদের প্রেরণ করলাম) যাতে তারা তোমাদের চেহারাসমূহ মলিন করে দেয়, আর যেন মসজিদে ঢুকে পড়ে যেমন ঢুকে পড়েছিল প্রথমবার এবং যাতে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয় যা ওদের কর্তৃত্বে ছিল।" আমাদের রাসূলুল্লাহ (স) এর আগমনের সময় পর্যন্ত তারা ঐ অবস্থাতেই থাকে। আল্লাহ তাদের নিকট থেকে নবুয়ত সরিয়ে নেন। মদিনার ইহুদিরা ভেবেছিল শেষ নবী তাদের বংশে আসবে। তারা শেষ নবীর অপেক্ষায় ছিল এবং মদিনার অধিবাসীদের সাথে বড়াই করে বলত যে, শেষ নবী এলে তোমাদের দেখে নিবো। কিন্তু যখন দেখতে পেল, শেষ নবী ইসমাইল (আ) এর বংশে এসেছে তখন তারা তাকে মানতে অস্বীকার করে। সূরা বাকারার তৃতীয় অংশে আলোচনা করা হয়েছে যে, বনী ইসরাইলকে বাছাই করা হয়েছিলো আদর্শ জাতি হিসেবে এবং আল্লাহর হেদায়েতের ধারক বাহক হিসেবে। যেন তাঁরা আল্লাহর হেদায়েত অনুসরণ করার সৌন্দর্য দেখাতে পারে গোটা মানবজাতিকে। এই দায়িত্ব তাদের উপর অর্পণ করা হয়েছিলো। এই বিষয়ে দীর্ঘ একটি আলোচনা রয়েছে যে, আল্লাহ্‌ কীভাবে তাদেরকে সেই দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন, অন্যান্য জাতির উপর তাদেরকে কীভাবে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলেন যেন তারা সেই রোল মডেলের ভূমিকা পালন করতে পারে। পরে তুলে ধরা হলো কীভাবে তারা আল্লাহর আশা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করলো না। আমাদের মহানবী (স) এর রাসূল হওয়া ইসরাইলীরা মেনে নিতে পারছিল না। তারা মনে করতো, নবুয়তের দায়িত্ব তো ইসরাইলীদের। একজন ইসরাইলী-ই কেবল নবী হতে পারে। মুহাম্মাদ (স) তো একজন আরব। একজন আরব কীভাবে ওহী পেতে পারে। তাই, আল্লাহ্‌ কী করলেন? তিনি সূরা বাকারায় একটু পেছনে সরে এসে ইব্রাহীম (আ) সম্পর্কে কথা বলা শুরু করলেন। কেন? কারণ, বনী ইসরাইলীদের যদি আরবদের সাথে কোনো সম্বন্ধ না থাকে তাদের তো ইব্রাহীম (আ) এর সাথে সম্বন্ধ থাকার কথা। ইসরাইলীদের বলা হচ্ছে মুহাম্মাদ (স) তোমাদের নিজেদের পিতা ইব্রাহীম (আ) এর দুআর ফসল। তিনি তোমাদের নিজেদের পিতার প্রার্থনার জবাব। মুহাম্মাদ (স) হলেন ইব্রাহীম (আ) এর উত্তরাধিকারের পরিপূরণ। তোমাদের তাঁকে নিজেদের নবী মনে করা উচিত এবং নবী মুহাম্মাদ (স) এর প্রতি অনুগত হওয়া উচিত। ঠিক যেভাবে তোমরা ইব্রাহীম (আ) কে মানো। এরপর তারা ক্বাবার পরিবর্তন দেখতে পেলো। কারণ, রাসূল (স) জেরুলেমের দিকে মুখ করে নামাজ পড়া বন্ধ করে দিলেন। সূরা বাকারার কিছু আয়াত নাজিল হওয়ার কারণে তিনি মক্কার দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে লাগলেন। ক্বাবার পরিবর্তনের পর...এখন যেহেতু রাজধানীর পরিবর্তন হয়েছে, যেটা আগে জেরুজালেম ছিল, তখন ইয়াহুদিরা মনে করতো আমরা আসলে ততটা ভিন্ন নই। এখন, আমরা মক্কার দিকে মুখ করে নামাজ পড়ছি, তাদের কাছে ব্যাপারটা একেবারেই আলাদা। তারা ভাবল, এরা তো এখন নতুন জাতি। আল্লাহ্‌ নতুন জাতি হিসেবে আমাদের উদ্বোধন করলেন। তিনি বলেন, وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا - "আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী সম্প্রদায় করেছি।" তোমরা এখন নতুন জাতি। তোমাদের এখন নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবে। মুসলিম উম্মাহর জন্য এখান থেকে "ইয়া আইউহাল লাজিনা আমানু" পরিভাষার ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে। "তোমরা যারা ঈমান এনেছ", "তোমরা যারা ঈমান এনেছ।" এভাবে অফিশিয়াল্লি মুসলিম উম্মাহকে সম্বোধন করা হচ্ছে। নতুন জাতি গঠিত হলে তার জন্য তো একটা রাজধানী থাকা চাই। যেটা হলো আমাদের ক্বাবা। তার জন্য আবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়াজন করতে হয়। জাতি সমূহের যেমন স্বাধীনতা দিবস থাকে। আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতার মাস। কুরআনের মাস, রামাদান। সেই মাসের কথাও এই সূরায় অবতীর্ণ করা হয়েছে। ক্বাবাকে কেন্দ্র করে যে ধর্মানুষ্ঠান আয়োজন করা হয় তার নির্দেশনাও এই সূরায় অবতীর্ণ করা হয়েছে। নতুন জাতির নামও এই সূরায় নাজিল করা হয়েছে। রাসূল প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং, এখন আমরা পুরোপুরি নতুন একটি স্বাধীন জাতিতে পরিণত হলাম। যে জাতি তার নিজের জন্য নির্ধারিত পরীক্ষা সমূহের সম্মুখীন হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- " আল্লাহর পথে সংগ্রাম কর যেভাবে সংগ্রাম করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে বেছে নিয়েছেন। দ্বীনের ভিতর তিনি তোমাদের উপর কোন কঠোরতা চাপিয়ে দেননি। এটাই তোমাদের পিতা ইবরাহীমের দ্বীন, আল্লাহ তোমাদের নাম রেখেছেন ‘মুসলিম’ পূর্বেও, আর এ কিতাবেও (ঐ নামই দেয়া হয়েছে) যাতে রসূল তোমাদের জন্য সাক্ষী হয় আর তোমরা সাক্ষী হও মানব জাতির জন্য। কাজেই তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর, যাকাত দাও আর আল্লাহকে আঁকড়ে ধর। তিনিই তোমাদের অভিভাবক। কতই না উত্তম অভিভাবক আর কতই না উত্তম সাহায্যকারী!" (২২:৭৮) যাইহোক, এখন সূরা ইসরার ৮ নাম্বার আয়াতের দিকে লক্ষ্য করুন। আল্লাহ তায়ালা বনী ইসরাইলকে লক্ষ্য করে বলেন- "কিন্তু যদি তোমরা (তোমাদের পূর্বকৃত পাপের) পুনরাবৃত্তি কর, তবে আমিও (পূর্বে দেয়া শাস্তির) পুনরাবৃত্তি করব।" পূর্বকৃত পাপ কী ছিল? "বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং ঔদ্ধত্য দেখাবে মারাত্মকভাবে।" এখন তারা ঠিক তাই করছে। তাই, আল্লাহর শাস্তিও তাদের উপর এসে পড়বে। -- নোমান আলী খানের আলোচনা অবলম্বনে

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে