কোরআন থেকে দারুন সুন্দর একটি উদাহরণ
কোরআন থেকে আজ আপনাদের দারুন সুন্দর একটি উদাহরণ সম্পর্কে জানাবো। এটা হলো নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের সারসংক্ষেপ। আপনাদের দেখাচ্ছি কীভাবে। মনোযোগ দিয়ে শুনুনঃ (13:17) أَنزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً আল্লাহ বলছেন, তিনি আকাশ থেকে পানি প্রেরণ করেছেন। فَسَالَتْ أَوْدِيَةٌۢ بِقَدَرِهَا এরপর উপত্যাকা, দেখুন, আকাশ থেকে পানি এলো মানে বৃষ্টি হলো। তাই না? فَسَالَتْ أَوْدِيَةٌۢ بِقَدَرِهَا এরপর উপত্যাকাগুলো প্লাবিত হতে লাগলো যতটুকু সম্ভব ততটুকু। বিকাদারিহা। সর্বোচ্চ পরিমাণে। তো আল্লাহ বৃষ্টির বর্ননা দিচ্ছেন। এতো বৃষ্টি হয়েছে যে বন্যা হয়ে গেছে। আচ্ছা। فَاحْتَمَلَ السَّيْلُ زَبَدًا رَّابِيًا এরপর বন্যার পানিগুলো ফেনা তুলে আসতে লাগলো। ফেনা কী জানেন? ফেনা বা যাবাদ অনেকটা হলো… মাটিতে অনেকসময় ছেড়া পাতা, কাঠি, ছোট পাথর, নুড়ি এসব ছোটখাটো জিনিসপত্র মাটিতে থাকে। আর পানি আসলে এ সবই একত্রে ধুয়ে যেতে থাকে। এগুলো উপরে ফেনার মতো হয়ে যায়। তো বন্যার পানি মাটির উপরের ময়লা, নোংরা, অপবিত্রতা ইত্যাদি ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায়। সেগুলোকে ফেনা বানিয়ে ফেলে। তো এখন আল্লাহ এই ফেনার কথা বলছেন, এই বুদবুদে জিনিসগুলো, এই ফেনার কথা বলতে গেলে আরেক ধরণের ফেনা আছে। وَمِمَّا يُوقِدُونَ عَلَيْهِ فِى النَّارِ আর একই সাথে, আরেক ধরনের ফেনা আছে যেটা হয় যখন কেউ আগুন জ্বালায়, ধাতব কিছু গলানোর জন্য। তো এখানে আয়াতে দ্রুত একটি পরিবর্তন এলো। প্রথমে আল্লাহ বলছেন বৃষ্টির পানি আর উপত্যাকা প্লাবিত হবার কথা, ফেনা হবার কথা আর ময়লা ফেনা হয়ে ভেসে যাবার কথা। ফেনার কথা বললে আরেক ধরনের ফেনা আছে। যখন আপনি লোহা পোড়ান বা স্টিল পোড়ান, কিংবা স্বর্ণ গলিয়ে ফেলেন, তখনও ফেনা বের হয়। বুদবুদ উপরে উঠে আসে। তিনি বলছেন, কেন গলায় এটা? ابْتِغَآءَ حِلْيَةٍ أَوْ مَتٰعٍ স্বর্ণালঙ্কার বা তৈজসপত্র বানানোর উদ্দেশ্যে। অন্য কথায়, কেউ ধাতু কেন গলায়? ধাতু গলায় যেন তা দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার বানানো যায়। কিংবা ধাতু গলিয়ে চামচ, কাটাচামচ, বেলচা ইত্যাদি বানায়। বুঝতে পারছেন? আর তাই তিনি বলছেন, زَبَدٌ مِّثْلُهُ মূলত এটা আরেক ধরণের ফেনা, আগের ফেনাটির মতোই। আগের ফেনাটির মতোই। زَبَدٌ مِّثْلُهُ كَذٰلِكَ يَضْرِبُ اللَّهُ الْحَقَّ وَالْبٰطِلَ এভাবেই আল্লাহ সত্যকে মিথ্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করান। فَأَمَّا الزَّبَدُ فَيَذْهَبُ جُفَآءً আর মূল ফেনার কথা হলো, সেটা উড়ে যাবে। এটা অস্তিত্বহীন হয়ে যাবে। وَأَمَّا مَا يَنفَعُ النَّاسَ فَيَمْكُثُ فِى الْأَرْضِ আর যেটুকু মানুষের উপকার করে, সেটা পৃথিবীতে রয়ে যাবে। كَذٰلِكَ يَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ এভাবেই আল্লাহ উদাহরণ দেন। ওয়াও! প্রথম দেখায় মনে হচ্ছিল যে খুবই জটিল এক উদাহরণ। একদিকে—বন্যার পানি এলো, ফেনা উঠলো। আবার অন্যদিকে— মানুষজন ধাতু গলাচ্ছে, ফেনা উঠছে। আচ্ছা, তারা কিন্তু ধাতু গহনা বানাতে গলায়, আর গলায় তৈজসপত্র বানাতে। এরপর আল্লাহ সত্যের বিপরীতে মিথ্যাকে ছুঁড়ে মারেন। এরপর ফেনা হারিয়ে যাবে। আর যা মানুষের উপকারী তা রয়ে যাবে। এই উদাহরণই আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন। চলুন এটা নিয়ে আরেকটু চিন্তাভাবনা করি। কুরআন এসেছে আকাশ থেকে। এটা মক্কার উপত্যাকায় এসেছে। এরপর তা প্রত্যেক অলিগলি, প্রত্যেক বাসাকে প্লাবিত করেছে। ঠিক যেভাবে আকাশ থেকে পানি নেমে উপত্যাকা কানায় কানায় ভরে যায়। এখন মক্কাতে এমন মানুষ আছে যারা ইসলামের বার্তাকে অন্তরে ধারণ করে ফেলেছে। পানি যমিনে প্রবেশ করে সেটার উপকার করলো। যমিন থেকে প্রাণ বের হয় পানি প্রবেশ করলে। তবে এই যমিনেরই কিছু জিনিশ অকেজো, জীবনহীন। এসবের মাঝে উপকারী কিছু নেই। সেগুলো শুধুই মাটির ময়লা। যমিনের নোংরা। সবকিছুই ভেসে চলে যায়, পরিষ্কার হয়ে যায়। তো আল্লাহ এখানে বন্যার পানি বলতে ইসলামের বার্তাকে বুঝাচ্ছেন, কুরআনকে বুঝাচ্ছেন। যেই নোংরা ময়লা উপরে উঠেছিলো তা হলো ইসলামের বার্তাকে অস্বীকার করা কাফিররা। আর স্পষ্টই তারা মুমিনদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এরপর তিনি বলছেন, বিচ্ছিন্ন হবার প্রসঙ্গে, আরেক ধরণের বিচ্ছিন্নতা আছে, যখন ধাতু গলানো হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনাতে গেলেন। যদি মক্কার নোংরা, ময়লা বা ফেনাগুলো হয় মুশরিকরা, তবে মদিনার ময়লা কারা ছিল? মদিনার উচ্ছিষ্ট কারা ছিল? আপনাদের একটা ইঙ্গিত দিচ্ছি। এটা ধাতুর মধ্যে গভীরভাবে মিলিত হয়ে আছে। এরা হলো মুনাফিক। আর মুনাফিকদের উন্মোচন করতে হলে কি করতে হবে? মনে আছে একটু আগে দেয়া দৃষ্টান্তটি? আপনার ধাতুটিকে পোড়াতে হবে! আর ধাতুটি গলে গেলে ফেনা উঠে আসবে। কিন্তু গলানো হয় কেন? আল্লাহ কী বলেন? ধাতু গলানো হয় কেন? অলঙ্কার বানাতে আর তৈজসপত্র বানাতে। অলংকারের উদাহরণ হতে পারে নেকলেস। চুড়ি। ঠিক? ব্রেসলেট। এগুলো হচ্ছে অলঙ্কার। তৈজসপত্রের উদাহরণ কী? কাটাচামচ! চামচ! তাই না? এখন আমাকে বলুন। আপনাকে যদি অনেক কষ্ট করে ধাতু গলাতেই হয়, তবে শেষমেশ কোনটি পেতে চান? হ্যাঁ দুটোই দরকারি। কিন্তু কোনটি বেশী মূল্যবান? অলঙ্কার! এজন্যই অলঙ্কার প্রথমে বলেছেন আল্লাহ। মজার ব্যাপার হলো, আপনাদের আগেই বলেছি, দুনিয়াতে যখন মুসলিমদের চরম তাপমাত্রায় রাখার কথা আসে, এই কথা কোন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়? এটা হলো কুরআনে যুদ্ধের কোনো দৃষ্টান্ত। মনে আছে? এটা যুদ্ধের ব্যাপারে কুরআনের উপমা। এখন, যখন মুসলিমরা যুদ্ধে যায়, যখন সাহাবা বদরে গেলেন, যখন তারা উহুদে গেলেন, যখন তারা আহযাবে গেলেন… কেন তারা বদর, উহুদ আর আহযাবে গেলেন? কোন কারণে? কীসের দিকে ছুটছেন তারা? কী চান তাঁরা? একটি উত্তর, তাঁরা জান্নাত চান। সহজ উত্তর হলো? জান্নাত। কিন্তু সুরাতুস সফে আল্লাহ বলছেন, তুমি জান্নাত চাও। কিন্তু সাথে সাথে বিজয়ও চাও। তুমি জান্নাত চাও আবার সাথে বিজয়ও চাও। বরঞ্চ তিনি তো সুরাতুস সফে বলেছেন, هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلٰى تِجٰرَةٍ تُنجِيكُم مِّنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ তোমাদের কি এমন এক ব্যবসায়ের সন্ধান দেব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব থেকে রক্ষা করবে? আর যদি এই ব্যবসা করেন, তবে يَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَيُدْخِلْكُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا الْأَنْهٰرُ وَمَسٰكِنَ طَيِّبَةً فِى جَنّٰتِ عَدْنٍ ۚ ذٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ আমি তোমাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবো। তোমাদের খুব সুন্দর বাসা থাকবে। তোমরা সেখানে খুবই আনন্দে থাকবে। এটাই তো চূড়ান্ত সাফল্য, জান্নাতুল আদন এর ভেতর থাকাকালে। وَأُخْرٰى تُحِبُّونَهَا ۖ দ্বিতীয়ত, তোমরা এটাও চাও যে আল্লাহ্র সাহায্য আসবে আর বিজয়ও চলে আসবে। نَصْرٌ مِّنَ اللَّهِ وَفَتْحٌ قَرِيبٌ অন্য কথায়, উদ্দেশ্য হলো দুটো। প্রথম উদ্দেশ্য জান্নাত। আর দ্বিতীয় উদ্দেশ্য কী? বিজয়। প্রথম উদ্দেশ্যটি পরেরটা থেকে অনেক বেশী মূল্যবান। কেন? কারণ প্রথমটি হলো জান্নাহ আর দ্বিতীয়টি শুধু এই দুনিয়াতে বিজয়। এখন। এই আয়াতে যখন ধাতু গলান, তখন গলানো হচ্ছে খুব বেশী মূল্য আর খুব কম মূল্যের জন্যে। খুব মূল্যবানটি হলো অলঙ্কার, কম মূল্যেরটি হলো তৈজসপত্র। সেগুলোও ভালো, তবে এমন আহামরি হবার কিছু নেই। কারণ দিনশেষে সেগুলো শুধু কাজের। এসব নিয়ে তো আমরা গর্ব করি না। তৈজসপত্রের নিজস্ব মূল্য নেই। কীসের আসল মূল্য আছে? আপনার অলঙ্কারের। তো আপনার যদি অলঙ্কার আর তৈজসপত্রের কিছু ছেড়ে যেতে হয়, মানে “এই! এখনই যেতে হবে! মূল্যবান জিনিস ব্যাগে ভরে নাও!” ব্যাগে কি ভরবেন? অলঙ্কার! “দাঁড়াও! কাঁটাচামচ নিতে ভুলে গেছি!” না, এমনটা করবেন না। এমন করবেন না। তো মুসলিম কী শিখছে? আমরা জান্নাতের জন্যে কাজ করছি। বিজয় যদি আসে, খুব ভালো। না আসলেও, সমস্যা নেই। আমাদের জান্নাত আছে। তাই না? এখন এই উদাহরণটি দেখুন। কি অসাধারণ উদাহরণ। প্রথম ধরণের ফেনা এসেছিল বন্যার কারণে। দ্বিতীয় ধরণের ফেনা এসেছিল আগুন জ্বালানোর ফলস্বরূপ। ঠিক এভাবেই, মক্কার কুরআন, ইসলামের দাওয়াহ সব জায়গায় ছড়িয়ে গিয়েছিল। মুমিন থেকে কাফির আলাদা করা সহজ ছিল। কিন্তু মদিনাতে মুমিন থেকে মুনাফিক আলাদা করাটা শুধু মুসলিমদের যুদ্ধে যাবার সময়েই সম্ভব হয়েছিল। আমরা সিরাত থেকে জানি ওহুদ যুদ্ধের সময় ৩০০ মুনাফিক যাত্রা পথে মুসলমানদের থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং যুদ্ধে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। ঠিক তখনই, মুনাফিকরা আলাদা হয়ে যায়। সবাই মুনাফিকদের চিনতে পারে। এটাই ধাতু পোড়ানোর উদাহরণ। আচ্ছা। মুসলিমরা যুদ্ধে যেতো শুধুই স্বর্ণের জন্যে, মানে? জান্নাত। আর তারই সাথে হয়তোবা চামচটাও পাবে। মানে? বিজয়। এভাবেই আল্লাহ সত্য দিয়ে মিথ্যাকে আঘাত করেন। এরপর আল্লাহ আবার ফিরে যাচ্ছেন। বলছেন, তোমাদের প্রথম ফেনা নিয়ে বলছি। প্রথম ফেনাটি ছিল বন্যা থেকে। মনে আছে? বন্যার ফেনাটি কাদের চিত্রায়ন করে? কুরাইশ! মক্কার কুফফারদের। দ্বিতীয় ফেনা কাদের চিত্রায়ন করে? মুনাফিকদের। এরপর আল্লাহ শুধু প্রথম ফেনা নিয়ে বলছেন, فَأَمَّا الزَّبَدُ فَيَذْهَبُ جُفَآءً প্রথম ফেনার কথা হলো, এটি চলে যাবে, নিঃশেষ হয়ে যাবে। মক্কাতে অবশেষে কী হয়েছিল? মক্কার কুফফাররা কি নিঃশেষ হয়েছিল? মক্কার থেকে কুফর নিঃশেষ হয়েছিল কি? অবশ্যই! মজার কথা হলো, আয়াতে আল্লাহ দ্বিতীয় ধরণের ফেনার নিঃশেষ হবার কথা বলেননি। দ্বিতীয় ধরণের ফেনা কী ছিল? মুনাফেকি। উম্মাহ থেকে কি মুনাফেকি দূর হয়েছে? না। আর এ সবকিছুর শেষে وَأَمَّا مَا يَنفَعُ النَّاسَ فَيَمْكُثُ فِى الْأَرْضِ আর যেগুলো মানুষের উপকার করে তা যমিনে রয়ে যাবে। অন্য কথায়, আল্লাহ্র কালাম প্রবেশ করেছে, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ভেতরে ঢুকে গেছে। আল্লাহ্র কালাম, কুরআন আর এই দ্বীন ছড়াতেই থাকবে। এটি এখন এই যমিনেরই অংশ হয়ে গেছে। তাই فَيَمْكُثُ فِى الْأَرْضِ আর এসবকিছুর শেষে আল্লাহ বলছেন, আর এভাবেই আল্লাহ উদাহরণ দেন। كَذٰلِكَ يَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ অসাধারণ ব্যাপার স্যাপার!! আপনারা কি জানেন এটা কেন এতো শক্তিশালি? কারণ এর পর থেকে মুমিনরা বৃষ্টি দেখলেই পুরো সীরাহ মনে পড়ে যাবে। পুরো সিরাহ মনে পড়বে তার। একইভাবে ইসলামের বার্তা কীভাবে সকল উপত্যাকায় ছড়িয়েছিল তা থেকে আমরা শিখতে পারি কীভাবে আজকের পৃথিবীতে ইসলাম ছড়িয়ে দেয়া যায়। সেই শিক্ষা হলো এইঃ “যদি ইসলামের বার্তা সমস্ত অলিতে গলিতে না পৌঁছতে পারে, যতক্ষন না সমাজের প্রত্যেক বাড়িতে কুরআন কি বলছে তা সম্পর্কে না জানে, ততক্ষন কাফিরদের আমরা দোষ দিতে পারি না। আমরা এমনই জটিল সময়ে আছি যে, কুরআনের বার্তা সম্পর্কে অমুসলিমদের দেশ ভুলে যান, আমরা এমন যুগে আছি যে এমনকি মুসলিমরাও আল্লাহ্র কালাম সম্পর্কে জানেনা। তো পরের ধাপ সম্পর্কে আমরা কি কথা বলছি? নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আসল মিশন কি ছিল? এই বার্তা পৌঁছে দেয়া। আজ তো আমরা নিজেদের পরিবারকেও বার্তাটি পৌঁছে দেই না। তাই যদি আল্লাহ আপনার জন্য কোরআন শেখা সহজ করে দেন, কোরআন শিখুন, অন্যদেরকে শেখান। অথবা যারা শেখায় তাদের সাহায্য করুন। —নোমান আলী খানের আলোচনা অবলম্বনে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন