তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিনীগণ
নারীরা জান্নাতি হুরদের চেয়ে বহুগুণে বেশি সুন্দরী হবে। তাদের জন্য তাদের স্বামীদের থাকবে নিখুঁত এবং খাঁটি ভালোবাসা। হুরেরা হলো জান্নাতের একটি নেয়ামত। কিন্তু সঙ্গ এবং বন্ধুত্ব হবে স্ত্রীর সাথে। আল্লাহ হুরদের ব্যাপারে বলেননি যে, তারা মূল্যবান আসনে হেলান দিয়ে পানীয় পান করবে এবং আলাপচারিতায় মশগুল থাকবে। এটা হবে স্ত্রীদের জন্য। আমাদের স্কলাররা বলেছেন, জান্নাতের নারীরা জান্নাতী হুরদের চেয়ে অসীমভাবে বেশি রূপবতী হবে। কারণ, নারীদেরকে জান্নাত উপহার দেওয়া হবে। আর হুরেরা হলো জান্নাতের একটি নেয়ামত। উভয়টার মাঝে কোনো তুলনা চলে না। সুবহানাল্লাহ! এই পৃথিবীতে অনেক সময় বিয়ে সুখের হয় না। হয়তো দুজনেই ধার্মিক। তবু দাম্পত্য জীবন সুখের হয় না। কিন্তু উভয়ে যদি জান্নাতে যেতে পারেন আপনারা সেখানে সুখী হবেন। ঝগড়াবিহীন নিখুঁত ভালোবাসার জীবন হবে জান্নাতে। তাই যদি এই দুনিয়াতে আপনার পার্টনারের সাথে পুরোপুরি মানিয়ে চলতে না পারেন, চিন্তা করবেন না, যদি উভয়ে ধার্মিক হয়ে থাকেন এবং বিয়ের বন্ধনে যুক্ত থাকেন, আল্লাহ বলছেন- 'উদখুলুল জান্নাতা আনতুম ওয়া আজওয়াজুকুম তুহবারুন।' তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিনীগণ জান্নাতে প্রবেশ কর একত্রে সুখে থাকার জন্য। দুনিয়ার রূপকথার গল্পে আমরা পড়ে থাকি, এরপর দুইজন সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকলো। দুনিয়াতে এটা রূপকথা। যা কখনো ঘটে না। কিন্তু জান্নাতে এটি বাস্তবতা। আপনার স্বামী/স্ত্রী আপনার সুখের উৎসে পরিণত হবে। আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা আপনার স্ত্রীকে পুনরায় নতুন করে সৃষ্টি করবেন। এটা সূরা ওয়াকিয়ায় পরিষ্কারভাবে বলে দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন- اِنَّاۤ اَنۡشَاۡنٰهُنَّ اِنۡشَآءً - "তাদেরকে আমি সৃষ্টি করবো এক অভিনব সৃষ্টিতে।" এরপর কী করবো? فَجَعَلۡنٰهُنَّ اَبۡکَارًا - عُرُبًا اَتۡرَابًا - "অতঃপর তাদেরকে বানাব কুমারী, সোহাগিনী ও সমবয়সী।" 'উরুবান' অর্থ: সোহাগিনী, ভালোবাসায় পূর্ণ। দুনিয়ার বিয়ে কখনো কখনো ভালোবাসা নির্ভর হয় না। মাঝে মাঝে কটু কথা শুনতে হয়। কঠোরতা দেখা যায়। কিন্তু, জান্নাতের পার্টনার হবে উরুব। অর্থাৎ, স্বামী স্ত্রীর পরস্পরের জন্য থাকবে নিখুঁত ভালোবাসা। এবং তাদেরকে পুনরায় নিখুঁতভাবে সৃষ্টি করা হবে। 'আতরাবা' মানে সমবয়সী। —ড. ইয়াসির কাদি

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন