পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রুপান্তরের একটি উদাহরণ

ছবি
  আমি আপনাদের রুপান্তরের একটি উদাহরণ দিতে চাই। রুপান্তরের দৃশ্যমান উদাহরণ। এটার ক্ষেত্রে কল্পনা করুন যে আয়াতটির সাথে একটি ক্যামেরা আছে।هُوَ الَّذِى يُسَيِّرُكُمْ فِى الْبَرِّ وَالْبَحْرِ - তিনি আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্য স্থলে সফর করা সহজ করে দেন, আর সমুদ্রেও। ( 10:22 ) তো যখন পড়লেন “স্থলে ও সমুদ্রে” তখন কী কল্পনা করলেন? মূলত কল্পনা করলেন কোনো তীর কিংবা বন্দর বা সমুদ্রসৈকত। কেন? কারণ আপনি স্থল দেখতে চান আবার সমুদ্রও দেখতে চান একইসাথে। حَتّٰىٓ إِذَا كُنتُمْ فِى الْفُلْكِ - যতক্ষণ না আপনি জাহাজে উঠে চড়েন। আর যখন জাহাজে ওঠেন তখন আপনি জাহাজ-ঘাট থেকে বন্দরে যান, এরপর জাহাজে উঠে যান। তো জাহাজটি মোটামুটি এখনো স্থলের সাথে সংযুক্ত। وَجَرَيْنَ بِهِم - এরপর জাহাজটি, তাদের নিয়ে পাল তুলে ভেসে চলে যায় بِرِيحٍ طَيِّبَةٍ - অনুকূল হাওয়াতে। তো কী কল্পনা করছেন? একটি বন্দর, আলোকিত দিন! মানুষজন জাহাজে চড়ছে। জাহাজ ভেসে যাচ্ছে। বাতাসও অনুকূল। সেই বাতাস পালে আটকে জাহাজগুলো দ্রুত গভীর সমুদ্রের দিকে চলে যাচ্ছে। খুব সুন্দর দৃশ্য। আর তাদের গতিও ভালো, সুন্দর বাতাসের কারণে। بِرِيحٍ طَيِّبَةٍ আচ্ছা। وَفَرِحُ...

যা অস্তমিত হয়ে যায়

ছবি
  ড. আকরাম নদভীর কাছে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" এর পর সবচেয়ে প্রিয় বাক্যটি হলো ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের এ কথাটি-- " لَاۤ اُحِبُّ الۡاٰفِلِیۡنَ লা উহিব্বুল আফিলিন। (৬:৭৬) যা অস্তমিত হয়ে যায় আমি তা ভালোবাসি না।" যা শেষ হয়ে যায় আমি তা ভালোবাসি না। যা হারিয়ে যায় আমি তা ভালোবাসি না। যে মেয়েটির রূপ লাবণ্য দেখে আপনি এখন মুগ্ধ সে একদিন বৃদ্ধ হয়ে পড়বে এবং মরে যাবে। যে ছেলেটির শক্তি এবং ব্যক্তিত্ব দেখে আপনি মগ্ন সেও একদিন হারিয়ে যাবে। যে সাম্রাজ্যের ক্ষমতা দেখে আপনি অভিভূত সে সাম্রাজ্যটিও একদিন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। যে বাড়িটির বিলাসিতা দেখে আপনি চমৎকৃত সেটিও একদিন ধুলোমনিল হয়ে ভেঙে পড়বে। এভাবে এ জগতের সবকিছু। একমাত্র যার কোনো ক্ষয় নেই, যিনি কোনোদিন শেষ হয়ে যাবেন না তিনি হলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। کُلُّ مَنۡ عَلَیۡهَا فَانٍ - পৃথিবী পৃষ্ঠে যা আছে সবই ধ্বংসশীল, وَّ یَبۡقٰی وَجۡهُ رَبِّکَ ذُو الۡجَلٰلِ وَ الۡاِکۡرَامِ - "কিন্তু চিরস্থায়ী তোমার প্রতিপালকের চেহারা—যিনি মহীয়ান, গরীয়ান।" (৫৫:২৬-২৭) আর আল্লাহ জান্নাতের নেয়ামতরাজিকে চিরস্থায়ী করে বানিয়েছেন। হ্যাঁ, ...

দুঃখ কষ্ট এবং স্রষ্টার অস্তিত্ব

ছবি
  দুঃখ কষ্ট এবং স্রষ্টার অস্তিত্ব --------------------------------------- আমি এখন বলছি এবং আগেও বলেছি—স্রষ্টার অস্বীকৃতি দার্শনিক আপত্তির উপর নির্ভর করে নয়, বরং এটি দম্ভ এবং অহংকারের উপর নির্ভর করে করা হয়। এখানেই স্রষ্টার অস্বীকৃতির উৎপত্তি। কোনো নাস্তিককে যদি জিজ্ঞেস করেন কেন তুমি আল্লাহকে বিশ্বাস করো না? সে বলবে— আল্লাহ কেন এতো দুঃখ-কষ্ট ঘটতে দিচ্ছেন? তাদের মতে, যদি একজন ঈশ্বর থাকতো তাহলে কোনো দুঃখ-কষ্ট থাকতো না। যেহেতু দুঃখ-কষ্ট আছে তাই কোনো স্রষ্টা নেই। প্রসঙ্গত, এ যুক্তিটি অতিশয় দুর্বল। কারণ, আল্লাহর কাজের বিজ্ঞতা বুঝতে না পারা আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমান থেকে স্বাধীন। আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন একটি ইস্যু। তাঁর কাজ বুঝতে না পারার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এ দুটি কার্যকারণ অনুযায়ী সম্পর্কযুক্ত নয়। তারা যদি তাদের দাবিতে সত্য হতো তাহলে সর্বোচ্চ বলতে পারত— আমরা বুঝি না কেন স্রষ্টা এগুলো করবেন। আল্লাহর অস্তিত্ব সুস্পষ্ট। দেকার্ত বলেছিলেন— "আমি চিন্তা করি, তাই আমি আছি।" তার সন্দেহবাদ এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলো যে, সে নিজের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ে। তাই, ...

ছবর অথবা ধৈর্য

ছবি
  কুরআন থেকে আজকের শিক্ষাটি রয়েছে সূরা নাহলের শেষে। সূরা নাহলের ১২৭ নম্বর আয়াত। আল্লাহ বলেছেন, وَاصْبِرْ وَمَا صَبْرُكَ إِلَّا بِاللَّهِ - ওয়াছবির, ওয়ামা ছবরুকা ইল্লা বিল্লাহ, অর্থাৎ হে আল্লাহর রাসূল, আপনি ধৈর্য ধারণ করুন, ওয়াছবির। এরপর যে বাক্যাংশটি রয়েছে তা আমরা আজকে বিশ্লেষণ করবো। وَمَا صَبْرُكَ إِلَّا بِاللَّهِ - ওয়ামা ছবরুকা ইল্লা বিল্লাহ, অর্থাৎ আপনার ছবর কোথা থেকে আসবে, আপনার ছবর কোথা থেকে আসবে, একমাত্র আল্লাহর কাছ থেকে আসা ছাড়া ? আয়াতের দ্বিতীয় অংশে যাওয়ার আগে, সংক্ষেপে একটা বিষয় পুনরালোচনা করে নিবো। ছবর অথবা ধৈর্য হলো কুরআনে উল্লেখিত সর্বাধিক আলোচিত চারিত্রিক গুণাবলীর মধ্যে অন্যতম। ৪০ টির উপরে আয়াতে ছবরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ছবরের ধারণাটি বহুল পরিচিত, যেহেতু বহু আলোচনা এবং দারসে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। আর সমগ্র কুরআনই সবরের আলোচনায় পরিপূর্ণ। আল্লাহ সূরা বাকারায় বলেছেন, لَيْسَ الْبِرَّ أَنْ تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ - লাইসাল বিররা আন তুওয়াল্লু উজুহাকুম ক্বিবলাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব, অর্থাৎ, “পূর্বমুখী অথবা পশ্চিমমুখী হওয়াতে ধর্মপরায়ণতা নেই”। আপন...

যে সব কারণে ইমান নষ্ট হয়

ছবি
  ইমানের যাবতীয় স্তর বা রোকনের ওপর অন্তরের বিশ্বাস স্থাপন করাই হলো ইমান। মৌখিকভাবে স্বীকারোক্তি দেওয়াও ইমানের শর্ত। বাহ্যিক আমল ইমানের মৌলিক রোকন নয়, তবে ইমানের পূর্ণতার জন্য আবশ্যক। ( শারহুল ফিকহিল আকবর , ইমাম আজম আবু হানিফা, অনুবাদ: এনামুল হক মাসউদ, মাকতাবাতুস সুন্নাহ, পৃষ্ঠা ৪৬২) আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘যেসব মানুষ ইমান আনে এবং সৎকর্ম করে, তারা জান্নাতবাসী। তারা সর্বদা সেখানে থাকবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ৮২) অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে, আয়াতে উল্লিখিত সৎকর্ম মানে যাবতীয় ভালো কাজসহ আমল-ইবাদত। ইমান মুমিনের সবচেয়ে বড় পরিচয়, শ্রেষ্ঠ অর্জন। ইমান আনার পর তা ভেঙে যাওয়া মানে ইমান নষ্ট হয়ে যাওয়া। ইমান ভেঙে বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। তখন আবার তাওবা করে ইসলাম গ্রহণ আবশ্যক হয়ে ওঠে। ইমান নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণগুলো নিচে দেওয়া হলো: ১. আল্লাহর সঙ্গে কারও শরিক করা যদি কোনো মুমিন-মুসলমান উপাস্য বা ইলাহ হিসেবে বা ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করেন, তাহলে তাঁর ইমান নষ্ট হয়ে যাবে। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোনো উপাস্য স্থির করো না।...

হজরত শোয়াইব (আ.)

ছবি
হজরত শোয়াইব (আ.)-এর কওম যেখানে বসবাস করত, সেটা ছিল একটি পাহাড়ি উপত্যকা। চারদিকে পাহাড়-পর্বত। মাঝখানে সমতল ভূমি। চারদিকে প্রাচীরবেষ্টিত ছিল তারা। তাতে ছিল বিশালকায় প্রবেশদ্বার। এখনো সে স্থানে কওমে শোয়েবের ঘরবাড়ির কিছু বিশেষ নিদর্শন সংরক্ষিত রয়েছে। তবে তারা ঘর নির্মাণ করত পাথুরে পাহাড়ের গা খোদাই করে। একটির পর একটি আলাদা আলাদা ঘর। একটি ঘরের ভেতর চারটি বা পাঁচটি ছোট খোপ থাকত। আর সামনে একটি বড় অলিন্দ। এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে যাওয়ার জন্য ছিল বড় সুড়ঙ্গ বা গর্তের মতো সরু পথ। সবখানে সহজে বাতাস চলাচলের সুবিধার্থে পাথর কেটে ফোকর বা জানালার ব্যবস্থা করে রাখত তারা। আর তারা মানুষকে কবর দিত সারিবদ্ধভাবে পরিখার মতো খুদে পরিসরে। একেকটি পরিখায় একেকজন মানুষ শুতে পারত। বাড়ির সামনের দেয়ালে তারা কিছু নকশা ও কারুকাজের চিহ্নও দিয়ে রাখত শিল্পিত হাতে। আজও কালের সাক্ষী হয়ে আছে সেসব চিত্রকর্ম।  হজরত শোয়াইব (আ.)–কে তাঁর চমৎকার বাগ্মিতার কারণে ‘খতিবুল আম্বিয়া’ বলা হয়। এ ছাড়াও তিনি তাদের নানান সংযম, সহনশীলতা ও মমতার সঙ্গে সব বুঝিয়েছেন। কিন্তু বিনিময়ে কেবল উপহাস-পরিহাসই পেয়েছেন। অবশেষে তারা যখন সীমা লঙ্ঘন করল, ...

হজরত আলী (রা.)

ছবি
  হুদাইবিয়ার সন্ধি ইসলামের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এ সন্ধির লেখক ছিলেন হজরত আলী ইবনে আবু তালিব (রা.)। রাসুল (সা.)–এর যুগের সব যুদ্ধেই আলী (রা.)–র সাহসিকতা ও বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন। এ কারণে রাসুল (সা.) তাঁকে হায়দার বা সিংহ উপাধি দিয়েছেন। খন্দকের যুদ্ধের সময় রাসুল (সা.) আলী (রা.)–কে জুলফিকার নামের একটি তলোয়ার দেন। আলী (রা.) ছিলেন রাসুল (সা.)–এর আপন চাচাতো ভাই, রাসুল (সা.)–এর চাচা আবু তালিবের ছেলে। রাসুল (সা.)–এর নবুয়ত প্রাপ্তির সময় তাঁর বয়স ছিল ১০ বছর। সে সময় তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। কিশোরদের মধ্যে তিনি ছিলেন প্রথম মুসলিম। রাসুল (সা.)–এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে তিনি শিক্ষা লাভ করেন। তিনি ছিলেন কোরআনের হাফেজ এবং একজন শ্রেষ্ঠ মুফাসসির। আলী (রা.) নিজেই বলেছেন, কোরআনের এমন কোনো আয়াত নেই, যা নিয়ে আমি রাসুল (সা.)–এর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করিনি। রাসুল (সা.)–এর হিজরতের সময় আলী (রা.) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। অবিশ্বাসীদের যেন সন্দেহ না হয়, এ জন্য আলী (রা.)–কে নিজের বিছানায় শুইয়ে দিয়ে রাসুল (সা.) আবু বকর (রা.)–কে সঙ্গে নিয়ে রাতের অন্ধকারে মদিনায় রওনা দেন। সুবহে সাদিকের...

ইসলামে গিবত নিষিদ্ধ

ছবি
  কারও অনুপস্থিতিতে অন্যের সামনে তার দোষ নিয়ে আলোচনা করাই গিবত। একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘গিবত কাকে বলে? তোমরা কি তা জানো? উপস্থিত সবাই বললেন, ‘আল্লাহ আর তাঁর রাসুল (সা.) ভালো জানেন।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন বললেন, ‘জিকরুকা আখাকা বিমা ইয়াকরাহু।’ অর্থাৎ ‘গিবত হচ্ছে তোমার ভাইয়ের এমন কথা (দোষ) বর্ণনা করা, যা শুনলে সে অসন্তুষ্ট হবে।’ সাহাবিরা প্রশ্ন করলেন, বর্ণনা করা দোষ যদি ওই ভাইয়ের (আলোচিত ব্যক্তিটির) মধ্যে থাকে, তাহলেও কি তা গিবত হবে? রাসুল (সা.) বললেন, যদি তা সঠিক থাকে হয়; তবেই তা গিবত। অন্যথায় তা হবে অপবাদ। (মুসলিম, হাদিস: ৬৩৫৭; বুখারি, হাদিস: ৫৬১৩) কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ কোরো না। আর তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না।’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত: ১২) কোরআনে আরও আছে, দুর্ভোগ এদের প্রত্যেকের যে সামনে ও পেছনে লোকের নিন্দা করে, যে অর্থ জমায় ও বারবার তা গোনে, ভাবে যে এ অর্থ তাকে অমর করে রাখবে। কখনো না। তাকে তো ফেলা হবে হুতামায়। হুতামা কী, তুমি কি তা জান? এটা আল্লাহর প্রজ্বলিত হুতাশন, যা হৃৎপিণ্ডগুলোকে গ্রাস করবে, ওদেরকে বেঁধে রাখবে দ...

হজরত দাউদ (আ.)

ছবি
  হজরত দাউদ (আ.) নবী ও বাদশাহ ছিলেন। নবী হিসেবে তিনি আল্লাহর কাছ থেকে যে প্রত্যাদেশ পান, সেগুলোর সংকলন হলো জাবুর। জাবুর ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ। কোরআনের অনেকগুলো সুরায় দাউদ (আ.)–এর কথা উল্লেখ আছে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দাউদ (আ.) ছিলেন আল্লাহভক্ত সাধক এবং লৌহবর্ম নির্মাণের মাধ্যমে জীবিকা অর্জনকারী স্বনির্ভর নবী। লোহা তাঁর হাতে নমনীয় হয়ে যেত। তাঁর কণ্ঠস্বর ছিল অসম্ভব মিষ্টি। তাঁর পাঠ শুনে সবাই মুগ্ধ হতো। পাহাড়, তরুলতা, পশুপাখি এরাও তাঁর সঙ্গে উপাসনায় যোগ দিত। আল্লাহ পাহাড়-পর্বত ও পক্ষীকুলকে তাঁর প্রভাবাধীন করে দিয়েছিলেন। সুরা বাকারায় আছে, দাউদ (আ.) জালুতকে হত্যা করেন। এ সুরায় আল্লাহ্‌র তাঁকে কর্তৃত্ব ও হিকমত দানের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ দাউদ (আ.)–কে বিপুল শক্তি ও ক্ষমতা দিয়েছিলেন। যুবক বয়স থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী ও বীর। খুব অল্প বয়সেই তিনি তালুতের নেতৃত্বে পরিচালিত যুদ্ধে কুখ্যাত যুদ্ধবাজ জালুতকে হত্যা করেছিলেন। কোরআনে মহান আল্লাহ সে ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন। কোরআনে আছে, ‘সুতরাং তখন তারা আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাদের পরাজিত করল। দাউদ জালুতকে বধ করল ও আল্লাহ তাকে কর্তৃত্ব ও হিকমত দান করলে...

শানে নুযূল free PDF মাহমুদ ইবনে জামিল মিসরী

ছবি
  শানে নুযূল PDF মাহমুদ ইবনে জামিল মিসরী click above শানে নুযূল PDF মূল সংকলক: মাহমুদ ইবনে জামিল মিসরী অনুবাদ মাওলানা ফজলুদ্দীন শিবলী সম্পাদনা মাওলানা মোহাম্মদ লিয়াকত আলী হামিদিয়া লাইব্রেরী

মহানবী (সা.)–র কোন জীবনী পড়বেন

ছবি
  নবীজি (সা.)–র কোন জীবনীটা উত্তম, এমন প্রশ্ন প্রায়ই শোনা যায়। একেক সময় একেকজনকে একেক বইয়ের কথা বলতে হয়। প্রশ্নকর্তার অবস্থা বুঝে উত্তর দেওয়া হয়। তবে কোন জীবনীটা পড়ব—এই প্রশ্নের আগে নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত, আমি নবীজীবনী কেন পড়তে চাই? কীভাবে পড়তে চাই? তাঁর ধারাবাহিক জীবনী জানতে? তিনি কেমন ছিলেন সেটা জানতে? তাঁর মোজেযা বা অলৌকিক ঘটনাবলি জানতে? নাকি আরও গভীর কিছু? নবীজি (সা.)–কে জানার জন্য মোটা দাগে পাঁচ ধরনের বই আছে। ১. ধারাবাহিক জীবনী এ ধরনের জীবনীকে বলে সিরাত। একসময় বলা হতো ‘মাগাজি’ বা ‘সিয়ার’। নবীজি (সা.)–এর জন্মপূর্ব সময়, জন্ম ও বংশ পরিচয়, বেড়ে ওঠা, বিয়ে, নবুয়ত, মক্কাত্যাগ, মদিনা, সন্ধি, যুদ্ধ, মক্কা বিজয়—এই ধারাক্রমে যেসব বই লেখা তাকে ‘সিরাত’ গ্রন্থ বলে। যদি এভাবে জানা আপনার উদ্দেশ্য হয়, তাহলে আপনি পড়তে পারেন নীচের যে-কোনওটি: ক. সফিউর রহমান মোবারকপুরির লেখা  আর রাহিকুল মাখতুম । দারুল হুদা কুতুবখানা থেকে প্রকাশিত মীযান হারুনের অনুবাদ অথবা আয-যিহান পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত কাজী আবুল কালাম সিদ্দিকের অনুবাদ পড়তে পারেন। খ. আবুল হাসান আলি নদভির লেখা  নবীয়ে রহমত । বাংলায় এ...

ফজরের নামাজের বিশেষ ফজিলত

ছবি
  ফজরের বিশেষ গুরুত্ব যেমন নামাজের মধ্যে আছে, তেমনি সময়ের মধ্যেও। কোরআনে সুরা ফজরের শুরুতে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, শপথ ফজরের। (সুরা ফজর, আয়াত: ১) ফজরের নামাজ পড়ার কয়েকটি উপকারের কথা জানা যাক, ১. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত নফল নামাজ আদায় করল। আর যে ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করল, সে যেন সারা রাত জেগে নামাজ আদায় করল।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৩৭৭) ২. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও তার সবকিছুর চেয়ে উত্তম।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৫৭৩)  ৩. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ফজরের নামাজ আদায় করল সে মহান আল্লাহর রক্ষণাবেক্ষণের অন্তর্ভুক্ত হলো।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৩৭৯) ৪. রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘সেই মানুষটি জাহান্নামে যাবে না, যে সূর্যোদয়ের আগের এবং সূর্যাস্তের আগের অর্থাৎ ফজর ও আসরের নামাজ আদায় করে। (মুসলিম, হাদিস: ১,৩২২) ৫. রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুনাফিকদের জন্য ফজর ও এশার চেয়ে বেশি ভারি কোনো নামাজ নেই। এ দুই নামাজের ফজিলত যদি তারা জানত, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হতো।’ (বুখারি, হাদিস: ৬৫৭) ৬. ...

প্রতিবেশীর অধিকার

ছবি
  প্রতিবেশীর সঙ্গে অবশ্যই উত্তম ব্যবহার করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ইমান রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীর সঙ্গে সদ্ব্যবহার করে। মানুষ একাকী বাস করে না। প্রতিবেশীর সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ, আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল আচরণের মধ্য দিয়ে তাকে বাঁচতে হয়। এ জন্য প্রতিবেশীর অধিকার ও মর্যাদার প্রতি ইসলামে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হজরত হাসান (র.) বর্ণনায় আছে, প্রতিবেশী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছেন, নিজের ঘর থেকে সামনের ৪০টি, পেছনের ৪০টি, ডানপাশের ৪০টি এবং বাঁপাশের ৪০টি ঘরের অধিবাসীই প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর ব্যাপারে রাসুল (সা.)–কে জিবরাইল (আ.) বারবার তাগিদ দিতেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘জিবরাইল (আ.) এসে আমাকে প্রতিবেশীর ব্যাপারে অবিরত উপদেশ দিতে থাকতেন। এমনকি মনে হতো যে সম্ভবত তিনি প্রতিবেশীকেই উত্তরাধিকারী বানিয়ে দেবেন। প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া ও নির্যাতন করে গৃহত্যাগে বাধ্য করা গুনাহের কাজ। হজরত সাওবান (রা.) প্রায়ই বলতেন, যে প্রতিবেশী তার কোনো প্রতিবেশীকে নির্যাতন করে বা তার সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করে, যাতে সে ব্যক্তি গৃহত্যাগে বাধ্য হয়; সে ব্যক্তি নিশ্চিত ধ্বংসের মধ্যে পত...