নোংরা এবং পবিত্র কখনোই সমান নয়

 


রামাদান সিরিজ পর্ব ০৮

নোংরা এবং পবিত্র কখনোই সমান নয়, যদিও নোংরামির আধিক্য তোমাকে অভিভূত করে ফেলে ----------------------- * ------------------- কুরআন থেকে পাওয়া আজকের শিক্ষাটি হলো অত্যন্ত গভীর তাৎপর্যপূর্ণ একটি মূলনীতি। এটা কুরআনের নিগূঢ় এবং জটিলতাপূর্ণ আয়াতগুলোর মধ্যে একটি। প্রকৃতপক্ষে এই বিষয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলা সম্ভব। এর সাথে সম্পর্ক রয়েছে জ্ঞানতত্ত্ব, দর্শনশাস্ত্র, ন্যায়শাস্ত্র এবং আইনশাস্ত্রের । কিন্তু সময় যেহেতু সীমিত, আমরা সংক্ষেপে আলোচনা করবো। সূরা মায়েদা, আয়াত ১০০। আল্লাহ বলেছেন, قُلْ لَا يَسْتَوِي الْخَبِيثُ وَالطَّيِّبُ وَلَوْ أَعْجَبَكَ كَثْرَةُ الْخَبِيثِ - ক্বুল লা ইয়াসতাউইল খবিছু ওয়াত তয়্যিবু ওয়ালাও আ’জাবাকা কাছরাতুল খবিছ। অর্থাৎ "বলো, নোংরা এবং পবিত্র কখনোই সমান নয়, যদিও নোংরামির আধিক্য তোমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে।" যদিও পাপের পরিমাণ তোমাকে অভিভূত করে ফেলতে চায়। ভালো এবং খারাপ কখনোই সমান হবে না। তইয়্যিব (طَّيِّبُ) এবং খাবীছ (خَبِيثِ) কখনোই এক হবে না; যদিও খবিছের পরিমাণ অনেক বেশীও হয়, তারপরও এটা সমান হবে না। [তইয়্যিব অর্থ পবিত্র আর খবিস অর্থ নোংরা অপবিত্র ] এখন, এই আয়াতটি আমাদেরকে প্রদর্শন করছে যে, সত্যের বিবেচনায় সংখ্যা কিছুই না; বেশিরভাগ মানুষ কী চিন্তা করে তার ভিত্তিতে বাস্তবতা নিরূপিত হয় না। তইয়্যিব এবং খবিছ বলতে কী বুঝায় ? খবিছ হলো এমন কিছু যা আপনার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়, খবিছ হলো নোংরা, খবিছ হলো এমন কিছু যা পচনরত, খবিছ হলো এমন কিছু যা কলুষিত। তইয়্যিব হলো এর বিপরীত। এটা স্বাস্থ্যকর, এটা পরিচ্ছন্ন, এটা পবিত্র। তো আল্লাহ বলছেন, খবিছ এবং তইয়্যিব কখনো সমান হবে না। যদিও পৃথিবীতে খবিছের পরিমাণ এবং নোংরামির মাত্রা তোমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। তবু এতে পরিবর্তন আসবে না। সত্য এবং মিথ্যা একে অপরের থেকে আলাদা। আর অবশ্যই এই বিষয়ে কুরআনের বাণী খুবই পরিষ্কার। প্রকৃতপক্ষে, আমরা যদি কুরআন থেকে আরেকটা মূলনীতি আহরণ করতে চাই, তাহলে আমরা সম্ভবত সত্য থেকে বেশী দূরে অবস্থান করবো না যদি বলি যে, কুরআন সাধারণত সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের সমালোচনা করেছে। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, وَمَآ أَكْثَرُ ٱلنَّاسِ وَلَوْ حَرَصْتَ بِمُؤْمِنِينَ - ওয়ামা আকছারুননাসি ওয়ালাও হারাছতা বিমুমিনিন, অর্থাৎ বেশিরভাগ মানুষই ইমান আনবে না। আল্লাহ বলেছেন, وَجَدْنَا أَكْثَرَهُمْ لَفَاسِقِينَ - ওয়ালাতাজিদান্না আকছারাহুম ফাসিকিন, অর্থাৎ "আমি তাদের বেশিরভাগতেই ফাসেক হিসেবে পেয়েছি।" আল্লাহ বলেন, وَكَثِيرٌ مِّنْهُمْ فَاسِقُونَ - ওয়াকাসিরুম মিনহুম ফাসিকুন-"তাদের বেশিরভাগই ফাসেক।" তো কুরআন সাধারণত সংখ্যগরিষ্ঠ সংখ্যাকে সমালোচিত করেছে। আর আল্লাহ বলেছেন যে, ইমানদাররা হবে সংখ্যালঘু। وَقَلِيلٌ مِنْ عِبَادِيَ الشَّكُورُ - ওয়াক্বলিলুম মিন ‘ইবাদিয়াশ শাকুর, অর্থাৎ আমার বান্দাদের অল্প সংখ্যকই হবে কৃতজ্ঞ। وَقَلِيلٌ مِنَ الآخِرِينَ - ওয়াক্বলিলুম মিনাল আখিরিন, অর্থাৎ পরবর্তী যুগের সামান্য সংখ্যক মানুষই হবে ধার্মিক এবং সৎকর্মশীল। আর আজকের বাছাইকৃত আয়াতটিও বলছে- খবিছ এবং তইয়্যিব সমান নয়, যদিও খবিছ অনেক বেশি হয়। এটাও একই মূলনীতির কথা বলছে। ইমানের প্রশ্নে কখনোই খবিছ এবং তইয়্যিব সমান নয়। আল্লাহর প্রতি ইমান হলো পবিত্র; আল্লাহর প্রতি ইমান হলো তইয়্যিব; এটা পবিত্রতার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। যদিও পৃথিবীর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আল্লাহকে প্রত্যাখ্যান করে, যদিও অজ্ঞেয়বাদ এবং নাস্তিকতা এখন রীতিতে পরিণত হয়ে গিয়েছে কিন্তু এটা এই বাস্তবতাকে পরিবর্তন করবে না যে, ইমান হলো পবিত্র আর কুফর হলো অপবিত্র। আরেকটি বাস্তবতা হলো, কাজ এবং কর্মের ক্ষেত্রেও নামাজ হলো পবিত্র, দানশীলতা হলো নৈতিক গুণ এবং রোযা হলো তইয়্যিব। আর এর বিপরীতে, আল্লাহ জুয়া খেলাকে নোংরা বলেছেন, মাদককে নোংরা বলেছেন, আল্লাহ বিবাহ-বহির্ভুত শারিরীক সম্পর্ককে নোংরা আখ্যায়িত করেছেন। প্রকৃতপক্ষে কুরআনের একটি আয়াত এই একই শব্দ ‘খাবিছ’ ব্যবহার করেছে কওমে লূতকে বর্ণনা করার জন্য। আল্লাহ বলেছেন, وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْقَرْيَةِ الَّتِي كَانَتْ تَعْمَلُ الْخَبَائِثَ - ওয়ানাজ্জাইনাহু মিনাল ক্বরইয়াতিল্লাতি কানাত তা’মালুল খবাইছ। আল্লাহ ক্বওমে লূতের সমকামীতাকে খবাইছ বা খবিছ বলে আখ্যায়িত করেছেন, তিনি এটাকে আক্ষরিকভাবেই খবিছ বলেছেন। আর এখন আল্লাহ আমাদের বলছেন যে, তইয়্যিব এবং খবিছ সমান নয়। যদিও আইন পাশ হয়ে থাকে, যদিও রাজনৈতিক বিবেচনায় এটা ভুল অথবা সঠিক হয়, এটা আল্লাহর শরীয়াকে পরিবর্তন করবে না। তইয়্যিব তো তইয়্যিবই থাকবে, আর খবিছও খবিছই থাকবে। তাই যখন কাজের প্রসঙ্গ আসবে, যখন কর্মের প্রসঙ্গ আসবে, পবিত্র কাজ হলো তা-ই যা আল্লাহর কাছে সন্তোষজনক। আর এটা ছাড়া অন্য সবকিছুই অপবিত্র। যখন নৈতিকতার প্রসঙ্গ আসে, যখন মূল্যবোধের প্রসঙ্গ আসে, সেক্ষেত্রে কে সিদ্ধান্ত নিবে যে কোনটা নৈতিক, আর কে সিদ্ধান্ত নিবে যে কোনটা ধর্মহীনতা ? আল্লাহ কুরআনে বলেছেন যে, তিনি রাসূল (স) কে প্রেরণ করেছেন। কেনো ? يُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ - ইউহিল্লু লাহুমত তইয়্যবাত, ওয়াইউহাররিমু ‘আলাইহিমুল খবাইছ, অর্থাৎ তাঁকে প্রেরণ করা হয়েছে পবিত্র জিনিসকে হালাল করার জন্য এবং খবিছ জিনিসকে হারাম করার জন্য। তো শরিয়া আমাদের বলছে কোনটা নোংরা আর শরিয়া আমাদের বলছে কোনটা পবিত্র। শরিয়া এসেছে পৃথক করার জন্য। প্রসঙ্গক্রমে, এখানে কৌতুহল জাগ্রতকারী একটি বিষয় রয়েছে। আর তা হলো, কি হতো যদি আমরা শরীয়াহ না জানতাম। শরীয়াহ আসার আগে অবস্থা কী ছিলো ? এর অর্থ কি এটা যে, আমরা জানি না যে, হত্যা হলো খবিছ, কওমে লূতের কাজ হলো খাবিছ ? না, আয়াতটি লক্ষ করুন। يُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ - ইউহিল্লু লাহুমত তইয়্যবাত, ওয়াইউহাররিমু ‘আলাইহিমুল খবাইছ। তইয়্যিবগুলো তইয়্যিবই ছিলো, আল্লাহ ওহী নাযিল করারও পূর্বে। আর খবিছগুলো খবিছই ছিলো, আল্লাহ ওহী নাযিল করারও পূর্বে। তো হত্যা খারাপ কাজ, যদি আপনি শরীয়াহ সম্পর্কে না-ও জানেন, হত্যা খারাপ কাজই থাকবে। বৃদ্ধ বাবা-মায়ের তত্ত্বাবধান করা হলো সৎগুণ, যদিও আপনি শরীয়া না জেনে থাকেন। কিন্তু শরীয়া যা নিয়ে এসেছে তা হলো, এটা আপনাকে শেখায় যা আপনি ইতোমধ্যে সত্য বলে জানেন। আর যদি আপনার ফিতরা কলুষিত হয়ে যায়, যদি আপনি সত্য না জেনে থাকেন, সেক্ষেত্রে শরিয়া আপনাকে সত্য শিক্ষা দিবে। কখনো কখনো সমাজ কলুষিত হয়ে যায়। কখনো কখনো আপনি খবিছ এবং তইয়্যিব জানেন না, কারণ আপনার সমাজ এদুটিকে স্থানান্তরিত করে ফেলেছে। মানব ইতিহাসের দীর্ঘ সময় ধরে বর্ণবাদকে স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এই বিশ্বাস যে একটি জাতি অন্য জাতি থেকে উত্তম। এই বিশ্বাস যে একটি শ্রেণী অন্য শ্রেণী থেকে উত্তম। এটাই ছিলো সকল সমাজের স্বাভাবিক অবস্থা। যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহ শরিয়াহ নাযিল করলেন। আর রাসূল (স) বললেন, তোমরা সকলেই সমান, তোমরা সকলেই আদমের সন্তান, আর তোমরা সকলেই মাটি থেকে সৃষ্ট, আদমও সৃষ্টি হয়েছেন মাটি থেকে। তো শরীয়াহ আমাদেরকে শিখিয়েছে তইয়্যিব এবং খবিছ, যদিও শরিয়াহ আসার আগেও যদি ভালোভাবে চিন্তা করতেন, তখনো এই জিনিসগুলোর পার্থক্য বুঝতে পারতেন। কিন্তু শরিয়া ছাড়া কিভাবে এটা যাচাই করবেন ? তো এখানে বিষয়টি হলো, নৈতিকতা, সৎগুণ- এগুলো শরীয়া আমাদের শেখায়। পরবর্তী বিষয়টি হলো, খাবার এবং পানীয়ের ক্ষেত্রে, শরিয়াহ তইয়্যিবগুলোকে হালাল করেছে এবং খবিছগুলোকে হারাম করেছে। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ - ইয়া আইয়্যুহাররুসুলু কুলু মিনাত তইয়্যিবাত, অর্থাৎ হে রাসূলগণ, তইয়্যিব খাবারগুলো গ্রহণ করুন। আর আল্লাহ বলেছেন, كُلُوا مِن طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ - কুলু মিন তইয়্যিবাতি মা রযাক্বনাকুম, অর্থাৎ আমি যে তইয়্যবগুলো দিয়েছি তা থেকে খাবার গ্রহণ করো। তো শরিয়া আমাদেরকে শিখাতে এসেছে, খাবার এবং পানীয়ের ক্ষেত্রে কোনটা তইয়্যিব এবং কোনটা খবিছ। আর সর্বশেষ যে বিষয়টি আজ উল্লেখ করবো তা হলো, আমাদের রিজিকের ক্ষেত্রে তইয়্যিব এবং খবিছ। উপার্জনের ক্ষেত্রে কোনটা হারাম, কোনটা হালাল, উপার্জন হিসেবে কোনটা নোংরা আর কোনটা পবিত্র এবং কোন উপার্জনটা অপবিত্র তা জানানোর জন্যও শরিয়া এসেছে। অতীত যুগের আমাদের এক চিন্তাবিদ হাসান আল-বাসরী বলেছেন, "যদি সদাকা হিসেবে আমি একটি পয়সা দান করি যা পবিত্র উপায়ে উপার্জন করেছি, এটা এমন একলক্ষ স্বর্ণমুদ্রা দান করার চেয়েও আমার কাছে অধিকতর প্রিয় যার মধ্যে অপবিত্রতা রয়েছে।" একটি পবিত্র পয়সা, একটি পয়সা যা আমি হালাল বলে জানি, যদি আমি এটা আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় দান করি, এটা আমার কাছে অনেক প্রিয় - একলক্ষ স্বর্ণমুদ্রার চেয়ে যাতে হালাল এবং হারামের মিশ্রণ রয়েছে; আমি এটা চাই না। তো শরিয়া এসেছে আমাদের উপার্জনের মধ্যেও তইয়্যিবকে নিশ্চিত করার জন্য। যদি অন্য সকলে সুদে লিপ্ত থাকে, অন্য সকলে হারামে লিপ্ত থাকে, অন্য সকলে প্রতারণায় লিপ্ত থাকে, এতে কিছু আসে যায় না। لَا يَسْتَوِي الْخَبِيثُ وَالطَّيِّبُ وَلَوْ أَعْجَبَكَ كَثْرَةُ الْخَبِيثِ - লা ইয়াসতাউইল খবিছু ওয়াত তয়্যিবু ওয়ালাও আ’জাবাকা কাছরাতুল খবিছ। এই আয়াতটি আমাদের জন্য একটি স্মারকচিহ্ন। এটা আমাদের নিজেদেরকে যাচাইয়ের একটা মাধ্যম। যখন আমাদের বিশ্বাসের প্রশ্ন আসে, যখন আমাদের কার্যকলাপের প্রশ্ন আসে, যখন আমাদের নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের প্রশ্ন আসে, যখন আমাদের খাবার এবং পানীয়ের প্রশ্ন আসে, যখন আমাদের আয়ের উৎসের প্রশ্ন আসে, এতে কিছু আসে যায় না যে সমাজ কী করছে, কিছু আসে যায় না যে সংখ্যাগরিষ্ঠরা কী করছে, সংখ্যাগরিষ্ঠরা সঠিকও হতে পারে ভুলও হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠরা ভুলের দিকেই থাকে। শরিয়া এসেছে আমাদেরকে শেখানোর জন্য যে, কোনটা তইয়্যিব এবং কোনটা খবিছ। আর এই জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে আমরা কৃতকর্ম সম্পন্ন করবো। এই আয়াতের উপরে ইবনে ‘আব্বাসের তাফসীর উল্লেখ করার মাধ্যমে আমি সমাপ্তি টানছি। ইবনে আব্বাস (রা) বলেছেন, এই আয়াতে খবিছ এবং তইয়্যিব বলতে মূলত ইমানদার এবং কাফেরের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। আর আল্লাহ বলছেন, ইমানদার এবং কাফের কখনোই সমান হবে না, যদিও কাফেররা সংখ্যায় অনেক হয়ে থাকে। তাদের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত, তারা অনেক বেশি, এটা বাস্তবতাকে পরিবর্তন করবে না। একজন মাত্র ইমানদার আল্লাহর কাছে এরকম সকল মানুষের চেয়ে প্রিয় যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে। لَا يَسْتَوِي الْخَبِيثُ وَالطَّيِّبُ - লা ইয়াসতাউইল খবিছু ওয়াত তইয়্যিব - কাফের এবং ইমানদার কখনোই সমান নয়। যদি আল্লাহকে যারা অস্বীকার করে তাদের পরিমাণ অনেক বেশিও হয়, তবুও আল্লাহর ভালোবাসা তইয়্যিবদের উপরই আসবে। তো আমাদের কাজ হলো তইয়্যিব হওয়া- আমাদের ইমানে, আমাদের কাজে-কর্মে, আমাদের গুণাবলীতে, আমাদের খাবার গ্রহণে, আমাদের উপার্জনে। যখন আমরা এই সকল বিষয়ে তইয়্যিব হতে পারবো, আল্লাহ আমাদেরকে ইমানের দিক থেকে তইয়্যিবে পরিণত করবেন এবং আমাদেরকে প্রকৃত ইমানদার হিসেবে গণ্য করবেন। তো আমরা আল্লাহ কাছে সেই সুরক্ষা এবং ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষা করি এবং তাঁর কাছে খবিছ এবং খাবাইছ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি। [খবিছ একবচন এবং খাবাইছ বহুবচন] -- শায়েখ ইয়াসির কাদি

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট