নবী লূত (আ) এর ঘটনা

 


ইনশা আল্লাহ আজকের শিক্ষাটি হবে অত্যন্ত কৌতুহল জাগ্রতকারী একটি শিক্ষা। সূরা হূদের আয়াত নং ৭৮। আল্লাহ এখানে নবী লূত (আ) এর ঘটনা উল্লেখ করেছেন। আর লূত (আ) সাদুম এবং গামোরার অধিবাসীদের দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিলেন যারা পাপাচারে লিপ্ত ছিলো। ফেরেশতারা আসলো নবীর সাথে সাক্ষাত করার জন্য। আর লোকেরা আসলো মানুষবেশী ফেরেশতাদের নিয়ে যেতে এবং তারা যে পাপে লিপ্ত ছিলো ফেরেশতাদের সাথেও জোরপূর্বক তা করতে চাইলো। তখন নবী লূত তাদেরকে বললেন, أَلَيْسَ مِنكُمْ رَجُلٌ رَّشِيْدٌ - আলাইসা মিনকুম রজুলুন রশীদ, অর্থাৎ তোমাদের মাঝে কি একজনও বিবেচনাসম্পন্ন মানুষ নেই ? এমন একজন মানুষও কি নেই যার স্বাভাবিক বিবেচনা বোধ রয়েছে, যে তোমাদের সবার মধ্যে একজন ভালো মানুষ ?

এখন এই আয়াতটিকে বিভিন্নভাবে বোঝা সম্ভব। অবশ্যই সরল অর্থ হলো, গোটা শহরটি এতোটাই কলুষিত হয়ে গিয়েছিলো যে, একজন ব্যক্তিও যুক্তিসংগত কথা বলতে ইচ্ছুক ছিলো না। তাদের পাপকাজে শহরটি এতোটাই কলুষিত হয়ে গিয়েছিলো যে, একজন মাত্র ব্যক্তিও জনস্রোতের বাইরে ছিলো না। গোটা শহরের প্রত্যেক মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছিলো। আর আমরা বিশ্বাস করি এবং কুরআনও উল্লেখ করেছে যে, ফেরেশতাদের আকৃতি ছিল খুবই সুন্দর, তাঁরা অত্যন্ত সুদর্শন আকৃতি নিয়ে এসেছিলেন। তো যখন তাঁরা আসলেন, যখন তাঁরা সেখানে প্রবেশ করলেন, শহরের মানুষেরা লোলুপদৃষ্টিতে প্রতিক্ষা করছিলো। শহরের মানুষেরা জোরপূর্বক পাপকাজে লিপ্ত হতে চাইলো। তাই তারা নবী লূতের বাড়ি ঘেরাও করলো আর বললো, তোমার মেহমানদের আমাদের হাতে তুলে দাও। নবী লূত আলাইহিস সালাম বললেন, هَٰؤُلَاءِ ضَيْفِي فَلَا تَفْضَحُونِ - হাউলাই দইফি, ফালা তাফদহুন, অর্থাৎ আমাকে লজ্জিত করো না; এরা আমার মেহমান। তোমরা কিভাবে এরকম করতে পারো ? তিনি তাদেরকে বললেন, আল্লাহর কাছে তওবা করো এবং আল্লাহর দিকে ফিরে আসো। যদি তোমরা ইসলাম গ্রহণ করো, هَؤُلاءِ بَناتِي هُنَّ أطْهَرُ لَكم - হাউলাই বানাতি, হুন্না আতহারু লাকুম - আমি আমার নিজের কন্যাদের সাথে তোমাদের বিয়ে দিবো। তোমরা যদি সৎকর্মশীল হয়ে থাকো, তাহলে স্বাভাবিক আচরণ করো। অস্বাভাবিক কাজে লিপ্ত হয়ো না। তারপর তিনি বললেন, তোমাদের মাঝে কি একজন ব্যক্তিও নেই যে স্বাভাবিক বিবেচনার অধিকারী ? মাত্র একজন ব্যক্তিও কি নেই যে সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী? তো, মৌলিক পর্যায়ে আয়াতটি আমাদের বলছে যে, সমাজের কলুষিত হওয়াটা খুবই সহজ, আর বিশেষত নির্দিষ্ট এই পাপটির ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি সত্য। এটা এরকম যেনো আপনি আপনার বিচারবুদ্ধি হারিয়ে ফেলেন। প্রকৃতপক্ষে অন্য একটি আয়াতে আল্লাহ যৌন কামনা এবং লালসার অনুসরণ নিয়ে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি বাস্তবতার উল্লেখ করেছেন। অন্য একটি আয়াতে এসেছে, লূত তাঁর জাতিকে বললেন, যদি তোমরা তওবা করো, আমি আমার কন্যাদেরকে দিবো যাতে তোমরা বিয়ে করতে পারো। هُنَّ أطْهَرُ لَكم - হুন্না আতহারু লাকুম। তারপর আল্লাহ বলেছেন, لَعَمْرُكَ إِنَّهُمْ لَفِي سَكْرَتِهِمْ يَعْمَهُونَ - লা’আমরুকা ইন্নাহুম লাফি সাকরাতিহিম ইয়া’মাহুন। আল্লাহ বলেছেন, আমি আপনার জীবনের শপথ করে বলছি ইয়া রাসূলুল্লাহ। আল্লাহ কখনোই কোনো মানুষের জীবনের উপর শপথ করেননি, শুধুমাত্র রাসূল (স) এর জীবন ছাড়া। অবশ্যই আল্লাহ সৃষ্টি জগতের উপর শপথ করেছেন; যেমন وَٱلشَّمۡسِ وَضُحَىٰهَا وَٱلۡقَمَرِ - ওয়াশ শামসি ওয়াদুহাহা ওয়াল ক্বমারি। তো তিনি কসম করেছেন, তিনি শপথ করেছেন রাসূল (স) এর জীবনের উপর। ইবনে আব্বাস বলেছেন, “এটা এজন্য যে, অন্য কোনো জীবনই তাঁর জীবনের চেয়ে বেশি পবিত্র এবং মহান নয়”। তাই আল্লাহ তাঁর জীবনের উপর কসম করেছেন। কসমের বিষয়বস্তু কি ছিলো ? لَعَمْرُكَ إِنَّهُمْ لَفِي سَكْرَتِهِمْ يَعْمَهُونَ - লা’আমরুকা ইন্নাহুম লাফি সাকরাতিহিম ইয়া’মাহুন। ইয়া রসূলাল্লাহ, আমি আপনার জীবনের শপথ করে বলছি যে, সেই লোকগুলো তাদের লালসার নেশায় আত্মহারা হয়ে পড়েছিলো আর উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো। আল্লাহ তাদের লালসাকে নেশা বলে আখ্যায়িত করেছেন- সাকরাহ (سَكْرَة) অর্থ নেশা। এই ধরণের মানুষকে আচ্ছন্নকারী এই লালসাটাকে আল্লাহ বাস্তবতা ভুলে থাকার অবস্থা বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাই আমাদেরকে উল্লেখ করতেই হবে যে, আপনার চারপাশে লক্ষ করুন। মানুষ এসব ব্যাপারে এমন ধরণের কথা বলছে যা শুনে মোটেও যুক্তসংগত মনে হয় না। পুরুষত্ব এবং নারীত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে, এজাতীয় আরো অনেক কিছু। বিষয়টা এরকম যেনো আমাদেরকে নতুন করে প্রমাণ করতে হবে যে সূর্য আলো ছড়াচ্ছে, আর তারা এটা বিশ্বাস করতে চাইছে না যে সূর্য আলো ছড়াচ্ছে। আল্লাহ যা বলেছেন আক্ষরিকভাবে তা-ই যেনো ঘটছে। তোমাদের মাঝে কি একজনও বিবেচনাসম্পন্ন মানুষ নেই ? তারা বিচারবুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছে। তারা যা বলছে তা কোনোভাবেই যুক্তিসংগত মনে হয় না। চিন্তার বিবেচনায় না, শরিয়ার বিবেচনায় না, বিজ্ঞানের বিবেচনায় না, ইতিহাসের বিবেচনায়ও না। আল্লাহ আক্ষরিকভাবেই এটা বলছেন। তো এটা হচ্ছে একটা অর্থ। কিন্তু আসলে এই আয়াতটির অন্য আরো অর্থ রয়েছে। আমি আরো দুইটি অর্থ উল্লেখ করবো। أَلَيْسَ مِنكُمْ رَجُلٌ رَّشِيْدٌ - আলাইসা মিনকুম রজুলুন রশীদ। আরেকটি অর্থ হলো, লূত (আ) জনসমষ্টির পর্যায়ে কথা বলছেন না, বরং ব্যক্তিগত পর্যায়ে কথা বলছেন। হে লোকেরা, সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুসরণ করো না; কমপক্ষে নিজেকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করো। কমপক্ষে একজন ব্যক্তি বলো যে, অন্য সকলের বিষয়ে আমি পরোয়া করি না। কারণ আমরা কুরআন থেকে শিখতে পাই যে, শেষ বিচারের দিনে মানুষ বলবে, ও আল্লাহ, আমাদের দোষ নেই, إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءَنَا - ইন্না আত’না সাদাতানা ওয়া কুবারাআনা - আমরা অন্য সকলের অনুসরণ করেছিলাম, আমরা সমাজের নেতাদের অনুসরণ করেছিলাম। আর আল্লাহ তাদেরকে বলবেন, ফেরেশতাগণ তাদেরকে বলবেন, রাসূলগণ তাদেরকে বলবেন, “চারপাশের মানুষদের না, বরং সত্যের অনুসরণ করাই তোমাদের উচিৎ ছিলো”। তো আমরা এই আয়াতটি থেকে শিখলাম যে, আপনি অন্য সকলের অনুসরণ করতে পারবেন না, আপনি সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুগামী হতে পারবেন না। সত্য উপলব্ধি করার বিবেচনাটি আপনার নিজেরই থাকতে হবে। أَلَيْسَ مِنكُمْ رَجُلٌ رَّشِيْدٌ - আলাইসা মিনকুম রজুলুন রশীদ। আপনার নিজেরই স্বাভাবিক বিবেচনাকে কাজে লাগাতে হবে। রশীদ অর্থ তাদের স্বাভাবিক বিবেচনা রয়েছে, তাদের ‘আক্বল রয়েছে এবং তারা সঠিক পথে পরিচালিত। তো লূত যেনো এটাই বলছেন যে, “অন্য সকলে কি চিন্তা করছে তা ভুলে যাও, জনস্রোতের সাথে চলার কথা ভুলে যাও, তোমার উঠে দাঁড়াতে হবে এবং পরিবর্তন ঘটাতে হবে। কারণ তোমার নিজের জবাব নিজেকেই দিতে হবে”। আল্লাহ কুরআনে বলছেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ - ইয়া আইয়্যুহাল্লাযিনা আমানু ‘আলাইকুম আনফুসাকুম, অর্থাৎ হে ইমানদারগণ, তোমাদের দায়িত্ব তোমাদেরই উপর। لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا ٱهْتَدَيْتُمْ - লা ইয়াদুররুকুম মান দল্লা ইযাহতাদাইতুম, অর্থাৎ যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবেনা যতক্ষন পর্যন্ত তোমরা সৎপথে আছো। তো কুরআনে আমাদের শিখানো হচ্ছে যে, أَلَيْسَ مِنكُمْ رَجُلٌ رَّشِيْدٌ - আলাইসা মিনকুম রজুলুন রশীদ। আপনিই হবেন বিবেচনাসম্পন্ন এবং বিচক্ষণ, যদি অন্য সকলে অবুঝও হয়ে থাকে। যদি গোটা সমাজ অবুঝও হয়, আপনি নিজে কেনো অবুঝ থাকবেন ? আয়াতটির পরের অর্থটি আসলেই অত্যন্ত গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। বিখ্যাত একজন তাফসীরকারক, ইবনে ‘আতিয়্যাহ (ابن عطية) বলেছেন, أَلَيْسَ مِنكُمْ رَجُلٌ رَّشِيْدٌ - আলাইসা মিনকুম রজুলুন রশীদ - এই আয়াতটি দিয়ে বুঝাচ্ছে যে, লূত (আ) কমপক্ষে একজন মানুষকে অন্য সকল মানুষের মাঝে পরিবর্তনের সূচনা করার আহ্বান জানাচ্ছেন। কারণ পরিবর্তন শুরু হয় একজন সাহসী মানুষের দ্বারা। এটা অত্যন্ত শক্তিশালী একটি বার্তা। বার্তাটি কি ? একজন ব্যক্তিই একটি বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম। আর লূত বলছেন, এমন একজন মানুষ কি নেই যে উঠে দাঁড়াবে এবং সত্য কথা বলবে ? কারণ যখন সেই একজন ব্যক্তি সত্য কথা বলবে, ইনশা আল্লাহ অন্যরাও তার অনুসরণ করবে। আমার সেই প্রথম সাহসী প্রাণসত্ত্বাটি প্রয়োজন, আমার একজন নেতা প্রয়োজন যে উঠে দাঁড়াবে এবং সেই পরিবর্তন সংঘটিত করবে। আর এই আয়াত থেকে আমরা ক্ষমতায়নের একটি ধারণা পাই। নেতৃত্ব ভেতর থেকে শুরু হয়। পরিবর্তনের শুরু হবে আমার নিজের থেকে। আর আল্লাহর শপথ, প্রিয় ভাইয়েরা, ইতিহাস আমাদেরকে এটা শিক্ষা দেয় যে, সকল পরিবর্তনই শুরু হয়েছে একজন মানুষের দ্বারা, যে উঠে দাঁড়িয়েছে এবং পরিবর্তনের সূচনা ঘটিয়েছে। সকল পর্যায়েই এটা সত্য। ইসলামের ক্ষেত্রেও, রাসূলগণ শুরু করেছেন একাকী। অবশ্যই এটা আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু শুধুমাত্র রাসূলদের ক্ষেত্রেই না, এমনকি রাসূলদের অনুসারীদের ক্ষেত্রেও এটা সত্য। কিভাবে প্রখ্যাত সব ‘আলেম, প্রখ্যাত সব মুজাদ্দেদ তাদের আন্দোলন শুরু করেছেন ? হোক সেটা শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলাবী, হোক সেটা শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া, হোক সেটা হুজ্জাতুল ইসলাম আল-গাযালী, হোক সেটা রশীদ গাঙ্গোহী, হোক সেটা হাসানুল বান্না, যেই প্রখ্যাত ‘আলেমের অনুসরণই আপনি করেন, তাঁরা কিভাবে শুরু করেছিলেন ? একজন মাত্র ব্যক্তি বলেছেন, আমাদেরকে কিছু একটা করতে হবে। আমাদেরকে পরিবর্তন আনতে হবে। আর তাঁরা উঠে দাঁড়িয়েছেন, তাঁরা প্রচার করেছেন, তাঁরা শিক্ষা দিয়েছেন। আর একক প্রচেষ্টায়, আল্লাহর আশির্বাদ এবং বারাকার দ্বারা তাঁরা এমন আন্দোলন গড়ে তুলেছেন যা প্রভাব ফেলেছে এবং ক্রমাগত প্রভাব ফেলে চলেছে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে। أَلَيْسَ مِنكُمْ رَجُلٌ رَّشِيْدٌ - আলাইসা মিনকুম রজুলুন রশীদ। পরির্তনের সূচনা হয় ব্যক্তি পর্যায় থেকে। এটা শুধু ইসলামিক মুজাদ্দিদগণের ক্ষেত্রেই না, আপনার চারপাশে লক্ষ করুন। ইতিহাসের ক্ষত্রে, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে, রাজনীতির ক্ষেত্রে - কিভাবে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে ? একজন ব্যক্তি এগিয়ে এসেছেন, একজন ব্যক্তি স্বপ্ন দেখেছেন এবং বলেছেন, আমাকে কিছু একটা করতে হবে। এমনকি প্রযুক্তির জগতেও; হতে পারে সেটা স্টিভ জবস অথবা অন্য কেউ। তাদের সেই স্বপ্ন এবং চিন্তা ছিলো। তাঁরা বলেছেন, আমাকে ব্যতিক্রম কিছু করতে হবে, কারণ বিদ্যমান অবকাঠামো সঠিকভাবে কাজ করছে না। তাঁরা উঠে দাঁড়িয়েছেন, আর আল্লাহর সাহায্যে তা করেছেন যা পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। তো, أَلَيْسَ مِنكُمْ رَجُلٌ رَّشِيْدٌ - আলাইসা মিনকুম রজুলুন রশীদ। প্রশ্নটি আমার এবং আপনার দিকে চলে যায় - তোমাদের মাঝে কি একজনও বিবেচনাসম্পন্ন মানুষ নেই ? তোমাদের মাঝে কি একজনও সুপথপ্রাপ্ত মানুষ নেই ? আপনি নিজের জীবনে পরিবর্তনের সূচনা করুন। নিজ সামর্থের মধ্যে আপনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। আর ইনশা আল্লাহ, যখন আপনি তা করবেন, ইবনে ‘আতিয়্যার ভাষ্য অনুযায়ী, যখন সৎকর্মশীলগণ উঠে দাঁড়াবেন এবং পরিবর্তনের সূচনা করবেন, তখন অন্যরা সেই পরিবর্তনের অনুসরণ করবে। আপনি অনুকরণীয় আদর্শে পরিণত হোন; আপনি কল্যাণ এবং সৎকাজ ছড়িয়ে দিন। আমাদের রাসূল (স) বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্যদেরকে কল্যাণের পথ পথপ্রদর্শণ করে, সে ঐ সকল মানুষের প্রতিদানও পাবে যারা সেই পথের অনুসরণ করেছে। তো, আমার এবং আপনার প্রতি বার্তা হলো, আসুন আমরা সেই পরিবর্তনের কারিগরে পরিণত হই, আসুন আমরা সেই ইতিবাচক নেতৃত্বে পরিণত হই। এমনকি সেটা যদি নিজ পরিবারের ভিতরেও হয়, বন্ধুমহলেও হয়, সেটা যে কোনো জায়গায় হতে পারে। আপনাকে শাইখুল ইসলাম হতে হবে না। কিন্তু আপনার সমাজের ভিতরে, আপনার পরিবারের ভিতরে সেই রজুলুন রশীদে পরিণত হোন, সেই সৎকর্মশীল ব্যক্তিত্বে পরিণত হোন। যার ফলে যখন আপনি সৎকাজের অনুকরণীয় আদর্শে পরিণত হবেন, অন্যরা আপনার অনুসরণ করবে। প্রিয় ভাইয়েরা, প্রশ্নটি আপনার কাছেই ফিরে আসছে - أَلَيْسَ مِنكُمْ رَجُلٌ رَّشِيْدٌ - আলাইসা মিনকুম রজুলুন রশীদ ? আল্লাহ আমাদেরকে সেই রজুলুন রশীদে পরিণত করুন। আল্লাহ আমাদেরকে সেই অনুকরণীয় আদর্শে এবং সুপথপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্বে পরিণত করুন। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। -- শায়েখ ইয়াসির কাদি

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট