পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

যারা শিশু সন্তান হারিয়েছেন

ছবি
  যারা শিশু সন্তান হারিয়েছেন তাদের জন্য খুবই সান্ত্বনাদায়ক হাদিস ----------------------- * ----------------------- শেষ বিচারের দিন শিশুদের শাফায়াত করার অধিকার থাকবে। যারা শৈশবে মারা গেছে। আর তাদের মাতা-পিতারা সে সময় ধৈর্য ধারণ করেছে। এসব শিশুদের শেষ বিচারের দিন শাফায়াত করার অধিকার দেওয়া হবে। আর অবশ্যই তারা তাদের পিতা-মাতার জন্য শাফায়াত করবে। এ সম্পর্কে বহু হাদিস আছে। তার মধ্যে মুসলিম শরীফের বিখ্যাত একটি হাদিস। রাসূলুল্লাহ (স) মহিলাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। প্রসঙ্গত: এটা রাসূলুল্লাহ (স) এর সুন্নাহ ছিল, তিনি মহিলাদের উদ্দেশ্যে নিয়মিত বক্তব্য প্রদান করতেন। বুখারী শরীফের একটি হাদিসে বর্ণিত আছে। মহিলারা রাসূলুল্লাহ (স) এর নিকট অভিযোগ করে বলেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ! পুরুষেরা সব সময় আপনাকে প্রশ্ন করার সুযোগ পায়। আমাদের সময় হয় না। অতঃপর তিনি প্রতি সপ্তাহে একবার মহিলাদের জন্য সময় নির্ধারণ করেন। (আমার এটা বলা উচিত না। আমি বোনদের জন্য মাসে একবার সময় প্রদান করি। তিনি করেছিলেন সপ্তাহে একবার। তিনি তো ছিলেন আল্লাহর রাসূল। তাঁর মাকাম আমাদের সবার চেয়ে উচ্চে। আমার পক্ষে সপ্তাহে একবার করা সম্ভ...

মুনাফিকির বিশাল বড় এক সংস্কৃতি

ছবি
  উপনিবেশ-পরবর্তী সময়ে ইসলামি আন্দোলনগুলোর যে সংকট তৈরী হয় তা হলো, ক্ষমতার প্রতি অতিমাত্রার একধরণের মোহাবিষ্টতা তৈরী হয়। এই মোহাবিষ্টতা ছিলো—আমাদের ভুখন্ডের অধিকার নিতে হবে, আমাদেরকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করতে হবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সমস্যা হলো—ধরুন, কোনো মুসলিম দেশে, যেমন পাকিস্তানে, কিছু ইসলামপন্থী মানুষ হুট করে ক্ষমতা দখল করলো, কিছু ধর্মভীরু সামরিক জেনারেল বললো, "আমরা দেশে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করবো, শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করবো।" এখন সবার অবস্থা এরকম— "তাকবির!" (উচ্চস্বরে)। তাই না ? আর আমরা আসলেই আনন্দিত, কারণ এখন আমরা পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক রাষ্ট্র পেলাম। ইসলামিক আইন অনুযায়ী সব হারাম জিনিস অপসারণ করা হবে— নাইটক্লাব বন্ধ হবে, বার বন্ধ করা হবে, সুদ বিলুপ্ত হবে। রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তিত হোলো। এটাই কি আসলে ইসলামের উদ্দেশ্য ? যদি তাই হয়, তাহলে আপনি ইসলামের আইন এমন এক জনগণের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন যাদের বেশিরভাগেরই এই আইনের প্রতি আগ্রহ নেই, তারা এটা মানতেও চায় না। তো, আপনি নিশ্চিত করছেন যে মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টির পরিবর্তে ভিন্ন উদ্দেশ্যে এই আইন মানছে। যার অর্থ, আপনি মুনাফিকির ...

সবর আসলে কী ?

ছবি
  সবর আসলে কী ? সবর হলো একটি অভ্যন্তরীন, মনস্তাত্ত্বিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক জিহাদ। কিভাবে ? আপনি আপনার মনঃকষ্টকে যুক্ত করবেন সেই পুরষ্কারের সাথে যা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যাশা করেন। এটাই হলো সবর। সবরের অবস্থান আপনার মনে। এটা বড় একটা সংগ্রাম। কারণ আপনার হৃদয় শূন্যতায় ছেয়ে আছে। আপনার অস্তিত্ত্ব বিলীন হওয়ার উপক্রম— “এর পরে আমি কিভাবে বাঁচবো !” সবর অর্থ—সেই দুর্দশা, সেই যন্ত্রণা, সেই কষ্টকে আপনি যুক্ত করবেন কিসের সাথে ? আল্লাহ থেকে প্রাপ্ত পুরষ্কারের সাথে। আর যখন আপনি এটাকে আল্লাহর পুরষ্কারের সাথে যুক্ত করবেন, যখন আপনি আল্লাহর পুরষ্কারের প্রত্যাশা করবেন, তখন সহসাই কোমল এক প্রশান্তি অনুভব করবেন। আপনি স্বস্তি অনুভব করবেন। আল্লাহ আমাকে যা প্রদান করবেন, তা আমি যা হারিয়েছি তা থেকে উত্তম। যখন আমি আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবো, আল্লাহ আমাকে আমার এই যন্ত্রণার তুলনায় অনেক বেশী দান করবেন—এই চিন্তাই যন্ত্রণাটিকে সহনযোগ্য করে দিবে। এটাই হলো সবর। তো আপনি যখন এভাবে চিন্তা করবেন—যন্ত্রণাটি কিন্তু এখনো বিদ্যমান, হৃদয়ের শূন্যতা এখনো বর্তমান—তখন সহসাই আপনি নিজেকে আল্লাহর মহাপরিকল্পনার কাছে সমর্পণ করে দিবেন।...

রাত-দিন এবং নারী-পুরুষের সম্পর্ক

ছবি
  রাত-দিন এবং নারী-পুরুষের সম্পর্ক  আমরা পৃথিবী দিয়ে শুরু করছি। সূরা নাবায় আল্লাহ তায়ালা বলেন- "اَلَمۡ نَجۡعَلِ الۡاَرۡضَ مِهٰدًا" - "আমি কি যমীনকে (তোমাদের জন্য) শয্যা বানাইনি?" وَّ الۡجِبَالَ اَوۡتَادًا - আর পর্বতসমূহকে পেরেক? জমিনের উপর। কুরআন বর্ণনা করেছে পৃথিবী নড়াচড়া করে, ঝাঁকুনি দেয়। আর পর্বতসমূহ একে আটকে রাখে। সামলে রাখে।  এখন, আরবিতে জমিনের জন্য যে শব্দ ব্যবহার করা হয় তা স্ত্রীবাচক। আর পর্বত পুরুষবাচক। জমিন আবার জন্ম দান করে। গাছ-গাছালি, লতা-পাতা জমিন থেকে বের হয়ে আসে।  এ কারণে একে আবার মিহাদা বলা হয়। মিহাদ হলো মায়ের কোল।  পুরুষকে বর্ণনা করা হয়েছে পরিবারের ভরণপোষণের যোগানদাতা হিসেবে। পরিবারে স্থিতিশীলতা, শান্তি-শৃঙ্খলা ইত্যাদি ধরে রাখার দায়িত্ব তার।  প্রথমে আল্লাহ বর্ণনা করেছেন জমিন এবং পর্বত বিবাহিত। ঠিক এরপরেই তিনি বলেন পুরুষ আর মহিলা বিবাহিত। "ওয়া খালাকনাকুম আজওয়াজা।" ব্যাপারটা চমৎকার নয় কি? জমিন এবং পর্বত একে অপরের জোড়া। মনে মনে একটি চিত্র কল্পনা করুন।  বিশাল আয়তনের জমিন। আর জমিনের উপর দাঁড়িয়ে আছে দৃষ্টিনন্দন বিশাল এক পর্বত।  এই ...

যারা জান্নাতের ভোগবিলাসের সমালোচনা করে

ছবি
  যারা জান্নাতের ভোগবিলাসের সমালোচনা করে তাদের জন্য কিছু উত্তর— জান্নাত কিন্তু বাগান, নদ-নদী, সঙ্গী এবং প্রাসাদের চেয়েও বেশী কিছু। জান্নাত এর চেয়েও বেশি। এগুলো সহজ উপায়ে বোঝার পন্থা, আমরা যা কামনা করি। কিন্তু বাস্তবতা এর চেয়ে অনেক বেশী। এবং এখানে মূল কথা, জান্নাত হলো— যা আপনি আকাঙ্ক্ষা করেন। [لَهُم مَّا يَشَاءُونَ فِيهَا] - সেখানে তারা যা ইচ্ছা করবে তাই পাবে। তাই, কিছু মানুষ তাদের প্রশান্তি এবং আনন্দের জন্য অন্য জিনিসও কামনা করতে পারে এবং তারা সেসব জিনিস পাবে। [لَهُم مَّا يَشَاءُونَ فِيهَا]। হ্যাঁ, এটা সত্য যে কুরআন এমন একটি জান্নাতের বর্ণনা দিচ্ছে যা নির্দিষ্ট কিছু মানুষের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এতে সমস্যার কোনো কারণ নেই। এটি অবশ্যই তা করবে। এটি সরাসরি সেইসব মানুষকে সম্বোধন করবে যারা এর প্রত্যক্ষ শ্রোতা এবং যাদের নিকট এটি অবতীর্ণ হয়েছে। কিন্তু মূল বিষয় হলো, জান্নাতে আপনি যা চান, তা-ই পাবেন, যা কামনা করেন এবং যা আকাঙ্ক্ষা করেন। এবং এটাই মূল বিষয়। আমরা এর উপরই বারবার জোর দিতে থাকবো। প্রসঙ্গক্রমে, আরও একটি বিষয় এখানে যোগ করতে হবে। এবং তা হলো, এই লোকেরা যারা আমাদের বিশ্বাস নিয়ে...

হযরত ওমরের মৃত্যু এবং নামাজের গুরুত্ব

ছবি
  হযরত ওমরের মৃত্যু এবং নামাজের গুরুত্ব --------------- * ------------------- আমাদের রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, "তোমাদের মাঝে কেউ যদি মদিনাতে মারা যেতে পারে সে যেন মদিনাতে মারা যায়। কারণ, আমি শেষ বিচারের দিন তার জন্য সুপারিশ করবো।" তাই, হযরত ওমর (রা) আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন- "ও আল্লাহ! আমাকে শহীদি মৃত্যু দান করুন এবং ও আল্লাহ! আমাকে রাসূলুল্লাহর শহর মদিনাতে মৃত্যু দান করুন।" এ দোয়া শুনে তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ (রা) বলেন- ইয়া আবাতা! ও আমার প্রিয় বাবা! এ দুইটি দোয়া কীভাবে একসাথে ঘটবে? অর্থাৎ, সে সময় যদি শহীদি মৃত্যু চাইতেন আপনাকে কোথায় যেতে হতো? যুদ্ধের ময়দানে। যে যুদ্ধগুলো সংঘটিত হচ্ছিল রোমান এবং পারস্য সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে মদিনা থেকে শত শত মাইল দূরে। তৎকালীন মদিনা ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ শহর। তাই, আব্দুল্লাহ (রা) বুঝতে পারছিলেন না যে এ দুইটি দোয়া কীভাবে একত্রে বাস্তবায়িত হবে। কীভাবে তিনি মদিনাতে শহিদ হবেন। উত্তরে হযরত ওমর বলেন- "আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন।" সবকিছুই সম্ভব। মুগিরা ইবনে শু'বা (রা) এর দাস আবু লু'লু আল-মাজুসি হযরত ওমর (রা) কে হ...

তারা কি আসলে স্বাধীন নাকি বন্দী?

ছবি
  যারা যা খুশি তা-ই করে তারা কি আসলে স্বাধীন নাকি বন্দী? প্রত্যেক ব্যক্তি তার কৃত কর্মগুলোর দ্বারা জিম্মি হয়ে আছে। মানুষ মদ্যপানের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। মানুষ যৌন আসক্তি দ্বারা, পর্নোগ্রাফি দ্বারা জিম্মি হয়ে আছে। মানুষ মাদকের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। মানুষ সময়ের অপচয় দ্বারা জিম্মি হয়ে আছে। তাদের দোষ যা-ই হোক, তাদের অপরাধ যা-ই হোক, তারা সেটার দ্বারা জিম্মি। তারা এর মধ্যে নিজেদেরকে নিমজ্জিত রেখেছে। একমাত্র কিছু মানুষ আসলে এই আসক্তিগুলো, এই বদভ্যাসগুলো থেকে মুক্ত রয়েছে। আমাদের বলা হয়েছে, ইন্টারনেট ব্রাউজিং-এ তুমি স্বাধীন। ইন্টারনেট ব্রাউজিং-এ তুমি স্বাধীন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুকতে তুমি স্বাধীন। কিন্তু যদি আপনি আপনার ফোনটি সরিয়ে রাখেন; যদি আপনি দীর্ঘ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় অভ্যস্ত হন; ধরুন, ১৪, ১৫ বছর বছর বয়সী একজন কিশোর, সে যা কিছু দেখার, দেখছে। আর আপনি যদি ফোনটি কেড়ে নেন, সেই কিশোরের কী ঘটে ? সে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে, তার মেজাজ খারাপ হয়, তার মানসিক যন্ত্রণা শুরু হয়, সব ধরণের অদ্ভুত বিষয় শুরু হয়ে যায়। জানেন কেনো ? কারণ তারা আসলে সেই ডিভাইস দ্বারা বন্দী। তারা আসলে মোটেও স্বাধীন নয়।...