Posts

Showing posts from May, 2020

শাওয়াল মাসের ফজিলত ও আমল

Image
শাওয়াল মাসের ফজিলত ও আমল শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী শাওয়াল ইসলামি মাসগুলোর মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এ মাসের বহুবিধ তাৎপর্য রয়েছে। আরবি চান্দ্রবর্ষের দশম মাস শাওয়াল। এটি হজের তিন মাসের (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ) অগ্রণী। এ মাসের প্রথম তারিখে ঈদুল ফিতর বা রমাদানের ঈদ। পয়লা শাওয়াল সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা আদায় করা এবং ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। এই মাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে হজের, এর সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে ঈদের; এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে রোজা ও রমাদানের এবং এর সঙ্গে যোগ রয়েছে সদকা ও জাকাতের। এই মাস আমল ও ইবাদতের জন্য অত্যন্ত উর্বর ও উপযোগী। ওয়াল মাসে ছয়টি নফল রোজা রাখা সুন্নাত। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: যারা রমাদানে রোজা পালন করবে এবং শাওয়ালে আরও ছয়টি রোজা রাখবে; তারা যেন পূর্ণ বছরই রোজা পালন করল। (মুসলিম: ১১৬৪; আবুদাউদ ২৪৩৩; তিরমিজি, নাসায়ি, ইবনে মাজাহ, সহিহ-আলবানি)। চান্দ্রমাস হিসেবে ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিনে এক বছর হয়। প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কমপক্ষে দশ গুণ করে দিয়ে থাকেন। এই হিসেবে রমাদান মাসে এক মাসের (৩০ দিনের) রোজা দশ গুণ হয়ে ৩০০ দিনের সমান হয়। অবশিষ্ট ৫৪ বা ৫৫ দিনের জন্য আরও ৬টি

তিনটি জিনিস

Image
তিনটি জিনিস  Mohammad Solyman Kaseme তিনটি জিনিস পেরেশানিতে রাখে ১. হিংসা। ২. অভাব। ৩. সন্দেহ।  তিনটি জিনিস সম্মান নষ্ট করে ১. চুরি। ২. চোগলখোরী। ৩.মিথ্যা।  তিনটি জিনিস ফিরিয়ে অানা যায় না ১. বন্দুকের গুলি। ২. কথা। ৩. রূহ।  তিনটি জিনিস জীবনে একবার অাসে ১. মাতা-পিতা। ২. সৌন্দর্য্য। ৩. যৌবন।  তিনটি জিনিসের উপর ভরসা করা ঠিক নয় ১. নদীর পাড়ের বাড়ী। ২. ব্রেক ছাড়া গাড়ী। ৩. পর্দা ছাড়া নারী। 

হালাল জীবিকা অর্জন অতীব গুরুত্ব পূর্ণ ফরয।

Image
হালাল জীবিকা অর্জন অতীব গুরুত্ব পূর্ণ ফরয। Mushahid Ali12 হালাল জীবিকা অর্জন করা একজন মুমিনের জন্য ফরজ।আর আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন ইবাদতের জন্য।ইবাদত করতে হলে সুস্থ শরিরের প্রয়োজন।সুস্থ শরিরের জন্য সুষম খদ্যের দরকার।খাদ্যার্জন পূরণ করার জন্য সম্পদের প্রয়োজন।এসম্পদ অর্জনের উপায় বৈধ ভাবে হওয়া চাই।তাই বলা হয়েছে-  طلب كسب الحلال فريضة بعد الفريضة   অর্থাৎ ফরয ইবাদাত আদায়ের পর হালাল রুজি রোজগার হচ্ছে ফরয। বৈধ আয় রোজগারঃআয় রোজগার বৈধ ভাবে করার জন্য ইসলাম জোর তাকিদ প্রদান করেছে।আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক হাদীছ হযরত নো ’ মান ইবনে বশীর থেকে বর্ণিত-তিনি বলেন,দয়াল নবী এরশাদ করেন-  الحلال بين والحرام بين و بينهما مشتبهات لا يعلمهن كثير من الناس فمن اتقي الشبهات استبرا لدينه و عرضه ومن وقع في الشبهات وقع في الحرام كا الراعي يرعي حول الحمي يوشك ان يرتع فيه الا وان لملك حمي الا وان حمي الله محارمه الا وان في الجسد مضغة اذا صلح صلحت الجسد كله واذا فسدت فسد الجسد الجسد كله الا و هي القب (متفق عليه )অর্থাত-হালাল সুস্পষ্ট এবং হারাম সুস্পষ্ট,আর এদের মাঝে আছে সন্দেহপ

ঈমানের স্বাদ

Image
ঈমানের স্বাদ মুহাম্মদ   ইবনুল   মূসান্না  ( রহঃ )  আনাস  ( রাঃ )  থেকে   বর্ণিত ,  রাসুলুল্লাহ   সাল্লাল্লাহু   আলাইহি   ওয়াসাল্লাম   ইরশাদ   করেনঃ   তিনটি   গুণ   যার   মধ্যে   থাকে ,  সে   ঈমানের   স্বাদ   পায়।   ১।   আল্লাহ্   ও   তাঁর   রাসূল )  তার   কাছে   অন্য   সব   কিছুর   থেকে   প্রিয়   হওয়া ;  ২।   কাউকে   খালিস   আল্লাহ্ ‌ র   জন্যই   মুহব্বত   করা ;  ৩।   কুফ্ ‌ রীতে   ফিরে   যাওয়াকে   আগুনে   নিক্ষিপ্ত   হওয়ার   মত   অপছন্দ   করা।

সকল পাপের মূল অহংকার, লোভ ও হিংসা

Image
সকল পাপের মূল অহংকার, লোভ ও হিংসা Mohammad Solyman Kaseme সকল পাপের মূল অহংকার, লোভ ও হিংসা  ১। অহংকারঃ যা ইবলিশের পতন ঘটিয়েছিল। ২। লোভঃ যা জান্নাত থেকে আদম আঃ কে বের করে দিয়েছিল। ৩। হিংসাঃ যা আদম আঃ এর এক সন্তানের বিরুদ্ধে অপর সন্তানকে প্রতিশোধ পরায়ান করে তুলেছিল। যে ব্যক্তি এই তিনটি জিনিসের অনিষ্ঠ থেকে বেঁচে থাকতে পারবে সে যাবতীয় অনিষ্ঠ থেকে বেঁচে থাকতে পারবে। কেননা কুফরির মূল কারন হল “অহংকার”। অন্যায়ের মূল উৎস হল “লোভ” যুলুম এবং সীমালংঘনের মূল সূত্র হল  "হিংসা"।

সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ নিশ্চিতভাবে ভালোবাসেন

Image
সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ নিশ্চিতভাবে ভালোবাসেন Mohammad Solyman Kaseme ১- যারা মুহসিন (পরম সুন্দর সৎকর্মশীল)।  বাক্বারাহঃ ১৯৫, মায়েদাহঃ ১৩। ২- যারা খুব বেশী তাওবা করেন।  বাক্বারাহঃ ২২২। ৩- যারা খুব বেশী পবিত্র থাকেন।  বাক্বারাহঃ ২২২। ৪- যারা আল্লাহর ওপর ভরসা করেন।  আলে এমরানঃ ১৫৯। ৫- যারা ইনসাফ করেন।  আল-মায়েদাঃ ৪২, আল-হুজুরাতঃ ৯, মুমতাহিনাঃ ৮। ৬- যারা মুত্তাক্বীন- আল্লাহভীতু।  আত-তাওবাঃ ৪, ৭। ৭- যারা লাইন ধরে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করেন।  আস-সাফঃ ৪।

ঈমান ধ্বংসকারী সাতটি বিষয়

Image
ঈমান ধ্বংসকারী সাতটি বিষয় আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী (সাঃ) বলেছেনঃ ঈমান ধ্বংসকারী সাতটি বিষয় থেকে বেঁচে থাক। সাহাবাগণ বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! সেই বিষয়গুলি কি? তিনি বললেনঃ (১) আল্লাহর সাথে শিরক করা, (২) জাদু করা, (৩) আল্লাহর যথার্থ কারণ ব্যতিত যাকে হত্যা করা নিষিদ্ধ করেছেন তাকে হত্যা করা, (৪) সুদ খাওয়া, (৫) (অন্যায়ভাবে) ইয়াতীমের সম্পদ খাওয়া, (৬) যুদ্ধ চলাকালে জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করা, (৭) সতী-সাধ্বী মুসলিম রমনীর উপর ব্যভিচারের মিথ্যারোপ করা, যে কখনও তা কল্পনাও করে না।” [বুখারীঃ ২৭৬৬]

মুসলমানদের শক্তির মূল ভিত্তি তাকওয়াঃ

Image
মুসলমানদের শক্তির মূল ভিত্তি তাকওয়া Mahmudul Huq মুসলমানদের শক্তির মূল ভিত্তি তাকওয়াঃ আল্লাহ পাক বলেছেন - يا ايها الذين امنوا اتقوا الله حق تقاته ولا تموتن الا وانتم مسلمون. سورة: ال عمران: 102. হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিত ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যু বরন করো না। আলে ইমরানঃ ১০২। তাকওয়ার পরিচয়ঃ তাকওয়া বা আল্লাহকে ভয় করা। অর্থাৎ তার অপছন্দনীয় কাজ কর্ম থেকে বেচে থাক। 'তাকওয়া' শব্দটি আরবি ভাষায় বেচে থাকা ও বিরত থাকার অর্থে ব্যবহৃত হয়। এর অর্থ ভয় করাও করা হয়। কারণ যে বিষয় থেকে বেচে থাকার নির্দেশ দেয়া হয় সেগুলো ভয় করারই বিষয়। তাতে খোদায়ী শাস্তির ভয় থাকে। রাসুল সাঃ বলেছেন-  التقوي ههنا يشير الي صدره.  তাকওয়ার স্থান হলো এখানে। এ উক্তি পেশ করে রাসুল সা বক্ক মোবারকের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। বাহ্যিক পোষাক আষাকের চাক চিক্য তাকওয়া নয়। বরং আল্লাহর বিধি-বিধান মনে প্রাণে মেনে নিয়ে আল্লাহর নিদর্শনাদিকে সম্মান করাই হলো  تقوي القلوب  আন্তরিক তাকওয়া। তাকওয়ার স্তর সমূহঃ তাকওয়ার তিনটি স্তর রয়েছে। তন্মধ্যে সর্ব নিম্ন স্তর হলো  كف

একই পশু দ্বারা কুরবানি ও আকিকা করা

Image
একই পশু দ্বারা কুরবানি ও আকিকা করা MD ABUL KASHEM প্রথম কথা হলো যে ,  কুরবানী ও আক্বীকা দুটোই সুন্নতে মোয়াক্কাদা । তবে দুটোর  Functions  সম্পূর্ণ ভিন্ন । একটি গরুর মধ্যে কুরবানী ও আক্বীকা দুটোরই একইসঙ্গে নিয়ত করা যেমন অযৌক্তিক  ,  ঠিক তেমনিভাবে এ জাতীয় আমল কোন ছহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয় । ফলে আলেম সমাজ একটি গরুতে এ দুটো কাজ একইসঙ্গে পালন করাকে বৈধ মনে করেন না । ***  একটি সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর জন্মের ৭ম দিন আক্বীকা করা সর্বোত্তম সুন্নত । ইহা ছহীহ হাদি স দ্বারা সাব্যস্ত । ১৫ দিনের মাথায় আক্বীকা করা দূর্বল হাদিস দ্বারা প্রমাণিত । আমাদের সমাজ গুলোতে গোটা বছরেরও আক্বীকা সম্পাদন না করে কুরবানীর দিনের জন্য সযত্নে রেখে দেয়া হয় !!! তাঁদেরকে কে বুঝাবে  ???  আলেমগণ তো স্বয়ং নিজেরাই এ জাতীয় আমল করে থাকেন !!! এক/ দুই বছর পর বা সন্তান জন্মের ৩/৪ মাস পর আক্বীকা করা হলে  ,  তা '  দ্বারা আক্বীকা বিশুদ্ধ হওয়ার কোন সুযোগ নেই । ইহা নিষ্ক্রীয় । তবে মাংস খাওয়াটা হতে পারে সক্রিয় !!! ***  আপনার নবজাত শিশুর ৭ম দিনটি যদি কুরবানীর দিনেও হয়ে থাকে তখনো আলাদাভাবে আক্বীকা সম্পন্ন করা হলো সর্বাধিক

ঈদ উদ্‌যাপন: আনন্দ ও ইবাদত

Image
ঈদ উদ্‌যাপন: আনন্দ ও ইবাদত শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ একটি ইবাদত। দ্বিতীয় হিজরি বর্ষের বদরের বিজয়ের ১৩ দিন পর পয়লা শাওয়াল প্রথম ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ উদ্‌যাপন করা হয়। একই বছর মদিনার সুদখোর মহাজন বনু কাইনুকা সম্প্রদায়কে নিরস্ত্র করার পর ১০ জিলহজ ঈদুল আজহা—কোরবানির ঈদ পালন করা হয়। নবীজি (সা.) বলেন, প্রত্যেক জাতির উৎসব আছে, আমাদের উৎসব হলো এই দুই ঈদ। (মুসলিম, তিরমিজি)। মুসলমানদের ধর্মীয় দুটি উৎসব—ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। ঈদের সঙ্গে নতুন চাঁদের নিবিড় সম্পর্ক। ‘হিলাল’ অর্থ নতুন চাঁদ, যা বাংলায় ‘হেলাল’। হিলাল ১ থেকে ৩ তারিখের চাঁদ। ‘হেলাল কমিটি’ মানে চন্দ্র কমিটি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো, চাঁদ দেখে রোজা ছাড়ো, ইফতার করো বা ঈদ করো।’ যে সন্ধ্যায় আকাশে চাঁদ দেখা যায়, সে রাত হলো ‘চাঁদরাত’। প্রতিটি মাসের চাঁদরাত গুরুত্বপূর্ণ। আরবি চান্দ্রবৎসরের নবম মাস রমজান এবং দশম মাস শাওয়াল। রমজানের রোজার শেষে পয়লা শাওয়াল ঈদুল ফিতর বা রমজানের ঈদ। শাওয়ালের চাঁদরাত হলো ঈদের রাত। ইসলামে যে রাতগুলো ইবাদতের জন্য এবং ফজিলতে পরিপূর্ণ, সেসবের অন্যতম এই ঈদের রা

‘আল কুদস’ মুসলমানদের প্রথম কিবলা

Image
‘আল কুদস’ মুসলমানদের প্রথম কিবলা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী ‘কুদস’ অর্থ পবিত্র। ‘আল কুদস’ হলো ফিলিস্তিনের জেরুজালেম পবিত্র ভূমিতে অবস্থিত পবিত্র মসজিদ, যা ‘মসজিদুল আকসা’ ও ‘বাইতুল মুকাদ্দাস’ নামে পরিচিত। মুসলমানদের কাছে বাইতুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসা সব সময় সম্মানিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) মিরাজ রজনীতে মসজিদুল হারাম তথা কাবা শরিফ থেকে মসজিদুল আকসা তথা বাইতুল মুকাদ্দাস প্রথম সফর করেন, যা ইসরা নামে পরিচিত। (সুরা-১৭ বনি ইসরাঈল, আয়াত: ১)। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মিরাজ গমনের সময় এই মসজিদে সব নবী রাসুলের ইমামতি করে নামাজ আদায় করেন। এতে তিনি ‘ইমামুল আম্বিয়া’ সব নবীর ইমাম ও ‘সাইয়েদুল মুরসালিন’ সব রাসুলের সরদার হিসেবে স্বীকৃত হন। এ এলাকা অসংখ্য নবী রাসুলের স্মৃতিবিজড়িত, এর আশপাশে অনেক নবী রাসুলের সমাধি রয়েছে। এটি দীর্ঘকালের ওহি অবতরণস্থল, ইসলামের কেন্দ্র এবং ইসলামি সংস্কৃতির চারণভূমি ও ইসলাম প্রচারের লালনক্ষেত্র। এই পবিত্র ভূমির ভালোবাসা প্রোথিত রয়েছে প্রত্যেক মুমিনের হৃদয়ের গভীরে। হজরত ইবরাহিম (আ.) কর্তৃক কাবা ঘর নির্মাণের ৪০ বছর পর, তদীয় পুত্র হজরত ইসহাক (আ.)–এর সন্তান হজরত ইয়াকুব (

সদকাতুল ফিতর

Image
সদকাতুল ফিতর Md. Jakaria Molla আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের শেষে একটি বিধান দিয়েছেন। অর্থাৎ ঈদের সালাত আদায়ের পূর্বে ‘সদকাতুল ফিতর’ আদায় করা। আজকের মজলিসে এ বিষয়ে কথা বলব। এর বিধান, উপকারীতা, শ্রেণী, পরিমাণ, অপরিহার্যতা, আদায় করার সময় ও স্থান সম্পর্কে আলোচনা করব। সদকাতুল ফিতরের বিধান: সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা মুসলিমদের উপর আবশ্যক করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা আদেশ করেছেন তা আল্লাহ তাআলা কর্তৃক আদেশ করার সমতুল্য। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন: “যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হুকুম মান্য করল, সে আল্লাহর হুকুমই মান্য করল। আর যে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করল, আমি আপনাকে তাদের জন্য পর্যবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি।“[ সুরা নিসা ৪: ৮০ ] আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন: “যে কেউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিরুদ্ধাচারণ করে, তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং মুমিনদের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ দিকে ফিরাব যে দিকে সে ফিরতে চায় এবং আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। তা নিকৃষ্টতম গন্তব্যস্থল।” [