শাওয়াল মাসের ফজিলত ও আমল
শাওয়াল মাসের ফজিলত ও আমল শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী শাওয়াল ইসলামি মাসগুলোর মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এ মাসের বহুবিধ তাৎপর্য রয়েছে। আরবি চান্দ্রবর্ষের দশম মাস শাওয়াল। এটি হজের তিন মাসের (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ) অগ্রণী। এ মাসের প্রথম তারিখে ঈদুল ফিতর বা রমাদানের ঈদ। পয়লা শাওয়াল সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা আদায় করা এবং ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। এই মাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে হজের, এর সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে ঈদের; এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে রোজা ও রমাদানের এবং এর সঙ্গে যোগ রয়েছে সদকা ও জাকাতের। এই মাস আমল ও ইবাদতের জন্য অত্যন্ত উর্বর ও উপযোগী। ওয়াল মাসে ছয়টি নফল রোজা রাখা সুন্নাত। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: যারা রমাদানে রোজা পালন করবে এবং শাওয়ালে আরও ছয়টি রোজা রাখবে; তারা যেন পূর্ণ বছরই রোজা পালন করল। (মুসলিম: ১১৬৪; আবুদাউদ ২৪৩৩; তিরমিজি, নাসায়ি, ইবনে মাজাহ, সহিহ-আলবানি)। চান্দ্রমাস হিসেবে ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিনে এক বছর হয়। প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কমপক্ষে দশ গুণ করে দিয়ে থাকেন। এই হিসেবে রমাদান মাসে এক মাসের (৩০ দিনের) রোজা দশ গুণ হয়ে ৩০০ দিনের সমান হয়। অবশিষ্ট ৫৪ বা ৫৫ দিনের জন্য আরও ৬টি