Posts

Showing posts from October, 2020

ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়...

Image
ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায় ... সালেহ ফুয়াদ সময়টা মূর্খতার। সময়টা হিংস্রতার। শুকনো অতৃপ্ত মরুভূমি রক্তের জন্য উতলা। পশুকে পানি পান করাতে গিয়ে সৃষ্ট কাজিয়ার সূত্রে বছরের পর বছর ধরে লড়াই চলছে অবিরাম। ধনী আর নির্ধনের বিরোধ চরমে। কালো আর ধলোর শ্রেণি–তফাত মাত্রাহীন। আরব আর অনারবের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে অহেতুক আভিজাত্যের বড়াই। মানুষের মূল্য খুব অল্প। দাসত্বের শৃঙ্খলে পেঁচিয়ে অর্থবিত্তে অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর ওপর সারা বিশ্বে চলছে অসহ্য নির্যাতন। আরবরা এক হাতে শিল্পের চর্চা করছে, অন্য হাতে করছে নারীর অপমান। এতটাই অপমান, কোনো পিতা কন্যাসন্তানের দায় নিতে চান না কোনোভাবে। এরপরও কন্যাশিশুর জন্ম হলে তাকে গর্তে ফেলে জীবন্ত দাফন করছেন খোদ জন্মদাতা। তাই যুগটা কাব্যমুশায়েরার জন্য উৎকৃষ্ট হলেও সভ্য দুনিয়া সেই সময়টার নাম দিয়েছে জাহেলি যুগ বা আইয়ামে জাহেলিয়া। হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর জন্ম এই সময়েই। এরপরের ইতিহাস সবার জানা। কেমন পাল্টে গেল দুনিয়া। ঘুচে গেল আরব-অনারব বিরোধ। শ্রেণি-বর্ণের তফাত থাকল না। নারীর সম্মান ফিরল আবার। মানুষে মানুষে ভালোবাসা আবারও জমে উঠল। হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর নাম জপে বহু পাপি

সম্পন্ন মানবের শুভাগমনে ইসলামের পূর্ণতা

Image
  সম্পন্ন মানবের শুভাগমনে ইসলামের পূর্ণতা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী আল্লাহ তাআলা ভালোবেসে সৃষ্টি করলেন বিশ্ব-নিখিল। তিনি তাঁর সৃষ্টিতে দেখতে চান ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। তাই নিজের ভালোবাসার প্রতিবিম্ব হিসেবে পাঠালেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, মানবজাতির সর্বোত্তম আদর্শ আখেরি নবী ও সর্বশেষ রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে, যিনি ইনসানে কামিল বা পরিপূর্ণ মানব। মানবীয় অবয়বে আল্লাহর গুণাবলির সমাহার ঘটেছিল মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মধ্যে। তাঁর শুভাগমনে ইসলামের পরিপূর্ণতা ঘটেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর রং! আর আল্লাহর রং অপেক্ষা অধিকতর সুন্দর রং কী হতে পারে? আমরা তাঁরই ইবাদতকারী অনুগত বান্দা।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৩৮)। প্রকৃতির ধর্ম, মানবধর্ম, ভালোবাসা ও প্রেমের ধর্ম। মহান আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলামের পূর্ণতা দানের জন্যই মহানবী (সা.)-এর আবির্ভাব। কোরআনের ভাষায়, ‘তিনি তাঁহার রাসুলকে পথনির্দেশ ও সত্য ধর্মসহ প্রেরণ করেছেন অপর সকল ধর্মের ওপর উহাকে জয়যুক্ত করার জন্য। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, তাঁহার সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস

উম্মাতি, উম্মাতিঃ আমার উম্মত, আমার উম্মত

Image
  উম্মাতি, উম্মাতিঃ আমার উম্মত, আমার উম্মত --------------- * --------------- * ----------------- এই উম্মতের জন্য রাসূল (স) এর ছিল অগাধ ভালবাসা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন ঃ لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِّنْ أَنفُسِكُمْ "তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রসূল।" عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ “তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তার পক্ষে দুঃসহ।” حَرِيصٌ عَلَيْكُم তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী। হারিস শব্দটি সন্তানের প্রতি পিতা মাতার ভালবাসা প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। তিনি তোমাদের ভালোর জন্য বেশ আগ্রহী। بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়। আল্লাহ রাসূল (স) এর জন্য এমন দুটি শব্দ ব্যবহার করেছেন যার শুরুতে আলিফ লাম যুক্ত করে আল্লাহর দুটি নাম প্রকাশ করা হয়। আর-রাউফ , আর-রাহিম। আলিফ লাম কেটে দিয়ে মানুষের জন্য শব্দ দুটি ব্যবহার করা যাবে। সুতরাং আর-রাউফ এবং আর-রাহিম রাসুল (স) কে রাউফ এবং রাহিম বলে বর্ণনা করেছেন। কাদের প্রতি তিনি রাউফ এবং রাহিম ? মুমিনদের প্রতি। বিশ্বাসীদের প্রতি তিনি রাউফ। রাউফ শব্দের অর্থ হলো চরম স্নেহশীল, রাহিম হলো সাধারণ দয়া। রাউফ হলো বিশেষ ধরণের

সূরা আসর এর মূলভাব

Image
  ●|● সূরা আসর এর মূলভাব ●|● আপনি পানিতে ডুবে যাচ্ছেন। আপনার জ্ঞান হারিয়ে যায় যায় অবস্থা। আপনার কি মনে হয়? এরকম একটা অবস্থায় আপনার হাতে কি বাঁচার জন্য অনেক সময় আছে? আপনি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পানির গভীরে তলিয়ে যাচ্ছেন, এর মানে আপনার হাতে কিন্তু মোটেও সময় নেই! সময় খুব দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। আরবীতে এভাবে সময় শেষ হয়ে আসাকে বুঝানোর জন্য 'আসর' শব্দটি ব্যবহার করা হয়। 'আসর' এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে সময়, যেটা শেষ হয়ে আসছে। দিনের শেষ সময়, যখন দিন শেষ হয়ে আসে, তখনই আসর নামাজ এর ওয়াক্ত হয়। ‘আসর’ শব্দের উংপত্তি হচ্ছে ‘অসির’ শব্দটি থেকে। এর মানে হচ্ছে চিপে রস বের করা -- ‘সময়’ যেটা হাতের ফাঁক দিয়ে চলে যাচ্ছে। আমরা ভেজা কাপড় শুকাতে দেয়ার আগে দুইহাত দিয়ে মুচড়িয়ে যেভাবে পানি বের করি, আসর শব্দটি এধরনের ভাব বোঝাতেই ব্যবহার করা হয়। তারমানে এখানে আল্লাহ এমন একটা মুহুর্তের কথা বর্ণনা করছেন যখন আপনি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পানিতে ডুবে যাচ্ছেন এবং আপনার সময় শেষ হয়ে আসছে। এমন অবস্থায় বেঁচে থাকতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম কোন কাজটা করতে হবে? বেঁচে থাকার আশা করতে হলে কোন জিনিসটা আপ

ধন-সম্পদ

Image
আল্লাহ এই দুনিয়াতে সবাইকে জীবন যাপনের উপকরণ দিয়েছেন। এই উপকরণ দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি কাউকে অন্যদের চেয়ে বেশি দিয়েছেন। আর কাকে কতটুকু দিবেন তিনিই সেটা ভালো জানেন। কিন্তু সবাইকে একটি কমন আদেশ দেয়া হয়েছে - সবাইকে নিজ নিজ পরিবেশ পরিস্থিতিতে থেকে আল্লাহর ইবাদাত করতে হবে। কেউ হয়তো ৬০ বছর বয়স পেয়েছেন আবার কেউ হয়তো আরো কম বা বেশি। এই ৬০ বা ৮০ বছর বয়স আপনার নিজের কোনো অর্জন নয়, আপনার অর্জন হলো এই সময়ে আপনি আল্লাহর জন্য কী করেছেন, সেটা। একইভাবে মানুষ নিজের পরিবেশ, উপায় উপকরণ নিয়ে গর্ব করে। এটা আসলে আপনার অর্জন নয়, আল্লাহ আপনাকে এসব দান করেছেন। আল্লাহ মানুষকে যে পরিবেশ পরিস্থিতি এবং উপায় উপকরণ দান করেছেন তার মূল উদ্দেশ্য হলো, এসব ব্যবহার করে আল্লাহর ইবাদাত করা। এখন যে অন্যদের চেয়ে উত্তম পরিবেশ এবং উপায় উপকরণ পেয়েছে তার কাছ থেকে বেশি ইবাদাত আশা করা হয়। এখন ভালো পরিবেশ পাওয়ার পরেও যদি আল্লাহর ইবাদাত না করেন তাহলে এই ভালো পরিবেশই আপনার বিরুদ্ধে প্রমান হিসেবে উপস্থাপন করা হবে। 'তুমি শান্তিপূর্ণ জীবন পেয়েছো, নিরাপত্তা পেয়েছো, আমি তোমার জীবন জীবিকার সকল উপায় উপকরণের ব্যবস্থা

বাহ্যিক বেশভূষা

Image
  আমরা কারো বাহ্যিক বেশভূষা দিয়ে কখনও একজনকে বিচার করতে পারিনা। অন্তত ইসলামে না। একটা উদাহরণ দিই। দু'জন লোক দৌড়িয়ে আসর নামাযের দ্বিতীয় রাকাহ্‌ কোনমতে ধরল। দু'জনের মধ্যে একজনের উপর আল্লাহ অসন্তুষ্ট হতে পারেন আর একজনের সাওয়াব হতে পারে। কেন? প্রথম জনের, সে বিগত কয়েক বছর যাবত প্রথম কাতারের মুসল্লি। ঐদিন অনেকটা ইচ্ছা করেই দেরী করে আসল। তার যে ঈমানের অবস্থা আর আল্লাহ তার জন্য যেভাবে ভাল কাজগুলো সহজ করে দিয়েছেন সেই তুলনায় সে আশানুরূপ কাজ করেনি। তাই আল্লাহর দৃষ্টিতে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরী করে আসার জন্য সে গুনাহগার হতে পারে। অপরজন, সে অনেক বছর পর নামায পড়তে আসল। ভাল কথা, ভাল লেকচার শুনার সুযোগ তার কমই হয়েছে জীবনে। ইসলামিক পরিবেশে বেড়ে উঠার সুযোগ হয়নি। কোন একটি ঘটনার কারণে সে সিদ্ধান্ত নিলো নামায শুরু করবে। তাই নামাযে নিয়মিত হতে একটু হিমশিম খাচ্ছে। এইজন্য তার সাওয়াব হতে পারে। ব্যাপারটা শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলাই জানেন। এখন আমার আপনার ঐ দু'জন কে দেখে বুঝার উপায় আছে কার সাওয়াব হল কার গুনাহ হল? একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার গুলো আল্লাহ তায়ালা জানেন। ব্যাপার গুলো আপেক্ষিক। শেষ

আল্লাহ সবকিছু জানেন এর দ্বারা আসলে কী বোঝায়?

Image
  আল্লাহ সবকিছু জানেন এর দ্বারা আসলে কী বোঝায়? (সম্পূর্ণ আলোচনার অনুবাদ) -- নোমান আলী খান [একটু সময় নিয়ে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ আলোচনাটি পড়ুন, দেখবেন মনটা অদ্ভুত এক প্রশান্তিতে পূর্ণ হয়ে যাবে] আজ আমি আপনাদের সাথে আল্লাহর একটি নাম নিয়ে আলোচনা করবো যা কুরআনে বহু বার এসেছে। আর সে নামটি হল: আল-আলীম, যিনি সবকিছু জানেন। আল্লাহ কুরআনে বার বার উল্লেখ করেছেন - তিনি সবকিছু জানেন। "وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ" - যে আয়াতটির উদাহরণ দিয়ে আমি আলোচনা শুরু করতে চাই তা হল, কুরআনের ৬৪ তম সূরা, সূরা আত-তাগাবুনের একটি আয়াত। তিনি বলেন - يَعْلَمُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَيَعْلَمُ مَا تُسِرُّونَ وَمَا تُعْلِنُونَ - “নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা আছে, তিনি তা জানেন। তিনি আরও জানেন তোমরা যা গোপনে কর এবং যা প্রকাশ্যে কর।” তাহলে আপনি যা সবার অগোচরে করেন আর যা সবার সম্মুখে করেন - আল্লাহ তার সবই জানেন। وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ - "এছাড়াও আল্লাহ অন্তরের অবস্থা সম্পর্কেও সম্যক জ্ঞাত।" মানুষের মনের মাঝে যা লুকিয়ে আছে তার প্রকৃতি এবং আসল অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ সবসময

আসক্তি

Image
  আমাদের সবারই চরিত্রের বিভিন্ন দিক রয়েছে যা উন্নত করা প্রয়োজন। এর জন্য দরকার ঠান্ডা মাথায়, গভীরভাবে নিজেকে পর্যবেক্ষণ করা। "আমি আসলে চরিত্রের কোন দিকটাকে আরো ভালো করতে চাই?" আরো বেশি জ্ঞান অর্জন করার আগে আপনি কি নিজের প্রতি সৎ থেকে একটা লিস্ট বানাতে পারবেন? "ইস! এই জিনিসগুলো যদি আমি জীবনে না করতাম।", "ইস! এই জিনিসগুলো যদি আমি আমার জীবনে নিয়ে আসতে পারতাম!" এটা হলো এক নাম্বার কাজ। তখন এই লিস্টে এমন কিছু বিষয় থাকবে যা আপনি আপনার জীবন থেকে বাদ দিতে চান। আর কিছু (ভালো) বিষয় থাকবে এমন যা আপনি আপনার জীবনের অংশ বানাতে চান। এখন যে বিষয়গুলো আপনি জীবন থেকে বাদ দিতে চান সেগুলোর ব্যাপারে নিজেকে প্রশ্ন করুন, "কিভাবে আমি এগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারি?" যেমন কারো কারো হয়ত বিভিন্ন ধরনের আসক্তি থাকতে পারে - ড্রাগ, মদ্যপান বা পর্নোগ্রাফি - যাই হোক না কেন। এই আসক্তিগুলো সাধারণত ঘটে বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে। ধরুন, কোনো এক তরুণ বা যুবক বাসায় একা, সে হয়তো স্কুল, কলেজ বা ইউনিভার্সিটি থেকে কিছুটা আগেই বাসায় আসে, বাবা-মা এখনো কর্মস্থল থেকে ফেরেনি। তার ঘন্টা দে

নবীজি (সা.)–এর সুন্নাত দোজাহানের মুক্তির পথ

Image
  নবীজি (সা.)–এর সুন্নাত দোজাহানের মুক্তির পথ শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী রবিউল আউয়াল হিজরি চান্দ্রবর্ষের তৃতীয় মাস। এটি প্রিয় নবীজি (সা.)–এর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস। ‘রবি’ অর্থ বসন্তকাল, ‘আউয়াল’ মানে প্রথম। সুতরাং রবিউল আউয়াল হলো প্রথম বসন্ত তথা বসন্তকালের প্রথম মাস। এই মাসেই নবীজি (সা.)–এর দুনিয়ায় শুভাগমন হয়েছিল। এই মাসেই তাঁর নবুয়তের প্রকাশ ঘটেছিল। এই মাসে তিনি জন্মভূমি মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছিলেন। এই মাসেই তিনি ওফাত গ্রহণ করেন। তাই মুসলমানের জন্য এই মাস অতীব তাৎপর্যমণ্ডিত। রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর জন্মের দিনটি ছিল সোমবার এবং তিনি মাতৃগর্ভে আগমন করেন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বা শবে জুমুআয়। প্রিয় নবীজি (সা.) ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন ভোরের শেষে, প্রভাতকালে উষালগ্নে। তিনি ইন্তেকাল করেছিলেন দিবা শেষে গোধূলিলগ্নে। সোমবার ও বৃহস্পতিবার এই দুই দিন নবীজি (সা.) বেশি রোজা পালন করতেন। নবীজি (সা.) বলেন, ‘সোমবার ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়, আমি চাই আমার আমল আমার রোজা অবস্থায় পেশ করা হোক।’ (তিরমিজি: ৭৪৭, সহিহ্ আলবানী)। নবীজি (সা.) বিশেষত প্রতি সোমবার রোজা পালন করতেন। সাহাবাগণ

আদল এবং ইহসানের আদেশ

Image
  সূরা আন-নাহলের ৯০ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন - اِنَّ اللّٰہَ یَاۡمُرُ بِالۡعَدۡلِ وَ الۡاِحۡسَانِ وَ اِیۡتَآیِٔ ذِی الۡقُرۡبٰی وَ یَنۡہٰی عَنِ الۡفَحۡشَآءِ وَ الۡمُنۡکَرِ وَ الۡبَغۡیِ ۚ یَعِظُکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَذَکَّرُوۡنَ - "নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফ, সদাচার ও নিকট আত্মীয়দের দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও সীমালঙ্ঘন থেকে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।" এখন, লক্ষ্য করুন। আয়াতের শুরুতে বলা হয়েছে - "ইন্নাল্লাহা ইয়া'মুরু বিল আদলি ওয়াল ইহসান।" অর্থাৎ, নিশ্চয় আল্লাহ আদল ও ইহসানের আদেশ দেন। প্রথমে এসেছে আদল তারপর ইহসান। আদল মানে - ইনসাফ করা, ন্যায়বিচার করা। সর্বনিম্ন যতটুকু করতে পারেন। আল্লাহ তোমাদের ন্যায়বিচার করার আদেশ করছেন। ইনসাফ করার পর সর্বোচ্চ যে পর্যায়ে তোমরা পৌঁছতে পার তা হল, ইহসান তথা সর্বোচ্চ পর্যায়ের সদাচার। ইনসাফ করার পর শুধু এতটুকুতে সন্তুষ্ট থেকো না, ইহসানের পর্যায়ে পৌঁছার চেষ্টা করো। আয়াতের পরবর্তী অংশের দিকে লক্ষ্য করুন। এই আদল এবং ইহসানের প্রথম ক্ষেত্র হল, নিকট আত্মীয়দের দান করা। হ্যাঁ,

জাকির নায়েক,প্রশ্নঃউত্তর

Image
জাকির নায়েক ,প্রশ্নঃউত্তর https://www.youtube.com/playlist?list=PLNhsgmtzah4r11mlf7HomkScU5oYtMRqO

সমাজ পরিবর্তনে আত্মশুদ্ধির ভূমিকা

Image
  সমাজ পরিবর্তনে আত্মশুদ্ধির ভূমিকা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী ভালো মানুষ হওয়ার জন্য আত্মশুদ্ধি অপরিহার্য। সমাজের সব স্তরে শুদ্ধ মানুষই নিরাপদ ও কল্যাণ সমাজ বিনির্মাণ করতে পারে। বিশেষত সমাজের দায়িত্বশীল, ক্ষমতাশীল ও প্রভাব–প্রতিপত্তিসম্পন্ন লোক যাঁরা সমাজ পরিচালনা করেন, তাঁদের আত্মশুদ্ধি প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি এবং সবার আগে। কারণ, তাঁদের ভালো-মন্দের প্রভাব পুরো সমাজে ছড়ায় বা সমাজকে প্রভাবিত করে। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমেই মহানবী (সা.) আদর্শ সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করেছিলেন, ‘হে আমাদের পরোয়ার দেগার! তাদের মধ্যে থেকেই তাদের নিকট একজন রাসুল প্রেরণ করুন, যিনি তাদের কাছে আপনার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করবেন, তাদের কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেবেন এবং তাদের তাজকিয়া বা পবিত্র করবেন।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১২৯)। তাযকিয়া হলো অভ্যন্তরীণ পবিত্রতা, আত্মিক উন্নতি, চারিত্রিক উৎকর্ষ। লালসা, অন্যায় বাসনা, পরনিন্দা, মিথ্যা, হিংসা, পরশ্রীকাতরতা, আত্মপ্রচার, অহংকার, কার্পণ্য ইত্যাদি থেকে মুক্ত হওয়া। আত্মশুদ্ধির বিষয়গুলো কোরআন মাজিদে তাকওয়া ও তাজকিয়া নামে রয়েছে এবং হাদিস শরিফে ইহসান নামে