Posts

Showing posts from February, 2021

অল্প আমলে অনেক নেকি

Image
  অল্প আমলে অনেক নেকি মুফতি মোহাম্মদ এনামুল হাসান এমন অনেক আমল রয়েছে যাতে কর্মের চেয়ে বিনিময় বা নেকি বেশি। নিচে এমন কিছু আমলের কথা উল্লেখ করা হলো ১. একটি জায়নামাজ কিনে মসজিদে রেখে দিন, যে ব্যক্তি তাতে নামাজ আদায় করবে, ইনশা আল্লাহ আপনি সেই আমলের জন্য পুরস্কৃত হবেন। ২. একটি বাটি বা গ্লাসে কিছু পানি আপনার জানালায় রেখে দিন পাখিদের জন্য; এটাও একধরনের সদকা। এটিকে অভ্যাসে পরিণত করুন। আপনি পুরস্কৃত হবেন ইনশা আল্লাহ। ৩. আপনার পুরনো অথবা ব্যবহার হচ্ছে না এমন পোশাক গরিবকে দান করুন। সুযোগ থাকলে নতুন জামা দান করুন। এই জামা পড়ে সে যত ইবাদত করবে তার একটা অংশ সদকা হিসেবে আপনার আমলনামায় অন্তর্ভুক্ত হবে। ৪. আপনার রুমে একটি বক্স রাখুন এবং যখনই আপনি মনে করবেন যে আপনি কোনো অন্যায় করেছেন, তখনই তাতে সাধ্যমতো টাকা-পয়সা রাখুন। মাস শেষে তা খুলে দেখুন এবং তা দান করে দিন। এতে নিজের ভুলগুলোর পরিমাণ বুঝতে পারবেন এবং অনুতপ্ত হয়ে নিজেকে সংশোধনের জন্য এটি সুন্দর একটি পন্থা। তবে অন্যের হক নষ্ট করলে তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এবং হক ফিরিয়ে দিতে হবে। ৫. বাড়িতে ঢোকার ও বের হওয়ার পথে দোয়া লিখে রাখুন একটি কাগজে। যে এসব দোয়া

অনুতপ্ত অন্তর

Image
  অনুতপ্ত অন্তর কীভাবে আপনাকে আরও ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে প্রেরণা দিয়ে যায়। আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা মানুষের অন্তরে যত ধরণের মানবীয় আবেগ অনুভূতি দিয়েছেন যেমন রাগ, ভয়, উদ্বেগ, অপরাধবোধ .... এই সবগুলো অনুভূতি আমাদেরকে আরো উত্তম মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। এমনকি নেতিবাচক অনুভূতিরও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রয়েছে। যদি ভয়ের অনুভূতি না থাকতো তাহলে আমরা পরকালের ভয়টা উপলব্ধি করতে পারতাম না। যদি দুঃখের অনুভূতি না থাকতো তাহলে আমরা অন্য মানুষের দুঃখ কষ্ট বুঝতে পারতাম না এবং তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করতাম না। অপরাধবোধ খুবই শক্তিশালী একটি অনুভূতি। অনেক সৈন্য অপরাধবোধের কারণে আত্মহত্যা পর্যন্ত করে ফেলে। যেমন, অনেকে অন্য দেশে যুদ্ধ করতে গিয়ে বিভিন্ন ঘৃণ্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে নিজ দেশে ফিরে অপরাধবোধের কারণে ভেতরে ভেতর জ্বলতে থাকে। কোন একসময় এই জ্বালা আর সহ্য করতে না পেরে গুলি করে আত্মহত্যা করে বা মাদক দ্রব্যের মাঝে নিজেকে ডুবিয়ে রাখে। মূসা (আ) ভুলক্রমে একজনকে খুন করে ফেলেন। তখন তিনি কেমন অনুভব করছিলেন? তিনি নিজেকে খুব অপরাধী মনে করেন। এখন, এই অপরাধবোধ আপনাকে উত্তম মানুষে রূপান্তরিত করার

হযরত নূহ (আঃ)

Image
  হযরত নূহ (আঃ) nazmulhaque592     হযরত নূহ (আঃ) এর প্রকৃত নামের ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন তাঁর প্রকৃত নাম ছিল আবদুল গাফফার। কেউ কেউ বলেছেন, ‘ইয়াশকুর’। (সাবীঃ খন্ডঃ ৩, পৃষ্ঠাঃ ১১৫, জালালাইন শরীফের হাশিয়াঃ পৃষ্ঠাঃ ২৮৮) আবার কেউ বলেছেন, তাঁর প্রকৃত নাম ছিল আবদুল জব্বার। (হায়াতুল হায়ওয়ানঃ খন্ডঃ ১, পৃষ্ঠাঃ ১২) কেউ কেউ বলেছেন, ইদ্রীস ছিল তাঁর নাম। (হায়াতে আদম (আঃ)‍ঃ পৃষ্ঠাঃ ৭৪) ‘নূহ’ শব্দের অর্থ হলো ক্রন্দন। তিনি যেহেতু তাঁর উম্মতের গুনাহের জন্য অধিকতর ক্রন্দন করতেন, তাই তাঁর উপাধি হয়ে যায় ‘নুহ’। (হায়াতুল হায়ওয়ানঃ খন্ডঃ ১, পৃষ্ঠাঃ ১২) আর এজন্যও তাঁর উপাধি নূহ হয় যে, তিনি তাঁর নফসের উপর ক্রন্দন করতেন। (রূহুল মাআনী) এর কারণ ছিল, একদা তিনি চর্মরোগে আক্রান্ত একটি কুকুরের নিকট দিয়ে পথ চলছিলেন। তিনি মনে মনে ভাবলেন, কুকুরটি কত কুৎসিত! তখন আল্লাহ তা’আলা হযরত নূহ (আঃ) এর নিকট ওহী প্রেরণ করলেন যে, তুমি কি আমাকে দোষারোপ করছো, না আমার সৃষ্ট কুকুরকে দোষারোপ করছো? তুমি কি এর চেয়ে উত্তম কিছু সৃষ্টি করতে সক্ষম? হযরত নূহ (আঃ) তাঁর এই ভুলের জন্য সর্বদা ক্রন্দন করতেন। (সাবীঃ খন্ডঃ ১, পৃষ্ঠাঃ ২৩৩) হ

দাজ্জালের আগমণ, ফিতনাসমূহ এবং বাঁচার উপায়

Image
  দাজ্জালের আগমণ, ফিতনাসমূহ এবং বাঁচার উপায় nazmulhaque592 দাজ্জালের আগমণ, ফিতনাসমূহ এবং বাঁচার উপায় আখেরী যামানায় কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে মিথ্যুক দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। দাজ্জালের আগমণ কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার সবচেয়ে বড় আলামত। মানব জাতির জন্যে দাজ্জালের চেয়ে অধিক বড় বিপদ আর নেই। বিশেষ করে সে সময় যে সমস্ত মুমিন জীবিত থাকবে তাদের জন্য ঈমান নিয়ে টিকে থাকা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। সমস্ত নবীই আপন উম্মাতকে দাজ্জালের ভয় দেখিয়েছেন। আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও দাজ্জালের ফিতনা থেকে সতর্ক করেছেন এবং তার অনিষ্ট থেকে বাঁচার উপায়ও বলে দিয়েছেন। ইবনে উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেনঃ “একদা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাড়িয়ে আল্লাহর যথাযোগ্য প্রশংসা করলেন। অতঃপর দাজ্জালের আলোচনা করতে গিয়ে বললেনঃ আমি তোমাদেরকে তার ফিতনা থেকে সাবধান করছি। সকল নবীই তাদের উম্মাতকে দাজ্জালের ভয় দেখিয়েছেন। কিন্তু আমি তোমাদের কাছে দাজ্জালের একটি পরিচয়ের কথা বলব যা কোন নবীই তাঁর উম্মাতকে বলেন নাই। তা হলো দাজ্জাল অন্ধ হবে। আর আমাদের মহান আল্লা

ভাষার শুদ্ধ লিখন–পঠন সুন্নাত ও ইবাদত

Image
  ভাষার শুদ্ধ লিখন–পঠন সুন্নাত ও ইবাদত ভাষার বৈচিত্র্য আল্লাহর দান ও তাঁর কুদরতের নিদর্শন। কোরআন কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। এতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা-৩০ রুম, আয়াত: ২২)। মানুষের পরিচয় বা সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘হায়ওয়ানুন নাতিক’ অর্থাৎ ‘বাক্‌শক্তিসম্পন্ন প্রাণী’। আপাতদৃষ্টে মানুষ ও প্রাণী তথা পশুর মধ্যে বাহ্যিক পার্থক্য হলো বাক্‌ বা ভাষা। কোরআন কারিমের বর্ণনা, ‘দয়াময় রহমান আল্লাহ! কোরআন পাঠ শেখালেন; মনুষ্য সৃজন করলেন; তাকে ভাষা বয়ান শেখালেন।’ (সুরা-৫৫ আর রহমান, আয়াত: ১-৪)। মহান আল্লাহ কিতাব নাজিল করেছেন ও নবী–রাসুলদের পাঠিয়েছেন তাঁদের স্বজাতির ভাষায়। কোরআন মজিদে এসেছে, ‘আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তাঁর স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি তাদের নিকট পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য।’ (সুরা-১৪ ইবরাহিম, আয়াত: ৪)। কোরআন কারিম আরবি ভাষায় নাজিল করার কারণ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা স্বয়ং ব্যাখ্যা প্রদান করেন এভাবে, ‘এই কোরআন আমি অবতীর্ণ করেছি আরবি ভাষায়, যাতে তোমরা বুঝতে পারো।’ (

রজব মাসের ফজিলত ও আমল

Image
  রজব মাসের ফজিলত ও আমল আরবি চান্দ্রবর্ষের সপ্তম মাস হলো রজব। রজব মাসের পূর্ণ নাম হলো ‘আর রজব আল মুরাজজাব’ বা ‘রজবুল মুরাজ্জাব’। ‘রজব’ অর্থ ‘সম্ভ্রান্ত’, ‘প্রাচুর্যময়’, ‘মহান’। ‘মুরাজ্জাব’ অর্থ ‘সম্মানিত’; ‘রজবে মুরাজ্জাব’ অর্থ হলো ‘প্রাচুর্যময় সম্মানিত মাস’। হারাম তথা সম্মানিত ও যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ মাসগুলোর অন্যতম হলো রজব। চারটি মাসকে হারাম মাস হিসেবে ধরা হয়। এগুলো হলো জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা আসমান-জমিন সৃষ্টি করার দিন থেকেই বৎসর হয় বারো মাসে। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত; তিনটি একাধারে জিলকদ, জিলহজ ও মহররম এবং চতুর্থটি হলো “রজব মুদার”, যা জুমাদাল উখরা ও শাবান মাসের মধ্যবর্তী।’ (মুসলিম)। ‘মুদার’ উভয়বিধ বা বহুবিধ কল্যাণের সম্মিলন। রজব ও শাবান হলো জোড়া মাস। রজব ও শাবান মাসদ্বয়কে একত্রে রজবান বা রজবাইন অর্থাৎ রজবদ্বয় বলা হয়। রমজানের আগে এ দুই মাস আমল ও সাধনার জন্য অত্যন্ত উপযোগী ও সবিশেষ উর্বর। রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব ও শাবান মাসব্যাপী এ দোয়া বেশি পরিমাণে পড়তেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজব ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগ না রমাদান’। অর্থ, ‘হে আল্লাহ! রজব ম

আমাদের মালিক আল্লাহ

Image
  একটি গরু জঙ্গলে ঘাস খাচ্ছিল। হঠাৎ তাকে একটি বাঘ আক্রমণ করল। গরুটি অনেক্ষন দৌড়ানোর পর উপায় না পেয়ে পুকুরে ঝাপ দিলো। মাত্র শুঁকিয়ে যাওয়া পুকুরটিতে কাঁদা ছাড়া কোন পানি ছিল না। গরুর পেছন পেছন বাঘটিও ঝাপ দিল। বাঘ ও গরু কাঁদায় গলা পর্যন্ত আটকে গেল। বাঘ রেগে মেগে বলে, "কিরে হারামী তুই আর লাফ দেয়ার জায়গা পেলি না? ডাঙায় থাকলে তোকে না হয় একটু কুড়মুড় করে খেতাম। এখনতো দুজনেই মরব রে।" গরু হেসে বলে, "তোমার কি মালিক আছে? বাঘ রেগে বলে, বেটা আমি হলাম বনের রাজা। আমার আবার মালিক কে..??? আমি নিজেইতো বনের মালিক। গরু বলে তুমি এখানেই দুর্বল। একটু পর আমার মালিক আসবে। এসে আমাকে এখান থেকে তুলে নিয়ে যাবে। আর তোমাকে পিটিয়ে মারবে। বাঘ বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে রইল। ঠিকই সন্ধ্যা বেলায় গরুটির মালিক এসে বাঘটার মাথায় বাঁশ দিয়ে কয়েকটা বাড়ি দিয়ে মেরে গরুটিকে টেনে তুলল। গরু হাসতে হাসতে বাড়ি চলে গেল আর বাঘটি মরে একা একা পড়ে রইল। মূল_কথাঃ আমরা যারা মালিকের উপর ভরসা করি আমাদের উপর যত বড় বিপদই আসুক না কেনো, আমাদের মালিক ( আল্লাহ ) ঠিকই আমাদেরকে রক্ষা করবে। হয়তো সন্ধ্যা পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। source-

দুআ কীভাবে কাজ করে? (২য় পর্ব)

Image
  দুআ কীভাবে কাজ করে? (২য় পর্ব) -- নোমান আলী খান আমি এ সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু কথা আগে শেয়ার করতে চাই, পরে মারিয়াম সালামুন আলাইহা নিয়ে কথা বলবো। কখনো কখনো আপনি এমন কিছু সমস্যার মুখোমুখি হন যে মনের মাঝে প্রশ্ন আসে এখানে আমার দোষ কোথায়? আমাকে কেন এই সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে? আমি কী অন্যায় করেছি যে আমার প্রতিই এটা আরোপিত হল? আপনাদের একটি কথা জিজ্ঞেস করি, ইউসুফ (আ) তো আট-নয় বছরের এক বালক ছিলেন মাত্র। শিশু মানেই তো নিষ্পাপ। একজন শিশু এমন কী করতে পারে যার জন্য সে কিডন্যাপ হতে পারে? একজন শিশু এমন কী অন্যায় করতে পারে যার কারণে সে বনের মাঝখানে কুয়ার মধ্যে নিক্ষিপ্ত হবে? একজন শিশু কী করতে পারে যার কারণে সে শিশু দাস হিসেবে বিক্রিত হবে? ভিন্ন একটি দেশে? আর তিনি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর কী অন্যায় করেছেন যার কারণে তাঁকে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হতে হবে? মিথ্যা একটি অভিযোগে..তিনি বহু বছর জেলে কাটিয়েছেন। তিনি তো নিজের অন্যায়ের কারণে জেল খাটেননি। তিনি নির্দোষ ছিলেন। আর তাঁকে এতগুলো বছর জেলে কাটাতে হয়। তাঁকে জীবনে এমনসব পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে হয় অন্য কারো এমন হল বলত - ভাই জীবন অন্যায্য, কি-বা করার আছে।