গণক বা জ্যোতীষীদের কাছে জিজ্ঞেস করার পরিণাম

 


❖ গণক বা জ্যোতীষীদের কাছে গিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করার পরিণাম কোনটি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ ৪০ দিনের নামায কবূল হবে না। এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির নামাজ তাদের কান অতিক্রম করে না-

>> পলাতক ক্রীতদাস; যতক্ষণ না সে ফিরে আসে। >>এমন স্ত্রী; যার স্বামী তার উপর রাগ অবস্থায় রাত কাটিয়েছে। এবং >> ওই ইমাম; যাকে লোকে অপছন্দ করে।’ (তিরমিজি) >> গনককে হাত দেখালেঃ নিজের জীবনের ভালো-মন্দ জানার আগ্রহ নিয়ে কোনো গনককে হাত দেখালেও ওই ব্যক্তির ৪০ দিনের নামাজ কবুল হয় না। আর যদি গনের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে তবে ওই ব্যক্তি ঈমানহীন হয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে- - রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গণকের কাছে গিয়ে কোনো (ভূত কিংবা ভবিষ্যৎ ভালো-মন্দ বা অদৃশ্য) বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তবে ওই ব্যক্তির ৪০ দিনের নামাজ কবুল হয় না।’ (মুসলিম) - রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গণক বা জ্যোতিষীর কাছে গিয়ে তার দেয়া তথ্যকে সত্য মনে (বিশ্বাস) করলো, ওই ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর অবতীর্ণ কুরআনের প্রতি কুফরি করলো।’ (মুসনাদে আহমদ) >> মদ পানকারীঃ কোনো মুসলিম যদি মদ পান করেন তবে তারও ৪০ দিনের নামাজ কবুল হয় না বলে হাদিসে ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে- - রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি মদ পান করবে, আল্লাহ ওই ব্যক্তির ৪০ দিনেরনামাজ কবুল করবেন না।’ (নাসাঈ) >> যারা নামাজের হক আদায় করে নাঃ নামাজ পড়ার সময় যারা নামাজের প্রতিটি রোকন তথা রুকু-সেজদা যথাযথ আদায় করে না, তাদের নামাজও হয় না। হাদিসে এসেছে- - রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘হে মুসলিমরা! ওই ব্যক্তির নামাজ হয় না; যে ব্যক্তি রুকু ও সেজদায় নিজেদের পিঠ সোজা করে না।’ (মুসনাদে আহমদ, ইবনে মাজাহ) - অন্য হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহ ওই বান্দার নামাজের দিকে তাকিয়েও দেখেন না, যে রুকূ ও সেজদার সময় নিজেদের পিঠকে (রুকু-সেজদা থেকে উঠে) সোজা করে না।’ (মুসনাদে আহমদ) আজান শুনে জামাআতে অবহেলাকারীঃ যে ব্যক্তি আজান শোনার পর বিনা ওজরে মসজিদে গিয়ে জামাআতে নামাজ আদায় করে তার নামাজও কবুল হয় না। হাদিসে এসেছে- - রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আজান শোনার পরও মসজিদে জামাআতে এসে নামাজ আদায় করে না। কোনো ওজর না থাকলে ওই ব্যক্তির নামাজও কবুল হয় না।’ (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ) এছাড়াও যাদের নামাজ হয় না বলে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলো- >> ‘সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদে গমনকারী নারী। ওই নারী নাপাকির গোসলের ন্যয় উত্তমভাবে গোসল না করলে তার নামাজও কবুল হয় না ‘ (ইবনে মাজাহ) >> মা-বাবার অবাধ্য সন্তানের নামাজও কবুল হয় না। >> দান করার পর দানের কথা গর্ভের সঙ্গে প্রচার করা ব্যক্তির নামাজ হয় না। >> যে ব্যক্তি তকদিরকে অস্বীকার করে। >> পরের বাপকে যে নিজের বাপ বলে দাবী করা ব্যক্তির নামাজও কবুল হয় না।’ (বুখারি-মুসলিম) >> কোনো মুসলিমকে হত্যা করে এবং তাতে গর্ববোধ করে আর খুশি হয়, ওই ব্যক্তি নামাজ কবুল হয় না।’ >> কেসাসের বিধান বাস্তবায়নে অর্থাৎ খুনের বদলে খুনের বদলা নিতে যে ব্যক্তি (শাসন কর্তৃপক্ষ বা বিচারককে) বাধা দেয়। ওই ব্যক্তির নামাজ কবুল হয় না।’ (আবু দাউদ, নাসাঈ) >> যে ব্যক্তি মুসলিমদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তার নামাজ কবুল হয় না।’ (বুখারি-মুসলিম) সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, উল্লেখিত বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকা। হাদিসে ঘোষিত উল্লেখিত বিষয়গুলো থেকে নিজেদের হেফাজত করা। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। যথাযথভাবে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন। collected

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট