Posts

Showing posts from April, 2022

ইতিকাফকারী ব্যক্তির জন্য যা করা বৈধঃ

Image
  ইতিকাফকারী ব্যক্তির জন্য যা করা বৈধঃ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমি ঋতুবতী অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাথা চিরুনি করতাম”। (বুখারি: ১৯৪১, মুসলিম: ২৯৭) আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা‎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন: “যখন তিনি ইতিকাফ করতেন, প্রাকৃতিক জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত ঘরে প্রবেশ করতেন না”। (বুখারি: ১৯৪১ ও মুসলিমে: ২৯৭) আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন: “ইতেকাফকারীর জন্য সুন্নত হচ্ছে রোগী দেখতে না যাওয়া, জানাজায় হাজির না হওয়া, স্ত্রীকে স্পর্শ বা তার সাথে সহবাস না করা, খুব জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত বের না হওয়া, সওম ব্যতীত ইতিকাফ শুদ্ধ নয়, অনুরূপ জামে মসজিদ ব্যতীত ইতিকাফ শুদ্ধ নয়”। (আবু দাউদ: ২৪৭৩) শিক্ষা ও মাসায়েলঃ (১) ঋতুবতী নারী পাক, তার ঋতুর স্থান ব্যতীত। (২) ইতিকাফকারী শরীরের কিছু অংশ মসজিদ থেকে বের করলে বাইরে গণ্য হবে না, ইতিকাফ নষ্ট হবে না, যেমন মসজিদের জানালা অথবা দরজা থেকে যদি কিছু নেয়া অথবা গ্রহণ করার ইচ্ছা করে, তাহলে এতে সমস্যা নেই। (৩) ইতিকাফকারীর মাথা ধৌত করা, চুল আঁচড়ানো, সুগন্ধি ব্যবহার করা, মাথা ন্যাড়া করা ও

যাকাত প্রদান না করার ভয়াবহ শাস্তি

Image
যে সকল সম্পদের উপর যাকাত ওয়াজিব হয় এবং তা প্রদান না করার ভয়াবহ শাস্তিঃ যাকাত ইসলামের পাঁচটি ফরযের একটি। কালিমায়ে শাহাদাত ও সালাতের পর যাকাতের স্থান। কুরআন-হাদিস দ্বারা এর ফরযিয়্যাত প্রমাণিত। যাকাতের ফরযিয়্যাত অস্বীকারকারী কাফের ও ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত মুরতাদ। আর যাকাতের ব্যাপারে যে কৃপণতা করল অথবা কম আদায় করল সে যালেমদের অন্তর্ভুক্ত ও আল্লাহর শাস্তির উপযুক্ত। যাকাত প্রদান না করার শাস্তিঃ আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ “এবং যারা সোনা ও রূপা পুঞ্জীভূত করে রাখে, আর তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে না, তুমি তাদের বেদনাদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও। যেদিন জাহান্নামের আগুনে তা গরম করা হবে, অতঃপর তা দ্বারা তাদের কপালে, পার্শ্বে এবং পিঠে সেঁক দেয়া হবে। (আর বলা হবে) ‘এটা তা-ই যা তোমরা নিজদের জন্য জমা করে রেখেছিলে, সুতরাং তোমরা যা জমা করেছিলে তার স্বাদ উপভোগ কর”। (সূরা আত-তওবা: ৩৪-৩৫) আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ যাকে সম্পদ দান করেছেন, অতঃপর সে তার যাকাত প্রদান করল না, কিয়ামতের দিন তার জন্য বিষধর সাপ সৃষ্টি করা হবে, যার দুটি চোঁয়াল থাকবে, যা দ্ব

হাজার মাসের চেয়ে উত্তম একটি রাত

Image
  শবে কদর! একটি রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। মহাগ্রন্থ আল–কোরআন এ রাতেই প্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি মাহাত্ম্য কদরের রজনীতে। আপনি কি জানেন, সে মহিমাময় রাত্রি কী? মহিমান্বিত ওই নিশি সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাত্রিতে ফেরেশতারা রাহুল কুদ্দুস হজরত জিবরাইল (আ.) সমভিব্যাহারে অবতরণ করেন; তাঁদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ ও অনুমতিক্রমে, সব বিষয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে উষালগ্ন পর্যন্ত (সুরা-৯৭ কদর, আয়াত: ১-৫)।’ আরবিতে ‘লাইলাতুল কদর’ বা কদর রজনী, এর ফারসি হলো ‘শবে কদর’। অর্থ সম্মানিত মর্যাদাপূর্ণ ও মহিমান্বিত, সম্ভাবনাময়, ভাগ্যনির্ধারণী রজনী। কোরআন নাজিলের মাস রমজান মাস, কোরআন নাজিলের রাত শবে কদর। এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কা মুকাররমার জাবালে রহমত তথা হেরা পর্বতের গুহায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে ফেরেশতাদের সরদার হজরত জিবরাইল (আ.)–এর মাধ্যমে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর প্রতি মহাগ্রন্থ আল–কোরআনুল কারিম নাজিলের সূচনা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রমজান মাস! যে মাসে কোরআন নাজিল হয়েছে মানবের দিশারি রূপে ও হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদ

সদকাতুল ফিতর প্রসঙ্গেঃ

Image
  সদকাতুল ফিতর প্রসঙ্গেঃ সদকাতুল ফিতর ফরয। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান শেষে ঈদুল ফিতরের সময় তা ফরয করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোলাম, স্বাধীন, পুরুষ, নারী, ছোট-বড় সকল মুসলিমের উপর সদকাতুল ফিতর ফরয করেছেন”। (বুখারি: ১৫১১, মুসলিম: ৯৮৪) সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ এক ‘সা’, দেশের প্রচলিত খাদ্য থেকে তা পরিশোধ করতে হবে। আবু সায়িদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “আমরা ঈদুল ফিতরের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে এক ‘সা’ খাদ্য প্রদান করতাম, তখন আমাদের খাদ্য ছিল গম, কিশমিশ, পনির ও খেজুর”। (বুখারি: ১৫১০) অতএব টাকা, বিছানা, পোশাক ও জীব জন্তুর খাদ্য দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় হবে না, কারণ এটা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশের বিপরীত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে এমন আমল করল, যার উপর আমাদের আদর্শ নেই তা পরিত্যক্ত”। (বুখারি: ২৬৯৭, মুসলিম: ১৭১৮) এক ‘সা’ এর পরিমাণ হচ্ছে, দুই কেজি চল্লিশ গ্রাম ভালো গম। এটা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ‘সা’, যার দ্বারা তিনি সদকা

“লাইলাতুল কদর”

Image
  ❖ “লাইলাতুল কদর” কত সংখ্যক মাস অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ এক হাজার মাস। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন: “লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চাইতে সেরা।” (সূরা কদর, আয়াত : ০৩)। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন “যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের নিয়তে ইবাদতের জন্য রাত জেগে থাকবে তার অতীতের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।” (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৩৭২) ❖ “লাইলাতুল কদর” কত তম রমাদানের মাঝে রয়েছে বলে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ ৩। রমযানের শেষ সাতের মাঝখানে। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয় লাইলাতুল কদর হচ্ছে রমযানের শেষ সাতের মাঝখানে, সেদিন সকালে শুভ্রতা নিয়ে সূর্য উদিত হবে, তার মধ্যে কোন কিরণ থাকবে না। ইব্‌ন মাসউদ বলেন: আমি সূর্যের দিকে তাকিয়ে সেরূপ দেখেছি, যেরূপ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন”। (আহমদ: ১/৪০৬) লাইলাতুল কদরের আলামতঃ আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “‎সে রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাইল) তাদের ‎রবের অনুমতিক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ ‎করে।‎ শান্তিময় সেই রাত, ফজর

জান্নাতে প্রবেশ করা সর্বশেষ ব্যক্তি

Image
  জান্নাতে প্রবেশ করা সর্বশেষ ব্যক্তি ----------------------------------------- আমরা চমৎকার একটি হাদিসের কথা জানি। একেবারে সবার শেষে যে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে তাকে নিয়ে। এ হাদিসটি সহিহ মুসলিমে বর্ণিত আছে। বর্ণনা করেছেন প্রখ্যাত সাহাবী ইবনে মাসউদ (রা)। তিনি বলেন— রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, "একদম সবার শেষে এমন এক ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে, যে হামাগুড়ি দিয়ে জাহান্নাম থেকে বের হওয়ার গেইটের দিকে এগিয়ে আসবে। সে একবার চলবে, একবার হোঁচট খাবে; আবার চলবে আবার পড়ে যাবে, তবু সে হাঁটতে থাকবে। বার বার আগুন এসে তাকে ঝলসে দেবে। অবশেষ যখন সে জাহান্নাম থেকে বের হয়ে আসবে... " তো, তাকে বলা হয়েছে যে, তুমি এখান থেকে বের হয়ে যেতে পারবে। একেবারে সর্বশেষ ব্যক্তি। এখন, সে শাস্তির ঐ এলাকা থেকে হেঁটে বের হয়ে আসছে। আর এই হেঁটে আসাটা সহজ হেঁটে আসা নয়। দীর্ঘদিন যাবত শাস্তি ভোগ করার পর এখন তাকে হাঁটার সামর্থ্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, শেষ সীমানা অবধি পৌঁছা পর্যন্ত তো তাকে কষ্ট করতে হবে। পরিশেষে, ঐ এলাকা অতিক্রম করে আসার পর সে পেছনে ফিরে বলবে—"তাবারাকাল্লাজি নাজ্জানি মিনকা- কত বরকতময় সে সত্তা! য

কল্যাণ দিয়ে যেমন , তেমনি অকল্যাণ দিয়েও পরীক্ষা করা হবে

Image
  এই দুনিয়াতে আল্লাহ কার উপর সন্তুষ্ট আর কার উপর অসন্তুষ্ট তা বুঝতে চেষ্টা করার ক্ষেত্রে সরল হবেন না। ব্যাপারটা আসলে কিছুটা জটিল। কখনো কখনো আল্লাহ আপনাকে এই দুনিয়াতে ধন-সম্পদ বা প্রভাব-প্রতিপত্তি দান করবেন, আর তা আসলে আপনার জন্য ভালো। আবার অনেক সময় তিনি আপনাকে এসব দান করবেন কিন্তু এসব আসলে আপনার জন্য একটি অভিশাপ। তাই, আপনার পক্ষে এভাবে বলা সম্ভব নয় যে, আমার যেহেতু অনেক ধন-সম্পদ রয়েছে তার মানে আল্লাহ আমাকে ভালোবাসেন অথবা আমার ধন-সম্পদ এবং প্রভাব-প্রতিপত্তি নেই তার মানে আল্লাহ আমাকে ঘৃণা করেন। এটা এতো সহজ কোনো সমীকরণ নয়। কুরআনেও নয়, এই ধর্মেও নয়। ইতিহাসে এমন অনেক মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়, যারা জীবনে প্রচুর প্রভাব-প্রতিপত্তি উপভোগ করেছিল কিন্তু তারা ছিল অভিশপ্ত। যেমন, ফেরাউন। আবার কারো কারো কিছুই ছিল না। আর তারা ছিলেন সবচেয়ে অভিজাত। যেমন, ইব্রাহিম (আ)। তাই, কে আল্লাহর কাছ থেকে আশীর্বাদপ্রাপ্ত আর কে আশীর্বাদপ্রাপ্ত নয় তা বুঝার জন্য এটা একক কোনো ফর্মুলা নয়। আমাদের দ্বীন বলে— দুনিয়ার এই জীবনে সর্বাবস্থায় আমরা পরীক্ষার সম্মুখীন হবো। কল্যাণ দিয়ে যেমন আমাদের পরীক্ষা করা হবে তেমনি অকল্যাণ

অনুগ্রহের দৃষ্টিতেও মেলে কবুল হজের সওয়াব

Image
  মা-বাবার খেদমত অন্যতম ইবাদত। মিরাজ রজনীতে নামাজ ও রোজা ফরজ হয় এবং আল্লাহর তরফ থেকে ১৪টি সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম হলো আল্লাহর সঙ্গে শরিক না করা এবং দ্বিতীয় হলো মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা (সুরা-১৭ ইসরা, আয়াত: ২৩)। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, তাঁর সঙ্গে শরিক করো না এবং মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো (সুরা-৪ নিসা, আয়াত: ৩৬)।’ সারা দুনিয়ায় মাত্র তিনটি জিনিস আছে, যা দেখলে সওয়াব হয়। কাবা শরিফ, কোরআন শরিফ ও মা-বাবার চেহারা। রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, ‘যখন কোনো সন্তান নিজের মা-বাবার প্রতি অনুগ্রহের নজরে দৃষ্টিপাত করে, আল্লাহ তায়ালা তার প্রতিটি দৃষ্টির বিনিময়ে একটি করে কবুল হজের সওয়াব দান করেন (বায়হাকি)।’ ‘আর আমি নির্দেশ দিয়েছি মানুষকে তার মা-বাবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার (সুরা-৪৬ আহকাফ, আয়াত: ১৫)।’ ‘আমি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি, তুমি আমার এবং তোমার মা-বাবার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৪)।’ রমজানে ইবাদত–বন্দেগির মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে জাহান্নাম থেকে নাজাত বা মুক্তি লাভ করে। মা-বাবার খে

ধূমপান ও মাদক ছেড়ে দেওয়ার অপূর্ব সুযোগ

Image
  মাকাসিদে শরিয়া বা ইসলামি বিধানাবলির উদ্দেশ্য হলো: জীবন রক্ষা, সম্পদ রক্ষা, জ্ঞান রক্ষা, বংশ রক্ষা, ধর্ম রক্ষা। ইসলামে সব ক্ষতিকর জিনিসই নিষিদ্ধ। মদ ও মাদক—মাকাসিদে শরিয়া বা শরিয়তের বিধানসমূহের উদ্দেশ্যাবলির পরিপন্থী। ধূমপান মাদকের প্রথম পদক্ষেপ। মদ ও মাদক পাপাচারের মূল এবং কবিরা গুনাহের অন্যতম (তবরানি ও বায়হাকি)। মদ্যপান ও মাদক সেবন অন্যান্য পাপের দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়। এ জন্যই সব ধরনের মদ ও মাদক ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে পানীয় (বা বস্তু) নেশা উদ্রেক করে, তা হারাম (বুখারি, প্রথম খণ্ড: ২৪১)।’ ধূমপান ও তামাক একপর্যায়ে আসক্তি বা নেশায় পরিণত হয়, যা ছাড়া ধূমপায়ী ও মাদকসেবী থাকতে পারে না। ইসলামি শরিয়তে নেশা সর্বৈব হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসী মুমিনগণ!...শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদিগকে আল্লাহর স্মরণে ও সালাতে বাধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত হবে না? (সুরা-৫ মায়িদা, আয়াত: ৯০-৯১)।’ ধূমপান ও তামাক শুধু ব্যবহারকারীর নয়, ব্যাপকভাবে অন্যদেরও ক্ষতি করে। এটি দেশ, জাতি, সমাজ ও সভ্যতার চরম শত্রু। ধূমপান ও তামাকের ক্ষত

নৈতিক চরিত্রের উৎকর্ষ সাধনে রমজান

Image
  পবিত্র রমজান তাকওয়ার মাস। তাকওয়া মানে আত্মসুরক্ষা। কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মোহ, মাৎসর্য—এ ষড়্‌রিপু হলো মানুষের মানবীয় গুণাবলির শত্রু। যেসব বৈশিষ্ট্য মানুষের জ্ঞানকে বাধাগ্রস্ত করে, তাদের বলা হয় রিপু বা শত্রু। এরা মূলত জ্ঞানের শত্রু। এগুলো মানব প্রবৃত্তিরই অংশ। এসবের সুনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার মানুষকে সুসভ্য ও উন্নততর করে। এগুলোর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার মানুষকে পশুরও অধম করে দেয়। অধঃপতনের অতল তলে নিমজ্জিত করে ফেলে। রমজানের উদ্দেশ্য হলো ষড়্‌রিপুর ওপর নিয়ন্ত্রণ লাভে নৈতিক শক্তি অর্জন করা। রোজা হলো নৈতিক শক্তি ও চারিত্রিক দৃঢ়তার পরম শিক্ষা। রমজানে রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় রোজাদার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সব ধরনের বৈধ পানাহার ও যৌনসম্ভোগ থেকে বিরত থাকেন। নির্জন নিরালায়, দরজা-জানালা বন্ধ ঘরে গোপন স্থানে অতি সংগোপনেও রোজাদার পানাহার তথা রোজার বিপরীত কোনো কাজ করেন না। সব কাজে সব সময় নেক আমলের জন্য কষ্টসহিষ্ণুতা ও পাপ বর্জনের জন্য মানসিক দৃঢ় মনোবল অর্জনই রোজার মূল শিক্ষা বা লক্ষ্য। যদি কেউ রোজা পালন করেন; কিন্তু গুনাহ ছাড়তে না পারেন, তবে রোজার প্রকৃত সুফল তিনি পাবেন না। যাঁরা রমজান মাসেও নীতিনৈতিকতার ধার ধারেন