Posts

Showing posts from January, 2023

জ্বীনদের নিয়ে কিছু কথা

Image
  জ্বীনদের নিয়ে কিছু কথা ------------------- আমাকে কি জ্বীন নিয়ে কখনো বলতে শুনেছেন? কখনো বলিনি জ্বীন নিয়ে? না। আপনাদের জ্বীনের গল্প বলতে যাচ্ছি না আমি। কিন্তু কুরআনের জ্বীনদের ঘটনা বলবো। অসাধারন ঘটনা! আমার খুব পছন্দের ঘটনা। পাঁচ মিনিটের জন্য বলবো। জ্বীনেরা আকাশে ঘুরে বেড়াতো। তারা ফেরেশতাদের কাছ থেকে তথ্যও চুরি করতো কখনও কখনো। একটুখানি তথ্য নিয়ে নিতো। এরপর পৃথিবীতে ফিতনা সৃষ্টি করতো সে অল্প একটু তথ্য দিয়েই। প্রত্যেকবার কিছু চুরির সময় তাদের উল্কাপিন্ড দিয়ে ধাওয়া করা হতো। যাইহোক। তো তারা আকাশে যেতে অভ্যস্ত ছিল। আর তাদের ছিল “মাক্বাইদ আল সামা’।” মানে আকাশে কিছু স্থান ছিল যেখানে বসে বসে শুনতে পারতো। তারা এসব শুনতো। আড্ডা দেবার মতো কিছু জায়গা ছিল। মহাজাগতিক পার্কিং লট ছিল… বুঝতে পারছেন? বা কার পার্কস ছিল। দুঃখিত। মহাজাগতিক কার পার্কিং ছিল। সেখানে তারা গিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থা করতো। একটু ধুমপান করতো 😀 গল্প করতো। আচ্ছা? বুঝতে পারছেন? ধুম? হাহা! তো যাই হোক। কিন্তু যখন কুরআন নাযিল হচ্ছিল, এটার বর্ননা সুরাতুল জ্বীনে আছে। যখন কুরআন আসছিল, পুরো আকাশ তালাবন্ধ (lockdown) করে দেয়া হয়েছিল। তাদের

১৫টি সহজ মুনাজাত

Image
  ✪ ১৫টি সহজ মুনাজাত🤲 ১) রাব্বানা আতিনা ফিদ্ দুনইয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আযাবাননার (সুরাঃবাকারা,আয়াতঃ২০১)✔️ ২) রাব্বানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইললাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানা কূনান্না মিনাল খাসিরীন। (সুরাঃআরাফ,আয়াতঃ২৩)✔️ ৩) রাব্বানা লা তুযিগ কুলূবানা বা'দা ইযহাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লাদুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব। (সুরাঃআল-ইমরান,আয়াতঃ০৮)✔️ ৪) রাব্বানাগ ফিরলানা যুনূবানা ওয়া ইসরা'ফানা ফী আমরিনা ওয়া সাব্বিত আক্বদা মানা ওয়ানসুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরীন।(সুরাঃআল ইমরান,আয়াতঃ১৪৭)✔️ ৫) রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিইয়াতিনা কুররাতা আ'ইনিও ওয়াজ আলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা। (সুরাঃফুরকান,আয়াতঃ৭৪)✔️ ৬) রাব্বানা আফরিগ্ আলাইনা ছাবরাও ওয়া সাব্বিত আক্বদা মানা ওয়ানসুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরীন। (সুরাঃবাকারা,আয়াতঃ২৫০)✔️ ৭) রাব্বিজ আলনী মুকীমাছছালাতি ওয়ামিন যুররিইয়াতী রাব্বানা ওয়া তাকাব্বাল দু'আ-ই। (সুরাঃ ইবরাহীম,আয়াতঃ ৪০)✔️ ৮) রাব্বানাগ্ ফিরলী ওয়ালি ওয়ালি দাইয়া ওয়ালিল মু'মিনীনা ইয়াওমা ইয়াক্বুমুল হিসাব।( সুরাঃইবরাহিম,আয়াতঃ৪১)✔️ ৯) রাব্বি

শাস্তি আসার পূর্বেই ফিরে আসুন

Image
  শাস্তি আসার পূর্বেই ফিরে আসুন, দেরি করবেন না —নোমান আলী খান গুনাহ বা মন্দ কাজগুলো আমাদের হতাশ করে দেয়। এগুলো এমন অনুভুতি আনে যে— "আল্লাহ তো আর আমাকে ক্ষমা করবে না। আমার অবস্থা তো খুব খারাপ। ক্ষমা চাবার অর্থটাই বা আর কি? আমি কী করছি জানেন? আমি কি কি কাজ করি সেগুলো জানেন? আপনি না জানলেই ভালো ভাই। আমি খুব খারাপ।" ভাবছেন, এই সময়ে এসে ক্ষমা চাবার মানেটাই বা কি? আর আল্লাহ জানেন এই চিন্তাগুলো ওসব মন্দ কাজের থেকেই উৎপন্ন হয়। আবার কেউ বলে, “ক্ষমা চাওয়া নিয়ে আমি আর ভাবতে পারবো না। আসলে যারা ভালো মানুষ তারা তো ইস্তিগফার ইত্যাদি করে। আমি তো অনেক খারাপ কাজের মধ্যে জড়িত। তাছাড়া এসব থেকে দূরে থাকবো সেটাও আপাতত হচ্ছে না।” আল্লাহ বলছেন—لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰهِ নিজেদের আলাদা করে ফেলো না। আশাহত হয়ো না। আল্লাহর রহমত থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলো না। আল্লাহ্‌র ভালোবাসা, যত্ন আর ক্ষমা থেকে একেবারেই আশাহীন হয়ে যেয়ো না। আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসা বন্ধ করেননি, তোমার খেয়াল রাখাও বন্ধ করেননি। এমন কখনোই না যে আল্লাহ তোমার প্রতি ক্ষমা দেখাতে আর আগ্রহী নন। এমন কিছুই না। আপনি নিজেকে বলেন,

কষ্ট ভোগের উদ্দেশ্য

Image
  প্রিয় ভাই এবং বোনেরা, দুঃখ-কষ্ট নিয়ে আমাদের মাইন্ডসেটটা নিম্নরূপ। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা এবং কষ্ট ভোগের উদ্দেশ্য হলো...রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন- কোনো ব্যথা, কোনো উদ্বেগ, কোনো চাপ, কোনো দুঃখ মুমিনকে আঘাত দিল আর এমতাবস্থায় সে ধৈর্য ধারণ করলো তখন আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দিবেন এবং তার মর্যাদা উন্নত করে দিবেন। এমনকি একটি কাঁটার আঘাতের জন্যেও সে পুরস্কার পাবে। আমরা পরীক্ষিত হতে চাই না। কিন্তু যখন পরীক্ষা এসে যাবে, বুঝতে চেষ্টা করুন, আল্লাহ আপনাকে সুযোগ দিয়েছেন অন্য সবার থেকে এগিয়ে যাওয়ার। যদি তিনি আপনাকে সে সুযোগ দান করেন, তিনি জানেন, আপনি সে পরীক্ষায় পাশ করবেন যদি আপনি পাশ করতে চান। আল্লাহ কখনোই ব্যর্থ হওয়ার জন্য আপনাকে পরীক্ষা দেন না। আল্লাহ তায়ালা বলেন- لَا یُکَلِّفُ اللّٰهُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَهَا- "আল্লাহ কোন ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের অতিরিক্ত কিছু আরোপ করেন না।" (বাকারা, ২৮৬) অনেক সময় পরীক্ষা এসে গেলে চাপে পড়ে আমরা বলে ফেলি- না। আমার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। আমার পক্ষে এটা পাশ করা সম্ভব নয়। আমার জন্য এটা অনেক কঠিন। আমি তখন বলি- না। কক্ষনো এভাবে চিন্তা

বিচার দিবসের স্বপক্ষে নৈতিক যুক্তি কী?

Image
  আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বিচার দিবসের স্বপক্ষে নৈতিক যুক্তি তুলে ধরেন। বিচার দিবসের স্বপক্ষে নৈতিক যুক্তি কী? পৃথিবীর এই জীবন মজ্জাগতভাবে অন্যায্য। যদি কোনো বিচার দিবস না থাকে তাহলে আল্লাহ যে নিখুঁত ন্যায় বিচারক তার কোনো প্রমান পাওয়া যাচ্ছে না। এই যুক্তিটি আল্লাহ কুরআনে ব্যবহার করেছেন। দুনিয়াতে যেহেতু ন্যায় বিচার পাওয়া যায় না, তাহলে তোমরা কিভাবে বিচার দিবসকে অস্বীকার করো? আর আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা অন্যায় অবিচারকে বিনা শাস্তিতে পার পেতে দিবেন না। তাই, কুরআন বিচার দিবসের অস্তিত্বের স্বপক্ষে এভাবে নৈতিক যুক্তি তুলে ধরে। আর পাশ্চাত্যের দার্শনিকরা সাম্প্রতিক সময়ে এসে এই যুক্তি নিয়ে কথা বলা শুরু করেছেন। আল্লাহ ভালো জানেন, হয়তো তারা কুরআন থেকে এটা শিখেছেন। এরপর তারা এই যুক্তির আলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আল্লাহর অস্তিস্ত্ব প্রমানের চেষ্টা করেছেন। আমাদের জন্য এই যুক্তিটি কুরআনে প্রদান করা হয়েছে। এই বিষয়ে বহু আয়াত রয়েছে। তার মাঝে একটি হলো, আল্লাহ বলেন - أَفَنَجْعَلُ الْمُسْلِمِينَ كَالْمُجْرِمِينَ - "তবে কি আমি মুসলিমদেরকে (অনুগতদেরকে) অবাধ্যদের মতই গণ্য করব?" مَا لَكُمْ كَي

রব শব্দের অর্থ কি

Image
  আল্লাহ আমার রব। কিন্তু রব শব্দের অর্থ কি? চলুন একটু ভালভাবে জানার চেষ্টা করি। প্রায়ই এর অর্থ করা হয় প্রভু বা মনিব। রব্ব শব্দটি সম্পর্কে কয়েকটি জিনিস আমিও আগে জানতাম না। আজ পড়লাম যে, রব্ব শব্দটি আরবিতে রুব্ব শব্দের সাথে সম্পর্কিত। আরবীতে রুব্বুন। এর মানে হলো, কোন পানীয়। যা ফুটানো শুরু করলে সমস্ত দূষণ বাষ্পীভূত হয়ে যায়। শুধু অর্ধেক বাকি, কিন্তু সেটা বিশুদ্ধ। একইভাবে তারা যখন খেজুরের গুড় বানায় তখন তা জ্বাল দেয়। ফলে পানি বাষ্প হয়ে যায় আর গাঢ় অংশটি রয়ে যায়। একে আসলে রুব্ব এর প্রক্রিয়া বলে। তারা একে আঙ্গুরের জন্যেও ব্যবহার করে রস কিংবা জুস বা এমন কিছু বানানোর জন্য। একইভাবে তেলের জন্যেও। এর মানে হলো, রুব্ব বলতে এমন নরম বা তরল কিছুকে বুঝায় যা ঘন করা হয়, শক্ত করা হয়, পরিণত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়। কোনো প্রক্রিয়ার মধ্যে ফেলে একে শক্ত করলেন যাতে তা দিয়ে কিছু করা যায়। যেন এর থেকে উপকার পাওয়া যায়। এরপর বলা হয়ে থাকে যে, অশুদ্ধি দূরীকরণ প্রক্রিয়া হলো রুব্ব। রব্বের সাথে আপনার সম্পর্কও এই বিষয়গুলোকে প্রতিফলিত করে। রব্বের সাথে আমার সম্পর্ক স্থাপিত হলে তিনি আমাকে শক্তিশালী করেন এবং আমার দূষিত বি

ওয়া সদ্দাকা বিল হুসনা

Image
  ওয়া সদ্দাকা বিল হুসনা অর্থ -------------------------------------- এরপর আছে তৃতীয় আইটেম যা এ দুইটিকে একত্রে সিলযুক্ত করে দেয়। আর তা হলো- ওয়া সদ্দাকা বিল হুসনা। এটি জটিল কোনো পাঠ নয়। ব্যাখ্যা করতে বেশি সময় নেওয়া উচিত না। কিন্তু এতে আছে নিগূঢ় শিক্ষা। মুফাচ্ছিরদের জন্য এতে জটিলতা তৈরী হয় কারণ 'আল-হুসনা' শব্দটি একটি এডজ্যাকটিভ। গুণবাচক শব্দ। অর্থ: সবচেয়ে সুন্দর। তাহলে আয়াতটির অর্থ হলো- সে সবচেয়ে সুন্দর জিনিসকে সত্য বলে গ্রহণ করে নিয়েছে। (He accepted the truth in the most beautiful) সবচেয়ে সুন্দর জিনিস কী? কোথাকার সবচেয়ে সুন্দর জিনিস? তাই, কেউ কেউ বলেছেন আল-হুসনা হলো সবচেয়ে সুন্দর বাণী। অর্থাৎ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। অর্থাৎ যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ কে সত্য বলে মেনে নিয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, সবচেয়ে সুন্দর কাজ। এরকম আল-হুসনা বলতে কী বুঝায় এ নিয়ে অনেক ধরণের মন্তব্য পাওয়া যায়। আমি যুক্তি দেখাবো, আল-হুসনা বলতে আসলে 'সত্য'-কে বুঝায়। আল-কালিমাতুল হুসনা। যে কোনো সত্য বাণী সবচেয়ে সুন্দর জিনিস। অন্য কথায়- সহজে আপনাদের বুঝিয়ে বলছি। এর আগে চলুন, আয়াতের প্রথম অংশ 'সদ্দাকা&#

সুরা বাকারার সার কথা

Image
  ‘বাকারা’ পবিত্র কোরআনের দ্বিতীয় সুরা। বাকারা অর্থ গাভি। এই সুরার এক স্থানে গাভি নিয়ে একটি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। সুরাটি পবিত্র মদিনায় অবতীর্ণ হয়। এতে ৪০ রুকু, ২৮৬ আয়াত আছে। সুরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত ‘আয়াতুল কুরসি’ নামে পরিচিত। এটি কোরআন শরিফের প্রসিদ্ধ আয়াত। পুরো আয়াতে আল্লাহর একত্ববাদ, মর্যাদা ও গুণের বর্ণনা থাকায় আল্লাহ–তাআলা এ আয়াতের মধ্যে অনেক ফজিলত রেখেছেন। এ সুরার শেষ দুটি আয়াতের (২৮৫-২৮৬) রয়েছে বিশেষ ফজিলত ও তাৎপর্য। সুরা বাকারাকে মোটাদাগে ৯ ভাগে ভাগ করা যায়। ১ম ভাগ: ইমান থাকা, না থাকা। (আয়াত ১-২০) ২য় ভাগ: সৃষ্টি ও জ্ঞান। (আয়াত ২১-৩৯) ৩য় ভাগ: বনি ইসরাইল জাতির প্রতি প্রেরিত আইনকানুন। (আয়াত ৪০-১০৩) ৪র্থ ভাগ: ইবরাহিম (আ.)–এর ওপর পরীক্ষা ও তাঁর জাতি। (আয়াত ১০৪-১৪১) ৫ম ভাগ: নামাজের দিক পরিবর্তন। (আয়াত ১৪২-১৫২) ৬ষ্ঠ ভাগ: মুসলিম জাতির ওপর পরীক্ষা। (আয়াত ১৫৩-১৭৭) ৭ম ভাগ: মুসলিম জাতির প্রতি প্রেরিত আইনকানুন। (আয়াত ১৭৮-২৫৩) ৮ম ভাগ: সৃষ্টি ও জ্ঞান। (আয়াত ২৫৪-২৮৪) ৯ম ভাগ: ইমান থাকা, না থাকা। (আয়াত ২৮৫-২৮৬) সুরা বাকারার ৭ম ভাগে এসে আল্লাহ বর্ণনা করেছেন, কী কী আইনকানুনের মাধ্যম তিনি

আদি মানব ও আদি নবী আদম (আ.)

Image
  হিব্রু ‘আদম’ শব্দের অর্থ মানুষ। বাইবেল ও পবিত্র কোরআন অনুসারে প্রথম মানব। ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম ধর্মমতে, আদম (আ.) ও তাঁর স্ত্রী হাওয়া (আ.) থেকে সমগ্র মানবজাতির সৃষ্টি। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টির আগে ফেরেশতা ও জিন সৃষ্টি করেন। এমনকি চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র ও পৃথিবীর বৃক্ষ-লতা, জীবজন্তু ইত্যাদিরও সৃষ্টি মানুষের আগেই। তারপরও আল্লাহ পৃথিবীকে আবাদ করার ইচ্ছা থেকে মানুষ সৃষ্টি করেন। ফেরেশতা আল্লাহর নূর থেকে এবং জিনরা আগুন থেকে সৃষ্ট। কিন্তু আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করেন মাটি দিয়ে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সুরা হিজর-এর ২৬ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি তো ছাঁচে-ঢালা শুকনা ঠনঠনে মাটি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছি।’ এই মাটির তৈরি মানুষকেই যখন আল্লাহ তাঁর প্রতিনিধি বলে উল্লেখ করেন, তখন ফেরেশতারা আল্লাহকে বলেন, মানুষ তো দুনিয়ায় গিয়ে ঝগড়া-বিবাদ করবে। জবাবে আল্লাহ ফেরেশতাদের বলেন, ‘আমি যা জানি, নিশ্চয়ই তোমরা তা জানো না।’ আল্লাহ আদমকে (আ.) এমন জ্ঞান দান করেন, যা জিন ও ফেরেশতাদের অনায়ত্ত ছিল। অতঃপর আল্লাহ ফেরেশতাদের নির্দেশ দেন আদমকে (আ.) সিজদা করতে। তাঁরা সবাই আল্লাহর আদেশ পালন করেন। কেবল একজন ইবলিস ছাড়

কবরের সওয়াল জওয়াব

Image
  কবর মানে সমাধি। ইসলামি বিধানমতে, মৃত ব্যক্তির দেহ দাফন বা সমাধিস্থ করা হয়। কবর দেওয়ার জায়গাকে ‘কবরস্থান’ তথা সমাধিস্থল বলা হয়। ফারসিতে কবরকে গোর বলা হয় এবং কবরস্থানকে ‘গোরস্তান’ বলা হয়ে থাকে। মৃত্যুর পর থেকে কিয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত সময়কে বারজাখ বা অন্তর্বর্তী সময় বলা হয়। বারজাখ জীবনকে সাধারণত কবর জীবন বলা হয়। কারণ, স্বাভাবিক অবস্থায় মৃতদেহ বা লাশ কবর দেওয়া হয়ে থাকে। যাদের বিশেষ কোনো কারণে দাফন হবে না, তাদেরও বারজাখ জীবন একই রকম হবে।  বারজাখ জীবন বা কবরে প্রত্যেক মানুষকে তিনটি প্রশ্ন করা হবে। এই প্রশ্ন করার জন্য যে ফেরেশতারা আসবেন, তাঁদের পরিচয় হলো ‘মুনকার-নাকির’। মুনকার-নাকির অর্থ হলো অপছন্দনীয় বা অযাচিত ও অবাঞ্ছিত। যেহেতু বারজাখবাসী ব্যক্তি প্রশ্নোত্তরকারী ফেরেশতাদের বিষয়ে অনাগ্রহী থাকবেন, তাই তাঁদের এমন পদবি। কবরের তিনটি প্রশ্ন আরবিতে এভাবে হবে: ‘মান রাব্বুকা? ওয়া মা দ্বীনুকা? ওয়া মান নাবিয়্যুকা?’ অর্থাৎ ‘তোমার রব কে? তোমার দ্বীন-ধর্ম কী? তোমার নবী কে?’ প্রশ্নের শেষাংশটি বিভিন্ন বর্ণনায় বিভিন্নভাবে রয়েছে। যেমন ‘ওয়া মান হাজার রজুল?’ প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর প্রতি ইঙ্গিত করে ব

অজুর প্রয়োজন কেন

Image
  অজুর প্রয়োজন কেন অজু অর্থ পরিচ্ছন্নতা। মুসলমানদের মধ্যে শারীরিক পবিত্রতা লাভের জন্য গোসলের পর অজুর স্থান। পবিত্র কোরআনে বিশেষভাবে নামাজ ও পবিত্র কোরআন পড়ার আগে অজু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনের সুরা মায়িদা-র ৬ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে বিশ্বাসীগণ! যখন তোমরা নামাজের জন্য দাঁড়াও, তখন তোমাদের মুখ ও হাত কনুই পর্যন্ত ধোবে এবং তোমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে নেবে, আর পা গিট পর্যন্ত ধোবে। যদি তোমরা অপবিত্র থাকো তবে বিশেষভাবে পবিত্র হবে।’ শরীর অপবিত্র হওয়ার কারণ হলো পায়খানা-প্রস্রাব করা, বায়ু নিঃসরণ, অচেতন হওয়া বা ঘুমিয়ে পড়া, রক্তক্ষরণ ইত্যাদি। এই অপবিত্র অবস্থা থেকে পবিত্র অবস্থায় ফিরে আসার জন্য অজুর প্রয়োজন। অজু তিন প্রকার: ফরজ, ওয়াজিব ও মোস্তাহাব। নামাজের জন্য অজু ফরজ। কাবা শরিফ তাওয়াফের জন্য অজু করা ওয়াজিব। গোসল ও ঘুমানোর আগে অজু করা মোস্তাহাব। অজু করার নিয়ম হলো, বিসমিল্লাহর সঙ্গে প্রথমে নিয়ত করতে হয়। তারপর ডান হাতের ওপর তিনবার ও বাঁ হাতের ওপর তিনবার পানি ঢেলে ধুতে হবে। আঙুলের ফাঁকে এমনকি আংটির মাঝেও পানি প্রবেশ করাতে হবে। হাতের তালুতে পানি নিয়ে তিনবার গড

আরবদেশে মূর্তিপূজার শুরু কিভাবে হয়েছিল?

Image
  আমাদের আশে-পাশে আমরা অনেক বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন দেখতে পাই যারা মুসলিম পরিবার থেকে এসেছে, একসময় হয়ত ইসলাম পালনও করত, কিন্তু সময় যেতে যেতে একসময় সে তার ধর্ম থেকে অনেক দূরে সরে গেছে, এমন কি অনেক ক্ষেত্রে এখন তারা ইসলাম বিরোধী পর্যন্ত হয়ে গেছে। ধর্ম থেকে এহেন বিচ্যুতি শুধু ব্যক্তি বা পরিবারের মধ্যেই দেখা যায় না, অনেক সময় এমনকি পুরো জাতির মধ্যে দেখা যায়। মানুষের ধর্ম থেকে বিচ্যুত হওয়ার কারণ আমরা সিরাতে বর্ণিত একটি ঘটনা থেকে জানতে পারি। আর সেটা হলো – কুরাইশরা যেভাবে এক আল্লাহর ইবাদত ছেড়ে মূর্তিপূজা শুরু করেছিল। যেই মক্কায় ইব্রাহিম(আ) ও তাঁর ছেলে ইসমাইল(আ) ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিল, যেখানে পৃথিবীর সবচাইতে পবিত্র ঘর কা’বা নির্মান করা হয়েছে, যে কা’বাকে ঘিরে দীর্ঘকাল ধরে হজ্ব পালন হয়ে আসছে, সেই পবিত্র শহর মক্কার মানুষেরা এক আল্লাহকে বাদ দিয়ে মূর্তিপূজার শুরু করেছিল কিভাবে? আমরা যখন এই ইতিহাসটা জানব, তখন আমাদের জন্য বুঝা সহজ হয়ে যাবে যে মানুষ কিভাবে সঠিক ধর্ম থেকে বিচ্যুত হয়। আরবজাতির মূর্তিপূজা ও কুসংস্কারমূলক প্রথাগুলির শুরু হয়েছিল রাসূলুল্লাহ(সা) এর আগমনের প্রা