বিয়ে নিয়ে কিছু বিধান

 


প্রাপ্তবয়স্ক হলে এতিমদের অর্থসম্পদ ফিরিয়ে দিতে হবে। তা আত্মসাৎ করা যাবে না। খারাপ মাল দিয়ে তাদের ভালো মাল নিজে নেওয়া যাবে না। এতিম ছেলে ও মেয়ে উভয়ের সম্পদের ক্ষেত্রেই এ বিধান প্রযোজ্য।

একসঙ্গে চারজন নারীকে বিয়ে করার সুযোগ থাকলেও শর্ত হচ্ছে স্বামীকে তাদের অধিকার আদায়ে সক্ষম হতে হবে। তাদের সঙ্গে ন্যায়সংগত আচরণ করতে হবে। আর নিখুঁতভাবে তা না পারলে একজন স্ত্রী নিয়ে সন্তুষ্টচিত্তে সংসার করতে হবে।

ইসলামের আগেও একাধিক নারীকে বিয়ের প্রচলন ছিল, তবে স্ত্রীর সংখ্যা সুনির্দিষ্ট ছিল না। ইসলাম ও সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেয় এবং কিছু কঠোর শর্ত আরোপ করে। বস্তুত কড়ায়–গন্ডায় হিসাব করে শর্তগুলো মেনে চলা এতই দুরূহ যে প্রকৃতপক্ষে এক স্ত্রীর সংসারই নিরাপদ। নইলে আল্লাহর দেওয়া শর্ত যেকোনো সময় লঙ্ঘন ফেলার আশঙ্কা থাকে।

জাহিলিয়া যুগে আরবে অবাধে বহুসংখ্যক বিয়ে করার প্রচলন ছিল। চারটি পর্যন্ত বিয়ে করার অনুমতি দেওয়া হলেও একটির বেশি বিয়ে করা শর্তসাপেক্ষ করা হয়েছে, যাতে স্ত্রীদের মধ্যে সুবিচার করতে পারার ব্যাপারে কোনো ভেদ না ঘটে।বিয়ে করার জন্য স্ত্রীকে মোহর প্রদান করা ফরজ। বিয়ের আগেই মোহর দিতে হবে। তবে স্ত্রীর সম্মতিক্রমে পরেও দেওয়া যেতে পারে। ইসলামে ওয়ারিশ পুরুষ ও নারী সবাই পাবে। বণ্টনকালে তারা উপস্থিত হলে বিরক্তি প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এর কারণ ইসলাম ভরণপোষণ, অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান এবং বিয়ের মোহরানাসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব পুরুষের ওপর অর্পণ করা হয়েছে।নারীদের হক আদায় করা অবশ্যকর্তব্য (ফরজ)। ইসলামের আগে নারীদের ওয়ারিশ সম্পত্তি বা মিরাস দেওয়া হতো না। আরবদের মধ্যে প্রবাদ ছিল, যারা ঘোড়ায় সওয়ার হতে পারে না, তরবারি বহন করতে পারে না, দুশমনের মোকাবিলা করতে পারে না, তাদের সম্পত্তি দেওয়া হবে না। এ কারণে শিশু ও নারীদের মিরাস থেকে বঞ্চিত করা করত। ইসলাম নারীদের ওপর এই জুলুম পরিত্যাগ করে শিশু ও নারীদেরও সম্পত্তির হকদার বলে সাব্যস্ত করেছে।

নারীদের সঙ্গে সদাচরণ এবং পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে তাদের অংশসংক্রান্ত আলোচনার পর ওই সব নারীর আলোচনা করা হয়েছে, আত্মীয়তা, বৈবাহিক বা দুধসম্পর্কের কারণে যাদের বিয়ে করা হারাম। (আয়াত: ২৩-২৪)

বিয়ে করার জন্য স্ত্রীকে মোহর প্রদান করা ফরজ। বিয়ের আগেই মোহর দিতে হবে। তবে স্ত্রীর সম্মতিক্রমে পরেও দেওয়া যেতে পারে। ইসলামে ওয়ারিশ পুরুষ ও নারী সবাই পাবে। বণ্টনকালে তারা উপস্থিত হলে বিরক্তি প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এর কারণ ইসলাম ভরণপোষণ, অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান এবং বিয়ের মোহরানাসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব পুরুষের ওপর অর্পণ করা হয়েছে।

পবিত্র কোরআনের চতুর্থ সুরার নাম সুরা নিসা। নিসা মানে স্ত্রীজাতি। এই সুরায় ২৪ রুকু, ১৭৬ আয়াত। তৃতীয় হিজরিতে ওহুদের যুদ্ধের পর এটি অবতীর্ণ হয়। এতে উত্তরাধিকার এবং এতিমের অধিকার বর্ণিত রয়েছে।

Comments

Popular posts from this blog

সহজ দশটি(১০)টি জিকির!

❝সূরা হুজুরাত❞

ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট