Posts

Showing posts from October, 2024

আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ দলিল মদিনা সনদ

Image
  শান্তির দূত বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) প্রথম আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্রের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি মদিনা ও এর পাশের অঞ্চলগুলোর মুসলমান এবং নানা ধর্মের ও নানা বর্ণের লোকদের নিয়ে একটি সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, যা জাতি, ধর্ম, বর্ণনির্বিশেষে সবার মানবিক, সামাজিক, নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। যে ঐতিহাসিক ঘোষণার মাধ্যমে এই বহুজাতিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়, ইতিহাসে তা ‘মদিনা সনদ’ নামে পরিচিত। এটি মানবসভ্যতার প্রথম লিখিত রাষ্ট্রীয় সংবিধান। এ চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, অত্যাচারিত–নিপীড়িতকে সাহায্য করা এবং চুক্তিভুক্ত সব পক্ষের মানমর্যাদা ও ধর্মবিশ্বাসের অধিকার সংরক্ষণ। মদিনা সনদ মানবসভ্যতায় ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জীবনে বিরাট পরিবর্তন সাধন করে। এটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নৈরাজ্য, সংঘাত, যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ করে যুদ্ধবাজ গোত্রগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধন তৈরি করে মদিনা সনদ মানবসভ্যতায় ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জীবনে বিরাট পরিবর্তন সাধন করে। এটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নৈরাজ্য, সংঘাত, যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ করে যুদ্ধবাজ গোত্রগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য,

জান্নাত কি এবং দেখতে কেমন?

Image
  জান্নাত, বেহেশত, জান্নাতুল ফিরদাউস-- একজন মুসলমানের জীবনের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য। জান্নাত হল সেই পুরষ্কার যার জন্য আমরা সমস্ত কষ্ট সহ্য করি এবং কখনও কখনও নিজের ইচ্ছার গলা টিপে ধরছি... যাতে করে আমরা পরকালে জান্নাতে যেতে পারি। কিন্তু জান্নাহ কি এবং দেখতে কেমন? এটা সাধারণভাবে বিশ্বাস করা হয় যে কোন চোখ কখনো জান্নাত দেখেনি, কোন কান তা থেকে কখনো শোনেনি এবং কোন মন কখনো চিন্তা করেনি যে জান্নাতে আমরা কোন কোন উপহার পেতে যাচ্ছি। কুরআন ও হাদিসে এমন কিছু লিড রয়েছে যা জান্নাতের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা প্রদান করে, উদাহরণস্বরূপ- জান্নাতের নিচে প্রবাহিত পানির স্রোত থাকবে (আল-বাকারাহ 02:25 ) এটি আকারে অপরিসীম, প্রকৃতপক্ষে সমস্ত আকাশ এবং পৃথিবীর মিলিত রূপের চেয়েও বড় (আল-ইমরান 3:133, আল-হাদিদ 57:21 ) এতে অকল্পনীয় পরিমাণ সোনা এবং সবুজ রেশম রয়েছে (আল-কাহফ 18:31 , আল-হজ 22:23 ) জান্নাতে বসবাসের স্থানগুলি আমাদের কল্পনার বাইরে হবে (আল-ফুরকান 25:75, আল-আনকাবউত 29:58 ) এটি সবচেয়ে সুস্বাদু সুস্বাদু খাবার সরবরাহ করবে যা কেউ কখনও জানতে পারবে না এবং তারপরে (ইয়াসিন 36:57 ) এর চেয়েও বেশি... জল, যা কখনই

প্রয়োজনীয় বই ,ইসলাম সম্পর্কে জানতে

Image
  ১। তাইসীরুল কুরআন কুরআনের এই অনুবাদটি সহজ সরল ভাষায় চলিত ভাষায় লিখিত। ২। তাফসীর আহসানুল বায়ান সম্পূর্ণ কুরআন মাজীদের বিশুদ্ধ তাফসীরের সহজবোধ্য ও মানসম্মত বাংলা অনুবাদ। তাফসীরটি রচনা করেন শাইখ সালাহুদ্দিন ইউসুফ; আর বাংলা অনুবাদের তত্ত্বাবধান ও সম্পাদনা করেছেন আল-মাজমা‘আ দাওয়া সেন্টারের সম্মানিত দা‘ঈ শাইখ আবদুল হামীদ ফাইযী মাদানী সাহেব। – ৩। আর রাহীকুল মাখতূম: একটি অনবদ্য সীরাত-গ্রন্থ। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সীরাত পর্যালোচনায়, সীরাতের ঘটনামালার সুসংহত ও মনোজ্ঞ উপস্থাপনায় বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সত্যিই এক নজিরবিহীন রচনা। আল কুরআনুল কারীম, হাদীসে নববী ও বিশুদ্ধ আছার এবং ঐতিহাসিক বর্ণনার নির্যাস বের করে প্রাজ্ঞ লেখক তাঁর এ বইটি সুবিন্যস্ত করেছেন ৪। রিয়াদুস সালেহীনঃ রিয়াদুস-সালিহীনের নাম শোনেনি এমন পাঠক মেলা ভার। যুগশ্রেষ্ঠ ইমাম নববী রহ.-এর বিখ্যাত সংকলন। রসূল ﷺ -এর হাদীসের আলোকে নেককার হবার গোটা সিলেবাস বইটিতে বিন্যাস করা হয়েছে। এতে আছে আত্মশুদ্ধি নিয়ে বর্ণিত প্রায় সকল হাদীস। ইসলামের যে কয়েকটি বই আমাদের প্রত্যহ পড়া উচিত, সেই তালিকার শীর্ষে আছে এটি। ইতিপূর্বে অন

ধৈর্য নিয়ে আল্লাহর বাণী ও হাদিস

Image
  ইসলাম মানবতার ধর্ম। মানব চরিত্রের উৎকর্ষ সাধনই এর মূল লক্ষ্য। এ মহান লক্ষ্যে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আদি যুগ থেকে নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পাঠিয়েছেন মানবতার উৎকর্ষের পূর্ণতা প্রদানের জন্য। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘বুইছতু লিউতাম্মিমা মাকারিমাল আখলাক’, অর্থাৎ আমাকে পাঠানো হয়েছে সুন্দর চরিত্রের পূর্ণতা প্রদানের জন্য। (মুসলিম ও তিরমিজি)। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কোরআন কারিমে বলেন, ‘ওয়া ইন্নাকা লাআলা খুলুকিন আজিম’, অর্থাৎ হে মুহাম্মদ (সা.), নিশ্চয় তুমি মহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত। (সুরা কলম, আয়াত: ৪)। মানব চরিত্রের উত্তম গুণাবলির অন্যতম হলো ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা। পবিত্র কোরআনে স্থানে স্থানে মহান আল্লাহ নিজেকে ধৈর্যশীল ও পরম সহিষ্ণু হিসেবে পরিচয় প্রদান করেছেন। ধৈর্যের আরবি হলো ছবর। সহিষ্ণুতার আরবি হলো হিলম। ছবর ও হিলম শব্দদ্বয়ের মাঝে কিঞ্চিৎ তাত্ত্বিক পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। সাধারণত ছবর তথা ধৈর্য হলো অপারগতার কারণে বা অসমর্থ হয়ে প্রতিকারের চেষ্টা বা প্রতিরোধ না করা। আর হিলম, অর্থাৎ সহিষ্ণুতার মানে হল

সকাল-সন্ধ্যার আমল

Image
  সকাল-সন্ধ্যার আমলগুলো কেন এত জরুরি? . সকাল-সন্ধ্যার আমলগুলো একজন মুমিনের প্রধান নিরাপত্তবলয় ও সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে। এগুলো ঈমানকে নিরাপত্তা দেয়, আমলকে তরতাজা রাখে, মনের অশান্তি দূর করে, বদনজর থেকে সুরক্ষা দেয় এবং শয়তান ও নিকৃষ্ট জ্বিনের আক্রমণ থেকে হেফাজত করে। এবার বলুন, একজন বুদ্ধিমান ঈমানদার কী করে সকাল-সন্ধ্যার আমলগুলো থেকে দূরে থাকতে পারে? . এজন্যই আল্লাহ তাআলা কুরআন কারিমে বারবার সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর যিকর (স্মরণ) ও তাসবিহ পড়তে বলেছেন। আল্লাহ বলেন— . “হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো এবং সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর মহিমা ঘোষণা করো।” [সুরা আহযাব, আয়াত: ৪১-৪২] . “অতএব, তোমরা আল্লাহর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করো, যখন তোমরা সকাল করো এবং যখন তোমরা সন্ধ্যায় উপনীত হও।” [সুরা রুম, আয়াত: ১৭] . “তুমি তোমার রবের প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করো সকালে ও সন্ধ্যায়।” [সুরা গাফির, আয়াত: ৫৫] . এরকম অসংখ্য আয়াত আছে কুরআনে। আর আল্লাহ তাআলার এসব নির্দেশনার আলোকে তাঁর নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সকাল-সন্ধ্যার বিভিন্ন আমল, আযকার ও তাসবিহাতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। সেগুলো

ফজিলতের হাদিস

Image
  এর চেয়ে বেশি ফজিলতের কোন হাদিস আমার জানা নেই। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারীদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, তাহলে প্রত্যেক মুসলিমের জন্য একটি করে সওয়াব আল্লাহ তার আমল নামায় লিখে দেবেন (ত্বাবরানী, শাইখ আলবানী হাদীছটিকে হাসান সহিহ বলেছেন, সহীহুল জামে হা/৬০২৬) হাদিসটা নিয়ে একটু চিন্তা করে দেখুন, বর্তমান পৃথিবীতেই ২০০ কোটির উপরে মুসলিম রয়েছে আর আদম (আঃ) থেকে শুরু করে কিয়ামত পর্যন্ত মুসলিমের সংখ্যা কত হবে সেটা ১মাত্র আল্লাহ সুবহানাহু তা’লা ছাড়া আর কারো পক্ষেই জানা সম্ভব নয়। অথচ তাদের জন্য ১ বার ক্ষমা চাইলেই আপনি সেই সংখ্যক নেকী পেয়ে যাবেন যার পরিমাণ কোন মানুষের কল্পনায়ও আসবে না। ইসলামের সৌন্দর্য দেখুন, ইসলাম শুধু নিজের কথা চিন্তা করতে বলে না বরং অন্যদের কল্যাণ কামনা, তাদের প্রতি বিদ্বেষ না রাখা, তাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এটাও শরীয়তে বিরাট ইবাদত হিসাবে বিবেচিত আর সেই কারনেই দেখা যাচ্ছে মুসলিম ভাই বোনদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়াতে তিনি এমন পরিমাণ সওয়াব নির্ধারণ করেছেন যেটা আর কোথাও পাওয়া যায় না। কিভাবে তাদের জন্য ক্ষমা চাইবেন- আল

কোমল স্বভাব: জান্নাতি মানুষদের বৈশিষ্ট্য

Image
  কোমল স্বভাব: জান্নাতি মানুষদের বৈশিষ্ট্য ----------------------*------------------- মুমিনের একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হলো সে ঝামেলা তৈরি করে না। সে ক্ষুদ্রমনা নয়। এমন অনেককে হয়তো চিনে থাকবেন যার সাথে আপনি কোনো ধরনের কাজ কারবারে জড়াতে চান না। তারা ঝামেলা পাকাবে, উচ্চ আওয়াজে কথা বলবে, সামান্য ভুল ত্রুটিও মেনে নিবে না। আবার, অন্য অনেককে চিনে থাকবেন যাদের সাথে কাজ কারবার করা অনেক সহজ। মুমিন হলো হাইয়িন বা কোমল। সে হলো জেন্টল বা নম্র-ভদ্র। আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা কুরআনে এ বলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রশংসা করেন- فَبِمَا رَحۡمَۃٍ مِّنَ اللّٰهِ لِنۡتَ لَهُمۡ “অতঃপর আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের কারণে তুমি তাদের জন্য নম্র হয়েছিলে।” وَ لَوۡ کُنۡتَ فَظًّا غَلِیۡظَ الۡقَلۡبِ لَانۡفَضُّوۡا مِنۡ حَوۡلِکَ ۪- “আর যদি তুমি কঠোর স্বভাবের, কঠিন হৃদয়সম্পন্ন হতে, তবে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়ত।” (3:159) অর্থাৎ, রাসূলুল্লাহ (স) যদি কঠোর স্বভাবের হতেন তাহলে সাহাবারা আশপাশ থেকে সরে পড়তো। তিনি হলেন আমাদের রোল মডেল। তাই আমাদেরও উচিত নম্র এবং কোমল স্বভাবের হওয়া। সবার সাথে। বাছাই

নবীদের মধ্যে কোনো একজন জিহাদে বের হওয়ার ইচ্ছা করলেন

Image
  হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর বরাতে এই হাদিসের বর্ণনা আছে। তিনি বর্ণনা করেছেন যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, নবীদের মধ্যে কোনো একজন জিহাদে বের হওয়ার ইচ্ছা করলেন। তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, ‘যে নতুন বিয়ে করেছে এবং তার সঙ্গে বাসর করার বাসনা রাখা সত্ত্বেও যে এ পর্যন্ত তা করেনি, তেমন লোক যেন আমার সঙ্গে না যায়। এমন লোকও যেন না যায় যে ঘর তুলেছে, কিন্তু এখনো ছাদ ঢালেনি। তেমন লোকও নয়, যে গর্ভবতী ভেড়া-ছাগল বা মাদি উট কিনে সেগুলোর বাচ্চা হওয়ার অপেক্ষায় আছে।’ এর পর সে নবী জিহাদের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন। তারপর তিনি আসরের নামাজের সময় বা তার কাছাকাছি সময়ে ওই গ্রামে (যেখানে জিহাদ করবেন) পৌঁছালেন। তারপর তিনি সূর্যকে (সম্বোধন করে) বললেন, ‘তুমিও (আল্লাহর) আজ্ঞাবহ এবং আমিও (তাঁর) আজ্ঞাবহ। হে আল্লাহ! একে তুমি আটকে দাও (অর্থাৎ যুদ্ধের ফলাফল বের না হওয়া পর্যন্ত সূর্য যেন না ডোবে)।’ সূর্যকে আটকে দেওয়া হলো। এমনকি আল্লাহ–তাআলা (ওই জনপদটিকে) তাদের হাতে জয় করালেন। এর পর তিনি গনিমতের মাল জমা করলেন। তারপর তা গ্রাস করার জন্য (আসমান থেকে) আগুন এল, কিন্তু সে তা খেল না (ভস্ম করল না)। (এ দেখে) তিনি বললেন, ‘নিশ্চয় তোমাদের ম

বিপদে–আপদে ও অসুস্থতায় এই দুটো সুরা

Image
  পবিত্র কোরআনের ১১৩ নম্বর সুরা ফালাকের ১ থেকে ৫ পর্যন্ত আয়াতে বলা হয়েছে, ‘বলো, আমি শরণ নিচ্ছি উষার স্রষ্টার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অমঙ্গল হতে; অমঙ্গল হতে রাত্রির, যখন তা গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়, অমঙ্গল হতে সেসব নারীর যারা গিঁটে ফুঁ দিয়ে জাদু করে এবং অমঙ্গল হতে হিংসুকের যখন সে হিংসা করে।’ সাধারণত যেকোনো বিপদ–আপদ থেকে আল্লাহর কাছে নিরাপদ আশ্রয় চাওয়ার জন্য এই সুরা এবং এর পরের সুরা নাসের আমল সুন্নত। মহানবী (সা.)–ও বিপদে–আপদে ও অসুস্থতায় এই দুটো সুরার ওপর আমল করতেন।তাঁর ক্ষতি করার জন্য তাঁকে জাদু করে রশিতে ১১টি গেরো দেওয়া হয়েছিল। এই দুটি সুরার ১১টি আয়াত পড়ে সেই ১১টি গেরো খোলা হয়। সুরা ফালাকের সারকথা অসহায়তা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাওয়াই এই সুরার মূল বক্তব্য। এক আল্লাহর কাছে সুরাটিতে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে। প্রথম আয়াতে দেওয়া হয়েছে আশ্রয়দাতা সত্তার পরিচয়। বাকি আয়াতগুলোতে আছে কী কী থেকে আশ্রয় চাওয়া হচ্ছে, তার বর্ণনা। যেসব বিষয় থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে, এই সুরায় তা বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। সুরাটির দ্বিতীয় আয়াতে সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে। প্রথম আয়াতে সবকিছুর স্রষ্টার কাছে আশ্রয় চাওয়ার পর এবা

অকালমৃত্যু বলতে কিছু নেই

Image
  মৃত্যু আসবেই। মৃত্যু থেকে পালিয়ে থাকার কোনো অবকাশ নেই। নেই চিরদিন বেঁচে থাকার কোনো উপায় বা পদ্ধতি। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা যে মৃত্যু থেকে পালাতে চাও, সে মৃত্যুর সঙ্গে অবশ্যই তোমাদের সাক্ষাৎ হবে। তারপর তোমাদের সেই মহান আল্লাহর কাছে ফেরত পাঠানো হবে; যিনি প্রকাশ্য এবং অপ্রকাশ্য সব বিষয় জানেন এবং তিনি তোমাদেরকে তোমাদের আমল ও কাজকর্ম সম্পর্কে অবহিত করবেন।’ (সুরা জুমআ, আয়াত: ৮) আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই; এমনকি সুউচ্চ সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান করলেও।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৭৮) মৃত্যু ঘটবে। তবে কার কখন মৃত্যু হবে, কীভাবে মৃত্যু ঘটবে—তা কারও জানা নেই। হাদিসে আছে, ‘মানুষের চোখের দুই ভ্রুরুর মাঝখানে মৃত্যুর তারিখ লেখা রয়েছে। কিন্তু তা কোনো মানুষই দেখতে পায় না।’ (আল হাদিস) পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই কখন কেয়ামত হবে; তা শুধু আল্লাহই জানেন। তিনিই মেঘ থেকে বৃষ্টিবর্ষণ করেন এবং তিনি জানেন জরায়ুতে কী আছে। অথচ কেউই জানে না আগামীকাল তার জন্য কী অপেক্ষা করছে এবং কেউ জানে না কোথায় তার মৃত্যু হবে। শুধু আল্লাহই স

ইসলামে বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব

Image
  বৃক্ষরোপণ সদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত। প্রিয় নবীজি (সা.) নিজ হাতে গাছ লাগিয়েছেন, সাহাবায়ে কিরামকে গাছ লাগাতে ও বাগান করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ব্যক্তিগত ও সামাজিক বনায়নও করেছেন। হাদিস শরিফে ফলদ গাছ লাগানোর নির্দেশ পাওয়া যায়। ‘যে ব্যক্তি কোনো বৃক্ষ রোপণ করল, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর বিনিময়ে তাকে এই বৃক্ষের ফলের সমপরিমাণ প্রতিফল দান করবেন।’ (মুসনাদে আহমদ)  ‘মানুষ, পাখি বা পশু যখন তাদের আহার্য গ্রহণ করে, তখন তা তার (রোপণকারী) পক্ষে একটি সদকা (দান) হিসেবে পরিগণিত হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)  আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘তিনি আসমান থেকে বারি বর্ষণ করেন; অতঃপর আমি তা দিয়ে সব ধরনের উদ্ভিদের অঙ্কুরোদ্‌গম করি, অনন্তর তা থেকে সবুজ পত্র উদ্‌গত করি, তারপর তা থেকে ঘন সন্নিবিষ্ট শস্যদানা উৎপাদন করি এবং খর্জুর বৃক্ষ মাথি থেকে ঝুলন্ত কাঁদি বের করি আর আঙুর, জলপাই-জয়তুন ও ডালিমের বাগান সৃষ্টি করি। এগুলো একটি অন্যটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ ও বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। লক্ষ করো এর ফলের প্রতি, যখন তা ফলবান হয় এবং এর পরিপক্বতা প্রাপ্তির প্রতিও লক্ষ করো।’ (সুরা-৬ আনআম, আয়াত: ৯৯)  ‘তিনিই আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন। তাতে তোমাদের জন্য

ওয়াকফ কীভাবে করা হয়

Image
  ওয়াকফ আরবি শব্দ, এর অর্থ ব্যক্তিগত মালিকানা থেকে মুক্ত কোনো সম্পত্তির হেফাজত করা। ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে ‘ভারতের মুসলমান ওয়াকফ বৈধকরণ আইন’-এ প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ওয়াকফ অর্থ কোনো মুসলমান কর্তৃক তাঁর সম্পত্তির কোনো অংশ এমন কাজের জন্য স্থায়ীভাবে দান করা; যা মুসলিম আইনে ‘ধর্মীয়, পবিত্র বা সেবামূলক’ হিসেবে স্বীকৃত। ওয়াকফ-এর সঙ্গে রোমান আইনের ‘সম্পত্তি অর্পণ’ ও হিন্দু আইনের ‘দান’-এর তুলনা করা যায়। ধর্মীয়, শিক্ষাসংক্রান্ত বা অন্য কোনো জনহিতকর কাজের উদ্দেশ্যে কতিপয় শর্তসাপেক্ষ ব্যক্তিগত সম্পত্তি ওয়াকফরূপে দান করা যায়। ওয়াকফের বৈশিষ্ট্য ১. এটি একটি স্থায়ী ব্যবস্থা, অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য করা যায় না; ২. এটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয় এবং কোনো অবস্থায়ই এটিকে স্থগিত বা মুলতবি করা যায় না; ৩. এটি একটি অপ্রত্যাহারযোগ্য আইনি চুক্তি ৪. ওয়াকফ সম্পত্তি কখনো বাজেয়াপ্ত করা যায় না। ওয়াকফ তিন প্রকার:  ১.ওয়াকফ ফি লিল্লাহ  ২.ওয়াকফ আলাল আওলাদ (অর্থাৎ ব্যক্তিগত ওয়াকফ) ৩. মিশ্র ওয়াকফ। ওয়াকফ ফি লিল্লাহ: কেবল ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে সৃষ্ট ওয়াকফকে বলা হয় ওয়াকফ ফি লিল্লাহ। ওয়াকফ আলাল আওলা