Posts

Showing posts from November, 2024

কেয়ামত সম্পর্কে জানা যায় সুরা ওয়াকিয়ায়

Image
  সুরা ওয়াকিয়ায় বলা হয়েছে কিয়ামতের দিন মানুষের বিভিন্ন অবস্থা ও অবস্থানের কথা। বলা হয়েছে যে কিয়ামতের দিন পৃথিবী প্রকম্পিত হবে এবং পাহাড় ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে। শেষ বিচারের দিন মানুষ তিন ভাগে বিভক্ত হবে—১. আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্তরা, ২. ডান হাতের সঙ্গীরা, এবং ৩. বাম হাতের সঙ্গীরা। হজরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.)–এর দেওয়া বর্ণনা আছে যে, ‘প্রতি রাতে যে সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করে, দারিদ্র্য কখনো তাকে স্পর্শ করবে না।’ এ জন্য এই সুরাটিকে সুরা গনি বা ধন লাভের সুরা-ও বলা হয়। সুরা ওয়াকিয়ায় আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা ভাগ হয়ে যাবে তিন ভাগে। তখন ডান হাতের সঙ্গীরা? কী হবে ডান হাতের সঙ্গীদের? আর বাম হাতের সঙ্গীরা? কী হবে বাম হাতের সঙ্গীদের? আর যারা আগে যাবে তারা তো আগেই থাকবে ।’ কিয়ামতে মানুষ তিন ভাগে বিভক্ত হবে: সৌভাগ্যবান, দুর্ভাগা, ভালো কাজে অগ্রগামীরা। ভালো কাজে অগ্রগামী কারা? তারা পাবে অনন্ত পুরস্কার। তারা আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত। সৌভাগ্যবান লোকদের থাকবে পুরস্কার। সৌভাগ্যবান লোক হবে কারা? দুর্ভাগা লোক হবে কারা? দুর্ভাগাদের পরকালীন কঠিন শাস্তির বিবরণ। পুনরুত্থানের পক্ষে অকাট্য যুক্তি। কোরআন আল্লাহর মর্যাদা

লোকমান তার ছেলেকে যে উপদেশ দিয়েছিলেন

Image
  সুরা লোকমান পবিত্র কোরআনের ৩১তম সুরা। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ। এতে ৪ রুকু, ৩৪ আয়াত। যারা নামাজ পড়ে, জাকাত দেয় এবং পরলোকে বিশ্বাস করে, তাদের জন্য পবিত্র কোরআন একটি একক কিতাব ও পথনির্দেশক। লোকমান হাকিম একটি পরিচিত নাম। লোকমান স্বীয় পুত্রের প্রতি আল্লার একত্ব বা তার কৃতজ্ঞতা স্বীকার, মা-বাবার সেবা, নামাজ আদায়, জাকাত প্রদান ও বিপদে ধৈর্য ধারণ সম্পর্কে যেসব উপদেশ দিয়েছিলেন, তা উল্লেখ করা হয়েছে। অহংকার না করা, সংযতভাবে চলাফেরা এবং নম্রভাবে কথা বলার জন্য উপদেশ দিয়ে বলা হয়েছে, গলার আওয়াজের মধ্যে গর্দভের গলাই সবচেয়ে শ্রুতিকটু। লোকমান তার ছেলেকে উপদেশ দিয়েছিলেন। উপদেশগুলো বদলে দিতে পারে জীবনে চলার ধরন। উপদেশ–১: আল্লাহর কোনো শরিক কোরো না । আল্লাহর শরিক করা তো চরম সীমালঙ্ঘন। উপদেশ–২: নামাজে দাঁড়ালে অন্তরের হেফাজত করা। নামাজে দাঁড়ালে তখন মনকে স্থির রাখা কষ্ট হয়ে পড়ে। ধরা যাক কোনো একটা জিনিস হারিয়ে ফেলেছেন। অনেক খুঁজেও পাননি। দেখা যায়, নামাজে দাঁড়াতেই মনে পড়ে, জিনিসটা অমুক জায়গায় শয়তান মনকে স্থির থাকতে দেয় না। নামাজে দাঁড়ালেই সারা দিনের হিসাব কষে। নামাজে দাঁড়ালে কাজের রুটিন তৈরি করে। লোকমান হাকি

সাইয়েদুল ইস্তিগফার কীভাবে করবেন

Image
  বিশ্বাসী মুসলমানদের কর্তব্য হলো আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইস্তিগফার করা। রিজিকে বরকতসহ কোরআন-সুন্নায় ঘোষিত ফজিলত ও মর্যাদাগুলো পাওয়ার চেষ্টা করা। সাইয়েদুল ইস্তিগফারের বাংলা উচ্চারণ ‘আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুউলাকা বিনিমাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউলাকা বিজাম্বি ফাগফিরলি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা।’ সাইয়েদুল ইস্তিগফারের অর্থ  : হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই বান্দা। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারেই আবদ্ধ। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ, তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারণ, তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না। ২. ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া তুবু ইলাইহি।’ অর্থাৎ, আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর কাছ থেকে ফিরে আসছি। এ ইস্তিগফার প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ বার পড়ার নিয়ম। রাসুলুল্ল

সুরা ফালাকের অর্থ ও ফজিলত

Image
  সুরা ফালাকের বাংলা উচ্চারণ কুল আ'উযু' বিরাব্বিল ফালাক মিং শাররি মা-খালাক'। ওয়া মিং শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। ওয়া মিং শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল উকাদ। ওয়া মিং শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ। সুরা ফালাকের অর্থ পবিত্র কোরআনের ১১৩ নম্বর সুরা ফালাকের ১ থেকে ৫ পর্যন্ত আয়াতে বলা হয়েছে,  ‘বলো, আমি শরণ নিচ্ছি উষার স্রষ্টার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অমঙ্গল হতে; অমঙ্গল হতে রাত্রির, যখন তা গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়, অমঙ্গল হতে সেসব নারীর যারা গিঁটে ফুঁ দিয়ে জাদু করে এবং অমঙ্গল হতে হিংসুকের যখন সে হিংসা করে।’ সুরা ফালাক এর ফজিলত সাধারণত যেকোনো বিপদ–আপদ থেকে আল্লাহর কাছে নিরাপদ আশ্রয় চাওয়ার জন্য এই সুরা এবং এর পরের সুরা নাসের আমল সুন্নত। মহানবী (সা.)–ও বিপদে–আপদে ও অসুস্থতায় এই দুটো সুরার ওপর আমল করতেন।তাঁর ক্ষতি করার জন্য তাঁকে জাদু করে রশিতে ১১টি গেরো দেওয়া হয়েছিল। এই দুটি সুরার ১১টি আয়াত পড়ে সেই ১১টি গেরো খোলা হয়। সুরা ফালাকের সারকথা অসহায়তা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাওয়াই এই সুরার মূল বক্তব্য। এক আল্লাহর কাছে সুরাটিতে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে। প্রথম আয়াতে দেওয়া হয়েছে আশ্রয়দাতা সত্তার পরিচয়। বাকি আয়াত

কে মানুষের পরিণতি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন?

Image
  আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার চেয়ে কে মানুষের পরিণতি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন? আপনার বাবা মা কোনো একটি বিষয় আপনাকে দুইবার তিনবার বুঝানোর পর ক্লান্ত হয়ে পড়েন। আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আল-কুরআনে একই বিষয় অসংখ্যবার বিভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরেছেন, যেন মানুষ তাঁর দিকে ফিরে আসে। তিনি কতইনা দয়াময়! মানুষ তাঁর দিকে ফিরে আসলে তিনি দারুণ খুশি হয়ে যান। শুধু যে খুশি হোন তাই নয়, তিনি সে ব্যক্তিকে অগণিত পুরস্কার দান করেন। কেউ যদি আল্লাহর কাছে তার জীবনের ৬০ বছরের পাপ নিয়ে আসে, ৮০ বছরের পাপ নিয়ে আসে, বড় বড় পাপ নিয়েও ধর্ণা দেয় এবং তাওবা করে, অনুতপ্ত হয়, আন্তরিকভাবে ক্ষমা চায় আর তাওবা অবস্থায় মারা যায় তখন তার সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। সবকিছু ক্ষমা করে দেওয়া হয়। ইমাম মুসলিম কিতাবুল ঈমানে খুবই সুন্দর একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। কিয়ামতের দিন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এক ঈমানদারকে ডাক দিবেন যে এই দুনিয়াতে অসংখ্য অগণিত পাপ করেছে। ছোট বড় সব ধরণের গুনাহ আছে তার। আল্লাহ তাকে কাছে নিবেন এবং এমনভাবে ঢেকে ফেলবেন যেন অন্য কেউ দেখতে না পায় আল্লাহ তাকে কী কী জিজ্ঞেস করছেন। এরপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তার

প্রতিটি মানুষের জান্নাতুল ফিরদাউসে যাওয়ার সুযোগ

Image
  প্রতিটি মানুষের জান্নাতুল ফিরদাউসে যাওয়ার সুযোগ আছে। আপনার আমার আমাদের সবার। আর সেটা দূরের কোনো জিনিস না। দূরত্বটা মূলত মৃত্যু। যে কোনো সময় সেটা ঘটে যেতে পারে। প্রশ্ন হলো আপনি কি আসলেই সেখানে যেতে চান? সে জন্য যেরকম জীবন অতিবাহিত করার কথা আপনি আমি কি তা করছি? রাসূলুল্লাহ (স) এর এক বিস্ময়কর হাদিস। রাসূল (স) বলেন- "আল্লাহ জান্নাতুল ফিরদাউসে সকল মানুষের জন্য ঘর তৈরি করে রেখেছেন।" সকল মানুষের জন্য, শুধুমাত্র বিশ্বাসীদের জন্য না। কিন্তু কিছু মানুষ ওখানে যেতে চায় না। বিশ্বাসীরা যখন যাবে তখন তারা অনেক খালি ঘর দেখতে পাবে। সুতরাং তারা সে ঘরগুলো উত্তরাধিকারসূত্রে পাবে। আপনার প্রতি আল্লাহর প্রত্যাশা রয়েছে যে আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন। সুতরাং এটা নষ্ট করবেন না। দুর্বল ঈমান নিয়ে থাকবেন না। আল্লাহর প্রতি নিজের বিশ্বাস হারাবেন না। জীবনের কঠিন সময় গুলোকে এভাবে দেখুন—আল্লাহ দেখতে চান আপনি সেই ঘরগুলোর জন্য কতটুকু মূল্য দিতে চান। এমন জান্নাত যেখানে আপনার বয়স হবে ৩৩, কোনোদিন বৃদ্ধ হবেন না এবং অসুস্থ হবেন না। দুঃখ বা দুঃশ্চিন্তা কোনোদিন আক্রমণ করবে না। নারীরা হবে হুরদের

তাঁর অনুপম আচার-ব্যবহার

Image
  তাঁর অনুপম আচার-ব্যবহার। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। — ড. ওমর সুলেইমান কুরআন অনেক স্থানে চরিত্রের কথা বলতে গিয়ে দেহের অঙ্গ ভঙ্গির উপর বেশ জোর প্রদান করেছে। বস্তুত, 'ইবাদুর রহমান' তথা রহমানের বান্দাদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ্‌ প্রথমত কোন গুণের কথা উল্লেখ করেছেন। "আল্লাজিইনা ইয়ামশুনা আলাল আরদি হাওনা"—যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে। লোকমান হাকিম আলাইহিস সালাম যখন তাঁর সন্তানকে উপদেশ প্রদান করছিলেন, তখন তিনি গলার স্বর উঁচু করার বিষয়ে এবং পৃথিবীতে চলাফেরা করার নিয়ম নিয়ে কথা বলেছিলেন। আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পিতামাতার সাথে আচরণ করার সময় 'উফ' বলতেও নিষেধ করেছেন, বিরক্তি প্রকাশ বা তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে নিষেধ করেছেন। একই কথা আপনি রাসূল (স) এর হাদিসেও পেয়ে থাকবেন। রাসূল (স) বলেন, "কোনো মানুষ যেন চোখের খেয়ানত না করে।" অর্থাৎ, চোখ টেপা, বিশেষ ভঙ্গিতে তাকানো এবং কোনো ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে তার অনুপস্থিতিতে এমনভাবে ভেংচি কাটা যা তার প্রতি বিশ্বাস ঘাতকতার ইঙ্গিত প্রদান করে। (এসব করা যাবে না।) যখন রাসূল (স) এর আচার-ব্যবহারের

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার একটি নাম হলো আল-কারীম

Image
  আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার একটি নাম হলো আল-কারীম। মূল শব্দ 'কারাম।' এখন 'কারাম' বলতে আসলে কী বুঝায়? বিখ্যাত ভাষাবিদ ইবনে মিসকাওয়ে বলেন- 'কারাম' হলো অন্তরে কোনো ধরণের খারাপ অনুভব করা ব্যতীত প্রচুর পরিমাণে ব্যয় করা। প্রতিটি উপকারী এবং কল্যাণকর উদ্যোগে ব্যয় করা। তাহলে তাঁর মতে, কারাম মানে শুধু দানশীলতা নয় বরং অতি মাত্রায় দানশীলতা। কোনো কৃপণতা অনুভব করা ছাড়া বা দান করে ফেলার পর অনুশোচনা অনুভব করা ছাড়া দান করা। " ধুর! কেন ঐখানে এতো টাকা দান করে ফেললাম!" এমন কিছু অনুভব করা ছাড়া দান করার নাম হলো 'কারাম।' বরং দান করার পরে আপনি ভালো অনুভব করেন। আর আপনি প্রতিটি উপকারী প্রজেক্টে দান করেন। ইমাম গাজ্জালীর মতে- 'কারাম' হলো দয়াদ্র মনে দানশীলতা প্রদর্শন করা। আপনার কাছে চাওয়ার পূর্বেই আপনি দান করেন। এমনকি প্লেটের খাবারও। আর কেউ যদি আপনার সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসও আপনার কাছে চায়, আপনি তার সাথে ভদ্র আচরণ করেন। তাহলে 'কারাম' হলো ম্যাগন্যানিমাসলি দান করা। ম্যাগন্যানিমাসলি মানে- দান করার সময় আপনার অন্তর উদারতাটা অনুভব করে, একটি ভালো লাগা অনুভ

একটি মু’জিযা এবং বর্তমান জিওগ্রাফি

Image
  একটি মু’জিযা এবং বর্তমান জিওগ্রাফি ------------------------------------------------- আল্লাহ রোমান এবং পার্সিয়ানদের (তৎকালীন ইরানিয়ান সভ্যতা) কথা বলেছেন। রোমানরা পরাজিত হয়েছিল আর পার্সিয়ানরা বিজয়ী হয়েছিল। আর এটা হয়েছিল ফিলিস্তিন-ইজরাইলীয় উপকূলীয় এলাকাসমূহের দিকে, Dead Sea এলাকায়। কোরআন এখানে বলেছে “রুমানরা পরাজিত হয়েছিল সর্ব নিম্নাঞ্চলে”(সূরা রুম -৩)। আশ্চর্যের বিষয় হল কোরআন কিন্তু বলেনি ‘নিম্নাঞ্চল’(Low Earth) বা ‘তুলনামূলক নিম্নাঞ্চল’(Lower Earth) যেরুপ উপত্যকায় দেখা যায়। বরং বলেছে Lowest of the Entire Earth পৃথিবীর সর্বনিম্নাঞ্চল। আর জিওগ্রাফি অনুযায়ী ডেড সি বা মৃত সাগরের অঞ্চল হল পৃথিবীর সর্বনিম্নাঞ্চল এলাকা !! পানির নিচে সর্বনিম্ন এলাকা অন্যটি কিন্তু জমিন বা অঞ্চলগত দিক থেকে মৃতসাগর এলাকাই পৃথিবীর সর্বনিম্নাঞ্চল। আর কোরআন ঠিক এটাই বলেছে সেই কত শত বছর আগে যখন এটা আবিষ্কৃত হয়নি ভৌগলিকভাবে !! অথচ যখন এই বিষয়টি নাযিল হয়েছিল কোন লোকজন জিজ্ঞেস করেনি এটি কোথায়? এভাবেই কোরআন অসংখ্য চ্যালেঞ্জ দেখিয়েছে যে এটি কোন মানবরচিত গ্রন্থ নয়, এর বিভিন্ন ধরণের চ্যালেঞ্জ কেউ মোকাবিলা করার সাহস পায়

রূহ কি এবং নাফস কি ? আর এই দুটির মাঝে পার্থক্য কি ?

Image
  রূহ কি এবং নাফস কি ? আর এই দুটির মাঝে পার্থক্য কি ? আমি এই বিষয়ে বেশ কিছু মতামত আলোচনা করবো, কিন্তু এর আগেই উপসংহারটি বলে দিচ্ছি; আর তা হলো— “আল্লাহই ভালো জানেন”। অনেক তত্ত্ব রয়েছে, অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে রূহ এবং নাফসের মাঝে সম্পর্কের ব্যাপারে। রূহ এবং এর অস্তিত্ব, রূহ এবং নাফস সম্পর্কিত এই আলোচনাটি আসলে ইসলামপূর্ব সময় থেকেই চলে আসছে। এটি ছিলো প্রাচীন দার্শনিকদের আলোচনার একটি বিষয়। এটা ছিলো ইসলামের বিভিন্ন দল-উপদলের আলোচনার বিষয়। আর এর অনেক ধরণের ব্যাখ্যাও বিদ্যমান; সুফীবাদীদের নিজস্ব ব্যাখ্যা রয়েছে, কালামশাস্ত্রবিদদের নিজস্ব ব্যাখ্যা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে এটা সম্পূর্ণরূপে গায়েবের বিষয়। তো আমরা যা করতে পারি তা হলো, রূহ এবং নাফসকে কুরআনের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পারি। আর অনেক এ্যাকাডেমিকরাই এমনটা করেছেন।  কিভাবে রূহ শব্দটি কুরআনে ব্যবহৃত হয়েছে ? উদাহরণস্বরূপ আমরা দেখতে পাই যে, আল্লাহ জিবরীল (আ)-এর জন্য কুরআনে রূহ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তাই না ? قُلْ نَزَّلَهُ رُوحُ الْقُدُسِ - ক্বুল নাযালাহু রূহুল ক্বুদুস। সাধারণত জিবরীল (আ)-কে রূহুল ক্বুদুস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে—পবিত্র রূহ। তো