পোস্টগুলি

মে, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ধীরে ধীরে কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার কারণ

ছবি
  সুরা ফুরকান, পবিত্র কোরআনের ২৫তম সুরা, মক্কায় অবতীর্ণ। এতে ৭৭টি আয়াত রয়েছে। ‘ফুরকান’ অর্থ ন্যায়-অন্যায়ের মীমাংসা, যা কোরআনের একটি গুণবাচক নাম। এই সুরায় আল্লাহর একত্ববাদ, কোরআনের সত্যতা, আল্লাহর বান্দাদের (ইবাদুর রহমান) গুণাবলি, নবীদের কাহিনি এবং বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের জন্য জান্নাত ও জাহান্নামের সুসংবাদ ও দুঃসংবাদ বর্ণিত হয়েছে। সুরাটি পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য সতর্কবাণী ও অনুপ্রেরণা দেয়। কোরআনের মহিমা ও উদ্দেশ্য সুরার শুরুতে কোরআনকে ‘ফুরকান’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে: ‘কত মহান তিনি, যিনি তাঁর দাসের ওপর ফুরকান অবতীর্ণ করেছেন, যাতে সে বিশ্বজগতের জন্য সতর্ককারী হতে পারে। আকাশ ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব তাঁরই। তিনি কোনো সন্তান গ্রহণ করেননি। তাঁর সেই সার্বভৌমত্বে কোনো শরিক নেই।’ (সুরা ফুরকান, আয়াত: ১-২) পবিত্র কোরআনকে ধীরে ধীরে অবতীর্ণ করার কারণ ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে: ‘আমি তোমার কাছে এভাবে অবতীর্ণ করেছি, আর পাঠ করেছি থেমে থেমে, যাতে তোমার হৃদয় মজবুত হয়। ওরা তোমার কাছে কোনো সমস্যা নিয়ে এলে আমি তোমাকে তার সঠিক উত্তর ও সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছি।’ (সুরা ফুরকান,...

নিজের পরীক্ষার উপর ফোকাস করুন

ছবি
  আমরা এখন এমন এক যুগে বাস করছি যখন সমগ্র দুনিয়ার সকল তথ্য আমাদের আঙ্গুলের আগায়। দুনিয়ার যে কোন প্রান্তের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো আমরা মুহূর্তের মাঝেই জেনে যাচ্ছি। ফলে অনেক বেশি অর্থহীন তথ্য বা আমার নিজ জীবনের সাথে সম্পর্কহীন তথ্য আমরা জানছি। আর এগুলোতে আমাদের প্রচুর সময় ব্যয় হচ্ছে। মহা মূল্যবান সময়গুলো, যেগুলো দিয়ে আমি আমার পরকাল গড়ার কথা। নিজের পরীক্ষার উপর ফোকাস করুন। আমাকে আল্লাহ কি কি উপায় উপকরণ দিয়েছেন? আমার পক্ষে কোন কোন ভাল কাজ করা সম্ভব? আমি আমার পর জীবনের জন্য আজকে কি কি পাঠাতে পারি? এগুলোর উপর ফোকাস করুন। কারণ অন্যদের পরীক্ষা নিয়ে আপনি জিজ্ঞাসিত হবেন না, আপনি আপনার পরীক্ষার আলোকে জিজ্ঞাসিত হবেন। আমাদের প্রত্যেককে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন ধরনের ভালো কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন, সামর্থ্য দিয়েছেন। কারো জন্য হয়তো কোরআন শেখা সহজ করে দিয়েছেন। কারো জন্য হয়তো মানুষের উপকার করা সহজ করে দিয়েছেন। কারো জন্য ইবাদত করা সহজ করে দিয়েছেন। কারো জন্য অন্য কোনো ভালো কাজ। আপনার পক্ষে যে ভালো কাজই করা সম্ভব, তা বেশি বেশি করতে থাকুন। আর এর মাধ্যমে আপনি আল্লাহকে দেখাচ্ছেন যে আপনি তাঁর...

শয়তানের কুমন্ত্রণা

ছবি
  সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী দুই ধরণের কথা আছে যা আপনার হৃদয়ে জায়গা করে নেয়ার করার জন্য অবিরত সংগ্রাম করে যায়। এক ধরণের কথা আপনি চেষ্টা করেন বা না করেন তা এমনিতেই হৃদয়ে স্থান করে নেয়। কোনটি? শয়তানের কথা। তার কুমন্ত্রণা। শয়তানের কুমন্ত্রণা অবিরত, সবসময় ঘটছে, সর্বক্ষণ অন্তরে প্রবেশ করছে। বন্ধ করার কোনো উপায় নেই। (শয়তানের কুমন্ত্রণাগুলোকে কখনো কাজে পরিণত করবেন না।) বিপরীতে আল্লাহর কথা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হৃদয়ে জায়গা করে নেয় না। আল্লাহর বাণী স্মরণে আনার জন্য আপনাকে নিজ থেকে চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহর বাণী হৃদয়ে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে কারো বক্তব্য বা ওয়াজ শুনতে হবে। কেউ একজন আপনাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিবে অথবা আপনি কাউকে স্মরণ করিয়ে দিবেন। সূরা আসরে যেমন এসেছে— وَ تَوَاصَوۡا بِالۡحَقِّ ۬ۙ وَ تَوَاصَوۡا بِالصَّبۡرِ "ওয়াতাওয়া ছওবিল হাক্কী ওয়াতাওয়া ছওবিস্ ছবরি।" অর্থাৎ- তারা পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় এবং পরস্পরকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দেয়। ব্যাপারটা নিয়ে এভাবে চিন্তা করতে পারেন— শয়তানের কুমন্ত্রণাগুলো হলো নিকষ কালো অন্ধকার। আর আল্লাহর বাণী কী? বড় জ্যোতি, অফুরন্ত আলো। এখন, যদি আলো গ্রহণ না...

শিক্ষাদানে মহানবীর (সা.) ১২ কৌশল

ছবি
  নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনচরিত থেকে জানা যায়, তিনি আল্লাহর বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রাজা ও নেতার কাছে বার্তা প্রেরণ করেছিলেন। তিনি তাঁদের ইসলামের পথে আহ্বান জানানোর জন্য নিখুঁত কৌশলে চিঠি পাঠাতেন। তৎকালীন বিশ্বশক্তিগুলোর মধ্যে রোম সম্রাট কায়সারের নিকট পাঠানো একটি চিঠিতে তিনি তাঁকে সম্বোধন করেন: ‘বাইজেন্টাইনদের মহান নেতা’ হিসেবে। এই সম্মানসূচক উপাধির মাধ্যমে তিনি একদিকে সম্রাটকে সম্মান দেখান, আবার অন্যদিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দাওয়াতি কৌশল ব্যবহার করেন। চিঠির মধ্যে তিনি কোরআনের নিম্নোক্ত আয়াতটি উদ্ধৃত করেন: ‘হে কিতাবধারীরা, এসো, আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একটি অভিন্ন কথায় পৌঁছাই—তা হলো, আমরা আল্লাহ ছাড়া কাউকে উপাসনা করব না। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৬৪) এই বার্তায় রাসুল (সা.) একসঙ্গে কয়েকটি কৌশল ব্যবহার করেন: ১. তিনি সম্মান দেখান। ২. গ্রহণযোগ্য ও পরিচিত একটি বক্তব্য পেশ করেন, যা প্রাপক ও প্রেরক—উভয়ের মধ্যেই মিল তৈরি করে। ৩. হৃদয় আকৃষ্ট করেন এবং তারপর সত্যের দাওয়াত দেন। রাসুল (সা.)–এর শিক্ষাদান পদ্ধতি রাসুল (সা.)–এর জীবনে এমন অসংখ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে, যেখানে তিনি আমন্ত্রিত ব...

কঠিন সময়ে মহানবী (সা.)-এর জয়ের কৌশল

ছবি
  জীবনে কঠিন সময় আসা অবশ্যম্ভাবী। এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য পরীক্ষার অংশ। কঠিন মুহূর্তে আমরা যদি পাপের পথ পরিহার করে আল্লাহর বিধানের দিকে অগ্রসর হই, তবে তাঁর নৈকট্য লাভ করতে পারি। এই পরীক্ষায় সর্বোত্তম উদাহরণ হলেন আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর জীবন ছিল দুর্যোগ, চ্যালেঞ্জ এবং অন্ধকার সময়ের এক অবিচলিত সংগ্রাম। অজ্ঞ সমাজকে আলোকিত করতে গিয়ে তিনি ঘরে-বাইরে অসংখ্য দুর্লঙ্ঘ বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা, সপরিবার গিরিখাতে বন্দিজীবন, অপবাদ, যুদ্ধের ভয়াবহতা, বিষাক্ত খাবারের মুখোমুখি হওয়া—তাঁর জীবনে এমন কোনো কষ্ট ছিল না, যা তিনি পাননি। তবু তিনি কখনো হতাশ হননি, হারিয়ে যাননি। প্রতিটি সংকটে তিনি অবিচল থেকে জয়ী হয়েছেন। এই আর্টিকেলে আমরা তাঁর জীবনের কিছু কঠিন মুহূর্ত এবং সেগুলো জয়ের কৌশল নিয়ে আলোচনা করব।   মহানবী (সা.)-এর জীবনে কঠিন সময়ের চিত্র  নবী (সা.)-এর জীবন ছিল কঠিন পরীক্ষার এক অবিরাম ধারা। তিনি যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হয়েছিলেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো: ব্যক্তিগত ক্ষতি ও নির্যাতন: একই বছরে তিনি তাঁর প্রিয় চাচা আবু তালিব এ...

মহানবী (সা.) যেভাবে সমালোচনা মোকাবেলা করতেন

ছবি
  সমালোচনা মোকাবিলা কারও জন্যই সহজ নয়। অন্যায় বা অশোভন সমালোচনা মানুষের হৃদয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে, এমনকি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কেও ফাটল ধরাতে পারে। তবে মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এই ক্ষেত্রে এক অপ্রতিম দৃষ্টান্ত। তিনি শুধু সমালোচনাকে ধৈর্য ও বিনয়ের সঙ্গে গ্রহণ করতেন না; বরং তা থেকে ইতিবাচক ফলাফল অর্জনের পথও দেখিয়েছেন। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখতে পারি কীভাবে সমালোচনার মুখে শান্ত থাকতে হয়, কীভাবে দয়া ও ন্যায়বিচার দিয়ে পরিস্থিতি সামলাতে হয় এবং কীভাবে মানুষের হৃদয় জয় করতে হয়। এই নিবন্ধে তাঁর জীবনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার মাধ্যমে সমালোচনা মোকাবিলার শিক্ষা তুলে ধরা হলো। নবীজির (সা.) দৃষ্টিভঙ্গি মহানবী (সা.) তাঁর নবুয়তের সময়ে বিভিন্ন ধরনের সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন। এই সমালোচনা এসেছিল অবিশ্বাসীদের (মুশরিক, মুনাফিকসহ) থেকে এবং কিছুসংখ্যক মুসলিমের পক্ষ থেকেও। অবিশ্বাসীদের সমালোচনা প্রায়ই ছিল ভিত্তিহীন, ব্যক্তিগত আক্রমণ বা অপবাদ, যা তাঁর হৃদয়ে ব্যথার সৃষ্টি করত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাঁর এই কষ্টের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা অবশ্যই জানি যে তারা যা বলে, তা তোমার হৃদয়কে কষ্ট দেয়।’ (সুরা আল–হিজর, ১৫: ৯৭) ...

মহানবী (সা.) তিনজন অমুসলিমের প্রশংসা করেছিলেন

ছবি
  মহানবী (সা.) এসেছেন সত্যের বার্তাবহ হয়ে, অমুসলিমদের ইসলামের ছায়াতলে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। যারা তাঁর আহ্বানে সাড়া দেয়নি, তাদের সঙ্গেও তিনি ন্যায়সংগত আচরণ করেছেন। তাঁর সময়ে তিনজন অমুসলিমের প্রশংসা করেছেন তিনি। কী ছিল এমন তাঁদের মধ্যে, যা নবীজির কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছিল? আসুন, পর্যালোচনা করে দেখা যাক। ১. কুরাইশ নেতা মুত’ইম ইবনে আদি তায়েফ থেকে নবীজি (সা.) ফিরে আসছিলেন আহত ও অপমানিত হয়ে। চাচা আবু তালিব সম্প্রতি মারা গেছেন, ফলে মক্কায় তিনি পুরোপুরি সহায়হীন। এমন পরিস্থিতিতে মক্কায় প্রবেশ করা ছিল আত্মঘাতী। তাই তিনি মক্কার বিভিন্ন নেতৃস্থানীয়দের কাছে বার্তা পাঠালেন নিরাপত্তা চেয়ে। একমাত্র কুরাইশ নেতা মুত’ইম ইবনে আদি ছাড়া কেউ তাঁর আহ্বানে সাড়া দেননি। মুত’ইম ছিলেন তাঁদের একজন, যাঁরা কুরাইশের বয়কট ভেঙে দেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছিলেন। বয়কটে মহানবী (সা.) সমগোত্রীয় সবার সঙ্গে তিন বছর অনাহারে কষ্ট পেয়েছিলেন। যখন তিনি শুনলেন যে নবীজি (সা.) তাঁর কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন, তিনি তাৎক্ষণিক ‘হ্যাঁ’ বলে দিলেন। নিজেদের ছেলেদের ডেকে আদেশ দিলেন, ‘বর্ম পরে কাবার প্রতিটি কোণে অবস্থান নাও, কারণ আমি মুহাম্মদ...

ইয়েমেনিদের প্রশংসা

ছবি
  সমগ্র মুসলিম বিশ্বের শাসকরা যখন গাজাকে পরিত্যাগ করেছে তখন ইয়েমেন—আরব উপদ্বীপের দরিদ্রতম দেশ হওয়া সত্ত্বেও—গাজাবাসীদের পক্ষে দাঁড়িয়ে গেছে। প্রতিদিন আমেরিকা ইসরাইলের কাছ থেকে বোমা হামলার শিকার হয়েও তারা পিছু হটেননি। নিজেদের সামর্থ্যে যা আছে তাই নিয়ে মুসলিম উম্মাহর সম্মান রক্ষায় দাঁড়িয়ে গেলেন। তাইতো রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কাছ থেকে ইয়েমেনিদের প্রশংসায় বহু হাদিস পাওয়া যায়। শাইখ ইয়াসির কাদির আলোচনা থেকে নিচে কয়েকটি উল্লেখ করলাম। ——————————— আমাদের রাসূলুল্লাহ (স) বহু হাদিসে ইয়েমেনিদের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন--"ইয়েমেনিরা তোমাদের কাছে এসেছে (তারা মদিনাতে এসেছিল ইসলাম গ্রহণ করতে), তাদের রয়েছে সবচেয়ে সেরা রূহ এবং কোমলতম অন্তর।" এরপর তিনি এই বিখ্যাত কথাটি বলেন- "আলঈইমা-নু ইয়ামানিন ওয়াল হিকমাতু ইয়ামা-নিয়্যাহ।" অর্থাৎ, ঈমান ইয়েমেনি এবং প্রজ্ঞাও ইয়েমেন থেকে। সহিহ বুখারির একটি হাদিসে এসেছে-- "আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিই শা-মিনা ওয়া ফিই ইয়ামানিনা।" অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমাদের শাম এবং ইয়েমেনে বারাকা দান করুন। সিরিয়া এবং ফিলিস্তিন সমগ্র অঞ্চলটাকে সে সময় শ...

প্রত্যহ আল-কুরআনের আলো

ছবি
  সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী দুই ধরণের কথা আছে যা আপনার হৃদয়ে জায়গা করে নেয়ার করার জন্য অবিরত সংগ্রাম করে যায়। এক ধরণের কথা আপনি চেষ্টা করেন বা না করেন তা এমনিতেই হৃদয়ে স্থান করে নেয়। কোনটি? শয়তানের কথা। তার কুমন্ত্রণা। শয়তানের কুমন্ত্রণা অবিরত, সবসময় ঘটছে, সর্বক্ষণ অন্তরে প্রবেশ করছে। বন্ধ করার কোনো উপায় নেই। (শয়তানের কুমন্ত্রণাগুলোকে কখনো কাজে পরিণত করবেন না।) বিপরীতে আল্লাহর কথা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হৃদয়ে জায়গা করে নেয় না। আল্লাহর বাণী স্মরণে আনার জন্য আপনাকে নিজ থেকে চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহর বাণী হৃদয়ে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে কারো বক্তব্য বা ওয়াজ শুনতে হবে। কেউ একজন আপনাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিবে অথবা আপনি কাউকে স্মরণ করিয়ে দিবেন। সূরা আসরে যেমন এসেছে— وَ تَوَاصَوۡا بِالۡحَقِّ ۬ۙ وَ تَوَاصَوۡا بِالصَّبۡرِ "ওয়াতাওয়া ছওবিল হাক্কী ওয়াতাওয়া ছওবিস্ ছবরি।" অর্থাৎ- তারা পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় এবং পরস্পরকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দেয়। ব্যাপারটা নিয়ে এভাবে চিন্তা করতে পারেন— শয়তানের কুমন্ত্রণাগুলো হলো নিকষ কালো অন্ধকার। আর আল্লাহর বাণী কী? বড় জ্যোতি, অফুরন্ত আলো। এখন, যদি আলো গ্রহণ না...

ইসলামের সীমার ভিতরে থাকবেন না?

ছবি
  সূরা কাফ এর পঞ্চম আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন— بَلۡ كَذَّبُوۡا بِالۡحَقِّ لَمَّا جَآءَهُمۡ فَهُمۡ فِیۡۤ اَمۡرٍ مَّرِیۡجٍ -"তাদের কাছে সত্য আসার পর তারা তা অস্বীকার করেছে, কাজেই এখন তারা সংশয়ের মধ্যে পড়ে আছে।" এখানে মারিজ শব্দের অর্থ সংশয়। এর আরেকটি অর্থ হলো disturbance. বিরক্তিকর অবস্থা, অস্থির অবস্থা, অশান্তি। আপনি হয়তো ভাবছেন, তারা তো মন যা চায় তাই করতে পারে। তাদেরকে তো কোন বিধি-নিষেধ মানতে হয় না। আর এটা তো তাদেরকে সুখী করার কথা। তারা কেন অস্থির অবস্থায় থাকবে? জানেন কী হয় তখন, যখন আপনার মন যা চায় তাই করতে পারেন? ডিস্টারবেন্স। অস্থিরতা। যখন আপনার সামনে অনেকগুলো চয়েস থাকে, অনেকগুলো বিকল্প থাকে—এটা ভালো জিনিস না। ছোট্ট একটা উদাহরণ দিচ্ছি। আপনাদের অনেকের বাসায় টিভি আছে, ডিস এন্টেনার কানেকশন আছে, হয়তো কয়েকশো চ্যানেল আছে। রিমোটটা হাতে নিয়ে মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা কী করে? একটার পর একটা চ্যানেল খালি পাল্টাতে থাকেন, আচ্ছা এখানে কিছু দেখি, না ওইখানে মনে হয় আরও ভালো কিছু হচ্ছে, কিছুক্ষণ খেলা দেখি, না একটা মুভি দেখি... না দেখি ওই চ্যানেলে কি হচ্ছে—এভাবে কয়েক ঘন্...

স্বজাতিকে বাঁচাতে চাইল যে কাঠমিস্ত্রি

ছবি
  কোরআনে আল্লাহ ‘এক জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত’ বর্ণনা করে বলেছেন, ‘যখন তাঁদের কাছে এসেছিল রাসুলগণ।’ (সুরা ইয়াসিন, আয়াত: ১৩) এই জনপদের নাম কোরআনে উল্লেখ নেই। মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক, ইবনে আব্বাস, কাব ইবনে আহবার ও ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বেহ’র মতো ইতিহাসবেত্তগণ বলেছেন, জনপদটির নাম ‘আন্তাকিয়া’। মুজামুল বুলদান গ্রন্থে আছে, আন্তাকিয়া শাম অঞ্চলের প্রাচীন নগরী। এটি বর্তমান তুরস্কে অবস্থিত। সেই যুগে সমৃদ্ধি ও স্থাপত্যে প্রসিদ্ধ ছিল আন্তাকিয়া। নগরীটি দর্শনার্থীদের চোখ আটকে রাখত নিজস্ব সৌন্দর্যে। এতে খ্রিষ্টানদের সোনা-রুপার কারুকার্য খচিত বড় বড় গির্জা ছিল। সাহাবি আবু উবায়দা ইবনে জাররা (রা.) এ শহর জয় করেন। (তাফসিরে মারেফুল কোরআন, মূল: মুফতি মুহাম্মাদ শফি, অনুবাদ, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, পৃষ্ঠা: ১,১২৯) আন্তাকিয়ার অধিবাসীরা আল্লাহর একত্ববাদকে অস্বীকার করত। তাদের বাদশাহ আন্তিখিস বিন আন্তিখিসও ছিলেন বহু ঈশ্বরের পূজারী। তাঁদের হেদায়াতের জন্য আল্লাহ তিনজন রাসুল পাঠান—সাদেক, সাদুক ও শালুম। কোনো বর্ণনায় আছে, তৃতীয়জনের নাম শাকুম। (কাসাসুল কোরআন, মূল: মাওলানা হিফজুর রহমান, অনুবাদ: আবদুস সাত্তার আইনী, ৭/২৪)রাস...