Posts

Showing posts from February, 2019

ধূমপান বর্জনে ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট

Image
ধূমপান বর্জনে ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট ******************************************************** মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান ***************************** নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মানুষ ধর্মীয় অনুশাসন অগ্রাহ্য করে জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ও নেশাজাতীয় বিভিন্ন প্রকারের বর্জনীয় বস্তু গ্রহণ করে, যা ধীরে ধীরে উগ্র নেশায় পরিণত হয়। এর মধ্যে বিড়ি, সিগারেট, তামাক, চুরুট, হুক্কা—এসব ধূমপানের সামগ্রী অন্যতম। ধূমপানে নেশা যদিও কম হয়, তবে যে ব্যক্তি প্রথমবারের মতো ধূমপান শুরু করেন তিনি এর নেশা তীব্রভাবে অনুভব করেন। ইসলামি শরিয়তের বিধানমতে, ‘যে জিনিস নেশার উদ্রেক করে সে জিনিসের পরিমাণ কম হলেও তা হারাম।’ এ নীতিমালার আলোকে ধূমপানে নেশা কম হলেও এটা নিষিদ্ধ। কারণ, ধূমপানের বদভ্যাস মানুষকে আসক্ত করে আর সব ধরনের আসক্তিই হারাম। তাই ধূমপান নিষিদ্ধ ও বর্জনীয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) নেশাজাতীয় বস্তু নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বলেছেন, ‘যাবতীয় নেশার বস্তু হারাম।’ (মুসলিম) ইসলামের দৃষ্টিতে সব ধরনের অপব্যয় ও অপচয় পরিত্যাজ্য। আর্থিক অপচয়ের দিক বিবেচনায় ধূমপানজনিত ব্যয় একজন ব্যক্তির জন্য বড় ধরনের

মজুরি শ্রমিকেরন্যায্যপ্রাপ্য

Image
মজুরি শ্রমিকেরন্যায্যপ্রাপ্য ********************************************* মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান ***************************** ইসলাম শ্রমিক ও মালিকের ওপর পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে অত্যাবশ্যকীয় শ্রমনীতি প্রণয়ন করেছে। মালিকের প্রধান কর্তব্য হলো কর্মক্ষম, সুদক্ষ, শক্তি-সামর্থ্যবান, আমানতদার ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে কাজে নিয়োজিত করা এবং সময়, কার্যকাল ও ন্যায্য মজুরি নির্ধারণ করে শ্রমিককে কারখানায় নিয়োগ করা। শ্রমিকের বেতন-ভাতা যতক্ষণ পর্যন্ত স্থির করা না হবে, এবং সন্তুষ্ট মনে সে তা গ্রহণ না করবে, ততক্ষণ জোর করে বা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে কাজে নিযুক্ত করা ইসলামসম্মত নয়। ন্যূনতম মজুরি প্রত্যেক শ্রমিকের প্রয়োজন ও কর্ম অনুসারে নির্ধারিত হবে। শ্রমিককে কমপক্ষে এমন মজুরি দিতে হবে, যাতে সে এর দ্বারা তার ন্যায়ানুগ ও দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক চাহিদা পূরণ করতে পারে। শ্রমিকের ন্যায্যপ্রাপ্য মজুরি পরিশোধের বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) নির্দেশনা প্রদান করে বলেছেন, ‘শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তার মজুরি দিয়ে দাও।’ (ইবনে মাজা) কাজ সম্পাদন করা মাত্রই শ্রমিককে তার প্রাপ্য পারিশ্রমিক প্র

চরম পন্থা নয়, মধ্যম পন্থা অবলম্বন

Image
চরম পন্থা নয়, মধ্যম পন্থা অবলম্বন *********************************************************** মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান *********************** ইসলামে চরম পন্থা, বাড়াবাড়ি, সীমা লঙ্ঘন, ফিতনা-ফ্যাসাদ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা কাম্য নয়। ইসলামি জীবনব্যবস্থায় ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ, জাতি-গোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থান, সম্প্রীতিপূর্ণ ব্যবহার, পরমতসহনশীলতার মনোভাব ও মধ্যম পন্থা অবলম্বন মুসলমানদের চরিত্রের অনুপম বৈশিষ্ট্য। ভারসাম্যপূর্ণ জীবনব্যবস্থায় যখন কেউ গোঁড়ামির মতো একধরনের মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, তখন মানুষ সাধারণত অন্যের মত ও পন্থাকে গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করে না, বরং নিজের মত ও পন্থাকে সঠিক বলে মনে করে এবং সেটাই প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কঠোরতা অবলম্বন ও অহেতুক শক্তি প্রয়োগ করতে চায়। অথচ পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘ধর্মে কোনো জোর-জবরদস্তি ও কঠোরতা নেই।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৫৬) ইসলামে চরম পন্থা, বাড়াবাড়ি, সীমা লঙ্ঘন, ফিতনা-ফ্যাসাদ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা কাম্য নয়। ইসলামি জীবনব্যবস্থায় ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ, জাতি

ফলবান বৃক্ষরোপণ‘সাদকায়েজারিয়া’

Image
ফলবান বৃক্ষরোপণ‘সাদকায়েজারিয়া’ ************************************************************** মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান *********************** পৃথিবীতে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ প্রাকৃতিক উপায়ে খাদ্যশস্য ও মৌসুমি ফলমূল উৎপাদনের যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে, বৃক্ষরোপণ তন্মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় কাজ। আল্লাহ তাআলা মানুষ সৃষ্টি করে ভূপৃষ্ঠের প্রয়োজনীয় জীবনোপকরণ হিসেবে ফলবান বৃক্ষরাজি ও সবুজ-শ্যামল বনভূমির দ্বারা একে সুশোভিত ও অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছেন। গাছপালার দ্বারা ভূমণ্ডল ও পরিবেশ-প্রকৃতির ভারসাম্যও সংরক্ষণ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি ও তাতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে নয়নাভিরাম সর্বপ্রকার উদ্ভিদ উদ্গত করেছি। আর আমি আকাশ থেকে কল্যাণময় বৃষ্টিবর্ষণ করি এবং এর দ্বারা উদ্যান ও পরিপক্ব শস্যরাজি উদ্গত করি।’ (সূরা কাফ, আয়াত: ৭ ও ৯) ইসলামে হালাল জীবিকা অর্জন ও জনকল্যাণমূলক বিষয় হিসেবে কৃষিকাজ তথা ফলবান বৃক্ষরোপণ ও শস্যবীজ বপনের প্রত্যক্ষ ইঙ্গিত রয়েছে। মানুষের মৌলিক চাহিদার যে প্রাথমিক প্রয়োজন এর একটি বির

স্বেচ্ছায় রক্ত দিন, জীবন বাঁচান

Image
স্বেচ্ছায় রক্ত দিন, জীবন বাঁচান মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান ***************************** আবহমানকাল ধরে মানবদেহের জন্য রক্তদান এবং রক্ত গ্রহণের ব্যবহার চলছে। ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ বা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষের মহামূল্যবান জীবন ও দেহ সুরক্ষায় রক্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য তরল উপাদান। যেকোনো দুর্ঘটনায় শরীর থেকে রক্ত ঝরে গেলে দেহের অভ্যন্তরে অন্ত্র বা অন্য কোনো অঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হলে অস্ত্রোপচারের জন্য রক্তের খুব প্রয়োজন। প্রসবজনিত অপারেশনের সময় বা বড় ধরনের দুর্ঘটনার মতো নাজুক অবস্থায় রক্ত দেওয়া অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়ে। মানবদেহে রক্তশূন্যতার জন্য রক্ত গ্রহণের যেমন বিকল্প নেই, তেমনি রক্তের চাহিদা পূরণের জন্য রক্ত বিক্রয় বৈধ নয়। তবে বিনা মূল্যে রক্ত না পেলে রোগীর জন্য রক্ত ক্রয় করা বৈধ, কিন্তু এতে বিক্রেতা গুনাহগার হবে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক রোগের ওষুধ আছে। সুতরাং যখন রোগ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা হয়, তখন আল্লাহর হুকুমে রোগী আরোগ্য লাভ করে।’ (মুসলিম) ইসলামের দৃষ্টিতে স্বেচ্ছায় রক্তদানে অন্য মানুষের মূল্যবান জানপ্রাণ রক্ষা পায় এবং নিজের জীবনও ঝুঁ

মাদকদ্রব্য সব অপকর্ম ও অশ্লীলতার মূল

Image
মাদকদ্রব্য সব অপকর্ম ও অশ্লীলতার মূল মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান ***************************** সামাজিক রীতিনীতি ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে না চলায় দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা দিন দিন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলেছে। কৌতূহল, পারিবারিক অশান্তি, বেকারত্ব, প্রেমে ব্যর্থতা, বন্ধুদের কুপ্রচারণা, অসৎ সঙ্গ, নানা রকম হতাশা ও আকাশ-সংস্কৃতির নেতিবাচক প্রভাব উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার মূল কারণ। পারিবারিক বন্ধন ও ইসলামি মূল্যবোধ কম, এমন পরিবারের সদস্যরা অতি সামান্য কারণে মাদকদ্রব্যে অধিকতর আসক্ত হচ্ছে। নেশা মানুষের জীবনীশক্তি বিনষ্ট করে—এটা জেনেশুনেও মাদকাসক্তরা নেশার অন্ধকার জগতের মধ্যে থাকতে চায়। কিন্তু প্রকৃত ধর্মপ্রাণ মুসলমান লোকেরা তো সর্বনাশা মাদকদ্রব্যের নেশায় মেতে উঠতে পারে না। কেননা হাদিস শরিফে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বলা হয়েছে যে ‘মাদক ও ইমান একত্র হতে পারে না।’ (নাসাঈ) অথচ সমাজের বহু মেধাবী এবং সম্ভাবনাময় প্রতিভা মাদকের নেশার কবলে পড়ে ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে সামাজিক অবক্ষয়ের পথ প্রদক্ষিণ করছে। সব ধরনের অপকর্ম, অশ্লীলতা থেকে একপর্যায়ে নীল ছবি তৈরি, সন

পরমতসহিষ্ণুতা ও শান্তিপূর্ণ সমঝোতা

Image
পরমতসহিষ্ণুতা ও শান্তিপূর্ণ সমঝোতা **************************************************************** মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান ***************************** সমাজে বিভিন্ন শ্রেণী, পেশা ও ধর্মের অনুসারী ব্যক্তির মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা প্রদর্শনকে পরমতসহিষ্ণুতা বলে। ইসলামের পরিভাষায় কারও কথায়, কাজে বা আচার-ব্যবহারে কোনো রকম ক্রোধান্বিত বা উত্তেজিত না হয়ে ধৈর্য, সংযম, সমঝোতা ও সহনশীলতার পন্থা অবলম্বন করে স্বীয় কর্তব্য পালন করাই পরমতসহিষ্ণুতা। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই মানুষকে শান্তিপূর্ণ সমঝোতা ও সহিষ্ণুতা গ্রহণ করতে হবে। পরমতসহিষ্ণুতার মধ্যে থাকবে না কোনো জাগতিক স্বার্থ, থাকবে না কোনো লৌকিকতা, এ সহিষ্ণুতার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। মানুষ পরকালে চরম সুখ ও পরম শান্তি লাভের প্রত্যাশায় পার্থিব জীবনে মৃত্যু পর্যন্ত অটলভাবে দুঃখ-কষ্ট সহ্য করবে ও ধৈর্য ধারণ করবে। জগতে এমন কোনো কাজ নেই, যা সহিষ্ণুতা বা সমঝোতা ব্যতিরেকে সমাধান করা যেতে পারে। তাই জাতীয় জীবনে দেশে শান্তিশৃঙ্খলা সুরক্ষায় সহিষ্ণুতার গুরুত্ব অপরিসীম। এটি মানবজাতির একটি মহৎ

শান্তিই সৌভাগ্যের অবলম্বন

Image
শান্তিই সৌভাগ্যের অবলম্বন *********************************************** মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান বিশ্বশান্তির জন্য মানুষের আকুলতা চিরন্তন। মানুষের প্রধান অন্বেষা শান্তি। ধন-সম্পদ, মান-মর্যাদা যা কিছুই থাক, আল্লাহর কাছে শান্তি কামনাই মানুষের চিরকালীন প্রার্থনা। শান্তি ছাড়া ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজজীবন—সবই মূল্যহীন। শান্তি লাভের জন্যই মানুষ যা কিছু করে, যা কিছু চায়। মানবজীবনে শান্তি কত যে মহামূল্যবান, তা উপলব্ধি করা যায় জীবনে শান্তি যখন দুর্লভ হয়ে পড়ে। কিন্তু পার্থিব ক্ষমতা ও ধন-সম্পদের ওপর কর্তৃত্বের দুরন্ত সাহসে সারা বিশ্বে অবিরাম দ্বিধাহীন চিত্তে কোথাও যুদ্ধবিগ্রহ, হানাহানি, দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে চলছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় স্থায়িত্ব লাভের তীব্র আকাঙ্ক্ষা, অন্যের সম্পদ লুট করে বা বল প্রয়োগ করে নিজের করে নেওয়ার তীব্র বাসনায় দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট হচ্ছে। এ জন্য শান্তি সুরক্ষায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তধর্মীয় সম্প্রীতির স্বার্থে সব ধর্মের অনুসারীদের প্রতি সদ্ভাব পোষণ করা অবশ্যকর্তব্য।

সীমা লঙ্ঘন নয়

Image
সীমা লঙ্ঘন নয় ************************** মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ বা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে বাক্শক্তিসম্পন্ন মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি, বিবেক-বিবেচনা, আত্মমর্যাদাবোধ ও সজাগ-সচেতনতা রয়েছে। তাদের মস্তিষ্কে নিত্যনতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের চিন্তাভাবনা, মেধা-মননশীলতা ও উন্নত গবেষণা রয়েছে। জগতের সবকিছু মানুষের উপকারার্থে বিদ্যমান। মহাকাশ ও পৃথিবীর সর্বত্র আল্লাহর অনুগ্রহ পরিবেষ্টিত সবই মানুষের কল্যাণের নিমিত্তে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহের কথা বলা হয়েছে, ‘পরম করুণাময় আল্লাহ, তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন। তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তিনিই তাকে ভাব প্রকাশ করতে (ভাষা) শিখিয়েছেন। সূর্য ও চন্দ্র নির্দিষ্ট কক্ষপথে আবর্তিত হয়। তৃণলতা ও বৃক্ষাদি তাঁরই বিধান মেনে চলে। তিনি আকাশকে সমুন্নত করেছেন এবং ভারসাম্য স্থাপন করেছেন, যাতে তোমরা ভারসাম্য বা সীমা লঙ্ঘন না করো।’ (সূরা আর রাহমান, আয়াত: ১-৮) আল্লাহ তাআলা মানুষকে এ অভিপ্রায়ে সৃষ্টি করেছেন, যেন তারা পরস্পরের কল্যাণকামী বন্ধু এবং পরোপকারী হয়, মানবসেবা ও সৃষ্টিকুলের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়। জগতে মানুষ মানুষের জন্

লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু

Image
লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু *************************************** মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান ***************************** লোভ-লালসা মানুষের অন্তরের মারাত্মক ব্যাধি। সীমাহীন লোভ-লালসা মানুষকে তার সামর্থ্যের বাইরে ঠেলে দেয়। তার বিবেক-বুদ্ধি লোপ করে তাকে দুর্নীতি ও পাপের পথে পরিচালিত করে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, জবরদখল, ঘুষ-দুর্নীতি, মারামারি, হানাহানি, সন্ত্রাস, বোমাবাজি, অপহরণ, গুম, খুনখারাবিসহ অধিকাংশ সামাজিক অনাচার বা বিপর্যয়ের পেছনে লোভ-লালসার বিরাট প্রভাব রয়েছে। তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) লোভ-লালসাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বলেছেন, ‘তোমরা লোভ-লালসা থেকে বেঁচে থাকো, কেননা এ জিনিসই তোমাদের পূর্ববর্তীদের ধ্বংস করেছে এবং পরস্পরকে রক্তপাত ঘটানোর ব্যাপারে উসকিয়ে দিয়েছে। লোভ-লালসার কারণেই তারা হারামকে হালাল সাব্যস্ত করেছে।’ (মুসলিম) যদি বৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের পরও মানুষের মনে তৃপ্তি না আসে, তাহলে বুঝতে হবে যে তার মনে লোভ বাসা বেঁধেছে। লোভী ব্যক্তি নিজের অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে চায় না। হাতে যা আছে তাতে সুখী না থেকে অন্যায়ভাবে আরও বেশি কিছু পাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে।

যেমন কর্ম তেমন প্রতিফল

Image
যেমন কর্ম তেমন প্রতিফল ******************************************** মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান ***************************** মানুষের পার্থিব জীবনের ন্যায়-অন্যায়ের চুলচেরা হিসাব-নিকাশ হবে পরকালীন জীবনে। যদিও মানুষ তার সৃষ্টিশীল সৎকর্মের মাধ্যমে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চায়। তাই সে তার সৃষ্টিশীল কাজকর্মকে সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নানা মত ও উপায় অবলম্বন করে, যাতে মানুষ তার সৃষ্টিকর্ম থেকে ভালো দিকগুলো গ্রহণ করতে পারে, সমাজ উপকৃত হয় এবং সৃষ্টির কল্যাণময় ধারা অব্যাহত থাকে। যে ব্যক্তি নেকআমল বা সৎকর্ম করে ইহকাল ত্যাগ করে পরপারে চলে গেছে, আল্লাহ তার প্রতিফলের নিশ্চয়তা বিধানে চিরস্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং যারা যাবতীয় অন্যায়, অপকর্ম, পাপাচার করে বদআমলের সঙ্গে পরলোকগমন করেছে, তাদের কপালে জুটবে ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক অগ্নিকুণ্ডের শাস্তির স্থান জাহান্নাম। তাই ভূপৃষ্ঠে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ধরনের অন্যায় ও অপকর্ম করা চলবে না; একমাত্র আল্লাহকেই পূর্ণাঙ্গভাবে ভয় করে সাবধানে সঠিক পথে জীবন পরিচালনা করতে হবে। পবিত্র কোরআনে যথার্থই বলা হয়েছে, ‘যে সৎকর্ম করে সে নিজের কল্যাণের জন্যই তা করে এবং ক