Posts

Showing posts from December, 2020

ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য

Image
  ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শিক্ষা ইসলামের প্রাথমিক মৌলিক বিষয়াবলির অন্তর্ভুক্ত। আদি শিক্ষক হলেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। তাই ফেরেশতারা বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি পবিত্র! আপনি যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের আর কোনো জ্ঞান নেই; নিশ্চয়ই আপনি মহাজ্ঞানী ও কৌশলী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩২)। শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের জন্য পঠন-পাঠন অন্যতম মাধ্যম। আমাদের প্রিয় নবী (সা.)–এর প্রতি ওহির প্রথম নির্দেশ ছিল, ‘পড়ো, তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন “আলাক” থেকে। পড়ো, তোমার রব মহা সম্মানিত, যিনি শিক্ষাদান করেছেন লেখনীর মাধ্যমে। শিখিয়েছেন মানুষকে, যা তারা জানত না।’ (সুরা-৯৬ আলাক, আয়াত: ১-৫)। ইসলামি শিক্ষায় অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার মূল পাঠ্যগ্রন্থ আল–কোরআন। ‘দয়াময় রহমান (আল্লাহ)! কোরআন শেখাবেন বলে মানব সৃষ্টি করলেন; তাকে বর্ণনা শেখালেন।’ (সুরা-৫৫ রহমান, আয়াত: ১-৪)। কর্মে ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বা জ্ঞানদান করাকে শিক্ষাদান বা পাঠদান বলে। খলিফা হজরত উমর (রা.)–এর এক প্রশ্নের জবাবে হজরত উবায় ইবনে কাআব (রা.) বলেন, ‘ইলম হলো তিনটি বিষয়, আয়াতে মুহকামাহ (কোরআন),

আর-রহিম

Image
  আর-রহিম নামটি আল-কুরআনে ১১৪ বার এসেছে। এটি আল্লাহর প্রায়শ পুনরাবৃত্তি করা নামগুলোর অন্যতম, 'আল্লাহ' নামের পর। ১১৪ বার! আল্লাহ আর-রহিম নামটি উল্লেখ করেছেন। এই নামটি অনেকগুলো নামের সাথে যুক্ত হয়ে এসেছে। কিন্তু আর-রহিম সবচেয়ে বেশি যে দুইটি নামের সাথে যুক্ত হয়ে এসেছে তা হল আল-গাফুরুর-রহিম এবং আজিজুর-রহিম। কুরআনে আল্লাহর যত যুক্ত নাম এসেছে সবগুলোর মাঝে এই সংমিশ্রণ অর্থাৎ, গাফুরুর-রহিম এবং আজিজুর-রহিম সর্বাধিক ব্যবহৃত যুক্ত নাম। আল্লাহর অধিকাংশ নাম কুরআনে যুগ্মভাবে এসেছে। যে দুইটি জোড়া কুরআনে সবচেয়ে বেশি বার এসেছে তা হল, আল-গাফুরুর রহিম এবং আল-আজিজুর রহিম। আমি যেমন আগে বলেছি - এভাবে দুইটি নাম একত্রে আসার পেছনে বিজ্ঞতা রয়েছে। কেন আল্লাহ অমুক দুইটি নাম একত্রে উল্লেখ করেছেন? আজিজ হল এমন একজন যিনি পরাক্রমশালী। আল্লাহ বলেছেন তিনি হলেন আল-আজিজ আর-রহিম। যার ক্ষমতা আছে এবং যিনি দয়াময়। এখান থেকে তৃতীয় কোন অর্থটি নির্গত হয়? আজিজুর রহিম একত্রে উল্লেখ করার মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের জানাচ্ছেন - তাঁর দয়া দুর্বলতা থেকে আসছে না, এমন নয় যে তাঁর আর কোন পথ নেই বলে তিনি দয়া দেখাচ্ছেন। কারণ, সাধারণত অথব

আল্লাহর নাম আত-তাউওয়াব

Image
  আল্লাহর নাম আত-তাউওয়াব (যিনি বার বার, সবসময় তাওবা কবুল করেন, ক্ষমা করেন।) খুব সম্ভবত কুরআনে অবতীর্ণ আল্লাহর সর্বশেষ নাম। সমগ্র কুরআনে খুব সম্ভবত এটাই ছিল মানব জাতির প্রতি আল্লাহর শেষ শব্দ যা আল্লাহ জিব্রিল (আ) কে বলেছিলেন এবং জিব্রিল (আ) রাসূলুল্লাহ (স) এর কাছে বলেছিলেন। কুরআনের সমাপ্তি হয়েছে আল্লাহর নাম তাউওয়াব বলার মাধ্যেম। এটা খুবই খুবই গভীর একটি ইঙ্গিত বহন করে। চিন্তা করে দেখুন। সর্বশেষ যে শব্দ আল্লাহ মানবজাতির প্রতি প্রেরণ করেছেন তা ছিল তাঁর নাম তাউওয়াব। আমরা কীভাবে এটা জানি? কারণ, সবার শেষে কোন সূরাটি নাযিল হয়? "ইজা জায়া নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহ। ওয়া রাআইতান নাসা ইয়াদখুলুওনা ফিই দিই নিল্লাহি আফওয়াজা, ফাসাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াস তাগফিরহু, ইন্নাহু কা-না তাউওয়াবা।" এই সূরা নাযিল হওয়ার সপ্তাহ খানেক পর রাসূলুল্লাহ (স) ইন্তেকাল করেন। সর্বশেষ যে আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয় তা ছিল সূরা আন-নাসর। এরপর রাসূলুল্লাহ (স) মৃত্যুবরণ করেন। চিন্তা করে দেখুন আল্লাহ সর্বশেষ যে তথ্যটি আমাদের জানাতে চেয়েছেন তা হল, আমি সবসময় তাওবা কবুল করে থাকি। اِنَّہٗ کَانَ تَوَّابًا নিশ্চয়ই তিনি বার বার

নূরুন ‘আলা নূর

Image
  নূরুন ‘আলা নূর -- উস্তাদ নোমান আলী খান আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালা বলেন - اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ مَثَلُ نُورِهِ كَمِشْكَاةٍ فِيهَا مِصْبَاحٌ الْمِصْبَاحُ فِي زُجَاجَةٍ الزُّجَاجَةُ كَأَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّيٌّ يُوقَدُ مِن شَجَرَةٍ مُّبَارَكَةٍ زَيْتُونِةٍ لَّا شَرْقِيَّةٍ وَلَا غَرْبِيَّةٍ يَكَادُ زَيْتُهَا يُضِيءُ وَلَوْ لَمْ تَمْسَسْهُ نَارٌ نُّورٌ عَلَى نُورٍ يَهْدِي اللَّهُ لِنُورِهِ مَن يَشَاء وَيَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ لِلنَّاسِ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ আল্লাহ হলেন সমস্ত আসমান ও যমীনের নূর (আলো)। তাঁর নূরের দৃষ্টান্ত হলো যেন একটি তাক - যার ভিতরে রয়েছে একটি প্রদীপ; প্রদীপটি রয়েছে একটি স্বচ্ছ কাঁচপাত্রের আবরণের ভিতরে; কাঁচটি (নিজেও) যেন একটি উজ্জ্বল তারকা, যা প্রজ্জ্বলিত করা হয় বরকতময় যায়তুন গাছ (থেকে নিসৃত তেল) দ্বারা; যা পূর্বমুখি নয়, আবার পশ্চিমমুখিও নয় (বরং উভয়দিক থেকেই আলোপ্রাপ্ত, সর্বদা প্রজ্জ্বলিত)। আগুন তাকে স্পর্শ না করলেও সেই তেল এতই বিশুদ্ধ স্বচ্ছ যে (তাতে আগুন না দিলেও) তা যেন নিজে নিজেই জ্বলে উঠার নিকটবর্তী। আলোর উপরে আলো। আল্লাহ যাকে

ধার্মিকতা

Image
  আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা মানুষের প্রতি এতোই দয়ালু যে তিনি মানুষের জন্য জান্নাত সৃষ্টি করেছেন। আর এই জান্নাত তাদেরকে তাদের কিছু কাজের পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে। তারা যদি সেকাজগুলো করে তাহলে তারা জান্নাত লাভ করবে। কিন্তু, ঐ কাজগুলো কোনোদিনও প্রবৃত্তির আকাঙ্ক্ষা থেকে করা সম্ভব নয়। যেসব আমলের উপর জান্নাত পাওয়া নির্ভর করে সেগুলো কোনোদিনও মানুষ প্রবৃত্তির আকাঙ্ক্ষা থেকে করবে না। আবার অন্যের জোর-জবরদস্তির ফলশ্রুতিতেও এই কাজগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এই কাজগুলো কেবল তখনই করা সম্ভব যখন মানুষ এ সম্পর্কে জানবে, বুঝবে এবং নিজে নিজে করার সিদ্ধান্ত নিবে তারপর এগুলো করবে। প্রবৃত্তির আকাঙ্ক্ষার সাথে সম্পর্কযুক্ত কাজগুলোর ক্ষেত্রে জোর করা যায় না। কারণ, কেউ আপনার ইচ্ছার উপর জোর খাটাতে পারবে না। তখন, মুনাফেকি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। অনেক সময় ক্ষমতা আপনাকে দিয়ে জোর করে কিছু করাতে পারে, কিন্তু তারা আপনার ইচ্ছা পরিবর্তন করতে পারবে না। সহজ কথায়, কেউ আপনার উপর জান্নাত পাওয়ার ক্ষেত্রে জোর-জবরদস্তি করতে পারবে না। অন্যভাবে বললে, কেউ আপনাকে জোর করে ধার্মিক বানাতে পারবে না। ধার্মিকতা প্রবৃত্তির আকাঙ্ক্ষা থ

ইয়াওমাত তাগাবুন

Image
  কিয়ামতের দিনের একটি নাম হল, ইয়াওমাত তাগাবুন। ইয়াওমাত তাগাবুন অর্থ প্রতারিত হওয়ার দিন। শেষ বিচারের দিনকে কেন প্রতারিত হওয়ার দিন বলা হয় তার অনেকগুলো ব্যাখ্যা আমাদের স্কলাররা প্রদান করেছেন। তার মাঝে একটি হল নিম্নরূপঃ ব্যাপারটা এমন যেন ব্যক্তি তার নিজেকেই ঠকালো, নিজেকেই প্রতারিত করল। অন্য কথায়, আপনার তো নিজেকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার নিকট বিক্রি করার কথা। وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْرِي نَفْسَهُ ابْتِغَاءَ مَرْضَاتِ اللَّهِ - “আর মানুষের মধ্যে এমন লোকও আছে যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিজেকে বিকিয়ে দেয়।” (২:২০৭) তোমার তো নিজেকে বিক্রি করার কথা। মানে, তোমার কাজ-কর্ম, লেনদেন সব আল্লাহর বিধান অনুযায়ী হওয়ার কথা এবং এর বিনিময়ে জান্নাত ক্রয় করার কথা। হাদিসে এসেছে - أَلاَ إِنَّ سِلْعَةَ اللَّهِ غَالِيَةٌ أَلاَ إِنَّ سِلْعَةَ اللَّهِ الْجَنَّةُ - "জেনে রাখ, আল্লাহ তা'আলার পণ্য খুবই দামী। জেনে রাখ, আল্লাহ্ তা'আলার পণ্য হলো জান্নাত।" আমাদেরকে সেই জান্নাত ক্রয় করতে হবে। আল্লাহ বলেন - إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَىٰ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُم بِأَنَّ لَهُمُ الْ

ছেলেদের কয়েকটি জঘন্য ভুল নাম-যেগুলোর অর্থ আপত্তিকর বা হাস্যকর -শাইখ আহমাদুল্লাহ

Image
  ছেলেদের কয়েকটি জঘন্য ভুল নাম-যেগুলোর অর্থ আপত্তিকর বা হাস্যকর -শাইখ আহমাদুল্লাহ ১) আব্দুন নবী (নবীর গোলাম) ২) আব্দুল আলী (যদি এখানে আলী বলতে খলিফা আলী রাঃ কে উদ্দেশ্য করা হয়, তাহলে নাজায়েয) ৩) কারামত আলী (আলীর কারামত- শিয়াদের আকীদা) ৪) রহমত আলী (আলীর রহমত) ৫) ফজলে আলী (আলীর দয়া) ৬) গাউসুল আজম (সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী) ৭) নবী ৮) নূর নবী ৯) রাসূল আমিন ১০) রসুল উল্লাহ ১১) আব্দুস সোবহান (আব্দুন শব্দটা যোগ করতে হবে শুধু মাত্র আল্লাহর ৯৯ নামের আগে, সোবহান আল্লাহর নাম নয়। তাই এই নাম সঠিক না।) ১২) জিল্লুর রহমান (আল্লাহর ছায়া - অবান্তর কথা) ১৩) আবুল বাশার ( বাশার মানে মানুষ। আবুল মানে পিতা। অর্থাৎ, সমগ্র মানবজাতির পিতা। যা আদম আঃ এর ক্ষেত্রেই যায়) ১৪) সাহাবীদের নামের সাথে তাদের পদবী রাখা যাবেনা। যেমনঃ উমর ফারুক, আবু বকর সিদ্দিক, উসমান গনি। এগুলো ভুল নাম। শুধু উমর, আবু বকর বা উসমান রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ফারুক, সিদ্দিক, গনি রাখা যাবেনা।

জমাদিউল আউয়াল মাসের তাৎপর্য ও আমল

Image
  জমাদিউল আউয়াল মাসের তাৎপর্য ও আমল শীত ও গ্রীষ্ম খোদা প্রদত্ত প্রকৃতির অবদান। এর প্রতিটিতে রয়েছে কুদরতের নিদর্শন ও নিগূঢ় রহস্য। কোরআন করিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যেহেতু কুরাইশদের অনুরাগ রয়েছে! তাদের আগ্রহ আছে শীত ও গ্রীষ্মে ভ্রমণের। অতএব তাদের ইবাদত করা উচিত এই (কাবা) গৃহের রবের। যিনি তাহাদিগকে ক্ষুধায় অন্ন দান করেন এবং শঙ্কায় নিরাপত্তা দান করেন।’ (সুরা-১০৬ কুরাইশ, আয়াত: ১-৪)। আরবের শীতকাল জমাদিউল আউয়াল। আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস হলো ‘জমাদিউল আউয়াল’। এর জোড়া মাস হলো ‘জমাদিউস সানি’, এটি হিজরি আরবি সনের ষষ্ঠ মাস। আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে এই মাস দুটি ‘জমাদিউল আউয়াল’ ও ‘জমাদিউস সানি’ নামে সমধিক পরিচিত। এর বাংলা অর্থ হলো প্রথম জমাদা ও দ্বিতীয় জমাদা বা প্রথম শীত ও দ্বিতীয় শীত; অর্থাৎ শীতকালের প্রথম মাস ও শীতকালের দ্বিতীয় মাস। (আল মুনজিদ)। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘তুমি পর্বতমালা দেখছ, মনে করছ উহা স্থির অচল, অথচ তারা মেঘপুঞ্জের ন্যায় সঞ্চারমান। ইহা আল্লাহরই সৃষ্টি নৈপুণ্য, যিনি সমস্ত কিছুকে করেছেন সুষম। তোমরা যা করো সে সম্পর্কে তিনি সম্যক অবগত।’ (সুরা-২৭ নমল, আয়াত: ৮৮)। ‘জমাদা’

প্রেরণার উৎস আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)

Image
  প্রেরণার উৎস  আবদুল কাদের জিলানি (রহ.) সমকালে মানুষের মুখে আজও উচ্চারিত হয় একটি নাম— আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)। তাঁকে নিয়ে অনেক কথা, কিংবদন্তি বিদ্যমান সমাজে। গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ভক্তরা তাঁকে স্মরণ করেন। প্রচলিত পীরের যে ধারণা, তার সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে শায়খ আবদুল কাদের জিলানির মিল নেই। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও বুদ্ধিদীপ্ত এক আলোর সারথী। হজরত হাসান (রা.)–এর বংশের অত্যুজ্জ্বল এই মানুষটিকে নিয়ে এই লেখা। হিজরি পঞ্চম শতকে এসে মুসলিম জাহান এক চরম দুর্বিপাকে পড়ে। কেন্দ্রীয় শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ায় খিলাফতের মধ্যে গড়ে ওঠে বহু স্বাধীন রাজ্য। এর মধ্যে আবার একদিকে চলতে থাকে গৃহযুদ্ধ ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, অন্যদিকে চলতে থাকে খ্রিষ্টান শক্তি কর্তৃক বহিরাক্রমণ। এই নাজুক রাজনৈতিক অবস্থার পাশাপাশি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিপর্যয়ও নেমে এসেছিল চরমভাবে। গ্রিক ও অন্যান্য অমুসলিম দর্শন নির্বিচারে আমদানি ও তার ব্যাপক চর্চার কারণে মুসলিম মানসে ছড়িয়ে পড়েছিল এর মারাত্মক কুফল। তাঁদের চিন্তা ও বিশ্বাসে ইসলামবিরোধী ভাবধারার অনুপ্রবেশ ঘটে। ইসলামের নির্ভেজাল তৌহিদি দর্শন কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনৈসলামি দর্শনের সংমিশ্রণে হারিয়ে

ইসলামের আলোকে বিজয়

Image
                              ইসলামের আলোকে বিজয় বিজয় আল্লাহর দান। কোরআন কারিমে ‘ফাত্‌হ’ বা বিজয় নামে আল্লাহ তাআলা একটি সুরাও অবতীর্ণ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সুস্পষ্ট বিজয় দান করেছি।’ (সুরা-৪৮ ফাত্‌হ, আয়াত: ১)। এই সুরার শেষাংশে বিজয়ের জন্য স্বপ্ন ও পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ রয়েছে। বর্ণিত হয়েছে: ‘অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তাঁর রাসুল (সা.)–এর স্বপ্ন সত্যই বাস্তবায়ন করে দিয়েছেন। অবশ্যই তোমরা মসজিদে হারামে প্রবেশ করবে নিরাপদে, “ইনশা আল্লাহ” আল্লাহর ইচ্ছায়।’ (সুরা-৪৮ ফাত্‌হ, আয়াত: ২৭)। শক্তি, সামর্থ্য, সফলতা ও বিজয়ের জন্য আল্লাহর সাহায্য প্রয়োজন; আল্লাহর সাহায্য প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজন আল্লাহর ওপর ভরসা ও নির্ভরতা। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলার নির্দেশনা হলো, ‘আর তুমি কখনো “ইনশা আল্লাহ” (আল্লাহ চাইলে) বলা ব্যতিরেকে কোনো বিষয়ে এমন বলবে না যে আমি ভবিষ্যতে এই কাজ করব।’ (সুরা-১৮ কাহাফ, আয়াত: ২৩)। নবী–রাসুল পাঠানোর উদ্দেশ্য হলো শান্তি, সাম্য ও ন্যায়ের বিধান প্রতিষ্ঠা করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনি মহান আল্লাহ! যিনি তাঁর রাসুল (সা.)-কে পাঠিয়েছেন হিদায়াত সঠিক পথনির্দেশ