Posts

Showing posts from March, 2021

ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিরোধে ইসলাম

Image
  ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিরোধে ইসলাম Abul Monsur Ahamed অল্পে তুষ্টি, সহনশীলতা, মিতব্যয়িতা, বিনা প্রয়োজনে কারো কাছে কিছু না চাওয়ার জন্য শরিয়তে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা.) বলেন, ‘অঢেল সম্পদ থাকলেই ঐশ্বর্যশালী হওয়া যায় না, বরং মনের ঐশ্বর্যই প্রকৃত ঐশ্বর্য।’ (সহীহ বুখারী ও মুসলিম) সুতরাং সম্পদের প্রতি অতিরিক্ত লোভ করা যাবে না। সাহাবীগণ ক্ষুধার তাড়নায় নামাজের সময় দাঁড়ানো অবস্থা থেকে পড়ে যেতেন। এমনকি কেউ কেউ তাদেরকে পাগল হিসেবে বিবেচনা করতেন যদিও তারা পাগল ছিলেন না। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতরাতেন। তবুও তারা সম্পদের প্রতি কোন প্রকার লোভ করতেন না। ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন তো দূরের কথা। মুসলিম শরিফের বর্ণনায় আছে, নবীজী বলেন, ‘তোমরা মানুষের কাছে কিছু চাইবে না। চাওয়ার ভানও করবে না।’ সাহাবীরা এমন ছিলেন যে, কারো চাবুক মাটিতে পড়ে গেলেও তারা অন্য কাউকে তা উঠিয়ে দিতে বলতেন না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সেই ব্যক্তি কৃতকার্য হয়েছে, যে ইসলাম গ্রহণ করেছে, প্রয়োজনমাফিক রিযিকপ্রাপ্ত হয়েছে এবং আল্লাহ তাকে যা দান করেছেন তাতে সন্তুষ্ট থাকারও তওফী

বিশ্বস্ততা

Image
  বিশ্বস্ততা আব্দুল্লাহ শাকির আমানত আরবি শব্দ। মানে বিশ্বস্ততা বা নিরাপত্তা। আমানত শব্দের বাংলা ভাষায়ও ব্যবহার আছে। সাধারণত কোনো ব্যক্তিকে বিশ্বস্ত মনে করে যা তার কাছে রাখা হয় তাকে আমানত বলে। বিশ্বস্ততা সবাই অর্জন করতে পারে না। স্বল্প উন্নত দেশগুলোতে দুর্নীতি একটি প্রধান সমস্যা। এটি মূলত এই বিশ্বস্ততার অভাবেই হয়ে থাকে। ক্ষমতার দর্পে কিছু লোক বিশ্বস্ততার শিক্ষার অভাবে সমাজকে অস্থিতিশীল করে তোলে। একটি সুন্দর ও সফল দেশ গঠনের জন্য বিশ্বস্ত মানুষের বড়ই প্রয়োজন। কেবল দেশ নয় জীবনের সর্বত্র বিশ্বস্ততা রক্ষা করে চলার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। মহান আল্লাহ তাআলা এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন আমানত তার হকদারকে প্রত্যর্পণ করতে। [সূরা নিসা : আয়াত ৫৮] বাস্তবে কেউ যদি আমানতদার বা বিশ্বস্ত না হয় তার পক্ষে হকদারের কাছে যথাযথভাবে গচ্ছিত জিনিস পৌঁছানো সম্ভব নয়। এ জন্যই মক্কার বিধর্মীরাও মানবতার মুক্তিরদূত হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল আমীন বা বিশ্বাসী উপাধি দিয়েছিল। এটা আত্মীয়তার বন্ধনের কারণে নয়, স্বজনপ্রীতি নয় প্রকৃতঅর্থেই তিনি গণমানুষের

আল্লাহর উপর ভরসা

Image
  আল্লাহর উপর ভরসা musharraf  অনুবাদকঃ শাইখ মুহা: আবদুল্লাহ আল কাফী আল্লাহ্ তাআলার উপর ভরসা ইসলামে একটি বিরাট বিষয়। এর গুরুত্ব ও মর্যাদা অপরিসীম। আল্লাহর প্রতি ভরসা ছাড়া কোন বান্দাই কোন মূহুর্ত অতিবাহিত করতে পারে না। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে। কেননা এর মাধ্যমে আল্লাহর তাওহীদের সাথে সম্পর্ক গাড় ও গভীর হয়। আল্লাহ্ বলেন: وَتَوَكَّلْ عَلَى الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ “আর ভরসা কর সেই জীবিত সত্বার (আল্লাহর) উপর, যিনি কখনো মৃত্যু বরণ করবেন না।” [সূরা ফুরক্বান-৫৮] এই আয়াতে আল্লাহ্ তাআলা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে তাঁর উপর ভরসা করার আদেশ করেছেন। তিনি ছাড়া অন্য কারো নিকট নিজেকে পেশ করবেন না। কেননা তিনি চিরঞ্জীব, তাঁর মৃত্যু নেই। তিনি পরাক্রমশালী, কোন কিছুই তাঁকে পরাজিত করতে পারে না। যে ব্যক্তিই তাঁর উপর নির্ভর করবে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট হবেন- তাকে সাহায্য ও সমর্থন করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো উপর ভরসা করবে, সে তো এমন কিছুর উপর ভরসা করল যে মৃত্যু বরণ করবে, বিলীন ও ক্ষয় হয়ে যাবে। দুর্বলতা ও অপারগতা তাকে চারদিক থেকে ঘিরে রয়েছে। এ কারণে তার প্রতি ভরসা ক

যাকাতের নিয়ম কানুন

Image
  যাকাতের নিয়ম কানুন amirul ধন-সম্পদের যে নির্ধারিত অংশ শরীয়াতের বিধান মোতাবেক আল্লাহর পথে ব্যয় করা মানুষের উপর ফরজ করা হয়েছে তাকেই যাকাত বলে (ইসলামী বিশ্বকোষ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ২১ খন্ড ৪৭৫ পৃঃ) । প্রত্যেক সামর্থবান মুসলিমের জন্য যাকাত হচ্ছে একান্ত কর্তব্য ও ফরজ । সমাজের ধনী ও সচ্ছল লোকদের বাড়তি সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ নিয়মিত আদায় করে দরিদ্র ও বঞ্চিত লোকদের মধ্যে যথাযথ বন্টন করাই কর্মসুচির প্রধান বৈশিষ্ট্য । এ যাকাতের কথা পবিত্র কুআনে কোন কোন মতে ৩২ বার এবং অধিকাংশের মতে ৮২ বার উল্লেখ রয়েছে । পবিত্র কুরআন বলে-তোমাদের বন্ধুতো একমাত্র আল্লাহ তাঁর রাসুল এবং মুমিন বান্দা যারা নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং বিনম্র (সুরা মায়েদার আয়াত ৫৫) যাকাত আদিকাল থেকেই প্রচলিত ছিল কারূনের ধ্বংস এসেছিল যাকাত প্রদান না করে কার্পণ্য করার কারণে, ইয়াহুদী বণী ইসরাঈল হতে গৃহিত প্রতিশ্রুতিতে মহান আল্লাহ বলেনঃ তোমরা সালাত কায়েম করবে এবং যাকাত দিবে (সুরা বাকারা আয়াত ১১০); পবিত্র কুরআনে এসেছে ঈসা (আঃ) বলেন- তিনি আমাকে আজীবন সালাত ও যাকাতের নির্দেশ দিয়েছেন (সুরা মারইয়াম আয়াত ১৩); ইসমাঈ

এতিম নারীদের বিবাহ, মহর এবং মীরাস সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা

Image
  এতিম নারীদের বিবাহ, মহর এবং মীরাস সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা Abul Monsur Ahamed সাহাবায়ে কেরামগণের অপর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা ছিল এতিম নারীদের বিবাহ এবং মীরাস-সংক্রান্ত ব্যাপারে। এরশাদ হচ্ছে, ‘আর লোকেরা তোমার নিকট নারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা জানতে চায়। বল, আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের সম্বন্ধে ব্যবস্থা জানাচ্ছেন এবং এতিম নারীদের সম্পর্কে যাদের প্রাপ্য তোমরা প্রদান কর না, অথচ তোমরা তাদেরকে বিবাহ করতে চাও, এবং অসহায় শিশুদের সম্বন্ধে ও এতিমদের সঙ্গে তোমাদের ন্যায়বিচার সম্পর্কে যা কিতাবে তোমাদেরকে শোনানো হয়, তাও পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন। আর তোমরা যে-কোন সৎকাজ কর, আল্লাহ তো তা সবিশেষ অবহিত। [সূরা নিসা : আয়াত ১২৭] উপরিউক্ত জিজ্ঞাসার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোচনার পূর্বে যে-কথা বলা একান্ত আবশ্যক মনে করছি, তা হল এতিম-সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা ইতিপূর্বে সূরা বাকারার আয়াত নং ২২০-এর অনুকূলে করা হয়েছে। সার্বিকভাবে যেসব বিধানাবলি নারী এতিমদের বেলায়ও প্রযোজ্য হবে। তবে আলোচ্য আয়াতের আলোচনা কেবল তাদের বিবাহ এবং মীরাস-সংক্রান্ত ব্যাপারেই সীমিত থাকবে। জিজ্ঞাসাকারী সাহাবী কে বা কারা ছিলেন তা অজ্ঞাত থাকলেও হযরত আবদুল্ল

রমজানের মাসলা মাসায়েল

Image
রমজানের মাসলা মাসায়েল ইসলাম ডেস্ক : আহলান সাহলান মোবারক হো মাহে রমজান। রমজান মাসে সিয়াম (রোজা) রাখা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরজ বা অবশ্যকর্তব্য। মাহে রমজানে রোজা পালনকারী একজন মুসলমান সত্যিকারের খাঁটি ইবাদতকারী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। কারণ সিয়াম এমন একটি ইবাদত যাতে কোনো রকম লোকদেখানো যায় না। সিয়াম পালনকারী দরজা বন্ধ করে বা পানির নীচে গিয়েও যদি আহার করেন তা কেউ না দেখলেও নিজের বিবেক দেখে। আর আল্লাহ তো সবই জানেন ও দেখেন। রোজা ইসলামের অন্যতম একটি রুকন।এ মাস সিয়াম সাধনা ও তাকওয়ার মাস, কল্যাণ ও বরকতের মাস, রহমত ও মাগফিরাত এবং জাহান্নামের অগ্নি থেকে মুক্তি লাভের মাস। মহান আল্লাহ এ মাসটিকে বহু ফজিলত ও মর্যাদা দিয়ে অভিষিক্ত করেছেন। এ গুরুত্ববহ তাৎপর্যময় মাস সারা বিশ্বের মুসলমানদের সুদীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে যায়। পবিত্র কোরআন মাজিদে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, রমযান মাস হল সে মাস,যে মাসে নাযিল করা হয়েছে পবিত্র কোরআন,যাতে রয়েছে মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সুষ্পষ্ট পথনির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজে

আল্ কুরআনুল কারীম : মানবজাতির হিদায়েতের উৎস

Image
  আল্ কুরআনুল কারীম : মানবজাতির হিদায়েতের উৎস MAHFUJAR RAHMAN এক. আল্লাহ তাআলা বিশ্বজাহানের খালিক ও মালিক। বাকি সবকিছু তাঁর মাখলুক বা সৃষ্টি। সকল সৃষ্টির মাঝে মানবজাতিকে তিনি বসিয়েছেন শ্রেষ্ঠত্বের আসনে। তাদের হিদায়েতের জন্য পাঠিয়েছেন আসমানী কিতাব ও নবী-রাসূল। যাদের দায়িত্ব হল উম্মতের সামনে আল্লাহর কিতাবসমূহের ব্যাখ্যা পেশ করা। তাঁর বিধি-বিধান এবং পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে উম্মতকে অবহিত করা। নবী – রাসূলগণ পরিপূর্ণভাবে এ দায়িত্ব পালন করেছেন। নিজেরা আমল করার মাধ্যমে মানুষকে আল্লাহর কিতাবের বাস্তব প্রয়োগ শিখিয়েছেন। নবী ও কিতাব প্রেরণের এ ধারাবাহিকতার পূর্ণতা ঘটে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণের মাধ্যমে। তাঁর পর আর নতুন কোন নবীর আবির্ভাব ঘটবেনা। তেমনি কুরআনের পর আর কোন আসমানী কিতাবও অবতীর্ণ করা হবে না। চিরন্তন হেদায়েতের আকরগ্রন্থ এ কুরআন। পবিত্র কুরআন মূলত মানবজাতির প্রতি আল্লাহ তাআলার মহান এক নেয়ামত। শ্রেষ্ঠ এক উপহার। কেননা এর মাধ্যমে প্রবাহিত হয় হিদায়াতের ঝর্ণাধারা । আর তাঁর মূল পরিচয়: الم. ذَلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ فِيهِ. هُدًى لِلْمُتَّقِي

ভ্রান্তি ও বাড়াবাড়ি

Image
সন্দেহ নেই, মধ্য শাবানে রাত জেগে ইবাদতের হাদীস নিয়ে আপত্তি আছে। দিনে রোযা রাখাও বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। এই রাতে ভাগ্য নির্ধারণের বর্ণনাও বিশুদ্ধ নয়। কবর যিয়ারতে হাদীসটি আরো বেশি অগ্রহণযোগ্য। তবে এই রাতে মুশরিক ও হিংসুক ছাড়া সবাইকে সাধারণ ক্ষমা সম্পর্কিত একটি হাসান তথা গ্রহণযোগ্য হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সেজন্য ইবনে তাইমিয়া (রহ:)সহ অনেক স্কলারগন মধ্য শা'বানের ফজীলতকে স্বীকার করেছেন। কিন্তু এর ওপর ভিত্তি করে একদিকে দেশব্যপি যা হয় তা যেমন বাড়াবাড়ি-অপর দিকে 'শবে বরাতের একটি রোযা জাহান্নামে যাওয়ার জন্য যথেষ্ঠ', কোনো মুসলিম শবে বরাত পালন করতে পারে না' ইত্যাদি মন্তব্যও সুস্পষ্ট সীমালঙ্ঘন। আজকাল দ্বিনী বিষয়ে মন্তব্যে সাধারণ মানুষ প্রচুর পরিমাণ সীমালঙ্ঘন করে চলেছেন। এর দু'টি কারণ দেখি আমি। এক.উলামায়ে কেরাম ও দাঈগন, দায়িত্বশীল এবং ভারসাম্যপূর্ণ মন্তব্য থেকে এক ইঞ্চি বিচ্যুত হলে, সাধারণ মানুষ ও উৎসাহী অনুসারীদের মন্তব্যে এক হাত বিচ্যুতি ঘটবে-এটাই স্বাভাবিক। আর হচ্ছেও তাই। দুই. কোন্ বিষয়ে কোন্ মাত্রায় মন্তব্য করতে হবে তার জন্য প্রয়োজন শাস্ত্রীয় জ্ঞান। শাস্ত্রীয় জ্ঞান

পাপ হয়ে যাওয়ার পর অনুশোচনার মোকাবিলা কীভাবে করবেন?

Image
  পাপ হয়ে যাওয়ার পর অনুশোচনার মোকাবিলা কীভাবে করবেন? —নোমান আলী খান ঐ সমস্ত মানুষদের মত হবেন না, যারা কোনো পাপ কাজ করে ফেলে। তারপর বলে, "আমি এখন কিভাবে আল্লাহর নাম নিবো? আমি এতো বড় পাপী, আমার এখন আল্লাহর নাম নেয়া ঠিক হবে না। আল্লাহর নাম নেয়ার যোগ্যতা আমার নেই। কোন নষ্ট মুখে আমি এখন আল্লাহর নাম নিবো?" এগুলো হলো শয়তানের ওয়াসওয়াসা। এই ধারণাগুলো শয়তান আপনাকে দিচ্ছে। একবার, একজন আমাকে জিজ্ঞেস করে— আল্লাহর নাম নেয়ার ভালো সময় কখন? আল্লাহকে স্মরণ করার উত্তম সময় কোনটি? আমি আপনাদের বলছি, আল্লাহকে স্মরণ করার খারাপ সময় বলে কিছু নেই। প্রশ্নটাই অবৈধ— যেন আল্লাহকে স্মরণ করা সময়ের সাথে নির্দিষ্ট। আল্লাহ বলেন, أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ - "তাদের প্রার্থনা কবুল করে নিই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে।" (২:১৮৬) তিনি স্পেশাল কোনো সময়ের উল্লেখ করেননি। তিনি বলছেন আমি তোমার দুআর জবাব দিবো যখনি তুমি দুআ করবে। এটা তোমার সময়সূচিতে, আমার সময়সূচিতে নয়। এটা তিনি আমাদের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। আপনি কি মুহসিন হতে চান? এটা হলো সেই আয়াত। বিশ্বাসের তিনটি পর্যায় রয়েছে। মুসলিম, মু'

নামাজ প্রতিষ্ঠা বলতে আসলে কী বোঝায়?

Image
  নামাজ প্রতিষ্ঠা বলতে আসলে কী বোঝায়? —নোমান আলী খান লোকমান (আ) এবং তার ছেলের মাঝে কথোপকথনের এটা হলো আসল অংশ। লোকমান তার ছেলেকে বলেন, ইয়া বুনাইয়া! আমার প্রিয় ছেলে, আমার আদরের ছেলে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করো। সবাই এটার সাধারণ অনুবাদ করে— নামাজ প্রতিষ্ঠা করো। চলুন, আগে ইকামাহ শব্দটি নিয়ে কিছু কথা বলি। আরবি ইকামাহ শব্দটি এসেছে 'কিয়াম' থেকে। কিয়াম অর্থ, দাঁড়ানো। যখন ইকামাহ বলি...ইকামাহ আরবি ব্যাকরণের 'ইফআল' ওজনে নির্গত হয়েছে। এর ফলে অর্থ হয়, কোনো কিছুকে দাঁড় করানো। কেউ যদি একটা টাওয়ার নির্মাণ করে— ইটগুলোকে তারা একটার উপর অন্যটা বসিয়ে টাওয়ার নির্মাণ করে। এটাকে বলা যায় বিল্ডিংয়ের ইকামাহ। এটাকে তারা দাঁড় করালো, উত্তোলন করলো। ইকামাতুস সালাহ ...আমরা সবসময় বলে আসছি নামাজ প্রতিষ্ঠা করো, নামাজ প্রতিষ্ঠা করো। এই নামাজ প্রতিষ্ঠা বলতে আসলে কী বোঝায়? এক দৃষ্টিতে এটাকে মনে করতে পারেন— নামাজের প্রতিরক্ষা করা। নিশ্চিত করো যে নামাজ তার জায়গায় ঠিকঠাক আছে। যখন কোনো কিছুর ইকামাহ করেন, পিলার বা খুঁটি মাটিতে পুঁতে নিশ্চিত করেন যে ঘরটা যেন হেলে না যায়। এর অবস্থান বহাল রাখার জন্য আপনি সচেষ্ট থাক