ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিরোধে ইসলাম
ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিরোধে ইসলাম Abul Monsur Ahamed অল্পে তুষ্টি, সহনশীলতা, মিতব্যয়িতা, বিনা প্রয়োজনে কারো কাছে কিছু না চাওয়ার জন্য শরিয়তে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা.) বলেন, ‘অঢেল সম্পদ থাকলেই ঐশ্বর্যশালী হওয়া যায় না, বরং মনের ঐশ্বর্যই প্রকৃত ঐশ্বর্য।’ (সহীহ বুখারী ও মুসলিম) সুতরাং সম্পদের প্রতি অতিরিক্ত লোভ করা যাবে না। সাহাবীগণ ক্ষুধার তাড়নায় নামাজের সময় দাঁড়ানো অবস্থা থেকে পড়ে যেতেন। এমনকি কেউ কেউ তাদেরকে পাগল হিসেবে বিবেচনা করতেন যদিও তারা পাগল ছিলেন না। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতরাতেন। তবুও তারা সম্পদের প্রতি কোন প্রকার লোভ করতেন না। ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন তো দূরের কথা। মুসলিম শরিফের বর্ণনায় আছে, নবীজী বলেন, ‘তোমরা মানুষের কাছে কিছু চাইবে না। চাওয়ার ভানও করবে না।’ সাহাবীরা এমন ছিলেন যে, কারো চাবুক মাটিতে পড়ে গেলেও তারা অন্য কাউকে তা উঠিয়ে দিতে বলতেন না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সেই ব্যক্তি কৃতকার্য হয়েছে, যে ইসলাম গ্রহণ করেছে, প্রয়োজনমাফিক রিযিকপ্রাপ্ত হয়েছে এবং আল্লাহ তাকে যা দান করেছেন তাতে সন্তুষ্ট থাকারও তওফী