Posts

Showing posts from July, 2022

কিয়ামতের দিন

Image
  **কিয়ামতের দিন** রাসূল (স:) থাকবেন সবচেয়ে ব্যস্ত মানুষ। পুলসিরাত, মিযানের পাল্লা,হাউসে কাউসার একসাথে ছুটাছুটি করতে থাকবেন 'ইয়া উম্মাতি'! 'ইয়া উম্মাতি'! বলে। জিব্রাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে তুলবেন কবর থেকে। রাসূল (স:) জিজ্ঞেস করবেন,'কী ব্যাপার জিব্রাইল! আমার উম্মাত কী উঠেছে?' ওইদিকে আবার মূসা কালিমুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরশের খুটি ধরে আছেন আর বলছেন 'ইয়া নাফসি! ইয়া নাফসি!' সেদিন ইমামুল আম্বিয়ার মুখে থাকবে 'উম্মাতি! উম্মাতি!' আর, সেদিন তাঁর পায়ে থাকবে দৌড় আর মুখে থাকবে আওয়াজ! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইসি ওয়াসাল্লাম খুব অশান্ত ছোটাছুটি করছেন। হঠাৎ উনার মনে পড়ে, আমার উম্মাত ক্লান্ত, পিপাসার্ত নয়তো! ছুটে যান হাউজে কাউসারে। হ্যাঁ, এইতো পিপাসার্ত উম্মাত। নিজের হাতে হাউজে কাউসার থেকে পানি পান করাবেন আর বলবেন পান করো। আর কখনো তৃষ্ণার্থ হবে না। হঠাৎ মনে হবে মিযানের সামনে দাড়ানো উম্মাতের কথা। ছুটে যাবেন সেখানে। দেখবেন উম্মাতের বাম পাল্লা ভারি হয়ে যাচ্ছে। পেরেশান, তিনি হয়রান!!! অতঃপর দৌড়ে যাবেন দুরূদের পিটারার সামনে। যেখানে তাঁর জন্য পড়া দুরূদ উম্

দৃঢ় প্রত্যয়ী মুসলিমের দুইটি উদাহরণ

Image
  || দৃঢ় প্রত্যয়ী মুসলিমের দুইটি অসামান্য উদাহরণ || প্রথম উদাহরণঃ আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, একদা হারিসা নামক এক যুবক আনসার সাহাবি রাসূল (স) এর নিকট আগমন করেন। রাসূল (স) তাকে দেখে বললেন, আজ সকালটা তোমার কেমন যাচ্ছে, হে হারেসা? হারেসা (রা) জবাবে বললেন, আজ সকালে আমি একজন দৃঢ় প্রত্যয়ী মুসলিম, হে আল্লাহর রাসূল (স)। রাসূল (স) বললেন, সবকিছুর একটা প্রমান রয়েছে; তোমার বক্তব্যের প্রমান কী? হারেসা (রা) বললেন - দুনিয়া আমার মনকে আর আচ্ছন্ন করে রাখে না। আমি রাতে নামাজ আদায় করি, আর দিন কাটাই রোজা রেখে। আমার মনে হচ্ছে যেন আমি আমার মহান রবের সিংহাসন দেখতে পাচ্ছি। আমার মনে হয় যেন আমি দেখতে পাচ্ছি যে, জান্নাতবাসীরা মহা আনন্দ উৎসবে মেতে আছেন; আর জাহান্নামবাসীরা আগুনে পোড়ার আজাব উপভোগ করছে। অতঃপর রাসূল (স) তাকে বললেন - “তুমি ঈমানের বাস্তব অবস্থা চিনতে পেরেছো। এখন এর উপর সবসময় অটুট থেকো।” আর এ বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঈমান এমন নয় যে আপনি একটা লেভেল অর্জন করে ফেলেছেন। যেমন, আপনি যদি পি এইচ ডি ডিগ্রি অর্জন করেন কেউ আপনার কাছ থেকে এটা ছিনিয়ে নিতে পারবে না। এটা আপনার অর্জন। ঈমানের ব্যাপারটা এমন নয়।

ইবলিশ মানুষের দুইটা বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেনি

Image
  ইবলিশ মানুষের দুইটা বৈশিষ্ট্যের কথা ইচ্ছা করেই উল্লেখ করেনি -------------------------------------- * -------------------------- মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে তিনটি জিনিসের সমন্বয়ে। ১। তাকে মাটি থেকে তৈরি করা হয়েছে, ২। তাকে ভারসাম্যসহ তৈরি করা হয়েছে ৩। এবং তাকে রুহ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তিনটি উপাদান আল্লাহ বর্ণনা করেছেন এই আয়াতে। আর তিনি ফেরেশতাদের এগুলো জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই তিনটি অংশ মানুষকে বিস্ময়কর করে তুলবে। সাধারণভাবে সবাই জানে আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা আদম (আ) কে সৃষ্টি করেন। সৃষ্টি করার পর তিনি আদমকে সেজদা করার জন্য ফেরেশতাদের আদেশ করেন। সবাই এটা মেনে নিয়েছিল কিন্তু ইবলিশ অমান্য করেছিল। এটাই ঘটনার সহজ একটি বিবরণ। অধিকাংশ মানুষ এর সাথে পরিচিত। আল্লাহ আজ্জা ওয়া জ্বাল সর্বপ্রথম সকল ফেরেশতাদের প্রতি ঘোষণা জারি করেন, আর আমরা বুঝতে পারি সেসময় তাদের মাঝে ইবলিশও এ ঘোষণার অন্তর্ভুক্ত ছিল। اِنِّیۡ خَالِقٌۢ بَشَرًا مِّنۡ طِیۡنٍ (ইন্নি খা-লিকুন বাশারাম মিন তীন)- "আমি মানুষ সৃষ্টি করতে যাচ্ছি মাটি থেকে বা কাদা থেকে। " [৩৮:৭১] আল্লাহ যখন এই ঘোষণা দিচ্ছেন তখনো তিনি আদমকে সৃষ্টি

আসমান যমীন সৃষ্টি করার দিন একশটি রহমত সৃষ্টি

Image
❖ আল্লাহ তায়ালা ১০০টি রহমতের মধ্যে সর্বমোট কতটি রহমত পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ একটি। এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তাআ’লা আসমান যমীন সৃষ্টি করার দিন একশটি রহমত সৃষ্টি করলেন। প্রতিটি রহমত আসমান ও যমীনের মধ্যস্থল পরিপূর্ণ (বিশাল বড়)। অতঃপর তিনি তার মধ্য হতে একটি রহমত পৃথিবীতে (সবার মাঝে) অবতীর্ণ করলেন। ঐ একটি রহমতের (অংশ পাওয়ার) কারণেই মা তার সন্তানকে মায়া করে এবং হিংস্র প্রাণী ও পাখীরা একে অন্যের উপর দয়া করে থাকে। অতঃপর যখন কিয়ামতের দিন হবে, তখন আল্লাহ এই রহমত দ্বারা সংখ্যা পূর্ণ করবেন। (সহীহ বুখারীঃ ৬৪৬৯) ❖ শয়তান মানুষকে কোন দিক দিয়ে ধোঁকা দেয়?এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ চতুর্দিক দিয়ে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা হচ্ছে, মানুষকে ধোকায় ফেলতে যেসব ক্ষমতা পেয়েছে শয়তান। শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন। মানুষকে সঠিক পথ থেকে সরিয়ে নিতে আল্লাহর কাছে ক্ষমতা চেয়ে নিয়েছে শয়তান। আল্লাহ তাআলা শয়তানের সে আবদার মঞ্জুর করে তাকে অনেক বড় ক্ষমতা দিয়েছেন। শয়তানের পথভ্রষ্ট হওয়া ও মানুষের ক্ষতিতে ক্ষমতা লাভ ছিল তার অহংকার ও দাম্ভিকতা। ক

ইসলামে আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষার গুরুত্ব

Image
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনন্য গুণ হলো সত্যবাদিতা ও বিশ্বস্ততা। এ কারণে কাফির, মুশরিকরাও তাঁকে ‘আল আমিন’ বা ‘বিশ্বাসী’ বলে ডাকত। আমানতদারি বা বিশ্বস্ততা মানুষের অনুপম বৈশিষ্ট্য। আমানতদার ব্যক্তি সব সমাজেই প্রশংসিত। আল্লাহ তাআলা প্রকৃত মুমিনের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, ‘তারা (মুমিনরা) সেসব লোক, যারা আমানতের প্রতি লক্ষ রাখে এবং স্বীয় অঙ্গীকার হেফাজত করে।’ (সুরা-২৩ মুমিনুন, আয়াত: ৮) ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, আমানতসমূহ তার প্রকৃত পাওনাদারদের নিকট প্রত্যর্পণ করতে।’ (সুরা-৪ নিসা, আয়াত: ৫৮) আমানতদারি একটি ব্যাপক বিষয়। সৃষ্টির সূচনায় আল্লাহ তাআলা তাঁর আমানত সোপর্দ করার জন্য আসমান, জমিন, পাহাড় ও মানুষের কাছে প্রস্তাব করেছিলেন। ‘আমরা আকাশ, পৃথিবী ও পর্বতমালার নিকট এই আমানত পেশ করেছিলাম। অতঃপর তারা তা বহন করতে অস্বীকার করল এবং শঙ্কিত হলো, কিন্তু মানুষ তা বহন করল। বস্তুত সে অতিশয় জালিম ও অজ্ঞ।’ (সুরা-৩৩ আহযাব, আয়াত: ৭২) এই আমানতের বিস্তৃতি জীবনের সর্বক্ষেত্রে। ব্যক্তিগত জীবনে একনিষ্ঠতার সঙ্গে ইবাদত করা তথা আল্লাহর আদেশ পালন করা ও নিষেধ থেকে বিরত থাকা, হালাল-হারাম মেনে চলা, লেনদেনে,

আল্লাহ তাআ’লার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ

Image
  আল্লাহ তাআ’লার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ: ক্বুরআন ও হাদীসে আল্লাহ তাআ’লা মানব জাতিকে বারংবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেই উপদেশ দিয়েছেন তা হচ্ছে ‘তাক্বওয়া’, অর্থাৎ মানুষ যেন তার রব্বকে সর্বদা ভয় করে চলে। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা রহি’মাহুল্লাহ বলেন, “আমার মতে, যে ব্যক্তি বুঝে এবং (সত্য পথের) অনুসরণ করে তার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশের চেয়ে উত্তম কোন উপদেশ নেই। আল্লাহ সুবহা’নাহু তাআ’লার উপদেশঃ আল্লাহ সুবহা’নাহু তাআ’লার উপদেশ বর্ণিত আছে এই আয়াতে - وَلَقَدۡ وَصَّيۡنَا ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ مِن قَبۡلِكُمۡ وَإِيَّاكُمۡ أَنِ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ “আর নিশ্চয়ই তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল তাদেরকে এবং তোমাদেরকেও আমি এই আদেশ দিয়েছি যে, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো।” সুরা আন-নিসাঃ ১৩১। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশঃ আবু যার রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেন, اتَّقِ اللَّهَ حَيْثُمَا كُنْتَ وَأَتْبِعِ السَّيِّئَةَ الْحَسَنَةَ تَمْحُهَا وَخَالِقِ النَّاسَ بِخُلُقٍ ح

আল্লাহ তাআ’লার নৈকট্য অর্জনের জন্য

Image
  আল্লাহ তাআ’লার নৈকট্য অর্জনের জন্য অত্যন্ত সহজ তিনটি আমল: মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, যে যাকে ভালোবাসে সে তার নৈকট্য অনুসন্ধান করে। মুমিন বান্দারা সবচাইতে বেশি ভালোবাসে মহান আল্লাহকে, যার স্বীকৃতি দিয়ে স্বয়ং আল্লাহ বলেছেনঃ “আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যারা আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তারা তাদেরকে ভালবাসে আল্লাহকে ভালবাসার মতোই। পক্ষান্তরে, যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকে ভালবাসে সবচাইতে বেশি।” সুরা আল-বাক্বারাহঃ ১৬৫। যেকোন নেক আমল করা কিংবা যেকোন পাপ কাজ বর্জন করার মাধ্যমেই আল্লাহর ভালোবাসা ও নৈকট্য লাভ যায়। তবে বান্দার সমস্ত আমলের মাঝে এমন কিছু বিশেষ আমল রয়েছে, যেইগুলো আল্লাহ অত্যন্ত ভালোবাসেন, যার মাধ্যমে সবচাইতে বেশি আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। এমনই কতগুলো নেক আমলের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো, যেইগুলো আমল করা সহজ কিন্তু যার বিনিময়ে বান্দা সবচাইতে বেশি আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে সক্ষম হয়। (১) সিজদাঃ সিজদা এমন একটি ইবাদত যার মাধ্যমে বান্দা তার শরীর ও মন দিয়ে তার রব্বের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং আনুগত্য প্রকাশ করে। একারণে মহান আল্লাহ ছাড়া অ

ঈমানের সর্বোচ্চ স্তর

Image
  ❖ ঈমানের সর্বোচ্চ স্তর কোনটি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ পাঠ করা। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা হচ্ছে, ঈমানের শাখাঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, ঈমানের শাখা-প্রশাখা ৭০ এর চেয়ে বেশী, তন্মধ্যে প্রধান শাখা কালিমা ” লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”এর সবচেয়ে ছোট শাখা ,রাস্তা হতে কষ্টদায়ক বস্তু (ইট,পাটকেল,কাঁটা,নাপাক ইত্যাদি) সরিয়ে ফেলা। আর লজ্জাশীলতা ঈমানের একটি প্রধান শাখা (বুখারী ও মুসলিম)। ঈমানের আভিধানিক অর্থ নিরাপত্তা প্রদান করা,মুমিন অর্থ নিরাপত্তা প্রদানকারী। মু’মিন ঈমান এনে নিজেকে জাহান্নাম থেকে নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। শরীয়তের পরিভাষায় ঈমান বলা হয় ,নবী করিম (সাঃ) থেকে যে সব বিষয় অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে, সে সব বিষয় দিলের দ্বারা বিশ্বাস করা ও মান্য করা। দ্বীনের মূল হল ঈমান। এ ঈমানের ফযিলতের ওয়ায সর্বদাই চলছে। অথচ কিসে ঈমান আনতে হবে তা অনেকেরই জানা নেই,শুধু ফাযায়েলের বয়ানেই ঈমান পরিপূর্ণ হবে না। এ ঈমানের শাখা প্রশাখা কুরআন হাদীসের বিভিন্ন স্থানে চড়িয়ে রয়েছে। সীমাহীন চেষ্টার মাধ্যমে মুহাদ্দিছীনে কেরাম সেগুলো একত্রিত করেছেন। তাঁদের হিসেব মত এর শাখা প্রশাখার সংখ্যা ৭৭। ছহী হাদীস দ্বা

মুসলমান ভাই কিংবা বোনকে সাহায্য করার পুরষ্কার

Image
  কোন মুসলমান ভাই কিংবা বোনকে সাহায্য করার পুরষ্কার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ চারটি হাদীস: (১) নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন মিটাবে, আল্লাহ তার প্রয়োজন মিটাবেন। একইভাবে যে ব্যক্তি কোন মুসলিম ব্যক্তির বিপদ দূর করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার বিপদ দূর করবেন।” সহীহ বুখারী, মুসলিম, সুনানে আবু দাউদঃ ৪৮৯৩। (২) আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দুনিয়াবী বিপদাপদের মধ্যে একটি বিপদ দূর করে দেয়, আল্লাহ তাআ’লা তার পরকালের বিপদাপদের কোন একটি বিপদ দূর করে দিবেন। যে ব্যক্তি দুনিয়াতে অন্য কারো অভাব দূর করে দেয়, তার দুনিয়া ও আখিরাতের অসুবিধাগুলোকে আল্লাহ তাআ’লা সহজ করে দেবেন। যে ব্যক্তি দুনিয়ায় কোন মুসলমানের দোষ-ক্রটিকে গোপন রাখে, আল্লাহ তাআ’লা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। যে পর্যন্ত বান্দাহ তার কোন ভাইয়ের সাহায্য-সহযোগিতায় নিয়োজিত থাকে, সে পর্যন্ত আল্লাহ তাআ’লাও তার সাহায্য-সহযোগিতায় নিয়োজিত থাকেন।” সহীহ মুসলিম, সুনানে তিরমিযীঃ ১৯৩০, ইবনু মা-জাহঃ ১২২৫

"নামায চোর"

Image
  ❖ হাদিসে কাদেরকে "নামায চোর" বলে উপাধি দেয়া হয়েছে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ উপরের সবগুলোই। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা হচ্ছে, সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর হচ্ছে নামাজ চোর: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর ঐ ব্যক্তি, যে তার সালাত চুরি করে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, সালাত কিভাবে চুরি করে? তিনি বললেন, সে সালাতের রুকু এবং সিজদা পূর্ণ করে না। (মুসনাদে আহমদ, হা/২২৬৯৫; মিশকাত হা/৮৮৫; মিশকাত বাংলা হা/৮২৫; সানাদ সহীহ) আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এবং আমাদের পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজন তথা সকল মুমিন-মুসলিমকে হাদীসে উল্লেখিত নিকৃষ্ট চোর নামাজ চোর মুসল্লীদের তালিকাভূক্ত হওয়া থেকে হেফাজত করুন। তিক্ত হলেও সত্য যে আমাদের সমাজে চার দিকে নামাজ চুরির হিড়িক পড়েছে। যারা শয়তানের গোপন ধোকায় পড়ে এই অপকর্ম করে নিজেদের মহামূল্যবান আমল নামাজকে বিনষ্ট করে চলছেন তারা বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত। প্রথম শ্রেণীর সালাত চোর:আমাদের দেশে বহু ইমাম ও মুসল্লী সালাতের রুকু, সাজদা, কাওমা ও জালসা ধীর-স্থিরতার সাথে আদায় করেন না। বিশেষ করে জাম’আতে সালাত আদায় করতে গিয়ে বহু মসজিদে এত দ্রুত রুকু-সাজদা করতে দেখা যায় যে

অন্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভালোবাসা

Image
  কিভাবে একজন মুসলিম তার অন্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভালোবাসা দুনিয়ার অন্য সবকিছু থেকে বেশি বাড়াতে পারে? আলহামদুলিল্লাহ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভালোবাসার তীব্রতা ব্যক্তির ঈমানের ওপর নির্ভর করে। ব্যক্তির ঈমান বৃদ্ধি পেলে তাঁর প্রতি ভালোবাসাও বেড়ে যায়। কারণ তাঁর প্রতি ভালোবাসা হচ্ছে- নেককাজ ও আল্লাহ্‌র নৈকট্য। ইসলামী শরিয়তে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভালোবাসা ফরয। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি তার কাছে তার পিতা, সন্তান ও সমস্ত মানুষের চেয়ে বেশি প্রিয় হই।”[সহিহ বুখারী (১৫) ও সহিহ মুসলিম (৪৪)] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভালোবাসা নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানার মাধ্যমে অর্জিত হতে পারে: এক: তিনি আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে প্রেরিত। সমস্ত মানুষের কাছে আল্লাহ্‌র দ্বীন বা ধর্ম পৌঁছে দেয়ার জন্য বিশ্ববাসীর মধ্য থেকে আল্লাহ্‌ তাঁকে মনোনীত করেছেন। আল্লাহ্‌ তাআলা তাঁকে ভালোবাসেন বিধায় ও তাঁর প্রতি রাজি থাকায় তাঁকে নির্বাচিত করেছে

জান্নাতের নারীরা কেমন হবে

Image
  জান্নাতের নারীরা কেমন হবেঃ রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর পথে একটি সকাল বা একটি সন্ধ্যা ব্যয় করা দুনিয়া এবং তাতে যা কিছু আছে তার সবকিছু থেকেও উত্তম। যদি জান্নাতের কোন নারী দুনিয়ার দিকে তাকাত, তাহলে (তাদের সৌন্দর্যে) আসমান ও যমীনের মধ্যবর্তী স্থানগুলো আলোকিত হয়ে পড়ত এবং সুগন্ধে ভরে যেত। আর তার মাথার ওড়নাটি দুনিয়া ও তাতে যা কিছু আছে তা থেকেও উত্তম। (বুখারীঃ ৬৫৬৮) তাহলে একটু চিন্তা করে দেখুন, জান্নাতের নারীরা শুধুমাত্র একবার দুনিয়ার দিকে উঁকি দিলেই যদি সাড়া দুনিয়া আলোকিত হয়ে যায়, সাড়া দুনিয়ায় সুগন্ধে ভরে যায়, তবে জান্নাতের সেই নারীরা কি পরিমাণ সুন্দর হতে পারে...! আর তার থেকেও বড় কথা হচ্ছে, এত সুন্দর করে যে প্রভু এই নারীদের সৃষ্টি করলেন, সেই মহান স্রষ্টা আল্লাহ রব্বুল আলামিন তাহলে কত সুন্দর হতে পারেন...। জান্নাতীদের সব থেকে বড় নিয়ামত হবে আল্লাহ তায়ালার দর্শনঃ মহান আল্লাহ তায়ালা জান্নাতবাসীদের জিজ্ঞাসা করবেনঃ হে জান্নাত বাসীগণ! তোমরা কি তোমাদের আমলের প্রতিদান পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছ? তারা জবাব দিবে হে আমাদের প্রভু, আপনি আমাদেরকে এমন সব নেয়