Posts

Showing posts from February, 2024

আল্লাহ যখন সাথে থাকেন

Image
  আল্লাহ যখন সাথে থাকেন  একবার যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে চিনবেন তখন আপনার জীবনের কোনো বিপদকেই আর বিপদ মনে হবে না, কোনো সমস্যাকেই আর সমস্যা মনে হবে না। যেমন, ইব্রাহিম (আ) আল্লাহকে জানার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করলেন। তারপর যখন আল্লাহকে চিনলেন তখন আল্লাহ তাঁকে বললেন তার স্ত্রী সন্তানকে মক্কার মরুভূমিতে রেখে আসতে। তার স্ত্রী তাকে জিজ্ঞেস করলেন - আমাদের কেন এভাবে রেখে যাচ্ছেন? তিনি তার উত্তর জানতেন না। তারপর তার স্ত্রী আবার জিজ্ঞেস করলেন - এটা কি আল্লাহর নির্দেশ? ইব্রাহিম (আ) বললেন- হ্যাঁ। তারপর তার স্ত্রী বলেন - এটা যদি আল্লাহর নির্দেশ হয়ে থাকে তাহলে তিনি আমাদের ধ্বংস হতে দিবেন না। হাজেরা (আ) ব্যাপারটা খুব ভালোভাবে বুঝলেন। যদি আল্লাহ এমনটি করতে বলেন, তাহলে এখানে কোন ভুল হতে পারে না। আমাদের বিশ্বাসও এমন শক্তিশালী হওয়া উচিত। যদি আল্লাহর প্রতি এমন বিশ্বাস গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে আপনার জীবন হয়ে উঠবে অতি মূল্যবান একটি জীবন। তখন আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসবেন, ফেরেশতারা আপনাকে ভালোবাসবেন, আপনি অন্য রকম একজন মানুষে পরিণত হবেন। আপনার কোনো ধারণাই নেই আল্লাহ কিভাবে আপনার জীবনকে আশীর্বাদ এবং বরকতে

যায়িদ (রা.) ছিলেন কোরআনের সংকলক

Image
  রাসুল (সা.) যখন মদিনায় হিজরত করেন, হজরত যায়িদ ইবনে সাবিত (রা.)-এর বয়স তখন ১১ বছর। সেই বালক বয়সে তিনি ১৭টি সুরা মুখস্থ বলতে পারতেন। লোকেরা তাঁকে রাসুল (সা.)-এর কাছে নিয়ে এসে পরিচয় করিয়ে দিলেন। প্রথম পরিচয়ের দিন তিনি রাসুল (সা.)-কে সুরা কাফ তিলাওয়াত করে শোনান। রাসুল (সা.) তিলাওয়াত শুনে অসম্ভব খুশি হয়েছিলেন। রাসুল (সা.)-এর অন্যতম সাহাবি যায়িদ (রা.) মদিনার বিখ্যাত খাযরাজ গোত্রের সদস্য ছিলেন। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি কোরআন পড়তে শুরু করেন। মানুষ তাঁকে খুব সম্মানের দৃষ্টিতে দেখত। মেধাবী ও প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী ছিলেন তিনি। বদর যুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল ১৩ বছর। রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে তিনি যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। যুদ্ধ করার মতো বয়স না হওয়ায় রাসুল (সা.) তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে ফেরত পাঠান। ওহুদ যুদ্ধেও বয়স কম হওয়ার কারণে তিনি যাওয়ার অনুমতি পাননি। খন্দকের যুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। যায়িদ (রা.)-এর পুরো জীবন ব্যয় হয়েছিল ভালো কাজে। তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর সচিব ও ওহি লেখক। তাই তাঁকে ‘কাতিবুল ওহি’ বা ওহি লেখক বলা হয়। ওহি নাজিল হওয়ার পর যায়িদ (রা.) কলম, দোয়াত

এক সাহাবিকে নিয়ে ১৬ আয়াত

Image
  আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.) সাহাবিকে নিয়ে কোরআনে ১৬টি আয়াত নাজিল হয়। ঘটনাটা এ রকম। একদিন রাসুল (সা.) কুরাইশ গোত্রের কয়েকজন নেতাকে ইসলাম সম্পর্কে বলছিলেন। সে সময় আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.) এসে হাজির হলেন। তিনি বললেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ, আল্লাহ আপনাকে যা শিক্ষা দিয়েছেন, তার থেকে কিছু আমাকে শিখিয়ে দেন।’ আল কোরআনে আছে, ‘সে (মুহাম্মদ) ভ্রু কুঁচকে মুখ ফিরিয়ে নিল, কারণ তার কাছে এক অন্ধ এসেছিল। তুমি ওর সম্পর্কে কী জান? সে হয়তো পরিশুদ্ধ হতো বা উপদেশ নিত কিংবা উপদেশ থেকে উপকার পেত? যে নিজেকে বড় ভাবে, তার প্রতি বরং তোমার মনোযোগ! যদি সে নিজেকে পরিশুদ্ধ না করে, তবে তাতে তোমার কোনো দোষ হতো না। অথচ যে কিনা তোমার কাছে ছুটে এল, আর এল ভয়ে ভয়ে, তাকে তুমি অবজ্ঞা করলে! কক্ষনো (তুমি এমন করবে) না, এ এক উপদেশবাণী, যার ইচ্ছা এ গ্রহণ করবে। এ আছে মহান, উচ্চমর্যাদাশীল, পবিত্র কিতাবে. (যা) এমন লিপিকারের হাতে (লেখা) যে সম্মানিত ও পূতচরিত্র।’ (সুরা আবাসা, আয়াত: ১-১৬) রাসুল (সা.) একটু বিরক্ত বোধ করলেন। তবে তাঁর কথায় কোনো গুরুত্ব না দিয়ে কুরাইশ নেতাদের সঙ্গেই কথা চালিয়ে গেলেন। কুরাইশ নেতাদের

সাহাবি তালহা (রা.)

Image
  হজরত তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রা.) কিশোর বয়স থেকেই ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। একবার কুরাইশদের বাণিজ্য–কাফেলার সঙ্গে তিনি সিরিয়ায় যান। বসরার বাজারে এক খ্রিষ্টান পাদরির একটি ঘোষণা তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তালহা (রা.)–এর নিজের ভাষায় কথাগুলো ছিল এ রকম: আমি তখন বসরার বাজারে। একজন খ্রিষ্টান পাদরিকে ঘোষণা করতে শুনলাম, ‘হে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, এই বাজারে মক্কার কোনো লোক আছে?’ আমি কাছেই ছিলাম। দ্রুত কাছে গিয়ে বললাম, ‘হ্যাঁ, আমি মক্কার লোক।’ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কি আহমদ আত্মপ্রকাশ করেছে?’ বললাম, ‘কোন আহমদ?’ তিনি বললেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিবের ছেলে। তিনি হবেন শেষ নবী। তিনি হিজরত করবেন কালো পাথর আর খেজুর উদ্যানবিশিষ্ট একটি ভূমির দিকে। যুবক তোমার উচিত খুব তাড়াতাড়ি তাঁর কাছে যাওয়া।’ তালহা (রা.) খুবই কৌতূহল অনুভব করতে লাগলেন। মক্কায় পৌঁছেই তিনি হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর সঙ্গে দেখা করে কালেমা শাহাদত পড়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি নানাভাবে অত্যাচারিত হন। মায়ের ইচ্ছা ছিল, তিনি হবেন গোত্রের নেতা। তাঁর মা, আত্মীয়স্বজন ও গোত্রের লোকেরা তাঁকে ইসলাম থেকে ফিরিয়ে

হজরত আবু আইয়ুব আল-আনসারী (রা.)

Image
  মদিনার মানুষ রাসুল (সা.)–এর আগমনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন। আনসারদের একটি দল নিয়মিত প্রতিদিন সকালে মদিনার চার–পাঁচ মাইল দূরে ‘হাররা’ নামক স্থানে চলে যেতেন। হজরত আবু আইয়ুব আল-আনসারী (রা.) এ দলের একজন সদস্য ছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর সম্ভাব্য আগমন পথের দিকে তাকিয়ে দলটি দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করত। একদিন তাঁরা ফিরে যাচ্ছেন, এমন সময় এক ইহুদি বহুদূর থেকে রাসুল (সা.)–কে দেখতে পেয়ে তাঁদের খবর দেয়। আনসাররা মহানবী (সা.)–কে স্বাগত জানাতে দ্রুত ছুটে যান।আল্লাহর নির্দেশে নবুয়তের ১৩ তম বছরে রাসুল (সা.) এবং মক্কার মুসলমানরা মদিনায় হিজরত করেন। মদিনার উপকণ্ঠে কুবা নামে একটি জায়গায় কয়েক দিন থাকার পর রাসুল (সা.) মদিনার মূল শহরের দিকে রওনা হলেন। রাস্তার দুই পাশে মদিনাবাসী লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। মদিনার শিশু-কিশোরেরা গান গেয়ে রাসুল (সা.)–কে অভ্যর্থনা জানিয়েছিল। আনসার সাহাবিরা প্রত্যেকেই চাইছিলেন রাসুল (সা.)–কে আতিথেয়তা দিতে। সবাই তাঁকে তাঁদের বাড়িতে মেহমান হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর বাহন মাদি উটের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের বারবার বলছিলেন, ‘তোমরা ওর পথ

পাপ যখন আপনাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে

Image
  একটি পাপ যখন আপনাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে -------------------- * ------------------ আল্লাহ তায়ালা বলেন - بَلٰی مَنۡ کَسَبَ سَیِّئَۃً وَّ اَحَاطَتۡ بِہٖ خَطِیۡٓــَٔتُہٗ فَاُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ - "তবে হাঁ, যারা পাপ কাজ করে এবং যাদের পাপরাশি তাদেরকে ঘিরে ফেলে তারাই জাহান্নামী, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। " (২:৮১) এখানে আল্লাহ سَیِّئَۃً একবচন ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ একটি পাপ যাদের ঘিরে ফেলে। যারা একই পাপ বার বার বার করতে থাকে এবং যা থেকে বের হয়ে আসে না। কেউ একজন হয়তো চুরি করায় আসক্ত। সে এই অভ্যাস ছাড়তে পারে না। তার অনুশোচনা হয়, কাজটি ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, ফিরে আসার চেষ্টায় নিয়োজিত থাকে। আরেকজনের হয়তো মদ পানের অভ্যাস রয়েছে। মদ পান ছাড়া সহজ ব্যাপার নয়। সে ডাক্তারের কাছে যায়, থেরাপি নেয়, বিভিন্নভাবে এই আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। এখানে 'পাপরাশি তাদেরকে ঘিরে ফেলে' মানে তারা যে শুধু এই ভুলটি করছে তা নয়..... মানুষ বেশিদিন অনুশোচনা অনুভব করতে চায় না। অনুশোচনা এমন একটি ব্যাপার যা নিয়ে মানুষ বেশিদিন জীবন যাপন করতে চায় না। তারপর এ

আল্লাহর পথে ফিরে আসুন

Image
  আল্লাহ মুসলিমদের সাথে কীভাবে ডিল করেন তা একেবারেই সুস্পষ্ট। ব্যাপারটা বুঝতে আপনাদের একটু পেছনে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের আগের উম্মাহ ছিল বনী ইসরাইল। বনী ইসরাইলের সাথে আমাদের অনেক মিল রয়েছে। বনী ইসরাইলের প্রধান রাসূল ছিলেন মূসা আলাইহিস সালাম। কুরআনে সর্বাধিক উল্লেখিত রাসূল। আল্লাহ কুরআনে মূসা আলাইহিস সালামের নাম এতবার উল্লেখ করেছেন কার জন্য? ইসরাইলীদের জন্য নাকি আমাদের জন্য? আমাদের জন্য। আল্লাহ ইসরাইলীদের সম্পর্কে আমাদের জানাচ্ছেন, وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ الۡکِتٰبَ وَ الۡحُکۡمَ وَ النُّبُوَّۃَ وَ رَزَقۡنٰهُمۡ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ وَ فَضَّلۡنٰهُمۡ عَلَی الۡعٰلَمِیۡنَ -- আমি বানী ইসরাঈলকে কিতাব, রাজত্ব ও নবুওয়াত দিয়েছিলাম আর তাদেরকে দিয়েছিলাম উত্তম রিযক, আর তাদেরকে বিশ্ববাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম। (৪৫:১৬) কিন্তু তারা আল্লাহর অবাধ্য হলো। আর আল্লাহর নবীদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো। তারা আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করলো বহু সংখ্যক বার। আল্লাহ তায়ালা বলেন- لُعِنَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡۢ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ عَلٰی لِسَانِ دَاوٗدَ وَ عِیۡسَی ابۡنِ مَرۡیَمَ ؕ ذٰلِکَ بِم

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)

Image
  আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)–র জন্ম মক্কায়। খুব অল্প বয়সে ইসলাম গ্রহণের সৌভাগ্য অর্জন করেন তিনি। ইসলাম গ্রহণের তালিকায় তাঁর নাম ষষ্ঠ। মক্কার অবিশ্বাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে একসময় তিনি হাবশায় হিজরত করেন। পরে সেখান থেকে ফিরে আসেন মক্কায়। কিছুদিন মক্কায় থাকার পর অনুমতি পেয়ে হিজরত করে চলে যান মদিনায়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ইসলাম গ্রহণের পর নিজেকে রাসুলুল্লাহর একজন খাদিম হিসেবে উৎসর্গ করেন। আবদুল্লাহ (রা.) রাসুল (সা.)–কে ছায়ার মতো অনুসরণ করতেন। সফরে, ইকামাতে, ঘরের ভেতর বা বাইরে সব সময়ই রাসুলের (সা.) সঙ্গে তিনি থাকতেন। রাসুল (সা.) যখন নিজের ঘরে অবস্থান করতেন, সে সময়ও আবদুল্লাহ (রা.)–র সেখানে প্রবেশের অনুমতি ছিল। এ কারণে তাঁকে ‘সাহিবুস সির’, অর্থাৎ রাসুল (সা.)–এর গোপন বিষয়ের অধিকারী বলা হয়। মহানবী (সা.) হিজরতের আগে মক্কায় মুসলমানদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের অসম্ভব কঠিন এক পরিস্থিতি। তাকে উপেক্ষা করে মক্কার বায়তুল্লাহ প্রাঙ্গণে মহানবী (সা.)–এর সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) প্রকাশ্যে কোরআন তিলাওয়াত করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি কাবা শরিফে মাকামে ইবরাহিমের কাছে দাঁড়িয়ে উচ

এক কাঠমিস্ত্রির ঘটনা

Image
  এই ঘটনা বিশ্বে হজরত ঈসা (আ.)-এর আগমনেরও আগের। সিরিয়ার আন্তাকিয়ার শহরতলিতে বাস করতেন একজন কাঠমিস্ত্রি। তার নাম হাবিব ইবনে ইসমাইল। ইসলামের ইতিহাসে তিনি হাবিব নাজ্জার, অর্থাৎ কাঠমিস্ত্রি হাবিব নামে পরিচিত। আন্তাকিয়া ছিল ওই সময়ের এক জনপদ। আন্তাকিয়ার লোকজন ছিল পৌত্তলিক। হাবিবও ছিলেন কুষ্ঠরোগী। রোগমুক্তির আশায় তিনি নানা প্রতিমার উপাসনা করতেন। আল্লাহ ওই সম্প্রদায়কে সতর্ক করার বাসনা করলেন। প্রথমে তিনি তাদের কাছে দুজন আল্লাহ্‌ প্রেরিত বার্তাবাহী ব্যক্তিত্ব (রাসুল) পাঠালেন। দ্বীনের দাওয়াত দিতে তাঁরা আন্তাকিয়া শহরে গেলেন। সেখানে তাঁদের দেখা হলো হাবিবের সঙ্গে। তাঁরা তাকে মূর্তিপূজা ত্যাগ করে আল্লাহর ইবাদতের জন্য দাওয়াত দিলেন। হাবিব বললেন, আপনাদের দাবি যে সত্য, তার কি কোনো প্রমাণ আছে? তাঁরা বললেন, আছে। হাবিব তাঁর কুষ্ঠরোগের কথা উল্লেখ করে বললেন, ‘আপনারা কি আমার এ ব্যাধি দূর করে দিতে পারবেন?’ তাঁরা বললেন, ‘হ্যাঁ! আমরা আমাদের রবের কাছে দোয়া করব। তিনি তোমাকে রোগমুক্ত করবেন।’ হাবিব এ কথা শুনে অবাক হয়ে বললেন, ‘আমি সারা জীবন দেব-দেবীর প্রার্থনা করলাম। কিন্তু কোনো উপকার পেলাম না। অথচ আপনাদের রব কীভাবে আ

প্রকৃত স্বাধীনতা এবং তার পুরস্কার

Image
  প্রকৃত স্বাধীনতা এবং তার পুরস্কার -------------------------------------- একবার যখন আল্লাহকে ভয় করতে শুরু করবেন তখন আর অন্য কাউকে ভয় করতে হবে না। আল্লাহর ভয় আপনাকে অন্য সবার ভয় থেকে মুক্ত করে দেয়। যখন আল্লাহর আনুগত্য করবেন, এটা আপনাকে অন্য সবার আনুগত্য করার চাপ থেকে স্বাধীন করে দিবে। আপনাকে আর অন্য দশজনের মতো হওয়ার চেষ্টা করতে হবে না। যখন বলেন আমি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে চাই, এর ফলে আপনাকে আর অন্য কাউকে সন্তুষ্ট করতে হবে না। অন্যদের সন্তুষ্ট করার চাপ থেকে এটা আপনাকে মুক্ত করে দিবে। এখন আপনাকে অন্যদের খুশি করার জন্য পোশাক পরতে হবে না। অন্যদের মত করে কথা বলতে হবে না। আপনার কাউকে আর ইমপ্রেস করতে হবে না। আপনি এখন কোনো কিছুর পরোয়া করেন না। এটা আপনাকে সকল শৃঙ্খল থেকে একেবারে মুক্ত করে দেয়। সবগুলো রশি কেটে আপনাকে একেবারে স্বাধীন করে দেয়। যখন আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা আমাদেরকে তাঁর নিকট দাসত্বের প্রস্তাব দিলেন, তিনি আমাদেরকে ভিন্ন ধরণের এক দাসত্ব উপহার দিচ্ছেন। এই প্রকারের দাসত্ব আপনাকে অন্য সব ধরণের দাসত্ব থেকে মুক্তি দিবে। বস্তুত, এই পৃথিবীতে সত্যিকারের ফ্রিডম হলো আল্লাহর দাসত্ব। কারণ, কে

নামাজে রাকাত আদায়ে কমবেশি নিয়ে সন্দেহ হলে

Image
  নামাজ মনোযোগের সঙ্গে আদায় করতে হবে। নামাজ পড়তে গিয়ে ভুল করা ঠিক নয়। তবু মানুষ দোষেগুণেই মানুষ। নামাজ আদায় করতে গিয়ে কত রাকাত পড়া হলো তা নিয়ে ভুল করে বিভ্রান্তি হয়ে যেতে পারে। ধরা যাক, জোহরের ৪ রাকাত সুন্নত নামাজের মধ্যে মনে হঠাৎ সংশয় হতে পারে, কত রাকাত নামাজ আদায় করা হলো? ২ রাকাত নাকি ৩ রাকাত? তখন কী করা যায়? সেই সমস্যার একটি সমাধান বাতলে দিয়েছে তিরমিজি শরিফে একটি হাদিস।  আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তোমাদের কেউ নামাজে ভুল করে, যখন সে বলতে পারে না সে এক রাকাত, দুই রাকাত না তিন রাকাত আদায় করেছে। সেটি ঠিক করতে না পারলে দুই রাকাতকে ভিত্তি ধরবে। আর যদি তিন রাকাত আদায় করেছে না চার রাকাত আদায় করেছে সেটি বুঝতে না পারে, তবে তিন রাকাতকে ভিত্তি ধরবে। এ ক্ষেত্রে সালাম ফেরানোর আগে দুই সেজদা করতে হবে। (তিরমিজি, ৩৯৮) জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে যে ভুল পুরুষের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করার চেস্টা করতে হবে। জামাতে নামাজ আদায় করার তাগিদ দিয়ে আল্লাহ বলেন, রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু করো। (সুরা বাকারা, আয়াত: ৪৩) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জামাতে নামা