Posts
Showing posts from August, 2021
খাদিজা বিনতে খুয়াইলিদ রাদিআল্লাহু আনহা
- Get link
- X
- Other Apps
মুহাম্মদ (সাঃ) এর পণ্য বেচাকেনা শেষ হলাে একসময়। তিনি সব হিসাব বুঝিয়ে দিতে এলেন খাদিজা রাঃ) এর কাছে। অন্যান্য বার যে পরিমাণ মুনাফা হয়, এবার তার চেয়ে দ্বিগুণ মুনাফা হয়েছে খাদিজার (রাঃ) এর আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়। কিন্তু ব্যবসার মুনাফা নিয়ে খাদিজা (রাঃ) এর কোনো মাথাব্যাথায় নেই। তিনি কেবল তাঁর সামনে উপস্থির মুহাম্মদ (সাঃ) এর দিকে তাকিয়ে আছেন। এ যেন এক মহাকালের পরিচয়। অনন্তকাল থেকেই যেন খাদিজা (রাঃ) চেনেন মুহাম্মদ (সাঃ) এর এ মুখশ্রী। কী প্রশান্ত, কী প্রাণােজ্জ্বল! ঐশ্বরিক দ্যুতিতে ঝলমল করছে তার মানব অবয়ব। কিন্তু খাদিজা (রাঃ) কীভাবে বলবেন তাঁর হৃদয়ের কথা? নিজের অপারগতায় মুচড়ে যেতে থাকেন তিনি। কেননা বয়সের তফাৎ এর বিষয়টি তাে রয়েছেই, তা ছাড়া খাদিজা (রাঃ) এ বয়সে আর বিয়ে করবেন না বলে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছেন এবং অনেক বিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি মুগ্ধতা তাঁর সকল প্রতিজ্ঞা উলটপালট করে দিয়েছে। আল্লাহর প্রেরিত পুরুষের সহধর্মিণী হওয়ার সৌভাগ্যের পরশমণি তাঁর হৃদয়কেব্যাকুল করে তুলেছে। কী করবেন কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। খাদিজা (রাঃ) সারা দিন মনমরা হয়ে
খাদিজা বিনতে খুয়াইলিদ রাদিআল্লাহু আনহা - তৃতীয় অংশ
- Get link
- X
- Other Apps
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছে গেল বানিজ্য কাফেলা। এখানে বিশাল বাজার। আরব, আফ্রিকা, রোম-পারস্য, এবং হিন্দু বড় বড় ব্যবসায়ীরা তাদের নানা ধরনের পণ্যের পসরা বসিয়েছে। মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর পণ্য দিয়ে এক নির্দিষ্ট জায়গায় তাঁবু গাড়লেন কিছু সময়ের মধ্যেই। আর মায়সারা খাদিজা (রাঃ) এর কথা অনুযায়ী মুহাম্মদকে চোখে চোখে রাখছেন। মায়সারা তাঁর ব্যবহার যতই দেখছেন ততই মুগ্ধ হচ্ছে এবং ভাবছে কিভাবে একজন মানুষ এমন নিষ্কলুষ এবং কোমল হৃদয়ের হতে পারে। মায়সারা কোনো এক কাজে অন্যদিকে গিয়েছিলেন আর সেই সময়ই শুনলেন, মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাথে এক ইহুদি ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে তর্ক করছেন। লোকটি উচ্চস্বরে বলছেন, তোমার কথা ব্যাপারে সত্য হয়ে থাকলে লাত ও উজ্জা দেবীর নামে শপথ করো। মুহাম্মদ (সাঃ) কে যতবার শপথ করতে বললেন তিনি ততবারই না সূচক মাথা নেড়ে বললেন অসম্ভব। আমি কখনোই এইসবের নামে শপথ করবো না বরং আমি যখন এগুলোর সামনে দিয়ে যায় তখন মুখ ফিরিয়ে নেই। আর কিভাবেই বা শপথ করবেন মুহাম্মদ (সাঃ)! যার অন্তর জুড়ে আলোকিত করা হয়েছে আসমাউল হুসনা দিয়ে। কয়েকবার বলার পরও যখন লাত ও উজ্জার নামে শপথ করলেন না। তখন লোকটি পেছনে হটে গেল এবং মায়াসা
কারবালার ইতিহাস ও শিক্ষা
- Get link
- X
- Other Apps
আল্লাহর হাবিব আখেরি নবীর প্রিয় দৌহিত্র হজরত আলী (রা.)–এর আদরের দুলাল, জান্নাতি রমণীদের সরদার নবীনন্দিনী হজরত ফাতিমার নন্দন, আহলে বাইতের অন্যতম সদস্য, জান্নাতি যুবকদের সরদার, বিশ্ব মুসলিমের নয়নমণি হজরত হোসাইন (রা.) আশুরা দিবসে কারবালা প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদি বাহিনীর হাতে শাহাদাতবরণ করেন। এ নির্মম ঘটনা বিশ্ব মুসলিমের হৃদয়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। ‘কারবালা’ ফোরাত নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রান্তর, যেখানে বাষট্টি হিজরি সনের মহরম মাসের ১০ তারিখ শুক্রবার হজরত হোসাইন (রা.) অত্যন্ত করুণভাবে শাহাদাতবরণ করেছিলেন। জগতের জানা ইতিহাসে এটি একটি বিয়োগান্ত ঘটনা। কারবালা যেন আরবি ‘কারব’ ও ‘বালা’–এর সরলরূপে পরিণত। ‘কারব’ মানে সংকট, ‘বালা’ মানে মুসিবত। তাই কারবালা সংকট ও মুসিবতের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কারবালার এ হৃদয়বিদারক ঘটনা মহিমাময় মহরম মাসের ঐতিহাসিক মহান আশুরার দিনে সংঘটিত হওয়ায় এতে ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে। এতে এ শাহাদাতের মাহাত্ম্য যেমন বহুগুণ বেড়েছে, তেমনি আশুরা পেয়েছে ইতিহাসে নতুন পরিচিতি। তাই আজ আশুরা ও কারবালা সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘ফোরাত’ কুফার একটি সুপ্রাচীন নদী। এ নদীর কূলে অবস্থিত ক
রাতে যাদের সহজে ঘুম আসে না
- Get link
- X
- Other Apps
রাতে যাদের সহজে ঘুম আসে না, তাদের জন্য হাদিস থেকে একাধিক সমাধান ও আমল ▬▬▬▬▬▬▬▬✿▬▬▬▬▬▬▬▬ (১) সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর যিকর করলে শয়তানের পক্ষ থেকে ঘুম এসে যায়। তোমরা চাইলে অনুশীলন করে দেখতে পারো। তোমাদের কেউ যখন বিছানা গ্রহণ করে এবং ঘুমানোর ইচ্ছা করে, তখন সে যেন মহামহিম আল্লাহর যিকর করে।’ [বুখারি, আল-আদাবুল মুফরাদ: ১২২০; বর্ণনাটি সহিহ] . (২) যায়েদ ইবনু সাবিত (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আমার দীর্ঘদিনের অনিদ্রা রোগের ব্যাপারে অভিযোগ করলাম। তিনি বললেন, বলো— . اَللّٰهُمَّ غَارَتِ النُّجُوْمُ، وَهَدَأَتِ الْعُيُوْنُ، وَأَنْتَ حَيٌّ قَيُّوْمٌ، لاَ تَأْخُذُكَ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ أَهْدِئْ لَيْلِيْ، وَأَنِمْ عَيْنِيْ . উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা গা-রাতিন নুজুম, ওয়া হাদাআতিল উ’য়ুন, ওয়া আনতা ‘হাইয়ুন ক্বাইয়ুম, লা তাঅ্খুযুকা সিনাতুউ ওয়ালা নাওম, ইয়া ‘হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়ুম, আহদিঅ্ লাইলী ওয়া আনিম ‘আইনী। . অর্থ: হে আল্লাহ! তারকারাজি নিভে গেছে; (মানুষের) চোখগুলো (ঘুমে) শান্ত হয়ে গেছে; আর আ
খাদিজা বিনতে খুয়াইলিদ (রাঃ)
- Get link
- X
- Other Apps
খাদিজা (রাঃ) আর বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারলেন না, তাঁর হাত-পা কাঁপছে। মনে হচ্ছে, তিনি এখনই পড়ে যাবেন। হৃদয়ের সকল তন্ত্রীতে যেন বয়ে যাচ্ছে অপার্থিব কোনাে শােণিত ফোয়ারা। শরীরের প্রতিটি বিন্দু থেকে উচ্চারিত হচ্ছে আনন্দের গীতিকবিতা। খাদিজা এত আনন্দ সহ্য করতে পারছিলেন না, জলদি নিজের বাড়ি চলে এলেন। এত দিন তিনি কেবল স্বপ্ন আর কল্পনার অলীক কুসুমে প্রতিপালিত করেছেন তার অনাগত নবিকে, কিন্তু এখন যে তিনি বাস্তবতার খুব কাছে। তিনি যেন চোখ বন্ধ করলেই তাঁকে দেখতে পান চোখের আয়নায়। শেনবির সান্নিধ্যধন্য হওয়ার আনন্দ জড়িয়ে রাখে তাঁকে। কিন্তু আবার নিজের দিকে তাকালে অনিচ্ছুক ভয় এসে জাপটে ধরে তাঁকে। তাঁর বয়স চল্লিশ ছুঁই-ছুঁই, যৌবনের পড়ন্তবেলায় এসে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ভাগ্য কি তার প্রতি সুপ্রসন্ন হবে? খাদিজা (রাঃ) এর মাথায় নিদারুণ চিন্তার ঝড় বইতে লাগল। স্বপ্নপুরুষ এত দিন কল্পনায় ছিল, সেই তাে ভালাে ছিল। কিন্তু এখন যে তাঁর আগমন অত্যাসন্ন। তিনি প্রভুর দরবারে হাত পাতলেন-হে আল্লাহ! তুমিই বলে দাও, কোথায় গেলে পাব তাকে। খাদিজা (রাঃ) অপেক্ষা করছিলেন। পৃথিবী অপেক্ষা করছিল। সমগ্র সৃষ্টি প্রতীক্ষমাণ
‘শরিয়া আইন’ কী?
- Get link
- X
- Other Apps
‘কঠোর শরিয়া আইন’ নিয়ে তুলকালাম চলছে। ‘শরিয়া আইন’ কী? ‘শরিয়া আইন’ হলো চোরের হাত কেটে দেওয়া। (এর জন্য সুনির্ধারিত শর্ত-শারায়েত আছে। যেকেউ চোর নয় এবং যেকোনো কিছুর জন্যও হাত কাটা নয়।) চোরের শাস্তি নিশ্চিত হলে ছিনতাইকারী, উটকো ঝামেলাকারীরাও আইনের আওতায় এসে দমে যেতে বাধ্য হবে। আপনাকে মন্ত্রী হয়ে পুলিশ প্রোটেকশনে থেকেও মোবাইল হারাতে হবে না। যাত্রাবাড়ী গাবতলীতে বাসের জানালা দিয়ে থাবা মেরে আপনার মোবাইল নিয়ে দৌড় দেবে না। ফ্যামিলি নিয়ে নিরিবিলি কোথাও গিয়ে উটকো মস্তানদের খপ্পরে পড়তে হবে না। রাতের দুইটায় সায়েদাবাদ বাস স্ট্যান্ডে নেমে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সব খোয়াতে হবে না। মলম পার্টি আপনার ব্যাগ টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতে পারবে না। কুরবানির গরুর গাড়িতে চাঁদাবাজি হবে না। সর্বত্র আপনি হবেন নির্বিঘ্ন। বিবাহিত কেউ অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হলে পাথর নিক্ষেপে হত্যা এবং অবিবাহিত কেউ এই কাজে জড়ালে ১০০ বেত্রাঘাত ভোগ করতে হবে। (এর জন্যও সাক্ষীসাবুদ এবং স্বীকারোক্তি প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ। কাউকে ফান্দে ফেলতে অথবা মানহানি ঘটাতে চাইলে উলটো নিজেকে কঠিন সাজা ভোগ করতে হবে।) সুতরাং অবৈধ মিলন করে সন্তান উৎপাদন এবং তাকে ডাস্টব
কারবালার ইতিহাস ও শিক্ষা
- Get link
- X
- Other Apps
কারবালার ইতিহাস ও শিক্ষা আল্লাহর হাবিব আখেরি নবীর প্রিয় দৌহিত্র হজরত আলী (রা.)–এর আদরের দুলাল, জান্নাতি রমণীদের সরদার নবীনন্দিনী হজরত ফাতিমার নন্দন, আহলে বাইতের অন্যতম সদস্য, জান্নাতি যুবকদের সরদার, বিশ্ব মুসলিমের নয়নমণি হজরত হোসাইন (রা.) আশুরা দিবসে কারবালা প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদি বাহিনীর হাতে শাহাদাতবরণ করেন। এ নির্মম ঘটনা বিশ্ব মুসলিমের হৃদয়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। ‘কারবালা’ ফোরাত নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রান্তর, যেখানে বাষট্টি হিজরি সনের মহরম মাসের ১০ তারিখ শুক্রবার হজরত হোসাইন (রা.) অত্যন্ত করুণভাবে শাহাদাতবরণ করেছিলেন। জগতের জানা ইতিহাসে এটি একটি বিয়োগান্ত ঘটনা। কারবালা যেন আরবি ‘কারব’ ও ‘বালা’–এর সরলরূপে পরিণত। ‘কারব’ মানে সংকট, ‘বালা’ মানে মুসিবত। তাই কারবালা সংকট ও মুসিবতের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কারবালার এ হৃদয়বিদারক ঘটনা মহিমাময় মহরম মাসের ঐতিহাসিক মহান আশুরার দিনে সংঘটিত হওয়ায় এতে ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে। এতে এ শাহাদাতের মাহাত্ম্য যেমন বহুগুণ বেড়েছে, তেমনি আশুরা পেয়েছে ইতিহাসে নতুন পরিচিতি। তাই আজ আশুরা ও কারবালা সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘ফোরাত’ কুফার একটি সুপ্রাচীন ন
আরিফ আজাদ ভাইয়ার ৩৫ টি মূল্যবান বাণী
- Get link
- X
- Other Apps
আরিফ আজাদ ভাইয়ার ৩৫ টি মূল্যবান বাণী। যা আমাদের যুবক ভাইদের জন্য অনুপ্রেরণা! ১. ব্যস্ততার দোহায় দিয়ে আপনি সালাত ত্যাগ করছেন না, নিজের আখিরাত ধ্বংসের আয়োজন করছেন। ২. ভোরের পাখি আর ভোরের সূর্য দুটোই যদি আপনার আগে জেগে যায়, তাহলে জীবন নিয়ে জরুরীভাবে ভাবতে বসুন। জীবনের সত্যিকারের গতি থেকে আপনি ইতিমধ্যেই বিচ্যুত হয়ে পড়েছেন। ৩. আল্লাহ যার অভিভাবক তার কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ থাকতেই পারেনা। ৪. আপনার ব্যাপারে আমি কেবল একটাই ভবিষ্যৎ বাণী করতে পারি, আর তা হলো আপনি অবশ্যই মৃত্যুবরণ করবেন। ৫. রাতের অন্ধকারে আল্লাহকে ডাকুন, তিনি দিনের আলো দিয়ে আপনার জীবনকে রাঙিয়ে দিবেন। ৬. সিন্দাবাদের জাদুর গালিচা নেই তো কি হয়েছে, জায়নামাজ বিছিয়ে বসে পড়ুন, আপনার আকুতিগুলো সপ্ত আসমান ভেদ করে ঠিক আরশে আযীমে পৌঁছে যাবে। ৭. অন্যের সফলতায় আনন্দিত হতে পারাটা একটা হিংসামুক্ত অন্তরের প্রমান বহন করে। ৮. প্রতিটা মানুষ কখনোই আপনাকে ভালোবাসবেনা, পৃথিবীর মহামানবকেও তার সময়ে তাকে গ্রহণ করেননি, ভালোবাসেনি। নবীজি (সঃ) কে ও না। ৯. আল্লাহ সুবহানান ওয়া তায়ালা ইবলিসকেও ফিরিয়ে দেন নি, আমরা কেন ভাবছি যে তিনি আমাদের ফিরিয়ে দিবেন, নিরাশ
সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী
- Get link
- X
- Other Apps
সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নবুওয়াত লাভের পর সর্বপ্রথম যিনি তাঁকে নবী বলে মেনে নেন, তিনি হলেন তাঁর স্ত্রী খাদিজা (রাদিয়াল্লাহু আনহা)। হেরা গুহা থেকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওহী লাভ করে সর্বপ্রথম স্ত্রীর কাছেই যান। স্ত্রী তাঁকে সান্ত্বনা দেন, স্বাভাবিকতা তুলে ধরেন এবং বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান। বিশেষজ্ঞ ছিলেন খাদিজার (রা:) কাজিন ওয়ারাকা ইবনে নওফেল। খাদিজার (রা:) নামের সাথে অনেকগুলো ‘প্রথম’ জড়িয়ে আছে। রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মতের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। উম্মতের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম অজু-নামাজ পড়েন। তিনি ছিলেন রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম স্ত্রী। সাহাবীদের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম জান্নাতের সুসংবাদ পান। তিনি প্রথম সাহাবী, যাকে জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) ‘সালাম’ দেন। ইসলাম-পূর্ব জাহেলী যুগেও তিনি উত্তম চরিত্রের অধিকারিণী ছিলেন। এজন্য তাঁকে ডাকা হতো ‘আত-তাহিরা’। তাঁর পূর্বের স্বামী/বাবার কাছ থেকে পাওয়া ব্যবসায়ের উত্তরাধিকারী তিনি হোন। সেই ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য
খাদিজা বিনতে খুয়াইলিদ (রাঃ)----2
- Get link
- X
- Other Apps
ওয়ারাকা খাদিজা (রাঃ) কে অনেক কাজে সাহায্য করেন। খাদিজা (রাঃ) শুধু সম্পদশালী ভালো ব্যবসায়ী নয় তিনি সমাজের অনেক উন্নয়নমূলক কাজেই উদাহরন্ত। বিশেষত আরব নিজের স্ত্রী গর্ভে কন্যা সন্তান জন্মের সংবাদ শুনলে নবজাতককে আতুঁরঘরে হত্যা করে ফেলে কিংবা কিছুদিন পর শিশু অবস্থায় তাকে জীবন্ত মাটিতে পুঁতে ফেলে। আরবে কন্যাসন্তান হত্যার এই প্রবণতার পেছনে অন্য অনেক কারণের মধ্যে প্রধান কারণ মূলত গােত্রীয় কৌলিন্য রক্ষা। গােত্রীয় লােকজন মনে করে, কন্যাসন্তান জন্ম নিলে একসময় এ মেয়েকে অন্য গােত্রের লােকজন বিয়ে করে তাদের শয্যাসঙ্গী করবে। এটা তাদের জন্য অপমানজনক। তেমনি তারা মনে করে, কন্যাসন্তান মানে একধরনের বােঝা। তারা যুদ্ধ করতে পারেনা, গােত্রের সম্মান রক্ষায় লড়াইয়ে অংশ নিতে পারে না, জীবিকা উপার্জনে। সক্ষম নয়। সন্তান জন্মদান ছাড়া তাদের আর কোনাে সক্ষমতা নেই। এসব কারণে কন্যাসন্তান জন্মকে আরবের লােকজন অপয়া মনে করে। ফলে জন্মের পর বা শিশু বয়সে তাদের হত্যা করা একটা কুপ্রথায় পরিণত হয়েছে। মক্কা ও আশপাশের অঞ্চলে এমন ঘটনা অহরহ ঘটত তখন। খাদিজা (রাঃ) এমন নির্দয় পিতার ঘরে কন্যাশিশু জন্মের সংবাদ পেলে লােক পাঠি
নারীদের জন্য ৫০টি শরঈ নিষেধাজ্ঞা :
- Get link
- X
- Other Apps
নারীদের জন্য ৫০টি শরঈ নিষেধাজ্ঞা : পুরুষ যেমন আল্লাহর বান্দা, নারীও তেমন আল্লাহর বান্দী। পুরুষ যেমন আল্লাহর নেয়ামতরাজি ভোগ করে, তেমনি নারী জাতিও আল্লাহর অগণিত নেয়ামত রাজিতে ডুবে থাকে। এজন্য পুরুষের মতো নারীরাও আল্লাহর হুকুম আহকাম মেনে চলা আবশ্যক। মৃত্যু, কবর, হাশর নশর, বিচার, মিযান, জান্নাত জাহান্নাম সবই নারীপুরুষ সকলের সামনে রয়েছে। সকলকে কাল কেয়ামতের মাঠে জবাবদিহী করতে হবে। এজন্য নারীপুরুষ সকলকে শরীয়তমতে জীবনযাপন করা জরুরি। শরীয়তের কিছু বিধিবিধানে নারী পুরুষ উভয়ে সমান। কিছু বিধান কেবল পুরুষের জন্য, নারী সেখানে অংশিদার নয়। আর কিছু বিধান কেবল নারীর জন্য, পুরুষের সেখানে অংশ নেই। এখানে কয়েকটি এমন নিষেধাজ্ঞা উল্লেখ করা হচ্ছে, যা নবীজি বিশেষভাবে নারীজাতিকে সম্বোধন করে বলেছেন। যদিও অনেকগুলো পুরুষেরও পরিহার করার বিষয়। সম্ভবত নারীদের এগুলোতে পতিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, এজন্য তাদেরকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এর কিছু কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। আর বাকীগুলো বিশুদ্ধ ও আমলযোগ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। একটি আরবী পে
জাহান্নাম
- Get link
- X
- Other Apps
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন জিবরাঈল (আ.)-কে বললেন, আপনি যতোবার আমার নিকট এসেছেন, ততোবার-ই আপনার কপালে শোক ও দুশ্চিন্তার ছাপ ছিলো......এর কারণ কী ? জিবরাঈল (আ.) নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম - এর প্রশ্নের জবাবে বললেন,, জাহান্নাম সৃষ্টির পর থেকে আমার ঠোঁটে কখনো হাসি ফুটেনি। জাহান্নাম কেমন হবে? ১।জাহান্নামের গভীরতা এমন যে, এর মুখ থেকে একটি পাথর ফেলে দিলে, জাহান্নামের তলদেশে পৌছাতে ৭০ বছর সময় লাগে। বিচারের দিন জাহান্নাম কে ৭০ হাজার শিকল দ্বারা টেনে আনা হবে, যার প্রত্যেক শিকল ৭০ হাজার ফেরেশতা বহন করবেন। ২।জাহান্নামে চাঁদ এবং সূর্যকে নিক্ষেপ করা হবে আর জাহান্নামে তা অবলীলায় হারিয়ে যাবে। ৩।জাহান্নামবাসীদের শরীরের চামড়া ১২৬ ফুট পুরো করে দেওয়া হবে যাতে করে আযাব অত্যন্ত ভয়াবহ হয়, তাদের শরীরে আরও থাকবে তিল যার এক একটি উহুদ পাহাড়ের সমান। ৪।প্রতিদিন জাহান্নামের আযাব পূর্বের দিন থেকে আরও তীব্র আর ভয়াবহ করা হবে। ৫।জাহান্নামের খাদ্য হবে কাঁটা যুক্ত গাছ আর পানীয় হবে ফুটন্ত পানি,পুঁজ ও রক্তের মিশ্রণ এবং উত্তপ্ত তেল।এরপরও জাহান্নাম বাসীর পিপাসা এতো বেশী হবে যে তারা এই পানীয়
মুসতাজাবুদ দাওয়াহ
- Get link
- X
- Other Apps
চারদিকে নিকষ কালো আঁধার। কনকনে শীতের রাত। পথ চলতে খুব কষ্ট হচ্ছে। একে তো বয়সের ভারে ন্যুব্জ তিনি, তার ওপর অচেনা শহর। দূরে কোথাও যাচ্ছিলেন। পথ ফুরোবার আগেই রাত্রি এসে হাজির! কী আর করা, এখানেই কারও বাসায় আশ্রয় নিতে হবে। কিন্তু এত রাতে কে তাকে আশ্রয় দেবে? কে তাকে থাকতে দেবে? চিন্তার ছাপ তার সমগ্র বদনে। রবের নাম জপে তিনি আবারও হাঁটতে শুরু করেন। . হাঁটতে হাঁটতে ভীষণ ক্লান্ত। হঠাৎ চোখে পড়ে, অল্পকিছু দূরে ক্ষীণ আলোর ঝলকানি। সুবহানাল্লাহ, এ যে একটা মসজিদ! ভেতরে প্রবেশ করতে যাবেন, আচমকা পথ রুখে দাঁড়াল মসজিদের খাদেম। ‘রাতে মসজিদে থাকা যাবে না।’ সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন তাকে। ‘বাবা, আমাকে একটু থাকতে দাও। ভোরের আগেই আমি চলে যাব। কেউ দেখবে না আমাকে।’ ‘না, সম্ভব না। আপনি বের হোন মসজিদ থেকে।’ ‘বাবা, একটু দয়া করো আমার প্রতি। এত রাতে আমি কোথায় যাব?’ ‘সে আমি কী জানি! বের হোন বলছি। এক্ষুনি বের হোন।’ . আর কথা বাড়ালেন না তিনি। বিষাদে ভরে গেল তার মন। দয়াময় প্রভু এ কোন পরীক্ষায় ফেললেন তাকে? দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে আবারও হাঁটতে শুরু করলেন। হাঁটছেন তো হাঁটছেন। পথ যেন আর ফুরোতে চায় না। চলে এলেন এক বাজারে। দে