পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মুসলিম রাষ্ট্রে নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার

ছবি
  মুসলিম রাষ্ট্রে নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ভালোবেসে কুল মখলুকাত সৃষ্টি করেছেন। জিন, ইনসান বানিয়েছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। মানুষকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে। মানুষ সামাজিক জীব, এই সমাজে সৎ ও যোগ্য লোকেরা নেতৃত্ব দেবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি যাবুরে (কিতাবে) উপদেশাত্মক লিপিবদ্ধ করেছি—নিশ্চয়ই পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হবে আমার সৎকর্মশীল সুযোগ্য বান্দাগণ। (সুরা-২১ আম্বিয়া, আয়াত: ১০৫)। তাঁরা দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে কীভাবে শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা করবেন, তা-ও বর্ণিত হয়েছে আল্লাহর কালামে। ‘আমি তাদের পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দিলে তারা সালাত প্রতিষ্ঠা করবে, জাকাত প্রদান করবে, সৎ কাজে আদেশ করবে ও মন্দ কাজে বাধা দেবে; সকল কাজের পরিণাম ফল আল্লাহরই এখতিয়ারে।’ (সুরা-২২ হজ, আয়াত: ৪১)। মানবজাতির দুনিয়ায় শান্তি ও পরকালে মুক্তির জন্য আল্লাহ তাআলা শত পুস্তিকা ও চারটি গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছেন। সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি মহাগ্রন্থ ‘কোরআন কারিম’। আল্লাহর বাণী প্রচার ও প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা অসংখ্য নবী, রাসুল পাঠিয়েছেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব সর্বশ...

হাদীস

ছবি
 

হাদীস

ছবি
 

আল্লাহর জিকির

ছবি
  আমাদের রূহকে খাদ্য সরবরাহ করলেই কেবল আমরা আসল প্রশান্তি লাভ করি। শরীরকে খাওয়ালে নয়। শরীরকে আহার করালে আমরা পশুবৃত্তিক আনন্দ পাব। যদি হালাল হয়, ভালো। একদিন দুইদিন ভালো লাগবে। আর যদি হারাম হয়, একদিন দুইদিন হয়ত ভালো লাগবে। এরপর চরম অস্বস্তিকর অপরাধবোধ আমাদের সারাক্ষণ কষ্ট দিবে। আমাদের বিবেক আঘাত করবে, ফিতরাহ প্রশ্নের পর প্রশ্ন বাণে জর্জরিত করবে— কেন তুমি এটা করেছো? কোন উদ্দেশ্যে এটা করেছো? জাননা এর জন্য শাস্তি পাবে? এটা করা ভুল কাজ ছিল। উভয় ক্ষেত্রেই— হালাল বা হারাম— শারীরিক আনন্দ খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য টিকে থাকে। আমরা সবাই এটা জানি। পক্ষান্তরে, আধ্যাত্মিক আনন্দ, আত্মাকে আহার করালে, রূহকে খাদ্য সরবরাহ করলে, তার প্রয়োজন মেটালে— এটা জীবনকে শুধু যে বাঁচার যোগ্য করে তোলে তাই নয়, বরং আনন্দকে করে তোলে টেকসই এবং দীর্ঘস্থায়ী। আমরা জীবনের সমস্যাগুলোকে কাটিয়ে উঠতে পারি আরও বেশি আশাব্যঞ্জক উপায়ে। এটা আমাদের প্রশান্তির চেতনা প্রদান করে, নির্মল এক আনন্দের আবহ তৈরি করে, স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান করে। আমরা বুঝতে পারি, কেন আমরা এই দুনিয়ায় বাস করি। আল্লাহর উপর আমাদের ঈমান যত শক্তিশালী হবে, আমাদের আ...

কোরআনের আলোকে জুমার নামাজের গুরুত্ব

ছবি
  আরবি ‘জুমুআহ’ শব্দের অর্থ এক জায়গায় জড়ো হওয়া, একত্র হওয়া, কাতারবন্দী হওয়া। শুক্রবার মসজিদে জোহরের চার রাকাতের পরিবর্তে কাতারবন্দী হয়ে দুই রাকাতের যে ফরজ নামাজ আদায় করা হয়, তাকে ইসলামের পরিভাষায় সালাতুল জুমুআহ বা জুমার নামাজ বলা হয়। এই নামাজ অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। আল–কোরআনে ‘জুমুআহ’ বা জুমা (জমায়েত) নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা আছে। এটি ৬২ নম্বর সুরা। এই সুরায় জুমার নামাজের গুরুত্ব বর্ণনায় আল্লাহ পাক বলছেন, ‘হে ইমানদারগণ! জুমার দিনে যখন সালাতের জন্য ডাকা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং কেনাবেচা ত্যাগ করো, এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা জানতে (সুরা জুমা, আয়াত ৯)।’ অর্থাৎ আল্লাহ পাক জুমার নামাজের আজান দেওয়ার পর বৈষয়িক বা দুনিয়াবি সব কাজ স্থগিত করে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে কাতারবন্দী হওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন। এর পরের আয়াতেই বলা হচ্ছে, ‘অতঃপর নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো ও আল্লাহকে অধিকরূপে স্মরণ করো; যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা, আয়াত ১০)। অর্থাৎ আল্লাহর হক আদায় করার মাধ্যমে আখিরাতের সম্পদ অর্জন করার আবার দুনিয়াবি সম্পদ ত...

রবিউল আউয়ালের শিক্ষা সম্প্রীতির দীক্ষা

ছবি
  সৃষ্টি আল্লাহর পরিবার। বনি আদম সবাই একই মা-বাবার সন্তান। সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আল্লাহর আনুগত্য ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অনুসরণই একমাত্র পথ। পবিত্র মাহে রবিউল আউয়ালেই তাঁর আবির্ভাব। দীর্ঘ ১৩ বছর বহু জুলুম–নির্যাতন–নিপীড়ন সহ্য করে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসেই তিনি পবিত্র মক্কা থেকে হিজরত করে পুণ্যভূমি মদিনায় শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। ইসলাম সব মানুষের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষা দেয়, দ্বন্দ্ব–সংঘাতকে সমর্থন করে না। তাই শান্তিদূত রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনা ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোর মুসলমান, ইহুদি, খ্রিষ্টান, পৌত্তলিকসহ নানা ধর্মের ও নানা বর্ণের লোকদের নিয়ে একটি সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলেন; যা জাতি, ধর্ম ও বর্ণনির্বিশেষে সবার মানবিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এটি একটি ঐতিহাসিক চুক্তি, যা মদিনা সনদ নামে পরিচিত। এ চুক্তির উদ্দেশ্যাবলির অন্যতম ছিল যুদ্ধের পরিবর্তে পরস্পরের শান্তিপূর্ণ অবস্থান করা, অত্যাচারিত–নিপীড়িতকে সাহায্য করা এবং চুক্তিভুক্ত সব পক্ষের মানমর্যাদা ও ধর্মবিশ্বাসের অধি...

আয়েশা বিনতে আবু বকর (রাঃ)

ছবি
  নবুওয়াতের পর থেকেই কুরাইশরা অত্যাচার করে আসছে। নাবুওয়াতের ১২ টা বছর কেটে গেছে এখনো নির্যাতন চালিয়েই যাচ্ছে। কুরাইশদের অত্যাচারে মুসলিমদের জীবন এখন হুমকিরমুখে। হঠাৎ আশার আলো ফুটলো। ইয়াসরিবের (মদিনা) থেকে রাসুল (সাঃ) আহ্বান করলেন ওখানে বসবাস করার জন্য। তারা সেখানে পূর্ণ নিরাপত্তা দেবেন এবং তাঁরাও ইসলামের দীক্ষায় দীক্ষিত হবেন। ইয়াসরিববাসীর সঙ্গে গােপনে চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম সাহাবিদের নির্দেশ দিলেন, দু-একজন করে মদিনায় চলে যেতে। যেতে হবে গােপনে, যাতে করে মক্কার কাফেররা জানতে না পারে। তবুও তারা জানতে পেরে গেলেন। তবু গােপনে গোপনে অনেক সাহাবি মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করে চলে গেলেন। রাসুল (সাঃ) মদিনায় চলে যাওয়ার মনস্থির করে ফেলেছেন। শুধু আল্লাহর নির্দেশের অপেক্ষা। যেদিন নির্দেশ আসবে, সেদিনই রওনা হয়ে যাবেন মদিনার পথে। একদিন দুপুরবেলা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম আবু বকরের (রাঃ) বাড়িতে এলেন। আজ আবার কী কারণে যেন রাসুল(সাঃ) তার মুখটা চাদর দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। আবু বকরের (রাঃ) দুই কন্যা আয়েশা (রাঃ) ও আসমা বাবার কাছে বসে ছিলেন। বাড...

কুর'আনের তিলাওয়াত

ছবি
  আচ্ছা,কুর'আন কি শুধু রমাদানে তিলাওয়াতের জন্য নাযিল হয়েছে?সত্যি করে বলুন তো,রমাদানের পরে আমরা কয়জন কুর'আন ছুঁয়ে দেখেছি? কয়জনের হাতের স্পর্শ কুর'আনের মুসাফে লেগেছে? ইমাম আহমেদ রাহিমাহুল্লাহ্ থেকে বর্ণিত, উসমান (রা)বলেন,“আমি আমার জীবন অতিক্রান্ত সেই দিন কিংবা রাতকে ঘৃণা করি যেদিন আমি একবারের জন্য আল্লাহর কিতাবের দিকে তাকাতে পারিনি, কুর'আনের মুসাফ থেকে তিলাওয়াত করিনি।”[আল যুহদ] ইবনে কাসীর রাহিমাহুল্লাহ্ বলেন,“আমাদের পূর্বসূরিরা নিজেদের জীবনে কুর'আনের সাথে সম্পর্কহীন একটি দিন অতিক্রান্ত হওয়াকে অপছন্দ করতেন।” আল্লাহর রাসূল ﷺবলেছেন,“কতক লোক আল্লাহ্‌র পরিজন। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তারা কারা? তিনি বলেন, কুরআন তিলাওয়াতকারীগণ আল্লাহ্‌র পরিজন এবং তাঁর বিশেষ বান্দা। [সুনানে ইবনে মাজাহ,২১৫] শাইখ ইবনে জিব্রীন রাহিমাহুল্লাহ বলেন,“যারা সারাবছর কুর'আন তিলাওয়াত করে তারাই হচ্ছে কুর'আনের লোক,যারা আল্লাহর একান্ত এবং ঘনিষ্ঠজন।” আল মিন্নাঈ রাহিমাহুল্লাহ্ বলেন,“যারা কুর'আন মুখস্থ করে আর সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে; তারা আল্লাহর কাছে সেভাবে ঘনিষ্...

জুমু'আর দিনে

ছবি
  জুমু'আর দিনে রয়েছে বিপুল পরিমাণে সাওয়াব অর্জনের সুযোগ। বিখ্যাত তাবেঈ সাঈদ ইবনুল মুসাইব রাহিমাহুল্লাহ বলেন _ "আমার কাছে নফল হজ্জ করার চেয়েও বেশি উত্তম হলো জুমু'আর আমল।" হাদিসে এসেছে যে ব্যক্তি জুমু'আর দিনে পাঁচটি শর্ত পূরণ করবে তার জন্য প্রতি কদমের বিনিময়ে রয়েছে এক বছরের নফল সিয়াম ও কিয়ামুল্লাইল পালন করার সাওয়াব। সুবহানাল্লাহ! ★শর্তসমূহ ★ ১. ফরয গোসলের ন্যায় গোসল করতে হবে। ২. আগে আগে মসজিদে যেতে হবে। ৩. বাহনে না চড়ে হেঁটে হেঁটে মসজিদে যেতে হবে। ৪. ইমামের কাছাকাছি বসার চেষ্টা করতে হবে। ৫. অনর্থক কাজে লিপ্ত না হয়ে মনোযোগসহ খুতবা শুনতে হবে। [তিরমিজি: ৪৯৬, আবু দাউদ: ৩৪৫ ]। প্রতি কদমের বিনিময়ে অর্থাৎ কারো বাসা থেকে মসজিদ ৭০ কদমের দূরত্বে হলে সে ৭০ বছরের নফল সিয়াম ও কিয়াম পালনের সাওয়াব অর্জন করতে পারবে। "সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি।" পুরুষদের জন্য এ সুবর্ণ সুযোগ যেন কিছুতেই মিস না হয়। সকলেই মসজিদে প্রথম প্রবেশকারী হওয়ার জন্য চেষ্টায় থাকবেন, তাহলে উট কুরবানীকারির ন্যায় সাওয়াব পাবেন এই বিষয়েও হাদিস রয়েছে [মুসনাদে আহমাদ: ৩/৮১]। মেসওয়াক, নিজের সর্বোত্তম পো...

নারী! সত্যিই আপনি রানী

ছবি
  ▫️▫️নারী! সত্যিই আপনি রানী। ১৭৬ আয়াত বিশিষ্ট একটি বড় সূরা আছে শুধু নারীর নামে, সূরা নিসা! হ্যা, পৃথিবীর সকল নবী ছিলেন পুরুষ। কিন্তু সকল নবীর মা-ই তো নারী। বাবা ছাড়া যে নবী জন্মেছেন, তিনিও কিন্তু মা ছাড়া জন্মাননি! পৃথিবীর প্রথম পুরুষ আদম। তিনি গন্ধযুক্ত কর্দমাক্ত মাটি থেকে তৈরি। আর প্রথম নারী হাওয়া৷ তিনি সৃষ্ট হলেন পূতপবিত্র নবীর দেহ থেকে। পাজড়ের হাড় থেকে। [ বুখারী ৫১৮৫] নারী! আপনার ব্যাপারে বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক নিজেই পুরুষদের আদেশ করছেন, "তোমরা নারীদের সাথে কোমল আচরণ করো।" লোকে বলবে, কেন? তাদের সাথে কোমল আচরণ করব কেন? তাদের তো এই সমস্যা, ঐ সমস্যা! প্রভু নারীদের পক্ষ হয়ে বলছেন, "তাদের কোনো দিক তোমাদের খারাপ লাগলে সবুর করো। ধৈর্য ধরো। দেখবে অতি দ্রুতই এর উত্তম প্রতিদান পেয়ে যাবে।" [সূরা নিসা ১৯] প্রিয় নবীরও একই ভাষ্য। "কোনো মুমিন পুরুষ কোনো মুমিনা নারীকে ঘৃণা করতে পারে না। তাদের চরিত্রের কোনো দিক তোমাদের কষ্ট দিলেও এমন কিছু দিকও তো আছে, যা তোমাদের অনেক সুখ দেয়?" [ মুসলিম ১৪৬৯] "যে ঘরে প্রথম সন্তান কন্যা হয়, সে ঘরে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।...

কোরবাণী কবুল হওয়ার শর্ত!

ছবি
  কোরবাণী কবুল হওয়ার শর্ত! আপনার কোরবাণী কবুল হতে হলে আপনাকে মুত্তাকিন হতে হবে। মুত্তাকিন ছাড়া আল্লাহ তা‘আলা কারও কোরবাণী কবুল করেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ إِنَّمَا يَتَقَبَّلُ اللَّهُ مِنَ الْمُتَّقِينَ “নিঃশ্চয়ই আল্লাহ শুধু আল-মুত্তাকুনদের থেকে (কুরবাণী) কবুল করেন।“ সুরা আল-মাইদাহ ৫:২৭ তাহলে কারা এই মুত্তাকিন? মুত্তাকিন তারাইঃ ১) যারা বিশ্বাস করে আল-গায়েবে ২) যারা সালাত আদায় করে ৩) যারা আল্লাহ যা দিয়েছেন তা থেকে ব্যয় করে ৪) যারা বিশ্বাস করে যা পাঠানো হয়েছে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নিকট ৫) যারা বিশ্বাস করে যা পাঠানো হয়েছিল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর পুর্বের নবী-রাসুলগণের নিকট ৬) যারা পরকালে নিশ্চিত বিশ্বাস করে। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা সুরা বাকারাহতে (২:২-৫) বলেছেনঃ ﴿ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ﴾ ২:২। ইহা সেই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই, (ইহা) মুত্তাকিনদের জন্য এক হেদায়েত (পথ প্রদর্শক)। ﴿الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلوةَ وَمِمَّا رَزَقْنَـهُمْ يُنفِقُونَ﴾ ২:৩। যারা বিশ্বাস করে আল-গায়েবে এবং সালাত আদায় করে এবং আমরা যা র...

আয়েশা বিনতে আবু বকর (রাঃ) - দ্বিতীয় পর্ব

ছবি
  খাওলা বিনতে হাকিম যিনি খাদিজা (রাঃ) এর অন্তরঙ্গ বান্ধবী ছিলেন। খাদিজা (রাঃ) মারা যাবার পর তিনি রাসুল (সাঃ) এর পক্ষ থেকে সওদা বিনতে জামআ (রাঃ) এর কাছে বিয়ে প্রস্তাব নিয়ে গেছিলেন। এবার তিনি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলেন আবু বকর (রাঃ) এর বাড়িতে। তিনি বাসায় ছিলেন না বিধায় আয়েশা (রাঃ) এর আম্মা উম্মে রুমান এর কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাতলেন। তিনি খুশিতে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন। আবু বকর (রাঃ) বাড়িতে ছিলেন না বিধায় তিনি বললেন, তিনি আসলেই তার সাথে কথা বলবো। তার মাঝেই আবু বকর (রাঃ) এসে হাজির। খাওলা বললেন, রাসুল (সাঃ) আয়েশার জন্য বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। আবু বকর (রাঃ) খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছেন। তিনি রাসূল (সাঃ) এর সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়তে চাইছিলেন কিন্তু কখনো মুখ ফুটে বলতে পারেন নি। এই নিশ্চয়ই আল্লাহর ই ইশারা। কিন্তু হঠাৎ তিনি বললেন, খাওলা! এই বিয়ে কিভাবে হতে পারে? রাসূল (সাঃ) তো আমার ভাই আর আয়িশা (রাঃ) ভাতিজি। আর ভাতিজির সাথে তো বিয়ে হতে পারেনা। তখন খাওলা রাসুল (সাঃ) কাছে গেলেন সমাধান আনতে। তিনি মুচকি হেসে জবাব দিলেন, আবু বকর (রাঃ) তো আমার নিজের রক্তের ভাই না, সে আমার ধর্মীয় ভাই সেই ক্ষেত্রে এই...

আপনার নামে অন্যের কুৎসা রটনা,অপবাদ

ছবি
  আপনার নামে অন্যের কুৎসা রটনা,অপবাদ, মিথ্যে বলা দেখে মনে খারাপ করবেন না। এটার বিনিময়ে সবর করলে আপনি খুব বড় ধরনের পুরস্কারে পুরস্কৃত হতে যাচ্ছেন। চিন্তা করুন,আপনি কোন পরিশ্রমই করছেন না অথচ আপনার আমলনামায় অটো নেক আমল জমা হয়ে যাচ্ছে। সুবহানআল্লাহ! এর চাইতে বড় পরিশ্রমহীন ইবাদাত কি হতে পারে? আর যারা পেছনে এসব মন্দ বলে বেড়ায় তারা সবসময় পেছনের সারিতেই অবস্থান করবে। মনে রাখবেন যারা আপনার গীবত করে তারা কখনো আপনাকে সামনাসামনি আঘাত করতে পারবেন না, বিপরীতে তারা নিজেরাই নিজেদেরই আঘাতে জর্জরিত হচ্ছে। দুনিয়াতে গীবতকারীর জন্য যেমন লাঞ্চনা,অপমান,অপদস্থতা আছে। আখিরাতে ও তার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ংকর আযাব। কাতাদাহ রাহিমাহুল্লাহ্ বলেন,“কবরের মানুষকে সামগ্রিকভাবে যত আযাব,শাস্তি দেওয়া হবে, আযাবের তিন ভাগের এক ভাগ হবে গীবতের কারণে।” এছাড়া ও একটা ঘটনা প্রচলিত আছে যে, “একজন ব্যক্তি একবার এসে হাসান আল বসরী রাহিমাহুল্লাকে বলেন,ওমুক লোক আপনার গীবত করেছে। হাসান বসরী রাহিমাহুল্লাহ্ তখন গীবতকারী লোকের উদ্দেশ্যে এক বাটি মিষ্টি খেজুর উপহারস্বরূপ পাঠিয়ে তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,‘আমি শুনেছি তুমি তোমার নেক আমলসমূহ...

আমাদের হৃদয়গুলো সব আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে

ছবি
  আমাদের হৃদয়গুলো সব আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে। তাই, কারও হৃদয়ের পরিবর্তন চাইলে শুধু সেই ব্যক্তির পেছনে না ছুটে আল্লাহর কাছে তার জন্য দু‘আ করে যান। তিনি যদি তার হৃদয়টাকে বদলে দেন, তাহলে সবই ঠিকঠাক হয়ে যাবে। . উল্লেখ্য, এখানে নারী-পুরুষের বিবাহবহির্ভূত হারাম প্রেম-ভালোবাসা উদ্দেশ্য নয়। এর বাইরেও অনেক কিছু থাকে মানুষের জীবনে। . কখনও এমন হতে পারে, ভুল বোঝাবুঝির ফলে অথবা অকারণে পরিচিত কেউ অচেনা মানুষের মত আচরণ করা শুরু করেছে বা কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে কিংবা খুব বাজেভাবে উপেক্ষা (ignore) করছে। এমতাবস্থায় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করার জন্য চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহকে বলুন, তিনি যেন এই লোকের অন্তরটা কোমল করে দেন। . অনেক সময় যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই কেউ আপনার উপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে আপনার ক্ষতি করা শুরু করতে পারে বা বিভিন্নভাবে আপনাকে হয়রানি করতে পারে। এমতাবস্থায় আল্লাহর স্মরণাপন্ন হোন, যাতে তিনি ওই ব্যক্তির মন থেকে আপনার প্রতি থাকা ক্রোধ মুছে দেন। . আপনার আপনজন ইসলাম থেকে দূরে। তাকে দ্বিনের পথে আনার জন্য দু‘আ করুন। . আপনার কাছে এসব ব্যাপার ফেইস করা কঠিন মনে হলেও আল্লাহর কাছে সবই সহজ; তাঁর অভিধানে ‘কঠিন...

তাকাই উটের দিকে

ছবি
  মরুর জাহাজ উট। বালুবেলায় পথ চলছে। ১৭০ থেকে ২৭০ কেজি ওজন বহন করে মরুভূমি পাড়ি দিতে পারে আরামেই। তীব্র গরম বা প্রবল শীতে তার সমস্যা নেই। তার দেহের তাপমাত্রা ৩৪-৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে মানবদেহের তাপমাত্রা ৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরম হোক ৫৩ ডিগ্রি, শীত হোক মাইনাস ১ ডিগ্রি, উট অনায়াসে চলতে পারে। ধু-ধু বালিয়াড়ি, কঙ্করময় ময়দান কিংবা টিলা ও পাথুরে পাহাড় মাড়িয়ে সে চলে শত শত মাইল পথ। যাত্রা তার ক্লান্তিহীন। সভ্যতার অজানা অতীত থেকে সে মরুভূমির এপার-ওপারে সুগম করে চলছে জীবনের যোগাযোগ। তার দেহগঠন, অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য প্রাণিবিজ্ঞানের এক বিস্ময়! মরুভূমির পানিসঙ্কটের সাথে তার দেহশৃঙ্খলা ও আচরণের রয়েছে বিশেষ সম্পর্ক। বাইরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে তার শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। মরুভূমির চরম আবহাওয়ায় উটের শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করে। যখন সকাল, উটের শরীরের তাপমাত্রা থাকে ৩৪ ডিগ্রি। ধীরে ধীরে আবহাওয়া গরম হয়। যখন উত্তাপ প্রচণ্ড আকার নেয়, তখন উটের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে ৪১ ডিগ্রি অবধি চলে যায়। এর পরই ঘামতে থাকে তার শরীর। এর আগে নয়। ভীষণ উত্তাপ সহ্য করার উপযোগ র...