Posts

Showing posts from June, 2022

পাপ ও অন্যায় থেকে আত্ম সংবরণ

Image
  যখন মনের মধ্যে পাপ করার প্রবল ইচ্ছা জাগ্রত হয় তখন তা দমন করার জন্য করণীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যকর উপায়। মানুষ সৃষ্টিগতভাবে পাপ প্রবণ। শয়তান ও কু প্রবৃত্তি তাকে প্রায়ই পাপাচার, অন্যায় ও আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজের দিকে তাড়িত করে। সব মানুষের মধ্যেই এমন পাপের মনোবৃত্তি জাগ্রত হয়। কিন্তু সফল হয় সে ব্যক্তি যে সুযোগ থাকার পরও আল্লাহর আযাবের ভয়ে পাপ ও অন্যায় থেকে আত্ম সংবরণ করে আর হতভাগ্য ও ধ্বংস প্রাপ্ত তো সে ব্যক্তি যে শয়তানের ফাঁদে পা দিয়ে কিংবা কামনা-বাসনার ডাকে সাড়া দিয়ে পাপ-পঙ্কিলতার অন্ধকারে হারিয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন: "যে নিজের আত্মাকে (পাপ-পঙ্কিলতা থেকে) পবিত্র করে সেই সফল হয় আর যে তাকে কলুষিত করে ধ্বংস হয়।" (সূরা শামস: ও ১০)। যা হোক যখন অন্তরে অন্যায় ও পাপকাজের চিন্তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে তখন কী করণীয় সে ব্যাপারে কিছু আইডিয়া পেশ করা হল। এগুলো থেকে এক বা একাধিক আইডিয়া কাজে লাগালে আশা করা যায় যে, মহান আল্লাহ পাপ পঙ্কিলতায় ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করবেন ইনশাআল্লাহ। ১। মনে পাপের চিন্তা জাগ্রত হওয়ার সাথে সাথে ‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বানির রাজীম’ “বিতাড

মানুষের আত্মা যখন কবজ হয়

Image
  মানুষের আত্মা যখন কবজ করার সময় হয়, তখন আল্লাহর নির্দেশে আকাশ থেকে মালাকুল মউত বা মৃত্যুর ফেরেশতারা সেই ব্যক্তির নিকটে আসে। নেককার লোকদের জন্যে রহমতের ফেরেশতা আসে, আর পাপাচারী ব্যক্তির জন্যে আজাবের ফেরেশতারা আসেন। আজাবের ফেরেশতাদের ভয়ংকর চেহারা ও রূপ দেখেই কাফের, মুশরেক ও পাপাচারী মুসলমানদের আত্মাটা ভয়ে শরীরের বিভিন্ন অংগ-প্রত্যংগে পালানোর চেষ্টা করে। এমনকি পাপাচারী ব্যক্তির আত্মাটা তার নখের নীচে, পশমের নিচে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করে। মালাকুল মউত পলায়নপর এই আত্মাকে পিটিয়ে পিটিয়ে টেনে বের করে আনার চেষ্টা করেন। বের করার সময় আত্মাটার এমন কষ্ট হয়, যেনো একটা চটের বস্তার মধ্যে দিয়ে একটা লোহার আংটা ঢুকিয়ে দিয়ে টেনে বের করার সময় যেভাবে ছিড়েফুড়ে বের হয়ে আসে, ঐ আত্মাটাও সেইভাবে ছিড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে বের হয়ে আসে। আর এইজন্যই ‘সাখারাতুল মউতের’ সময় পাপী লোকদের এতো কষ্ট হয়। অপরদিকে নেককার বান্দাদের আত্মা মালাকুল মউতের আহবানে সাড়া দিয়ে এতো সহজে বের হয়ে আসে, যেইভাবে একটা পানির পাত্রকে কাত করলে একদম সহজেই পানি বের হয়ে আসে। আর শহীদদের মৃত্যু কষ্ট হয় সবচেয়ে কম। একটা পিপিলীকা কামড়

ডিপ্রেশান- সমাধান

Image
ডিপ্রেশান (Depression) এক ধরনের ধোকা! সুতরাং (১) তাকদিরের উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখুন। কেননা, যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে যে, সকল বিষয় লিপিবদ্ধ হয়ে গিয়েছে, আল্লাহ না চাইলে কেউ কারো কোন ক্ষতি করতে পারে না; সে ব্যক্তিকে দুঃশ্চিন্তা কাবু করতে পারে না। রাসূলুল্লাহ ﷺ উম্মতকে এই শিক্ষাই দিয়েছেন। তিনি বলেনঃ জেনে রাখ, সমস্ত মানুষ যদি তোমার কোন উপকার করতে চায় তবে আল্লাহ্ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, তা ব্যতীত আর কোন উপকার করতে পারবে না। আর যদি সমস্ত মানুষ তোমার কোন অনিষ্ট করতে চায় তবে আল্লাহ্ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তা ব্যতীত আর কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। কলম তুলে নেয়া হয়েছে এবং পৃষ্ঠা শুকিয়ে গেছে। (তিরমিযীঃ ২৫১৬) অপর হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ মনে রেখো, যা তুমি পেলে না, তা তোমার পাবার ছিল না, আর যা তুমি পেলে তা তুমি না পেয়ে থাকতে না। আরো জেনে রাখো, ধৈর্য্য ধারণের ফলে (আল্লাহর) সাহায্য লাভ করা যায়। কষ্টের পর স্বাচ্ছন্দ আসে। কঠিন অবস্থার পর স্বচ্ছলতা আসে। (ইমাম নববই-কৃত আলআরবাঈন-১৯) সমাধানঃ (২) চিন্তার মোড় ঘুরিয়ে দিন। দুনিয়ার মুসিবত নয়; বরং সবচে’ বড় মুসিব

পুলসিরাতের ভয়াবহতা

Image
  পুলসিরাতের ভয়াবহতাঃ পুলসিরাত জাহান্নামের উপর রাখা একটি সেতু বা সাঁকো। এটা চুলের থেকেও চিকন এবং তরবারীর থেকেও ধারালো হবে। পুলসিরাতের পথ হবে অত্যন্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন। জাহান্নামের উপর রাখা এই পুলসিরাত প্রত্যেকেই অতিক্রম করতে হবে। পুলসিরাত পার হয়ার সময়টি এমন কঠিন হবে যে, তখন মানুষ তাদের আপন জনদের কথাও ভুলে যাবে। পুলসিরাতের নিচে জাহান্নামের আগুন এত বেশি ভয়াবহ হবে যে, সেখানে নবীগণ পর্যন্ত ভয়ে শুধু বলতে থাকবেঃ "রব্বি সালামুন, রব্বি সালামুন" অর্থঃ হে আল্লাহ বাঁচাও! হে আল্লাহ বাঁচাও। পুলসিরাত অতিক্রম করার সময় ভয়ে ভীত থাকার কারণে নবীগণ ব্যতীত অন্য কারো মুখ দিয়ে কোন কথা বের হবে না। পুলসিরাতে আগুনের তৈরি হুক থাকবে যা লোকদেরকে তাদের পাপ অনুযায়ী ধরে ধরে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে। হাসান বাসরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, এক ব্যক্তি তার ভাইকে বললঃ তোমার কি জানা আছে যে, তোমাকে জাহান্নামের উপর দিয়ে পার হতে হবে? সে বললঃ হ্যাঁ। সে আবার জিজ্ঞাসা করল, তোমার কি জানা আছে যে, তুমি সেখান থেকে মুক্তি পাবে? সে বললঃ না। তখন ঐ ব্যক্তি বললঃ তাহলে তুমি কি করে হাসছ? এর পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ঐ ব্যক

বিনোদনে বুঁদ

Image
  দুনিয়াতে আমরা এসেছি পরীক্ষা দিতে —এটা হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় বাস্তবতা। হিন্দি সিরিয়াল, মিউজিক, ভিডিও গেম, রংবেরঙের পানীয়, হাজারো বিনোদন সবসময় আমাদেরকে চেষ্টা করে এই বাস্তবতাকে ভুলিয়ে দিতে। আমরা নিজেদেরকে প্রতিদিন নানা ধরনের বিনোদনে বুঁদ করে রেখে জীবনের কষ্ট ভুলে থাকার চেষ্টা করি। আমারা বিনোদনে যতই গা ভাসাই চেষ্টা করি, ততই বিনোদনের প্রতি আসক্ত হয়ে যাই। যতক্ষণ বিনোদনে ডুবে থাকি, ততক্ষণ জীবনটা আনন্দময় মনে হয়। তারপর বিনোদন শেষ হয়ে গেলেই অবসাদ, বিরক্তি, একঘেয়েমি ঘিরে ধরে। ধীরে ধীরে একসময় আমরা জীবনের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠি। “কেন আমার নেই, কিন্তু ওর আছে?” “কেন আমারই বেলায় এরকম হয়, অন্যের কেন এরকম হয় না?” —এই সব অসুস্থ প্রশ্ন করে আমরা আমাদের মানসিক অশান্তিকে জ্বালানী যোগাই। এই অশান্তির মূল কারণ হলো: আমরা যে এই জীবনে শুধু পরীক্ষা দিতে এসেছি —এই কঠিন বাস্তবতাটাকেই আমরা ভুলে যাই। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, "আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু না কিছু দিয়ে পরীক্ষায় ফেলবোই: মাঝে মধ্যে তোমাদেরকে বিপদের আতঙ্ক, ক্ষুধার কষ্ট দিয়ে, সম্পদ, জীবন, পণ্য-ফল-ফসল হারানোর মধ্য দিয়ে। আর যারা কষ্

হাশরের মাঠের কঠিন ভয়াবহতা

Image
  হাশরের মাঠের কঠিন ভয়াবহতা, যা মৃত্যু এবং কবরের কষ্ট থেকেও কয়েকগুণ বেশি হবেঃ হাশরের মাঠ, যেখানে বিচারের জন্য সবাইকে একত্রিত করা হবে। যার চতুর্দিকে থাকবে জাহান্নাম যা ভয়াবহ তর্জন-গর্জন করতে থাকবে, যা শুনে মানুষ ভীত হয়ে পরবে। কারও মুখ দিয়ে কোন কথা বের হবে না। মানুষের দেহ থেকে ঘাম ঝড়তে থাকবে, ঘাম এত অধিক পরিমাণে প্রবাহিত হবে যে, যদি কেউ ঘামের মাঝে নৌকা চালাতে চায় তাহলে তাও সম্ভব হবে। ✓ রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যখন থেকে আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, তখন থেকে তার ওপর মৃত্যুর চেয়ে যন্ত্রণাদায়ক সময় আর কখনো আসেনি, আর মৃত্যুর পরের স্তরগুলো মৃত্যুর চেয়েও বেদনাদায়ক। নিশ্চয়ই মানুষ হাশরের দিনের কষ্টে অতিষ্ঠ হয়ে যাবে, দেহ থেকে ঘাম ঝড়তে থাকবে, ঘাম এত অধিক পরিমাণে প্রবাহিত হবে যে, যদি কেউ ঘামের মাঝে নৌকা চালাতে চায় তাহলে তাও সম্ভব হবে। (সুত্রঃ- ত্বাবারানী, হাদিস নংঃ ৫২৫৮) ✓ হাশরের মাঠের এত কঠিন ভয়াবহ পরিস্তিতে আল্লাহ তায়ালা আদম (আঃ) কে ডেকে বলবেন, হে আদম তুমি তোমার সন্তানদের মধ্য থেকে জাহান্নামের জন্য বেঁছে নাও। আদাম (আঃ) জানতে চাইবেন কত জনকে জাহান্নামের জন্য তিনি বেঁছে নিবেন। তখন আল্ল

দুঃখ কষ্ট এবং জীবন সংগ্রাম

Image
  একটি জিনিস আমাদের সবার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ আর তা হলো— দুঃখ কষ্ট এবং জীবন সংগ্রাম। কোন মানুষই... কোন মানুষই এই পৃথিবীতে জান্নাতের মত সুখী জীবন যাপন করে না। কাউকে নিজের চেয়ে বেশি কিছুর মালিক হতে দেখলে আপনার এমনটি মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হলো— "মানবজাতির প্রতিটি সদস্য কোনো ধরনের ব্যতিক্রম ছাড়াই কোনো না কোনোভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছে।" আমি বলছি না যে সবার পরীক্ষা সমান। সন্দেহাতীত ভাবে বলা যায়, যারা তাদের মাথার উপর বোমা পড়ার ভয়ে আতঙ্কিত, যাদের পরিবারের সদস্যদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে, যারা সন্তান হারিয়েছেন— আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন— কোনো সন্দেহ নেই এগুলো বড় ধরণের পরীক্ষা। কিন্তু, কোনো ব্যক্তিই এই দুনিয়াতে জান্নাতের মত সুখী জীবন যাপন করে না। কারণ, এই দুনিয়া কখনোই জান্নাত হওয়ার কথা ছিল না। এই দুনিয়াকে বানানো হয়েছে সংগ্রাম করার জন্য, পরীক্ষা করার জন্য এবং দুঃখ কষ্টের জন্য। তাই, যে সম্পদশালী তাকে তার মত করে পরীক্ষা করা হচ্ছে আর যে গরিব তাকেও তার মত করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। যে পরিবারের সাথে আছে তাকে তার মত করে পরীক্ষা করা হচ্ছে আর যে পরিবার ছাড়া আছে তাকেও ত

শয়তান কি ডিপ্রেশন তৈরী করতে পারে?

Image
  প্রশ্ন: শয়তান কি ডিপ্রেশন তৈরী করতে পারে? ---------------------------- * --------------------‐---------- উত্তর: শয়তান মানুষকে পথভ্রষ্ট করার জন্য অনেক ধরণের কৌশল অবলম্বন করে। তার মাঝে একটি হলো এক ধরণের ডিপ্রেশন তৈরী করা, আপনি যেমন প্রশ্ন করেছেন। কারণ, শয়তানের উদ্দেশ্য হলো আপনাকে আল্লাহর ইবাদাত করা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা। আর এ উদ্দেশ্য পূরণের প্রয়োজনে যত ধরণের উপায় অবলম্বন করা দরকার সে করে থাকে। তার মাঝে একটি ব্যাপার যা মানুষকে আল্লাহর ইবাদাত করা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে তা হলো- নিজের সমস্যা-সঙ্কটে বালা-মুসিবতে মানসিকভাবে এমনভাবে বিষণ্ণ হয়ে পড়া যে সে চুপচাপ বসে থাকে কোনোকিছুই করে না। আর এ ব্যাপারে কোনো প্রশ্নের অবকাশ নেই যে, এ ধরণের মানসিক সমস্যাগুলোর অনেকগুলো হয় শয়তান তৈরী করেছে বা এগুলোর অবস্থা আরো খারাপ করেছে শয়তান। আমার মনে এ ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন নেই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এবং আমার বিনীত অভিমত বহু মানসিক রোগ শয়তানের তৈরী। এ কারণে ঈমানদাররা মানসিক এ যুদ্ধগুলোতে বেঈমানদের চেয়ে ভালো করে। সাধারণভাবে বলতে গেলে, ধার্মিক মানুষেরা অধার্মিকদের চেয়ে বেশি আশাবাদী। কারণ, আল্লাহ আমাদের ধার্

জান্নাতের সব থেকে বড় নিয়ামত

Image
  ❖ জান্নাতের সব থেকে বড় নিয়ামত কোনটি হবে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার দর্শন। এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, মহান আল্লাহ তায়ালা জান্নাতবাসীদের জিজ্ঞাসা করবেনঃ হে জান্নাত বাসীগণ! তোমরা কি তোমাদের আমলের প্রতিদান পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছ? তারা জবাব দিবে হে আমাদের প্রভু, আপনি আমাদেরকে এমন সব নেয়ামত দিয়েছেন যা অন্য কাউকে দেননি। তখন আমরা সন্তুষ্ট হবো না কেনো...! তখন আল্লাহ বলবেন আমি কি তোমাদেরকে এর চেয়েও অধিক উত্তম ও উন্নত জিনিস দান করবো না? তারা বলবে এর চেয়ে অধিক ও উত্তম বস্তু আর কি হতে পারে? তখন আল্লাহ বলবেন আমি চিরকাল তোমাদের উপর সন্তুষ্ট থাকবো। কোনদিন আর অসন্তুষ্ট হবো না। এরপর আল্লাহ নিজের নূরের পর্দা খুলে ফেলবেন। আল্লাহর অতিশয় সুন্দর সত্তার প্রতি দৃষ্টি দিয়ে জান্নাত বাসীগণ জান্নাতের সকল নিয়ামতের কথা ভুলে যাবে, এক নজরে তারা শুধু মহান আল্লাহর দিকে তাকিয়ে থাকবে......। এভাবে হাজার হাজার বছর কেটে যাবে......। সুবহানাল্লাহ...। (বুখারিঃ ৬৫৪৯) ❖ মাত্র একটি কাজের বিনিময়ে রাসুল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জান্নাতের গ্যারান্টি দিয়েছেন। কাজটি কি? এই প্রশ্নের সঠিক উত

তওবা করতে চান...?

Image
  গুনাহ করেছেন? তওবা করতে চান...? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “একজন মুসলিম কোনো পাপ কাজ করার পরে ছয় ঘন্টা সময় পার না হওয়া পর্যন্ত বাম পাশের ফেরেশতা সেটা তার আমল নামায় লিপিবদ্ধ করেন না। সে যদি অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তখন বাম পাশের ফেরেশতা তা একপাশে ছুঁড়ে ফেলে দেয় (অর্থাৎ সেই পাপ তার আমলনামায় লিপিবদ্ধ করেন না)। আর সে যদি তোওবা না করে, তাহলে সেটা খারাপ কাজ হিসেবে তার আমল নামায় লিপিবদ্ধ করা হয়।” (আল-মাজমু আল কাবীরঃ ৮/১৫৮, শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি সহীহ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “যদি কোনো বান্দা কোনো পাপ কাজ করে ফেলে, অতঃপর সে উত্তমরূপে ওযু করে পবিত্রতা অর্জন করে এবং দাঁড়িয়ে যায় ও দুই রাকআ’ত (নফল) সালাত আদায় করে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।” (আবু দাউদঃ ১৫২১, শায়খ আলবানী (রহঃ) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন) তাওবাহ করার জন্যে দুই রাকাত নফল নামাযের বিবরণঃ (১) কৃত পাপের জন্য আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হতে হবে। (২) উত্তমরুপে পূর্ণাংগ ওযু সম্পাদন করতে হবে। (৩) "আমি তোওবার জন্

জাহান্নামীদের করুণ অবস্থার সামান্য বিবরণ

Image
  ❑ জাহান্নামীদের করুণ অবস্থার সামান্য বিবরণঃ জাহান্নামীদেরকে যখন জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ঘিরে ধরবে তখন তারা জাহান্নাম থেকে বের হয়ে পুনরায় দুনিয়ায় এসে সৎ কাজ করার জন্য আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করবে। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ ‘সেখানে তারা আর্তনাদ করে বলবে, ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করে দিন, আমরা পূর্বে যে (খারাপ) কাজ করতাম, তার পরিবর্তে আমরা ভাল কাজ করব। (আল্লাহ বলবেন) আমি কি তোমাদেরকে এতটা বয়স দেইনি যে, তখন কেউ শিক্ষা গ্রহণ করতে চাইলে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারত? আর তোমাদের নিকট তো সতর্ককারী এসেছিল। কাজেই তোমরা শাস্তি আস্বাদন কর, আর যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই’। (সূরা ফাতিরঃ ৩৭) অর্থাৎ আল্লাহ জাহান্নামীদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করবেন এবং তাদের আর কখনোই ক্ষমা করবেন না। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ ‘জাহান্নামীরা বলবে, ‘হে আমাদের রব, দুর্ভাগ্য আমাদের পেয়ে বসেছিল, আর আমরা ছিলাম পথভ্রষ্ট। হে আমাদের রব, জাহান্নাম থেকে আমাদেরকে বের করে দিন, তারপর যদি আমরা ফিরে যাই তবে অবশ্যই আমরা হব যালিম।’ আল্লাহ বলবেন, ‘তোমরা ধিকৃত অবস্থায় এখানেই থাক, আর আমার সাথে কথা বল না।’ (সূরা মু’মিনুনঃ ১০৬-১০৮) ❑ জাহান্নামীগ

দুয়া কেনো কবুল হয়না ?

Image
  জেনে নিন দুয়া কেনো কবুল হয়না। কিছু কিছু মানুষ আল্লাহর কাছে দুয়া করে থাকে। কিন্তু দুয়া কবুল হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যায় না। অথচ আল্লাহ তাআ’লা বলেছেন, “তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব।” তাহলে মানুষ কিভাবে আল্লাহর কাছে দুয়া করলে তা কবুল হবে? আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উষায়মিন রাহি’মাহুল্লাহ এই প্রশ্নের উত্তরে বলেনঃ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা। দরূদ ও সালাম পেশ করছি আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবার এবং সকল সাহাবীর উপর। মুসলমান ভাইদের জন্য আল্লাহর কাছে আকীদাহ ও আমলের ক্ষেত্রে সঠিক পথের তাওফীক প্রার্থনা করছি। আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা আমার ইবাদত করতে অহংকার করে, তারা শীঘ্রই লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” সুরা গাফিরঃ ৬০। প্রশ্নকারী বলেছেন যে, তিনি আল্লাহর কাছে দুয়া করে থাকেন। অথচ আল্লাহ তার দুয়া কবুল করেন না। ফলে তার কাছে এই অবস্থা কঠিন বলে মনে হয়। বিশেষ করে আল্লাহতো ওয়াদা করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে দুয়া করে, আল্লাহ তার দুয়া কবু

ক্বিয়ামতের পূর্ব লক্ষণ

Image
  ক্বিয়ামতের পূর্ব লক্ষণ হিসেবে হাদীসে বর্ণিত কয়েকটি ফিতনাহ। (১) বর্তমান যুগে বড় একটা ফেতনাহ হচ্ছে সাধারণ মুসলমানদের মাঝে দ্বীনি জ্ঞানের মারাত্মক অভাব রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ক্বিয়ামতের লক্ষণ সমূহের মধ্যে রয়েছেঃ (১) ‘ইলম’ (দ্বীনের জ্ঞান) উঠে যাবে, (২) জাহালত (অজ্ঞতা-মূর্খতা) বেড়ে যাবে, (৩) যিনা (ব্যাভিচার) বেশি হবে, (৪) মদপান বৃদ্ধি পাবে, (৫) পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে, (৬) নারীর সংখ্যা বেশি হয়ে যাবে। এমনকি একজন পুরুষ ৫০জন মহিলার পরিচালক হবে।” সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, মিশকাতঃ ৫২০৩। দ্বীনের সঠিক জ্ঞানের অভাবে অনেক মুসলমানেরা চিনতে পারেনা, কে আলেম আর কে জাহেল? একারণে অনেক মুসলমান পথভ্রষ্ট, বিদআ’তী, জাহেল (মূর্খ লোকদের) কাছ থেকে দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করছে, যারা লোকদেরকে ভুল শিক্ষা দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কেয়ামতের একটা লক্ষণ হচ্ছে যে, মানুষ জাহেল লোকদের কাছ থেকে ইলম অর্জন করবে।” তাবারানি, জামি আস-সাগীরঃ ২২০৩। পথভ্রষ্ট, বিদআ’তী, জাহেল (মূর্খ লোকদের) লিখিত বই-পুস্তক পড়ে, তাদের ওয়াজ-লেকচার শুনে দ্বীনে

নামাজ মর্যাদা বৃদ্ধি ও গুনাহ মাফের কারন

Image
  ★নামাজ যখন মর্যাদা বৃদ্ধি ও গুনাহ মাফের কারন ★ নামাজ ইসলামের প্রধান ইবাদত। ঈমানের পরেই এর স্থান। যার নামাজের হিসাব সহজ হবে তার সব কাজের হিসাবই সহজ হবে। আল্লাহ তাআলা কিছু নামাজির গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। এসব নামাজি কারা? গুনাহ মাফ ও মর্যাদা বৃদ্ধির অন্যতম আমল নামাজ। যেসব নামাজি নামাজ পড়ার জন্য নিজেদের নিয়োজিত রাখে তারাই পাবে এ মর্যাদা। গুনাহ মাফ ও মর্যাদা পেতে হাদিসে ৩টি দিকনির্দেশনা এসেছে। তাহলো হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‌আমি কি তোমাদের এমন কাজের কথা বলব না? যা দ্বারা আল্লাহ তাআলা পাপরাশি দূর করে দেবেন এবং মর্যাদা উঁচু করে দেবেন? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘হ্যাঁ’, অবশ্যই (বলবেন) হে আল্লাহর রাসুল! তখন তিনি বললেন- ১. অসুবিধা ও কষ্ট থাকা সত্ত্বেও (নামাজের জন্য) পরিপূর্ণভাবে অজু করা। ২. মসজিদে যাওয়ার জন্য বেশি পদচারণা করা। ৩. এক নামাজের পর অন্যনামাজের জন্য অপেক্ষা করা। জেনে রাখ! এটাই হলো রিবাত।’ (মুসলিম) রিবাত : এটি হলো নিজেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যে আটকে রাখা ও শয়তানের মোকাবেলায় নিজেকে প্