Posts

Showing posts from September, 2021

অপবিত্র আর পবিত্র সমান নয়

Image
  "বলে দিন, অপবিত্র আর পবিত্র সমান নয়, যদিও অপবিত্রের আধিক্য তোমাকে বিস্মিত করে। কাজেই হে জ্ঞানী সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা মায়িদাঃ ১০০) আসসালামু আলাইকুম। এটি হচ্ছে সুরা মায়িদার ১০০ নাম্বার আয়াত। আলহামদুলিল্লাহ, এই আয়াতে আল্লাহ তার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, মন্দ এবং ভালো এক সমান নয়। প্রথমেই যেটা আমাদের বুঝতে হবে তা হলো আল্লাহ শুধু এইটুকুই বলেন নি যে, নোংরামি এবং ভালো এক জিনিস নয়, বরং তিনি তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই ঘোষণা দিতে আদেশ করেন। কারণ, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন আল্লাহর নির্বাচিত প্রতিনিধি। যিনি কোনটা ভালো কোনটা খারাপ, কোনটা গ্রহণযোগ্য, কোনটা অগ্রহণযোগ্য এই বিষয়গুলো নির্ধারণ করে দিবেন। এ ক্ষেত্রে রাসূল (স )-ই হলেন মানদন্ড স্বরূপ। এ ধরনের আলোচনায় আমরা প্রায় বলি যে, সিদ্ধান্ত নিবে সমাজ। সমাজই সিদ্ধান্ত নিবে কোনটা স্বাভাবিক, কোনটা অস্বাভাবিক, কিংবা কোনটা অশ্লীল আর কোনটা শ্লীল অথবা কোনটা গ্রহণযোগ্য আর কোনটা বর্জনীয়। কিন্তু এই সকল সীমা প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে। তা

হাদীস

Image
 

ধর্মীয় বিষয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা এবং দ্ব্যর্থবোধক শব্দের ব্যবহার

Image
সেক্যুলারিজম শব্দের অনুবাদ ধর্মহীনতা। সীমিত ও সহনীয় অর্থে   বঙ্গবন্ধুর   ব্যাখায় এবং বাংলাদেশের সংবিধানে সংযোজিত বাংলারূপ হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা। যার মর্ম হচ্ছে, রাষ্ট্রের সব ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার। সংসদনেত্রীর ভাষায়, মুসলমানরা নিজের ধর্ম সঠিকভাবে পালনের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের মানুষের ধর্মীয় অধিকারের কথা স্বীকার করবে। এটি ইসলামী সভ্যতারও কনসেপ্ট। তবে সমস্যা হয় অতি ধর্মনিরপেক্ষদের নিয়ে। যারা পূর্ণ সেক্যুলার, ধর্মহীন বা খাঁটি ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী হিসাবে সংবিধানের দোহাই দিয়ে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ওপর ধর্মহীনতা চাপিয়ে দিতে চান। যে অভিজ্ঞতা তুরস্কের খেলাফত বিলোপ ও ইসলাম নির্মূলের ইতিহাস থেকে বোঝে আসে। বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন রোধে অখন্ড ভারতীয় নেতৃবৃন্দ যে মহান উদ্দেশ্যে খেলাফত আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। অতি ধর্মনিরপেক্ষদের জানা কর্তব্য যে, বাংলা একাডেমির ইংলিশ-বাংলা ডিকশনারিতে সেক্যুলার অর্থ পার্থিব, ইহজাগতিকতা, জড়, জাগতিক। সেক্যুলার স্টেট ‘গীর্জার সঙ্গে বৈপরিত্যক্রমে রাষ্ট্র’। এ অর্থ অনুযায়ী মুসলিম দেশে এর ব্যাখ্যা দাঁড়ায় ‘শরীয়তের সঙ্গে বৈপরিত্যক্রমে রাষ্ট্র’। সেক্যুল

একমাত্র নারী, কুরআনে যার নাম আছে

Image
  একমাত্র নারী, কুরআনে যার নাম আছে হান্না বিনতে ফাকুয নামের একজন নারী আল্লাহর কাছে একটি ‘মানত’ করেন। তিনি মানত করেন যে, তাঁর যদি একজন সন্তান হয়, তাহলে তাকে আল্লাহর পথে উৎসর্গ করবেন, তাকে বায়তুল মোকাদ্দাসের খাদিম বানাবেন। তিনি যখন সংকল্প করেন, তখন মনে মনে ভেবেছিলেন যে, তাঁর একজন পুত্র সন্তান হবে। কিন্তু, হলো তার বিপরীত। তিনি একজন কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। একজন কন্যা সন্তান কিভাবে বায়তুল মোকাদ্দাসের খাদিম হবে? হান্না বিনতে ফাকুয তাঁর মেয়ের নাম রাখলেন- ‘মারইয়াম’। ইতিহাসে যিনি পরিচিত মারইয়াম বিনতে ইমরান (আলাইহাস সালাম) নামে। মায়ের মানত অনুযায়ী তাঁকে বায়তুল মোকাদ্দাস, যে মসজিদটি ছিলো সকল নবীদের ক্বিবলা, সেই মসজিদের খেদমতে উৎসর্গ করা হয়। মসজিদে তাঁর থাকার জন্য আলাদা তাঁবু স্থাপন করা হয়। মারইয়াম (আ:) বড়ো হোন এবং বেড়ে ওঠেন মসজিদেই। মারইয়াম (আ:) –এর ভরণপোষণের দায়িত্ব নেন যাকারিয়া (আলাইহিস সালাম); যিনি ছিলেন আল্লাহর একজন নবী। যাকারিয়া (আ:) মারইয়াম (আ:) –এর কী হোন? এই বিষয়ে দুটো মত পাওয়া যায়। যাকারিয়া (আ:) ছিলেন তাঁর খালু। যাকারিয়া (আ:) ছিলেন তাঁর দুলাভাই। মারইয়াম (আ:) মসজিদেই থাকতেন, এর বাইরে য

দান-অনুদান

Image
  দান করাকে ইসলাম একটি গুরুত্বপূর্ণ নেক আমল সাব্যস্ত করেছে। এর অনেক ফজিলতও বর্ণিত হয়েছে কোরআন-হাদীসে। তাই ইসলামের অপরাপর আমলের মতো এই গুরুত্বপূর্ণ আমলটির জন্যও রয়েছে অনন্য সাধারণ কিছু নির্দেশনা ও নীতিমালা। যদি দানের ক্ষেত্রে সেগুলো রক্ষা করা হয় তাহলে এর যথাযথ প্রতিদান পাওয়া যাবে। আমাদের দান বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়ে পরকালে নিজের সামনে উপস্থিত হবে ইনশাআল্লাহ। কাজেই সে নির্দেশনাগুলো আমাদের জানা দরকার। এক. নিয়ত সহীহ হওয়া : সহীহ নিয়ত বিহীন কোনো আমলেরই আল্লাহর নিকট মূল্য নেই। নিয়ত যদি সঠিক না হয়, আল্লাহর নিকট সেই আমলের কোনো ধর্তব্য হয় না, এমনকি আমলগুলোর সওয়াব ও প্রতিদানও পাওয়া যায় না। এককথায় সকল আমলের শুদ্ধাশুদ্ধি এবং তার সওয়াব ও প্রতিদান নির্ভর করে নিয়তের ওপর। হাদীসের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ সহীহ বুখারীর প্রথম হাদীসই হলো এই নিয়ত বিষয়ক। হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন : নিশ্চয়ই সকল আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। আর প্রত্যেক ব্যক্তি তা-ই পাবে, যার নিয়ত সে করবে। (সহীহ বুখারী : ১)। দান-খয়রাতের ব্যাপারেও একই কথা। দান করতে হয় আল্লাহর জন্য। আল্লাহর সন্তুষ্টির

সবুরে মেওয়া ফলে

Image
  তাফসীরে বায়জাবিতে সবরের তিনটি প্রকারের কথা উল্লেখ রয়েছে। যথা- ১) ‘সবর আনিল মাসিয়াত’, অর্থাৎ অন্যায়-অপরাধ হতে বিরত থাকা। ২) ‘সবর আলাত তআত’, অর্থাৎ ইবাদত আল্লাহর আনুগত্য ও সৎকর্মে কষ্ট স্বীকার করা। ৩) ‘সবর আলাল মুসিবাত’, অর্থাৎ বিপদে অধৈর্য না হওয়া। মহান আল্লাহ পরীক্ষার নেওয়ার পাশাপাশি পরীক্ষায় পাসের সাজেশনও পবিত্র কোরআনে বলে দিয়েছেন। বলেন, ‘হে মুমিনগণ! ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।’ (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৫৩)। তাই তো আমরা বিপদাপদে আপতিত হলে নামাজ ও সবরের দারস্থ হই ও এই দুয়া পড়ি, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ (নিশ্চয় আমরা তো আল্লাহরই এবং নিশ্চিতভাবে আমরা তাঁর নিকটেই প্রত্যাবর্তনকারী)। ধৈর্যশীলদের পুরস্কার সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘ধৈর্যশীলদেরকে তো অপরিমিত পুরস্কার দেওয়া হবে।’ (সূরা যুমার, আয়াত:১০)। অন্য এক আয়াতে মহান আল্লাহ ধৈর্যশীলদের জান্নাত উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ইরশাদ করেন, ‘যারা তাদের রবের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ধৈর্য ধারণ করে, নামাজ কায়েম করে এবং আমি তাদের যে রিজিক প্রদান করেছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয়

‘সাফা’ এবং ‘মারওয়া’

Image
  সূরা বাকারার ১৫৫-১৫৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন: ১৫৫। আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা, ধন, প্রাণ এবং ফল-ফসলের স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। ১৫৬। নিশ্চয়ই যারা বিপদকালে বলে থাকে, ‘আমরা আল্লাহর জন্য আর আমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী’। ১৫৭। এদের প্রতি রয়েছে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে অনুগ্রহ ও করুণা আর এরাই হিদায়াতপ্রাপ্ত। ঠিক এই অংশটির পরেই আল্লাহ বলেন- "নিশ্চয়ই ‘সাফা’ এবং ‘মারওয়া’ আল্লাহর নিদর্শনগুলোর অন্যতম। কাজেই যে ব্যক্তি কাবাগৃহের হাজ্জ অথবা ‘উমরাহ করবে, এ দু’টোর সায়ী করাতে তাদের কোনই গুনাহ নেই এবং যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় কোন সৎ কাজ করবে তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ (তার ব্যাপারে) গুণগ্রাহী এবং সর্বজ্ঞ।" আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় সাফা মারওয়ায় সায়ী করার সাথে আগের আয়াতগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু যদি ভালোভাবে চিন্তা করেন... আমরা হাজেরা এবং ইসমাইল (আ) এর বিখ্যাত ঘটনার কথা জানি। ইসমাইলের জন্য পানি খুঁজতে তিনি এই দুই পাহাড়ের মাঝে সাত বার দৌড়াদৌড়ি করেন। সেই ঘটনার স্মরণে হজ্জ্ব এবং উমরা করার সময় এই দুই পাহাড়ের মাঝে আমরা সাত বার প্রদক্ষিণ কর

সেক্রিফাইস

Image
  আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন— "যারা মু’মিন আল্লাহর জন্য তাদের ভালবাসা অত্যন্ত প্রগাঢ়।" (২:১৬৫) আল্লাহর ভালোবাসার জন্য একজন মুমিন কী করতে পারে? আল্লাহর ভালোবাসার জন্য একজন মুমিন অন্য সকল ভালোবাসা পরিত্যাগ করতে পারে। এই ভালোবাসার পথে যেটাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে সে তা পরিত্যাগ করতে দ্বিধা করবে না। সে অন্য জিনিসগুলোও ভালোবাসে। সে তার বন্ধুদের ভালোবাসে। কিন্তু, তার বন্ধুরা যখন তাকে কোনো একটি হারাম পার্টিতে দাওয়াত দেয়, আল্লাহর জন্য তার ভালোবাসা এতোই শক্তিশালী যে সে তৎক্ষণাৎ তা বর্জন করে। বন্ধু তখন বলেঃ — "তুমি যদি এখন না আসো আমি তোমাকে আর কোনোদিন কোনো কল দিবো না। " — "কোনো সমস্যা নেই।" হয়তো একেবারে শিশুকাল থেকেই বেস্ট ফ্রেন্ড। সে অন্তরে কষ্ট পায়। কিন্তু সেই কষ্ট নিমিষেই দূর হয়ে যায় যখন সে বুঝতে পারে যে, হ্যাঁ, আমি দুনিয়ার এক বন্ধু হারিয়েছি। কিন্তু আমি সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধুকে পেয়েছি। এটা হলো "আসাদ্দু হুব্বাল লিল্লাহ- আল্লাহর জন্য তাদের ভালোবাসা অত্যন্ত প্রগাঢ়।" সকল ভালোবাসাই সেক্রিফাইস দাবি করে। আপনি যখন আপনার মাকে ভালোবাসেন তখন আপনি তার জন্য বাজা

আত্মসম্মানবোধ

Image
  আত্মসম্মানবোধ ------------ আমার মতে, বর্তমানে আমেরিকা সহ সারা বিশ্বে নারীদের জন্য সবচেয়ে বড় সংকট হল আত্মসম্মান এর অভাব। বিশেষত, মুসলিম নারীদের আত্মসম্মান। আপনাদের সামনে অমুসলিম নারীদের উদাহরণ আছে যারা যেভাবে খুশি পোশাক পরিধান করে, অথচ আপনাদের পোশাকে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর আপনাদের মনে হয় আমাকে দেখতে কুশ্রী লাগবে আর তাদের সুন্দর লাগবে। অবশ্য কিছু মেয়েরা এমনটাই চিন্তা করে। কেন আমাকে এসব পোশাক পরতে হবে? অথবা আমি কেন এত খাটো কিংবা এত মোটা অথবা এত চর্মসার? অনেকে ভাবে, কেন আমার চোখগুলোর দূরত্ব এত বেশি বা নাকটা এত বড় কেন? কিংবা আমার দাঁতগুলো কি সমান হতে পারত না ইত্যাদি। কেন? কেন আপনারা নিজেকে নিয়ে এত চিন্তিত? আমার গালে এত দাগ কেন? ওহহ !! আমার অনেক চিন্তা হয়। দেখ দেখ, কী অবস্থা ! কী বিশ্রী !! এভাবে আপনারা কমপক্ষে ৩৫ মিনিট আয়নায় দাড়িয়ে থাকেন। না, এটা ঠিক না। আপনি যা, তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুন। এটাই গুরুত্বপূর্ণ আপনার জন্য। অন্যের কোন কিছুতেই নিজেকে খুঁজবেন না। আল্লাহ্‌ মানুষকে অতি সুন্দর করেই সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন- وَلَا تَتَمَنَّوْا مَا فَضَّلَ اللَّهُ بِهِ بَعْضَكُمْ عَلَىٰ ب

নিজের বুদ্ধি খরচ করুন

Image
  প্রতিটি মানুষকে এই জীবন দেওয়া হয়েছে মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি নিতে। সহজ বিষয়। কুরআন এই ব্যাপারে খুবই পরিষ্কার। এই দুনিয়া তোমার বাড়ি নয়। এটা তোমার বাসস্থান নয়। সবার জীবনকাল এখানে অল্প কিছু সময়ের জন্য। এরপর আপনি মারা যাবেন। সবাইকে তাদের রবের সামনে দাঁড়াতে হবে। সবার বিচার হবে। এরপর যদি এখানে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ অনুযায়ী ভাল জীবন অতিবাহিত করে থাকেন, আপনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন। যারা ব্যর্থ হবে তারা জাহান্নামে যাবে। এই বিষয়ে কুরআন একেবারেই পরিষ্কার। প্রতিটি ব্যক্তির বিচার হবে শেষ বিচারের দিন। সেখানে আপনাকে কোন কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে কুরআন সেগুলোও পরিষ্কার করে তুলে ধরেছে। কুরআন এই বিষয়টাও পরিষ্কার করে তুলে ধরেছে যে, এটাই একমাত্র জীবন যেখানে আপনি সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রস্তুত করবেন। এছাড়া আর কোনো জীবন নেই। প্রত্যেককে এই একটি চান্স-ই দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় বারের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। কারো জন্যই না। আবার, আপনার সফলতা সম্পূর্ণরূপে আপনার নিজের উপর নির্ভরশীল। কেউ আপনার সফলতা কেড়ে নিতে পারবে না। কেউ আপনার সফলতায় কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। কেউ না। আপনার বাবা, মা, পরিবার, স্ত্রী

কিয়ামতের দিন

Image
  কিয়ামতের দিন আপনি একা একা আল্লাহর সামনে দন্ডায়মান হবেন। তখন কিছু যোগ্যতা নিয়ে আপনাকে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে। এই পৃথিবীতে থাকাবস্থায় আপনাকে সেগুলো অর্জন করতে হবে। কি কি যোগ্যতা অর্জন করতে হবে তা আল কুরআন আপনাকে শেখাবে। আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে, সৎ হতে হবে, আপনার নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে, আপনাকে দয়ালু হতে হবে, মানুষকে সাহায্য করতে হবে, আপনাকে আপনার রবের ইবাদাত করতে হবে, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে, বিনয়ী হতে হবে... এই পৃথিবীতে অবস্থানকালীন সময়ে আপনাকে এই যোগ্যতাগুলো অর্জন করতে হবে। আপনার হয়তো এই যোগ্যতাগুলো এখন নেই, কিন্তু আপনাকে এগুলো নিজের মাঝে তৈরি করতে হবে এবং এগুলোকে ক্ৰমান্বয়ে উন্নত করে যেতে হবে। আর মৃত্যুপর্যন্ত আপনাকে এই কাজ করে যেতে হবে। এই কিতাব আপনাকে এটাই শেখাবে। সহজ কথায়, এই বই আপনাকে শেখাবে কিভাবে ভালো মানুষ হতে হয়। যখন জন্ম গ্রহণ করেন তখন আপনি ভালো বা খারাপ কোনোটাই নন। আপনাকে ভালো হওয়ার সামর্থ্য দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর যখন মারা যাবেন আপনাকে অবশ্যই ভালো মানুষ হিসেবে মারা যেতে হবে। যদি খারাপ মানুষ হিসেবে মারা যান কোনো কিছুই আপনাকে সাহায্য করতে পারবে না।

আপনার নেক আমল

Image
আপনার নেক আমল এবং চারিত্রিক ও মানবীয় গুণাবলীর কথা নিজে থেকে কাউকে বলার দরকার নেই। এগুলো আল্লাহ্ নিজেই বিভিন্ন উসিলায় মানুষকে জানিয়ে দেন। নিজে থেকে বলার ক্ষতি অনেক। প্রথমত এটি লৌকিকতার সম্ভাবনা রাখে, যা খুব বাজে একটি গুনাহ; কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি শির্কের পর্যায়ে চলে যায়। আবার নিজের ভালো গুণগুলো বলে বেড়ানোর মাধ্যমে বাহ্যত অনেকের প্রশংসা পেয়ে আপনি অহংকারী হয়ে ওঠবেন, যা আপনার পতন ডেকে আনতে পারে। পাশাপাশি, বলে বেড়ানোর ফলে মানুষ আপনাকে জানবে, ফলে আত্মমুগ্ধতা চলে আসবে। তখন আপনি নিজেই নিজের ফ্যান হয়ে যাবেন। নিজের ভুলগুলো আর চোখে পড়বে না বা সংশোধনের ইচ্ছা জাগবে না। . আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেওয়া মানদণ্ডে যারা প্রকৃতপক্ষেই ভালো মানুষ, তাদের উত্তম গুণাবলী এবং সুনামের কথা তার প্রতিবেশী ও সঙ্গী-সাথীরা কোনো-না-কোনোভাবে জেনেই যায়। এটি আল্লাহই করেন। সুতরাং আল্লাহর কাছেই কেবল মর্যাদা তালাশ করুন। তিনিই ইজ্জত দেওয়ার মালিক, তিনিই বেইজ্জতির মালিক। . খলিফা উমার ইবনুল খাত্তাব (রা.) আবু মুসা আল আশ‘আরি (রা.)-কে প্রেরিত একটি চিঠিতে বলেন, ‘যে ব্যক্তি সত্যের জন্

খাদিজা বিনতে খুয়াইলিদ (রাঃ) - শেষ অংশ

Image
  অবশেষে মুক্তি এসেছে। নিজের বাড়ি যাওয়ার ছুটি মিলেছে। বাকিনিরাপদ রাখতে নিজের ভালােবাসা আর মমতার ডানা ছড়িয়ে তার নিচে তাঁকে আগলে রাখতেন।অবশেষে মুক্তি এসেছে। নিজের বাড়ি যাওয়ার ছুটি মিলেছে। বাকি জীবনটা তিনি মুহাম্মদ (সাঃ) কে এভাবেই ছায়া দিয়ে, মায়া দিয়ে, ভালােবাসার পরশ দিয়ে ভরিয়ে রাখতে চান। মুহাম্মদ (সাঃ) এর নবুওয়াতকে বিশ্ববাসীর কাছে উড্ডীন করতে চান সগৌরবে। কিন্তু দীর্ঘ নির্বাসন শুষে নিয়েছিল তাঁর শরীরের শেষ প্রাণশক্তিটুকু। বাড়ি ফিরে বেশ কয়েক দিন অসুস্থ হয়ে পড়ে রইলেন নিবিড় শয্যায়। নবুওয়াতের দশম বছরের ১০ রমজান। খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার বাড়ি। দীর্ঘদিন বসবাস না করার ফলে বাড়িটি এখন শ্রীহীন। এখানে-সেখানে মাকড়সার ঝুল। দেয়াল থেকে খসে পড়েছে পােড়ামাটির পলেস্তারা। টিমটিমে একটা বাতি জ্বলছে এ সন্ধ্যারাতে। রাসুল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বসে আছেন প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা (রাঃ) এর পাশে। খাদিজার শরীরটা শুকিয়ে কেমন এতটুকুন হয়ে গেছে। চোখ দুটো কোটরাগত। সারা মুখে ছড়িয়ে পড়েছে অসংখ্য বলিরেখা। শ্বাস নিতে দারুণ কষ্ট হচ্ছে। প্রতিটি শ্বাস যেন রাসুলের বুকে প্রবল হাতু