Posts

Showing posts from May, 2022

পবিত্র কোরআনের ৯৯ নির্দেশনাঃ

Image
  পবিত্র কোরআনের ৯৯ নির্দেশনাঃ ০১. কথাবার্তায় কর্কশ হবেন না। (০৩ঃ১৫৯) ০২. রাগকে নিয়ন্ত্রণ করুন (০৩ঃ১৩৪)। ০৩. অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। (০৪ঃ ৩৬) ০৪. অহংকার করবেন না। (০৭ঃ ১৩) ০৫. অন্যকে তার ভুলের জন্য ক্ষমা করুন (০৭ঃ ১৯৯) ০৬. লোকদের সাথে ধীরস্থির হয়ে শান্তভাবে কথা বলুন। (২০ঃ ৪৪) ০৭. উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। (৩১ঃ ১৯) ০৮. অন্যকে উপহাস করবেন না (৪৯ঃ ১১) ০৯. পিতামাতার প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করুন। (১৭ঃ ২৩) ১০. পিতামাতার প্রতি অসম্মানজনক শব্দ উচ্চারণ করবেন না। (১৭ঃ ২৩) ১১. অনুমতি না নিয়ে পিতামাতার শোবার ঘরে প্রবেশ করবেন না। (২৪ঃ ৫৮) ১২. ঋণ গ্রহণ করলে তা লিখে রাখুন। (০২ঃ ২৮২) ১৩. কাউকে অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না। (০২ঃ ১৭০) ১৪. ঋণ গ্রহণকারীর কঠিন পরিস্থিতিতে পরিশোধের সময় বাড়িয়ে দিন। (২ঃ ২৮০) ১৫. কখনো সুদের সাথে জড়িত হবেন না। (০২ঃ ২৭৫) ১৬. কখনো ঘুষের সাথে জড়িতে হবেন না। (০২ঃ১৮৮) ১৭. প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন না। (০২.১৭৭) ১৮. আস্থা রাখুন (০২ঃ ২৮৩) ১৯. সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করবেন না। (২:৪২) ২০. ইনসাফের সাথে বিচার করবেন। (০৪ঃ ৫৮) ২১. ন্যায়বিচারের জন্য দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে যান। (০৪: ১৩৫) ২২. মৃতদ

ক্বুরআন খতমের পর ভুল আমল থেকে সাবধান!

Image
  ক্বুরআন খতমের পর ভুল আমল থেকে সাবধান! (১) খাতমে ক্বুরআনের দুয়া পড়ার কোন দলীল নেইঃ ক্বুরআন মাজীদের শেষ পৃষ্ঠার পর ‘দুআয়ে খাতমিল ক্বুরআন’ নামে লম্বা যেই দুআ প্রায় মুসহাফে ছাপা রয়েছে, এই দুআ ক্বুরআন বা হাদীসের কোথাও নেই। এটা মানুষের বানানো একটা দুয়া। “ক্বুরআন খতম করার পর নির্দিষ্ট কোন দুআ নেই।” মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহঃ ২০/১৬৫, ১৮৬। শায়খ বাকর আবু যায়দ রহি’মাহুল্লাহ বলেন, “অনেকে বলে, খতমে ক্বুরআনের দুয়া শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহি’মাহুল্লাহর লেখা। এর কোন প্রমাণ নেই। সুতরাং এই দুয়া তাঁর দিকে সম্বন্ধ করা সঠিক নয়। বিধেয় নয় তারাবীহর সালাতে খাতমে ক্বুরআনের দুয়া পাঠ করা।” আল-আজযাউল হাদীসিয়্যাহঃ ২৯০ পৃষ্ঠা। (২) ক্বুরআন খতম করে তার সওয়াব মৃতদের নামে বকশানো যাবে? ক্বুরআন তিলাওয়াত করে মৃতদের নামে বখশে দিলে তার সওয়াব তারা পাবে না। আল্লাহ তাআ’লা বলেন, وَأَن لَّيۡسَ لِلۡإِنسَٰنِ إِلَّا مَا سَعَىٰ ٣٩ “মানুষ নিজে যা উপার্জন করেছে তা ছাড়া সে অন্য কিছুই পাবেনা।” সুরা আন-নাজমঃ ৩৯। এই আয়াত হতে ইমাম শাফেয়ী রহি’মাহুল্লাহ হুকুম বেরে করেছেন যে, “ক্বুরআন তিলাওয়াত করে তার সওয়াব মৃতদের জন্য বখশিস করে

আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন?

Image
  আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন? আপনি হয়তো আমাকে বলতে পারেন, আমি তাওবা করতে চাই কিন্তু আমার গুনাহর পরিমাণ অনেক বেশী, যত রকমের গুনাহ আছে, আমি তা সবই করেছি। পাপ কামাই করেছি। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিগত এত বছরের সব পাপ কি আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন? হে সম্মানিত ভাই! আপনাকে আমি বলছি, এটি বিশেষ কোন সমস্যা নয় বরং এটা অনেকেরই সমস্যা, যারা তোওবা করতে চায়। একজন যুবকের কথা উদাহরণ স্বরূপ উল্লেখ করতে চাই যে একবার প্রশ্ন করেছিল, খুব অল্প বয়স থেকেই সে পাপ কাজ করতে শুরু করে। এখন তার বয়স মাত্র সতের বছর। এই বয়সেই তার পাপের ফিরিস্তি অনেক লম্বা। ছোট-বড় সব ধরণের পাপই সে করেছে। সে ছোট-বড় বিভিন্ন মানুষের সাথে পাপ কর্ম করেছে। এমনকি সে ছোট মেয়েদেরকে ধর্ষণও করেছে। সে অনেক চুরিও করেছে। এরপর সে বলে, আমি আল্লাহর নিকট তোওবা করেছি। মাঝে মধ্যে রাত জেগে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করি। প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার নফল রোজা রাখি এবং ফজর সালাতের পর ক্বুরআন মজীদ পড়ি, আমার তোওবা কি কবুল হবে? আমরা ইসলামের অনুসারী। আমাদের মূলনীতি হলো ক্বুরআন ও সুন্নাহ থেকে ফয়সালা ও প্রতিকার গ্রহণ করা। তাতে পেলাম মহান আল্লাহর এই বা

হজের যত নিয়মকানুন

Image
  হজ ইসলামের মৌলিক পাঁচ ভিত্তির অন্যতম। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর হজ ফরজ। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর তরফ থেকে সেসব মানুষের জন্য হজ ফরজ, যারা তা আদায়ের সামর্থ্য রাখে (সুরা আলে ইমরান; আয়াত: ৯৭)।’ হজের প্রকারভেদ সম্পাদন পদ্ধতি অনুসারে হজ তিন প্রকার: (১) ইফরাদ, (২) কিরান ও (৩) তামাত্তু। শুধু হজের ইহরামের নিয়ত করে তা সম্পন্ন করলে একে ‘ইফরাদ হজ’ বা একক হজ বলা হয়। ইফরাদ হজ পালনের জন্য ঢাকা থেকে শুধু হজের ইহরামের নিয়ত করে মক্কায় পৌঁছার পর তাওয়াফ ও সায়ি করে ইহরাম না ছেড়ে ১০ জিলহজ হজ সম্পাদন হওয়ার পর ইহরাম ছাড়তে হবে। একই ইহরামে হজ ও ওমরাহ একত্রে সম্পন্ন করলে তাকে ‘কিরান হজ’ বা যৌথ হজ বলা হয়। একত্রে ইহরামের নিয়ত করে মক্কায় পৌঁছার পর প্রথমে ওমরাহর তাওয়াফ ও সায়ি করে ইহরাম না ছেড়ে সেই ইহরামেই হজ সম্পাদন করে ১০ জিলহজ ইহরাম ছাড়তে হবে। একই সফরে প্রথমে ওমরাহর ইহরামের নিয়ত করে, তা সম্পন্নপূর্বক হজের জন্য নতুন করে ইহরামের নিয়ত করে তা সম্পাদন করাকে ‘তামাত্তু হজ’ বা সুবিধাজনক হজ বলা হয়। বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ হাজি তামাত্তু হজ করে থাকেন। তামাত্তু হজের ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে শুধু ওম

রিয়াজুল জান্নাহ

Image
  রিয়াজুল জান্নাহ বা রওযা শরীফঃ আমাদের দেশের মানুষেরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের কবরকে ‘রওজা’ বা ‘রওযা শরীফ’ বলে ডাকে। এটা ভুল, কারণ রওযা হচ্ছে রাসুলুল্লাহর কবরের পর থেকে রাসুলুল্লাহর মসজিদের মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থান, যেখানে আল্লাহর রাসুলের মূল মসজিদ অবস্থিত ছিলো। আরবীতে এটাকে বলা হয় রিয়াজুল জান্নাহ। রিয়াজ অর্থ বাগান, জান্নাহ অর্থ জান্নাত। অর্থ হচ্ছে, জান্নাতের বাগানের মধ্যে একটা বাগান। এই স্থানটুকু দুনিয়াতে জান্নাতের একটা বাগান বা টুকরা বলা হয় কারণ, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমার ঘর ও মিম্বারের মধ্যবর্তী স্থানটুকু জান্নাতের বাগানগুলোর মধ্যে একটি বাগান।” সহীহ আল-বুখারীঃ ১১৯৫। নাবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “আমার ঘর ও মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থান জান্নাতের বাগানগুলোর একটি বাগান, আর আমার মিম্বর অবস্থিত আমার হাউযে (কাউসার)-এর উপরে অবস্থিত।” সহীহ আল-বুখারীঃ ১১৯৬। যারা মসজিদে নববী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম নামায পড়ার জন্য আসবেন, তারা চেষ্টা করবেন ছোট্ট এই জায়গাতে ফরয, সুন্নত বা নফল যে কোন নামায পড়া ও দুয়া করার জন্য। এ

কালিমা কয়টি কি কি?

Image
  কালিমা কয়টি কি কি? ‘কালিমা’ শব্দের অর্থ হচ্ছে কথা বা বাক্য। ক্বুরআন ও হাদীসে বর্ণিত ইসলামের মূল শিক্ষা সম্বলিত কতগুলো শব্দের সমন্বয়ে ছোট ছোট বাক্য, যা মুসলিমরা বিভিন্ন সময়ে বারবার পড়ে থাকে, সেইগুলোকে কালিমা বলা হয়। ক্বুরআন ও হাদীসে বর্ণিত কিছু কালিমা বর্ণনা করা হলো। উল্লেখ্য এই কালিমাগুলো কখন কিভাবে পড়তে হয় সেইগুলো আমি আমার বিভিন্ন লেখাতে উল্লেখ করেছি, একারণে সেইগুলো উল্লেখ করে লেখাটাকে বড় করিনি। আপনারা ‘হিসনুল মুসলিম’ বই থেকে বিভিন্ন দুয়া কখন, কিভাবে পড়তে হয়, তা সুন্দরভাবে জানতে পারেবন। (১) কালিমা তাইয়্যিবাঃ তাইয়্যিবা অর্থ পবিত্র। ‘কালিমা তাইয়্যিবা’ হচ্ছে ইসলামের সবচাইতে বড় শিক্ষা এবং ঈমানের সবচাইতে বড় দাবী। «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ». উচ্চারণঃ লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ। অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সত্যিকারের ইলাহ (উপাস্য) নেই। যদিও আমাদের দেশের মানুষ কালিমা তাইয়্যিবা বলতে জানে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” ব। কিন্তু ক্বুরআন বা হাদীসে একে কালিমা তাইয়্যিবা বলা হয়নি। আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “(হে নবী!) তুমি কি লক্ষ্য কর না, আল্লাহ কিভাবে উপমা দিয়ে থাকেন? ‘কালিমা তাইয়িবা’ (প

আল্লাহ কোথায় আছেন?

Image
  আল্লাহ কোথায় আছেন? উত্তরঃ আল্লাহ তাআ’লা সাত আকাশের উর্ধে, তাঁর সম্মানিত আরশের উপরে আছেন। আল্লাহ্‌ তাআ’লা বলেন, “রহমান (দয়াময় আল্লাহ) আরশের উর্ধে সমুন্নত।” সুরা ত্বোয়া হাঃ ৫। এ কথায় কোন সন্দেহ নেই যে, আরশ সাত আসমানের উর্ধে রয়েছে, জমিনে বা সর্বত্র নয়। এমনিভাবে ক্বুরানুল কারীমে মোট সাতটি আয়াতে আল্লাহ তাআ’লা উল্লেখ করেছেন যে, তিনি আরশের উপরে সমুন্নত হয়েছেন। সেই আয়াতগুলো হচ্ছে, (১) সুরা আল-আ’রাফঃ ৫৪, (২) সুরা ইউনুসঃ ৩, (৩) সুরা আর-রা’দঃ ২, (৪) সুরা ত্বোয়া-হাঃ ৫, (৫) সুরা আল-ফুরকানঃ ৫৯, (৬) সুরা আস-সাজদাহঃ ৪, (৭) সুরা আল-হাদীদঃ ৪। বাংলাদেশের এক বড় আলেম, বলেছেন, ‘আল্লাহ কোথায় আছেন’, এই প্রশ্ন করা বেয়াদবী। এখন কথা হচ্ছে, আল্লাহ কোথায় এই প্রশ্ন করা যাবে? নাকি এই প্রশ্ন করা বেয়াদবী হবে? উত্তরঃ নিশ্চয়ই ‘আল্লাহ কোথায় আছেন’ এই প্রশ্ন করা যাবে। স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম একজন দাসীর ঈমান ঠিক আছে কিনা, তা জানার জন্যে এই প্রশ্ন করেছিলেন। ইবনুল হাকাম আস-সুলামী রাদিয়াল্লাহু আ’নহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার একটি দাসী ছিল। সে উহুদ ও জাওয়ানিয়া (এই দুইটি পাহাড়ের) দিকে আমার ছাগল

হিসাব গ্রহণের সময় সন্নিকটে

Image
  মানুষের হিসাব গ্রহণের সময় সন্নিকটে; অথচ মানব জাতি এখনো উদাসীন হয়ে আছে। (১) ক্বিয়ামত অতি নিকটেঃ আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “মানুষের হিসাব-নিকাশের সময় আসন্ন, অথচ তারা উদাসীনতায় মুখ ফিরিয়ে রয়েছে।” সুরা আল-আম্বিয়াঃ ১। মানুষের হিসাবের সময় অর্থাৎ ক্বিয়ামত প্রতি সেকেন্ডে আমাদের নিকটবর্তী হচ্ছে। অথচ মানুষ দুনিয়ার চাকচিক্য নিয়ে এতোটাই মগ্ন যে, তারা আখেরাতের কথা ভুলে গেছে। আখেরাতের জন্য প্রস্তুতি নিতে হলে যে আল্লাহর উপর ঈমান আনতে হয়, তাঁর বেঁধে দেওয়া ফরয কাজগুলো আদায় করতে হয়, নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে দূরে থাকতে হয়; মানুষ তার জন্য কোন প্রস্তুতি গ্রহণ করছেনা। (ফাতহুল ক্বাদীর)। মক্কার কাফির-মুশরিকরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহর রাসুল হিসেবে বিশ্বাস না করে তাঁকে চাঁদ দুই খন্ড করার মতো আশ্চর্জনক কোন মুজিজাহ দেখানোর দাবী করেছিল। মক্কাবাসীদের দাবীর প্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম চাঁদের দিকে আংগুলি হেলনে তা দুই টুকরো হয়ে গিয়েছিল। এমনকি লোকেরা দুইখন্ড চাঁদের মাঝখান দিয়ে হেরা পাহাড়কে দেখতে পেয়েছিলো। সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম। চাঁদ দ্বিখন্ডিত হওয়ার এই ঘটনার

ইব্রাহিম (আ)

Image
  আল-কুরআনে ইব্রাহিম (আ) এর বর্ণনা থেকে যদি কিছু কথা আমাদের মনে গেঁথে নিতে চাই, তবে এ আয়াতটি হবে সেরকম একটি কথা। সূরাতুস সাফফাত, আয়াত ৯৯। وَ قَالَ اِنِّیۡ ذَاهِبٌ اِلٰی رَبِّیۡ سَیَهۡدِیۡنِ - “তিনি (ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘আমি আমার প্রতিপালকের দিকে চললাম, উনি আমাকে অবশ্যই সঠিক পথ দেখাবেন।” (৩৭:৯৯) এর অর্থ কী জানেন? এর অর্থ হলো- এটা কোনো ব্যাপার না আমি কী পেছনে রেখে আসলাম। পেছনে কী রেখে আসলাম এটা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন নই। সামনে কোনদিকে আমি এগুচ্ছি সেটা নিয়েই আমি চিন্তিত। "তিনি বললেন- আমি আমার রবের দিকে এগিয়ে চললাম।" বাকিটা তাঁর উপর। 'সাইয়াহদিইন'-অবশ্যই তিনি আমাকে পথ দেখাবেন। আমি যদি তাঁর কথামত চলি... এমন কিছু কঠিন প্রশ্ন আছে যা একজন মানুষ নিজের গহীনে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে। এটা হলো আত্মসমালোচনার দারস। আজকের আলোচনা নিজেকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা নিয়ে। আমি নোমান আপনাদের উদ্দেশ্যে এ কথাগুলো বলতে পারি। এ বক্তব্যের শেষে বা বক্তব্য চলাকালীন সময়ে অথবা বক্তব্য শুরু করার পূর্বে আমাকে আমার নিজের দিকে লক্ষ্য করে দেখতে হবে, আপনাকে আপনার নিজের দিকে লক্ষ্য করে দেখতে হবে। ন

জান্নাত

Image
  মানুষ আমার কাছে এসে বলে: - আচ্ছা, জান্নাত কি চিরকালের জন্য? - হ্যাঁ। - যা চান সব পাবেন? - হ্যাঁ। - এক সময় কি এতে বিরক্তি এসে যাবে না? আমি কি জান্নাত ছাড়া আর কোথাও যেতে পারবো না? আমি কি একটু...এখানে তো বহুকাল থাকলাম। এখন কি একটু অন্য কোথাও যাওয়া যায় না? এর উত্তর সূরা কাহাফের ৩ নাম্বার আয়াতে 'মা-কিসিনা' শব্দের মধ্যেই দেওয়া আছে। আল্লাহ এখানে বলছেন, তোমরা সবসময় সেখানে নতুন কিছু একটা পাওয়ার আশায় থাকবে। সর্বদা অভিনব আরো কিছু পাওয়ার প্রতীক্ষায় থাকবে। আর এটা আসলে সুখের মনস্তত্ত্বের (psychology of happiness) গহীনে লুকায়িত একটি ব্যাপার। পুরস্কারের মনস্তত্বের সাথে জড়িত একটি ব্যাপার। কোনো পুরস্কারের আসল আনন্দ পাওয়া যায় আসলে পুরস্কার পাওয়ার ঠিক আগে মুহূর্তে। একজন ছাত্র সবচে সুখী থাকে তার হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে। বিয়ে হওয়ার ঠিক আগের দিন ছেলেটা খুব খুশি থাকে। বিশেষ করে মেয়েটি। সে অবশ্যই বিয়ের ঠিক আগের দিন সবচেয়ে সুখী থাকে। ভালো কিছু পাওয়ার প্রতীক্ষার মাঝে কি যেন এক অদ্ভুদ আনন্দ লুকিয়ে আছে। বাচ্চার জন্ম হবে! অমুক তারিখে বিয়ে হবে! অমুক দিন বোনাস পাওয়া যাবে! ঈ

নামাজ পড়ুন

Image
  আমার প্রিয় ভাই এবং বোনেরা, নামাজ পড়ুন। আপনার জীবনে যাই ঘটুক না কেন নামাজ পড়ুন। আপনি যে পাপই করেন না কেন যত পরিমাণই করেন না কেন, নামাজ পড়ুন। কোন অজুহাত দেখাবেন না। কোন কোন বোন এসে বলেন, ভাই আমি তো হিজাব পরি না। আমি তাকে বলি, নামাজ পড়ুন। সে বলে, দেখুন, আমি শালীন পোশাকও পরি না। আমি তাকে বলি, নামাজ পড়ুন। ভাই আমি মদ খাই, নামাজ পড়ুন। ভাই আমি তো মাদক বিক্রি করি, নামাজ পড়ুন। আমি মাদক গ্রহণ করি, নামাজ পড়ুন। আমার মেয়ে বন্ধু আছে এবং আমি তার সাথে রাত্রি যাপন করি, আমি তাকে বলি, নামাজ পড়ুন। আপনার জীবনে যাই ঘটুক না কেন, নামাজ পড়ুন। "কিন্তু ভাই, এটা কীভাবে সম্ভব যে আমি এতো সব পাপ করা সত্ত্বেও নামাজ পড়বো!! এটা অসম্মানজনক, এর ফলে তো আমি মুনাফিক হয়ে গেলাম। "আমি তাকে বলি, না, ঠিক এজন্যই আমরা নামাজ পড়ি। কারণ আমরা কেউই নিখুঁত নই, আমরা সবাই কম বেশি পাপ করি। আমরা ভুল কাজ করি। নামাজ পড়ুন। আল্লাহ বলেন, ‘’নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে।" নামাজ পড়ুন। কখনো কখনো মানুষ বলে, ‘’ আগে আমার জীবন ঠিক করে নেই, তারপর ইনশাল্লাহ, আমি নামাজ পড়া শুরু করবো।" প্রিয় বন্ধু, আপনি কোন কিছুই

রিযিক্ব বৃদ্ধির আমল

Image
  রিযিক্ব বৃদ্ধির আমলঃ (ক) ইলম অর্জন করা এবং ইলম অনুযায়ী আমল করাঃ (১) মহান আল্লাহ বলেন, “তিনি যাকে ইচ্ছা হেকমত (প্রজ্ঞা) দান করেন, আর যাকে হেকমত দান করা হয়, তাকে নিশ্চয় প্রভূত কল্যাণ দান করা হয়। বস্তুতঃ শুধু জ্ঞানীরাই উপদেশ গ্রহণ করে থাকে” সুরা আল-বাক্বারাহঃ ২৬৯। আয়াতের তাফসীরঃ ‘হেকমত’ শব্দটি ক্বুরআনুল কারীমে বার বার ব্যবহৃত হয়েছে। প্রত্যেক জায়গায় এর ব্যাখ্যায় বিভিন্ন অর্থ বর্ণনা করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এগুলো প্রায় কাছাকাছি উক্তি। হেকমতের আসল অর্থ প্রত্যেক বস্তুকে যথাস্থানে স্থাপন করা। এর পূর্ণত্ব শুধুমাত্র নবুওয়াতের মাধ্যমেই সাধিত হতে পারে। তাই এখানে হেকমত বলতে নবুওয়াতকে বোঝানো হয়েছে। ইমাম রাগেব ইস্পাহানী রহি’মাহুল্লাহ বলেন, “হেকমত শব্দটি আল্লাহর জন্য ব্যবহার করা হলে এর অর্থ হবে, সমগ্র বিষয়াদির পূর্ণ জ্ঞান এবং নিখুঁত আবিস্কার। অন্য কারো জন্য এই শব্দটি ব্যবহার করা হলে এর অর্থ হয় সৃষ্টি সম্পর্কিত জ্ঞান এবং তদানুযায়ী কর্ম। এ অর্থটিই বিভিন্ন শব্দের মাধ্যমে ব্যক্ত করা হয়েছে। কোথাও এর অর্থ নেয়া হয়েছে ক্বুরআন, কোথাও হাদীস, কোথাও বিশুদ্ধ জ্ঞান, কোথাও সৎকর্ম, কোথাও সত্যকথা, কোথা

বিনা হিসাবে জান্নাত লাভ

Image
  বিনা হিসাবে জান্নাত লাভঃ মহান আল্লাহর বাণী, “হে মু’মিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। সুরা আল-বাক্বারাহঃ ১৫৩। এই আয়াতের তাফসীরে ইমাম ইসমাঈল ইবনে কাসীর রহি’মাহুল্লাহ বর্ণনা করেছেন, ইমাম যায়নুল আবেদীন রহি’মাহুল্লাহ বলেন যে, “ক্বিয়ামতের দিন একজন আহ্বানকারী ডাক দিয়ে বলবেন, ধৈর্যশীলগণ কোথায়? আপনারা উঠুন ও বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করুন।” এইকথা শুনে কিছু লোক দাঁড়িয়ে যাবেন এবং জান্নাতের দিকে অগ্রসর হবেন। ফেরেশতাগণ তাঁদেরকে দেখে জিজ্ঞেস করবেন, ‘আপনারা কোথায় যাচ্ছেন?’ তারা বলবেন, ‘জান্নাতে।’ ফেরেশতাগণ বলবেন, ‘এখনও তো হিসেব দেয়াই হয়নি?’ তারা বলবেনঃ ‘হাঁ, হিসেব দেওয়ার পূর্বেই।’ ফেরেশতাগণ তখন জিজ্ঞেস করবেন, ‘তাহলে আপনারা কোন প্রকৃতির লোক?’ উত্তরে তারা বলবেন, ‘আমরা ধৈর্যশীল লোক। আমরা সদা আল্লাহর নির্দেশ পালনে লেগে ছিলাম, তাঁর অবাধ্যতা ও বিরুদ্ধাচরণ হতে বেঁচে থাকতাম। মৃত্যু পর্যন্ত আমরা আল্লাহর আদেশ ও নিষেধের উপর ধৈর্য ধারণ করেছি এবং অটল থেকেছি।’ তখন ফেরেশতারা বলবেন, ‘বেশ, ঠিক আছে। আপনাদের প্রতিদান অবশ্যই এটা (অর্থাৎ ব

আয়াতুল কুরসি

Image
  আয়াতুল কুরসিঃ সুরা বাক্বারাহর ২৫৫ নাম্বার আয়াতকে ‘আয়াতুল কুরসী’ বলা হয়। আয়াতুল কুরসীতে তাওহীদ, ইখলাস, আল্লাহর ইসমে আযম, আল্লাহর ক্ষমতা ও সিফাত, ‘আল্লাহর কুরসির’ মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় বর্ণিত হয়েছে। এইজন্য এই আয়াতটি হচ্ছে ক্বুরানুল কারীমের শ্রেষ্ঠ আয়াত বলা হয়েছে এবং সহীহ হাদিসে এই আয়াতটি বিভিন্ন সময়ে পাঠ করার অনেক ফযীলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। অনেকে মনে করেন, আয়াতুল কুরসী হচ্ছে সুরা বাক্বারাহর ২৫৫ ও ২৫৬ নাম্বার। এটা ভুল! সুরা বাক্বারাহর শুধুমাত্র ২৫৫ নাম্বার আয়াতটিকেই আয়াতুল কুরসী বলা হয়, ২৫৬ নাম্বার আয়াত আয়াতুল কুরসির অন্তর্ভুক্ত নয়। আয়াতুল কুরসী নিয়মিত পড়লে কুফুরী কালাম, তাবীজ-কবজ, যাদু, চোখের নজর, জিনের আসর বা ক্ষতি ও অন্যান্য বিপদ আপদ থেকে সুরক্ষা করে। প্রত্যেক ফরয সালাতের পরে একবার করে আয়াতুল কুরসি পড়লে মৃত্যুর পরে রয়েছে জান্নাত। শয়তানের প্রভাব এবং ভূত-প্রেত থেকে বাঁচার জন্য আয়াতুল কুরসি পাঠ করা পরীক্ষিত একটি আমল। আয়াতুল কুরসী ক্বুরানুল কারীমের শ্রেষ্ঠ বা সবচাইতে মর্যাদাবান আয়াত। আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ রাদিয়াল্লাহু আ’নহু নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞে