পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সূরা কাহাফ পরিচিতি

ছবি
  সূরা কাহাফ পরিচিতি —নোমান আলী খান আজ আমি আশা করছি যে, আমরা সকলে সূরা কাহাফ সম্পর্কে কিছু শিখবো। এটি কুরআনের ১৮ তম সূরা। আমি সূরাটি সম্পর্কে বিখ্যাত কিছু বর্ণনা দিয়ে শুরু করবো। عَنْ أَبِيْ الدَّرْدَاءْ أَنَّ النَّبِي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمْ قَالَ مَن حَفِظَ عَشْرَ آياتٍ مِن أوَّلِ سُورَةِ الكَهْفِ عُصِمَ مِنَ الدَّجَّالِ অর্থাৎ, আবু দারদা কর্তৃক বর্ণিত, রাসূল (স) বলেছেন, সূরা কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত যে মুখস্ত করে, সে দাজ্জালের ফিতনা, অথবা দাজ্জালের পরীক্ষা, অথবা স্বয়ং দাজ্জাল বা ভন্ড মাসীহ থেকে সুরক্ষিত। عَنْ أَبِيْ سَعِيْد الخُدْرِيْ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ أَنَّ النَّبِي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمْ قَالَ مَنْ قَرَأَ سُوْرَةَ الْكَهْفِ فِيْ يَوْمِ الْجُمْعَةِ أَضَاءَ لَهُ مِنَ النُّوْرِ مَا بَيْنَ الجمُعَتَين অর্থাৎ, আবু সাঈদ আল-খুদরি বলেন, যে ব্যক্তি শুক্রবারে সূরা কাহাফ পাঠ করে, এটা তার জন্য নূর তৈরী করে যা এক জুম’আ থেকে পরবর্তী জুম’আ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।  এই সূরাটির উদ্দেশ্য হলো, মানবজাতি সর্ববৃহৎ যে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে তা থেকে সুরক্ষা দেয়া। আর এ...

সুরা ফিলের সারসংক্ষেপ

ছবি
  সুরা ফিল  (হাতি) পবিত্র কোরআনের ১০৫ তম সুরা। মক্কায় অবতীর্ণ। ১ রুকু, ৫ আয়াত। ইয়েমেনে খ্রিষ্টান শাসনকর্তা আবরাহা কাবা আক্রমণ করলে আল্লাহ আবাবিল পাখির সাহায্যে কঙ্কর বৃষ্টির দ্বারা তার হস্তীবাহিনীকে ধ্বংস করেন। সুরাটি ভালোভাবে বোঝার জন্য পটভূমি জানা প্রয়োজন। তৎকালীন ইয়েমেন এর খ্রিষ্টান শাসক ছিল আবরাহা। কাবাকে ঘিরে মক্কায় ধর্মীয় কেন্দ্র ও সেই সুবিধায় অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত হওয়ায় আবরহা ঈর্ষায় ফেটে পড়ে। সে কাবার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি বিশাল গির্জা নির্মাণ করেছিল এবং আশা করেছিল মানুষ এখানে আসবে ও নতুন কেন্দ্রে পরিণত হবে ইয়েমেন। কিন্তু এই কাজে তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এ জন্য সে ক্ষুব্ধ হয়ে কাবা ধ্বংসের উদ্যোগ নেয়। যদিও সে এটাকে ধর্মীয় যুদ্ধ হিসাবে দেখাতে চায় কিন্তু তার মনে ছিল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। সে বিশাল বিশাল হাতি (৯-১৩ টি) ও বিপুল সৈন্য (৬০ হাজার) নিয়ে কাবার অভিমুখে রওনা হয়। এটি এত গুরুত্ব পূর্ণ একটা ঘটনা ছিল যে সেই বছরকে হস্তী বাহিনীর বছর নামে অভিহিত করা হয়। তখন  কুরাইশরাসহ  সকলে এত বড় বাহিনী ও হাতি দেখে ...

সুরা তালাকে বিবাহবিচ্ছেদে যা বলা হয়েছে

ছবি
  সুরা তালাক পবিত্র কোরআনের ৬৫তম সুরা। এটি মদিনায় অবতীর্ণ। এতে ২ রুকু, ১২ আয়াত। এ সুরায় আছে বিবাহবিচ্ছেদের বিস্তারিত বিবরণ। বিয়ে সুখের কারণ না হয়ে দুঃখের কারণ হলে তালাক দেওয়া যুক্তিসংগত। তালাকের বিধিনিষেধ মেনে চলা কর্তব্য। এ সুরায় তালাক ও ইদ্দতের বিধান দেওয়া হয়েছে। এ সুরায় আল্লাহ বলেছেন, ‘হে নবী! তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের তালাক দিতে চাইলে ইদ্দতের প্রতি লক্ষ রেখে ওদের তালাক দিয়ো। তোমরা ইদ্দতের হিসাব রেখো। আর তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো। তোমরা ওদের বাসগৃহ থেকে বের করে দিয়ো না। আর ওরাও যেন বের হয়ে না যায়, যদি না ওরা স্পষ্ট অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়। এগুলো আল্লাহর বিধান। যে আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করে, সে নিজেরই ওপর অত্যাচার করে। তুমি জানো না, আল্লাহ হয়তো এরপর কোনো উপায় বের করে দেবেন। ওদের ইদ্দত পূরণের কাল শেষ হয়ে এলে হয় তোমরা ওদের ভালোভাবে রেখে দেবে, না হয় ভালোভাবে ওদের ছেড়ে দেবে। আর তোমাদের মধ্য থেকে দুজন ন্যায়পরায়ণ লোককে সাক্ষী রাখবে। তোমরা আল্লাহকে মনে রেখে সাক্ষ্য দেবে। তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাকে এ দিয়ে উপদেশ দেওয়া হচ্ছে। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ...

সিজদার যত উপকারিতা

ছবি
  সিজদা মানে প্রণত হওয়া। নামাজের সময় উপুড় হয়ে দুই হাঁটু ও কপাল মাটিতে ঠেকিয়ে নিবেদন করা। দৈনিক পাঁচবারের নামাজে বহুবার সিজদা দিতে হয়। যাঁরা নিয়ম করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তাঁদের অনেকের কপালে সিজদার কালো দাগ স্থায়ী হয়ে যায়। ওই দাগ পুণ্য ও সম্মানের বলে মনে করা হয়। সিজদার সম্মান শুধু দুনিয়ায় নয়, আখিরাতেও অনেক বেশি। রাসুল (সা.) তাঁর উম্মতের পরিণতি নিয়ে তাঁদের ক্ষমার জন্য আল্লাহর কাছে যে শাফায়াতগুলো চেয়েছিলেন, তা সিজদারত অবস্থাতেই চেয়েছিলেন। প্রখ্যাত তাবেয়ি আহনাফ ইবনুল কায়েস (রহ.) একদিন ভোরবেলায় মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করতে গিয়ে দেখেন, একজন লোক সারা রাত নামাজ পড়েছেন। যত না নামাজ পড়েছেন, তার চেয়ে বেশি সিজদা দিয়েছেন। একেকটি সিজদায় অনেক বেশি সময় নিয়েছেন। এত সময় সিজদায় দেখে মাঝেমধ্যে মনে হতো, তিনি কি সিজদার মধ্যে ইন্তেকাল করেছেন? তখন আহনাফ (রহ.)-এর মনে এই প্রশ্ন এল—এতটা সময় সিজদায় থাকলে কোন রাকাতের সিজদায় আছেন, অনেক সময় তা-ও তো ভুলে যাওয়ার কথা। এসব নানা কথা ভাবতে ভাবতে তিনি সেই সিজদারত লোকটির কাছে গেলেন। এর পরেরবার যখন তাঁর নামাজ শেষ হলো, তখন আহনাফ (রহ.) তাঁকে প্রশ্ন করলেন—‘আপনি যে এত লম্...

যোগ্য নেতৃত্বের মহৎ গুণাবলি

ছবি
  সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে প্রয়োজন হয় নেতৃত্বের। যোগ্য নেতৃত্বের জন্য রয়েছে কিছু মহৎ গুণ। জীবনে সফল ব্যক্তিই নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাই সফল নেতৃত্বের জন্য প্রয়োজন বিশ্বাস, সৎকর্ম, কল্যাণকামিতা ও সহিষ্ণুতা। কোরআন কারিমে রয়েছে, ‘সময়ের শপথ! নিশ্চয় মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে; তবে তারা নয়, যারা বিশ্বাস করে, সৎকর্ম করে, একে অন্যকে সত্যের উপদেশ দেয় এবং ধৈর্যধারণে পরামর্শ দেয়।’ (সুরা-১০৩ আসর, আয়াত: ১-৩) মানবসভ্যতার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতৃত্বের উদাহরণ শেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)। সত্যতা, পবিত্রতা, বিশ্বাস, আশা ও ভালোবাসায় পরিপূর্ণ ছিল তাঁর জীবন। নেতাকে হতে হবে স্নেহশীল ও দয়ালু। নবী করিম (সা.)–এর বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন এমন রাসুল, তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তাঁর পক্ষে দুঃসহ, তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, বিশ্বাসীদের প্রতি স্নেহশীল, দয়ালু।’ (আত–তাওবা, আয়াত: ১২৮) নেতা যদি দয়ার্দ্র হন, তবেই সমাজে সর্বত্র শান্তি বিরাজ করবে। তাই নেতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিচক্ষণ হতে হবে। নেতার গুণগুলো যাচাই করে নিতে হবে। এর মধ্যে রয়...

নারীদের নিজস্ব মতে রাসুল (সা.)-এর শ্রদ্ধা প্রদর্শন

ছবি
  এক আনসারি সাহাবির বারিরা নামের এক বাঁদি ছিলেন। তাঁর স্বামীর নাম ছিল মুগিস। বারিরা স্বাধীন হওয়ার জন্য ব্যগ্র হয়ে ওঠেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি মনিবের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে ‘স্বাধীন’ চুক্তি করেন। আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) স্বাধীন হওয়ার জন্য বারিরাকে আর্থিক সাহায্য করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এভাবে বারিরা স্বাধীন হয়ে যান। মুগিসকে তিনি ছেড়ে দেন। মুগিস বারিরাকে পাওয়ার জন্য কাঁদতে কাঁদতে মদিনার অলিগলিতে তাঁর পিছু পিছু ঘুরতে শুরু করলেন। কিন্তু বারিরা নির্বিকার রয়ে গেলেন। বারিরাকে পাওয়ার জন্য নিরাশ মুগিস ছুটে গেলেন নবীজি (সা.)-এর কাছে, বারিরার কাছে তাঁর জন্য সুপারিশ করার আবেদন করলেন। নবীজি (সা.) বারিরাকে বললেন, ‘তুমি যদি তাঁর সঙ্গে ঘরসংসার করতে! সে তো তোমার স্বামী! তোমার সন্তানের পিতা!’ বারিরা নবীজি (সা.)-কে বলেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনি কি আমাকে নির্দেশ দিচ্ছেন?’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি কেবল সুপারিশ করছি।’ বারিরা বললেন, ‘তাহলে তাঁকে আমার আর কোনো প্রয়োজন নেই।’ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘বারিরার স্বামী ছিলেন একজন ক্রীতদাস। তাঁকে মুগিস নামে ডাকা হতো। আমি যেন এখনো ...

যালিমরা যা করছে

ছবি
  যেসব মুসলমানদের নির্যাতন করা হচ্ছে তারা যেন কক্ষনো এমন ধারণা না করে যে, তাদের বিরুদ্ধে যে অপরাধ করা হচ্ছে কোনোদিন তার কোনো শাস্তি হবে না। আল্লাহ একদিকে নির্যাতিত মুসলমানদের বলেন ধৈর্য ধারণ করো। কিন্তু, প্রশ্ন হলো ওদের কি কিছু হবে না? তারা যে আমাদের উপর এভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে। আমাদের নারী শিশুদের গণহারে হত্যা করা হচ্ছে। আমাদের মসজিদগুলো, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সব বোমা মেরে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। এই জুলুমবাজদের কি কোনই শাস্তি হবে না? যদি জানতে পারতাম তাদের কী হবে তাহলে এটা আমাকে ধৈর্য ধরতে সহায়তা করবে। ১৪ নাম্বার সূরা, সূরা ইব্রাহিমের শেষ অংশ আল্লাহ এর জবাব দিয়েছেন। সূরা ইব্রাহিমের এই শেষ অংশে আল্লাহ বলেন- "যালিমরা যা করছে সে ব্যাপারে তোমরা আল্লাহকে কক্ষনো উদাসীন মনে কর না। তিনি তাদেরকে সেদিন পর্যন্ত ঢিল দিচ্ছেন যেদিন ভয়ে আতঙ্কে চক্ষু স্থির হয়ে যাবে। আতঙ্কিত হয়ে মাথা তুলে পালাতে থাকবে, দৃষ্টি তাদের নিজেদের পানে ফিরে আসবে না, আর তাদের দিল উড়ে যাবে। কাজেই মানুষকে সতর্ক কর সেদিনের ব্যাপারে যেদিন তাদের উপর ‘আযাব আসবে। যারা যুলম করেছিল তারা তখন বলবে, ‘হে আমাদের প্র...

মা খাদিজা (রা)

ছবি
  আমরা আমাদের মা খাদিজা (রা) এর জীবনী থেকে জানি--নবুয়তের প্রথম দিকের কঠিন সময়গুলোতে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কতই না চমৎকারিত্ব এবং দৃঢ়তার সাথে সমর্থন দিয়ে গেছেন! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তিনি কত যে মূল্য দিতেন! কত যে কদর করতেন! ওহী নাযিল হওয়ার পূর্বে তাঁরা নিরেট পনেরটি বছর একত্রে কাটিয়েছিলেন। যে সময়টাতে জীবন মোটামুটি সহজ ছিল। এরপর যখন দাওয়াতি কাজ শুরু হলো, নির্যাতনও শুরু হয়ে গেলো। চারদিক থেকে বিপদাপদের তুফান শুরু হয়ে গেলো। সেসময়টাতে আমাদের মা খাদিজা (রা) ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সমর্থনের মূল স্তম্ভ। বিপদাপদ দেখে তিনি হাল ছেড়ে দেননি। তিনি এভাবে বলেননি-- "সময় এখন অনেক বেশি কঠিন আমি এখন আপনাকে ছেড়ে চলে যাবো।" না। তিনি এমনটি করেননি। তবুও তিনি তাঁর সাথে কঠোর বন্ধনে আবদ্ধ থাকলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও খাদিজার এই ত্যাগ স্বীকারকে যথাযথ মূল্য দিয়ে গেছেন, প্রশংসা করে গেছেন। তিনি আমৃত্যু খাদিজাকে স্মরণে রেখেছেন। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। রাসূলুল্লাহ (স) নিজেই বলেছেন—আল্লাহ তায়াল...

ফ্রি সময় নিয়ে লড়াই

ছবি
  ফ্রি সময় নিয়ে লড়াই ------------- দিনশেষে পাপ কাজগুলো আপনার সময়ের অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়। প্র্যাকটিক্যাল্লি বলতে গেলে, সময়ের অপব্যবহারই শেষ পর্যন্ত পাপ কাজে পরিনত হয়। যখন অবসর পান তখন কী করে সময় পার করেন? যখন ফ্রী থাকেন সে সময়ে কী করেন? আল্লাহ আপনার জীবনে সহজ সময় আনবেন কি না তা নির্ভর করে অবসর সময়ে আপনি কী করেন তার উপর। অবসর সময়ের কর্মকান্ড তা নির্ধারণ করবে। তাই নিজের প্রতি সৎ থেকে আমাদের প্রশ্ন করতে হবে, অবসর পেলে আমরা কী করি? আর আমাদের ছেলেমেয়েদের কিভাবে অবসর কাটাতে শেখাই? যখনই তারা একটু ফ্রী সময় পায় ভিডিও গেইম খেলা শুরু করে, যখনই তারা একটু ফ্রী সময় পায় টিভি ছেড়ে দেয়। আমরা উপকারী কিছু করছি না। আমরা প্রোডাক্টিভ কিছু করছি না। একটু সময় পেলেই আমরা স্বার্থপর বিনোদনে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, স্বার্থপর ভোগ-বিলাসে যুক্ত হয়ে পড়ি। মাথার মধ্যে শুধু এই চিন্তাগুলো ঘুরপাক খেতে থাকে, দুপুরে কী খাবো? রাতে কী খাবো? কোন সিনেমাটা দেখবো? কিছু দেখতে চাও? কিছু খেলতে চাও? দিন-রাত সারাক্ষণ শুধু বিনোদন, ভোগবিলাস আর অর্থহীন রঙ্গ রসে ডুবে থাকা। আমাদের জীবন এমনই হয়ে গিয়েছে। কিভাবে এটা 'ফানসাব'? এটা...

যখন মানুষ ব্যর্থ হয়

ছবি
  আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এরশাদ করেনঃ اِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ جَزُوۡعًا ۙ "সে (মানুষ) বিপদগ্রস্থ হলে হা-হুতাশ করতে থাকে।" (৭০:২০) অর্থাৎ, যখন মানুষ ব্যর্থ হয় কিংবা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, তারা খুব তাড়াতাড়ি অধৈর্য হয়ে পড়ে আর হতাশায় ভেঙ্গে পড়ে। এমনকি আল্লাহর নির্দেশ না মেনে পাপ কাজে লিপ্ত হয় বা অসংযত আচরণ করে। এর পরের আয়াতে আল্লাহ্‌ উল্লেখ করেছেন - وَاِذَا مَسَّهُ الۡخَيۡرُ مَنُوۡعًا ۙ‏ " আবার যখন (সে) ঐশ্বর্যশালী হয় তখন কৃপণ হয়ে যায়।"(৭০:২১) তার মানে—যখন আল্লাহ্‌ তাআলা মানুষের উপর কোন রহমত দান করেন তখন তারা এতটাই কৃপণ আর ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে যে, সবকিছু একাই গ্রাস করতে চায়। এর প্রতিকার কী? আল্লাহ্‌ তায়ালা ঘোষণা করেনঃ إِلَّا الْمُصَلِّينَ - الَّذِينَ هُمْ عَلَىٰ صَلَاتِهِمْ دَائِمُونَ "কেবল তারা ব্যতীত যারা নামাজ কায়েম করে।(আর) যারা নামাজে সর্বদা নিষ্ঠাবান থাকে।" (আল মা'য়ারিজ ২২-২৩) এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটা এমন না যে একবার নামাজে দাঁড়ালাম আর মনের এই দুর্বলতা পুরাপুরি চলে গেলো। কেবলমাত্র নিয়মিত সালাত আদায়ের মাধ্যমেই মানসিক অস্থির...

ডিভোর্স

ছবি
  ডিভোর্স এমন এক বাস্তবতা যা শুধু আমদেরকে নয় সমগ্র দুনিয়াকে প্রভাবিত করছে। তীব্র হারে তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে একটি গণ জরিপ থেকে জানা যায়, আনুমানিক ৫০ শতাংশ বিয়ে শেষ পর্যন্ত ডিভোর্সে রূপ নেয়। পরিসংখ্যানটি নিয়ে একটু চিন্তা করে দেখুন! এই জমিনের অর্ধেক বিয়েই অবশেষে ডিভোর্সে রূপ নেয়! আপনারা কি মনে করেন আমাদের সমাজ এর থেকে নিরাপদ? আমি নিশ্চিত আপনাদের প্রত্যেকে এমন কাউকে চিনে থাকবেন হয়তো কোনো বন্ধু, পরিবারের কেউ, আত্মীয়-স্বজনের কেউ অথবা আপনার নিজেকেই এই সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়েছিল। আমরা কীভাবে এ নিয়ে কথা না বলে থাকতে পারি, যখন এটা আমাদের সবাইকে প্রভাবিত করছে। কত জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে! কত শিশু একটি স্বাভাবিক জীবন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে! শুধু তাড়াহুড়োর কারণে, রাগের কারণে, অজ্ঞতার কারণে। জেনে রাখুন, প্রিয় মুসলিম! আমাদের ধর্মের সাধারণ নিয়ম হলো, বিয়ে টিকে থাকার কথা। কঠিন এবং সহজ উভয় অবস্থাতেই এর টিকে থাকার কথা। সমস্ত চড়াই-উৎরাইয়ের মাঝেও এর টিকে থাকার কথা। সামনে অগ্রসর হওয়া যখন কঠিন হয়ে পড়ে আপনি তো সাথে সাথেই পালিয়ে যাওয়ার পথ খোঁজেন না। সামনে অগ্রসর হওয়া যখন কঠিন হয়ে পড়ে আপনি তো সা...