পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইমান নষ্ট হয়ে যাওয়ার কয়েকটি কারণ

ছবি
  আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের মতে, ইমানের যাবতীয় স্তর বা রোকনের ওপর অন্তরের বিশ্বাস স্থাপন করাই হলো ইমান। মৌখিকভাবে স্বীকারোক্তি দেওয়াও ইমানের শর্ত। বাহ্যিক আমল ইমানের মৌলিক রোকন নয়, তবে ইমানের পূর্ণতার জন্য আবশ্যক। ( শারহুল ফিকহিল আকবর , ইমাম আজম আবু হানিফা, অনুবাদ: এনামুল হক মাসউদ, মাকতাবাতুস সুন্নাহ, পৃষ্ঠা ৪৬২) আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘যেসব মানুষ ইমান আনে এবং সৎকর্ম করে, তারা জান্নাতবাসী। তারা সর্বদা সেখানে থাকবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ৮২) অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে, আয়াতে উল্লিখিত সৎকর্ম মানে যাবতীয় ভালো কাজসহ আমল-ইবাদত। ইমান মুমিনের সবচেয়ে বড় পরিচয়, শ্রেষ্ঠ অর্জন। ইমান আনার পর তা ভেঙে যাওয়া মানে ইমান নষ্ট হয়ে যাওয়া। ইমান ভেঙে বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। তখন আবার তাওবা করে ইসলাম গ্রহণ আবশ্যক হয়ে ওঠে। ইমান নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণগুলো নিচে দেওয়া হলো: ১. আল্লাহর সঙ্গে কারও শরিক করা যদি কোনো মুমিন-মুসলমান উপাস্য বা ইলাহ হিসেবে বা ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করেন, তাহলে তাঁর ইমান নষ্ট হয়ে যাবে। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর সঙ্গ...

আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া

ছবি
  আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার ধারণা কুরআনে বহুল উল্লেখিত একটি ধারণা। যদি আপনি একবার "আস্তাগফিরুল্লাহ" বলেন আপনি শতশত আয়াতের উপর আমল করছেন। যেমন— ১. সূরা আল-বাকারা (2:199): "এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।" ২. সূরা আলে-ইমরান (3:135): "এবং যারা অশ্লীল কাজ করে বা নিজের উপর জুলুম করে, তারা আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তাদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আল্লাহ ছাড়া কে গুনাহ ক্ষমা করতে পারে? এবং তারা জেনে শুনে যা করেছে তাতে লিপ্ত থাকে না।" ৩. সূরা হুদ (11:3): "এবং তোমার পালনকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং তাঁর কাছে তওবা কর। তিনি তোমাকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উত্তম জীবিকা দেবেন এবং প্রত্যেক অনুগ্রহকারীকে তাঁর অনুগ্রহ দেবেন। কিন্তু যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে আমি তোমাদের জন্য একটি মহাদিনের শাস্তির আশঙ্কা করি।" ৪. সূরা নূহ (71:10-12): "এবং বল, 'তোমাদের পালনকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন...

রমজানকে বরণ করুন

ছবি
  রমজানকে বরণ করুন: নিজের সর্বোত্তম রূপের দিকে যাত্রা শুরু করুন -------------- * ------------------ * ----------------------- রমজানের আগমনী আভাস যতই ঘনিয়ে আসছে, বাতাসে এক ধরনের নীরব উচ্ছ্বাস অনুভূত হচ্ছে—অপেক্ষার একটি পবিত্র অনুভূতি, যা অন্য যেকোনো মাস থেকে আলাদা। চাঁদের সরু রেখা খুব শীঘ্রই আকাশে উদিত হবে যা করুণা, পরিবর্তন এবং অতুলনীয় সুযোগে পূর্ণ এক পবিত্র সময়ের সূচনা করবে। রমজান শুধু ক্যালেন্ডারের একটি মাস নয়; এটি আপনার জীবনের উদ্দেশ্যকে পুনরায় আবিষ্কার করার, আপনার আত্মাকে নবায়ন করার এবং আল্লাহ্ আপনাকে যেমন দেখতে চান, সেই সর্বোত্তম রূপের কাছাকাছি পৌঁছানোর এক ঐশ্বরিক আমন্ত্রণ। আপনি কি এই রমজানকে আপনার জীবনের সেরা রমজান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুত? এক নতুন পথচলার সূচনা আপনার অপেক্ষায় ----------------------------------------------- ভাবতে পারেন? প্রতিটি সকালে নিষ্পাপ একটি আমলনামা নিয়ে জেগে উঠছেন— অতীতের বড় বড় ভুলগুলো ছেড়ে এসে আপনি এমন এক মাসে প্রবেশ করছেন, যেখানে প্রতিটি ভালো কাজ অন্য মাসের তুলনায় বহুগুণে সমুজ্জ্বল হয়ে উঠবে। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছ...

কোরআন থেকে দারুন সুন্দর একটি উদাহরণ

ছবি
  কোরআন থেকে আজ আপনাদের দারুন সুন্দর একটি উদাহরণ সম্পর্কে জানাবো। এটা হলো নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের সারসংক্ষেপ। আপনাদের দেখাচ্ছি কীভাবে। মনোযোগ দিয়ে শুনুনঃ ( 13:17 ) أَنزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً আল্লাহ বলছেন, তিনি আকাশ থেকে পানি প্রেরণ করেছেন। فَسَالَتْ أَوْدِيَةٌۢ بِقَدَرِهَا এরপর উপত্যাকা, দেখুন, আকাশ থেকে পানি এলো মানে বৃষ্টি হলো। তাই না? فَسَالَتْ أَوْدِيَةٌۢ بِقَدَرِهَا এরপর উপত্যাকাগুলো প্লাবিত হতে লাগলো যতটুকু সম্ভব ততটুকু। বিকাদারিহা। সর্বোচ্চ পরিমাণে। তো আল্লাহ বৃষ্টির বর্ননা দিচ্ছেন। এতো বৃষ্টি হয়েছে যে বন্যা হয়ে গেছে। আচ্ছা। فَاحْتَمَلَ السَّيْلُ زَبَدًا رَّابِيًا এরপর বন্যার পানিগুলো ফেনা তুলে আসতে লাগলো। ফেনা কী জানেন? ফেনা বা যাবাদ অনেকটা হলো… মাটিতে অনেকসময় ছেড়া পাতা, কাঠি, ছোট পাথর, নুড়ি এসব ছোটখাটো জিনিসপত্র মাটিতে থাকে। আর পানি আসলে এ সবই একত্রে ধুয়ে যেতে থাকে। এগুলো উপরে ফেনার মতো হয়ে যায়। তো বন্যার পানি মাটির উপরের ময়লা, নোংরা, অপবিত্রতা ইত্যাদি ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায়। সেগুলোকে ফেনা বানিয়ে ফেলে। তো এখন আল্লাহ এই ফেনার কথা বলছেন, এই ব...

আল্লাহর সীমাহীন করুনা

ছবি
  ইসলাম জটিল কোনো ধর্ম নয়। ইসলাম এমন কিছু নয় যা বিমূর্ত, ইসলাম এমন কিছু নয় যা অবাস্তব। ইসলাম খুবই খুবই সহজ। সুপার ইজি। মুক্তির ইসলাম দারুণ সহজ। জান্নাতুল ফিরদাউস সবার জন্য উন্মুক্ত। সর্বোচ্চ জান্নাতে যেতে আপনার ইসলামিক স্টাডিজে ডক্টরেট ডিগ্রি থাকতে হবে না। আল্লাহর ইবাদাত করুন। তাঁর প্রতি ঈমান রাখুন। আল্লাহর রাসূলকে ভালোবাসুন। শেষ বিচারের দিন আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের আশা রাখুন। আর আপনার জীবন যাপন করুন একজন ভালো মানুষ হিসেবে। নৈতিক মানুষ হিসেবে। সুন্দর চরিত্রের মানুষ হিসেবে। একজন দয়ালু মানুষ হিসেবে। একজন দরদী মানুষ হিসেবে। একজন সহানুভূতিশীল মানুষ হিসেবে। নিজের জন্যে যা ভালোবাসেন তা অপর মুসলিম ভাইয়ের জন্যেও ভালোবাসুন। বেশি করে দিন। আর অল্প পেলেও সন্তুষ্ট থাকুন। আপনার আচরণ এবং চরিত্রে একজন রোল মডেলে পরিণত হন। ঠিক এতুটুকুই আপনার দরকার। যদি এটুকু করতে পারেন তাহলে আলহামদুলিল্লাহ! আপনি ইসলামী জীবন ব্যবস্থার সমগ্র অংশটুকু নিজ জীবনে করে দেখিয়েছেন। একথা আমি বলছি না। আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটি বলেছেন। তিনি কী বলেছেন জানেন? দুইটি শব্দ। মুখস্ত করে রাখুন। "আদ দিইনু মু...

তাবুতে সাকিনার রহস্যময় ইতিহাস

ছবি
  তাবুতে সাকিনা অভিশপ্ত সিন্দুক নামে পরিচিত। রহস্যময় এ সিন্দুকটি অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন। আল্লাহর পক্ষ থেকে সিন্দুকটি বনী ইসরাইল সম্প্রদায়কে দিয়েছিলেন হজরত মুসা (আ.)। মুসার (আ.)–এর মৃত্যুর পর তাঁর সান্নিধ্যধন্য নবী ইউশা ইবনে নুন সিন্দুকটির তত্ত্বাবধান করতেন। তাঁর মৃত্যুর পর এর দেখাশোনা করতেন বনী ইসরাইল সম্প্রদায়ের পুরোহিতেরা। সিন্দুকটির অলৌকিক ক্ষমতা আছে বলে তারা বিশ্বাস করত। তারা বিশ্বাস করত, এই সিন্দুক সঙ্গে থাকলে কেউ তাদের পরাজিত করতে পারবে না। কিন্তু সিন্দুকটি নিয়ে একটি সংকট তৈরি হয়। যেখানেই এটি রাখা হতো তার আশপাশের লোকজনের মধ্যে মহামারি ছড়িয়ে পড়ত। এতে বেশ কিছুদিন তারা সিন্দুকটিকে বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তরিত করে। নানা স্থানে বহু লোকের প্রাণহানি ঘটে। উপায়ন্তর না দেখে তারা সিন্দুকটিকে একটি গরুর গাড়িতে করে অজানার উদ্দেশে পাঠিয়ে দেয়। সেই সিন্দুক বাদশাহ তালুতের হস্তগত হয়। তিনি ছিলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ। কোরআনে তাঁর এবং সিন্দুকটির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এভাবে, ‘বনী-ইসরাইলদের তাদের নবী আরও বললেন, তালুতের নেতৃত্বের চিহ্ন হলো এই যে তোমাদের কাছে একটা সিন্দুক আসবে যাতে থাকবে তোমাদের পালকর্তার প...

খলিফা শব্দের অর্থ

ছবি
  খলিফা শব্দের অর্থ —নোমান আলী খান আল্লাহ বলেছেন, إِنِّى جَاعِلٌ فِى الْأَرْضِ خَلِيفَةً "আমি পৃথিবীতে খলিফা পাঠাচ্ছি" (সূরা বাকারা ২:৩০)। আর খলিফার অনেক অর্থ রয়েছে, তবে আমি আপনাদের শুধু তিনটি উল্লেখ করব। প্রথমটি হলো, উত্তরসূরি।  শব্দটা অনেক বড়, আমি জানি। ব্যাখ্যা করে সহজ করে দেব। আমি একজন উত্তরাধিকারী পাঠাচ্ছি পৃথিবীতে। আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল উত্তরসূরি বলতে কখনো বলেন... আচ্ছা ধরুন, কোনো বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ যখন অবসরে যান, অন্য কেউ তার স্থান নেয়। মানে বিদ্যালয় নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ দিলো। এই নতুন অধ্যক্ষ হলেন উত্তরসূরি। এদিক দিয়ে তিনি একজন খলিফা। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে না, আরবি ভাষার দৃষ্টিতে। আরবি ভাষায় তিনি একজন খলিফা। অথবা ধরুন, পরিবারের একজন কর্তা ছিলেন। সেই প্রধান কর্তা অর্থাৎ দাদা মারা গেলেন। এখন বড় চাচা... তার কাছে সবাই পরামর্শের জন্য যাতায়াত করে। এই বড় চাচা এখন কী? খলিফা। তার উপরেই এখন দায়িত্ব বর্তেছে। তাহলে এটা হলো দায়িত্বশীলতার বিষয়। আমি কাউকে রেখে যাবো যে দায়িত্ব হস্তান্তরিত করে যেতে থাকবে। এটাই হলো খলিফা শব্দের প্রথম অর্থ। ভিন্নভাবে বললে, আপনার পূর্ববর্তীরা আপনাকে...

বদঅভ্যাসে আক্রান্ত

ছবি
  বহুদিন ধরে কোনো এক বদঅভ্যাসে আক্রান্ত। অনেকবার চেয়েছিলেন ছেড়ে দিতে কিন্তু পারেননি। চলুন, আজ আবার প্রতিজ্ঞা করুন ছেড়ে দেওয়ার। আপনি এখন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। জেনে রাখুন, নিজেকে উন্নত করার এ ইচ্ছাই আপনার ঈমানের লক্ষণ এবং আল্লাহর দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। চলুন, এই যাত্রায় আপনাকে অনুপ্রাণিত ও শক্তিশালী করতে ইসলামের সুন্দর শিক্ষাগুলো স্মরণ করিয়ে দিই। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কুরআনে বলেছেন: "إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا مَا بِأَنْفُسِهِمْ ۗ- "নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেরা তাদের মধ্যে যা আছে তা পরিবর্তন করে।" (সূরা রা'দ, আয়াত ১১) এই আয়াতটি একটি শক্তিশালী রিমাইন্ডার। কাজটির পরিবর্তন শুরু করার পূর্বে আপনার অন্তরের পরিবর্তন হওয়া জরুরি। নিজের ভেতরে শক্ত প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, না, আমি এটা ছেড়ে দিবো। পাপ হচ্ছে এক ধরণের ভালোবাসা। আপনি এর প্রেমে পড়ে যান। এতে আসক্ত হয়ে যান। বার বার করতে থাকেন। ছেড়ে দিলে হয়তো এক রাশ দুঃখ এসে মনে জড়ো হবে। এই দুঃখকে মেনে নেওয়ার সাহস আপনাকে জোগাড় করতে হবে। একদম অন্তর থেকে ...

কোরআন শিখুন, অন্যদেরকে শেখান

ছবি
  কোরআন থেকে আজ আপনাদের দারুন সুন্দর একটি উদাহরণ সম্পর্কে জানাবো। এটা হলো নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের সারসংক্ষেপ। আপনাদের দেখাচ্ছি কীভাবে। মনোযোগ দিয়ে শুনুনঃ ( 13:17 ) أَنزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً আল্লাহ বলছেন, তিনি আকাশ থেকে পানি প্রেরণ করেছেন। فَسَالَتْ أَوْدِيَةٌۢ بِقَدَرِهَا এরপর উপত্যাকা, দেখুন, আকাশ থেকে পানি এলো মানে বৃষ্টি হলো। তাই না? فَسَالَتْ أَوْدِيَةٌۢ بِقَدَرِهَا এরপর উপত্যাকাগুলো প্লাবিত হতে লাগলো যতটুকু সম্ভব ততটুকু। বিকাদারিহা। সর্বোচ্চ পরিমাণে। তো আল্লাহ বৃষ্টির বর্ননা দিচ্ছেন। এতো বৃষ্টি হয়েছে যে বন্যা হয়ে গেছে। আচ্ছা। فَاحْتَمَلَ السَّيْلُ زَبَدًا رَّابِيًا এরপর বন্যার পানিগুলো ফেনা তুলে আসতে লাগলো। ফেনা কী জানেন? ফেনা বা যাবাদ অনেকটা হলো… মাটিতে অনেকসময় ছেড়া পাতা, কাঠি, ছোট পাথর, নুড়ি এসব ছোটখাটো জিনিসপত্র মাটিতে থাকে। আর পানি আসলে এ সবই একত্রে ধুয়ে যেতে থাকে। এগুলো উপরে ফেনার মতো হয়ে যায়। তো বন্যার পানি মাটির উপরের ময়লা, নোংরা, অপবিত্রতা ইত্যাদি ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায়। সেগুলোকে ফেনা বানিয়ে ফেলে। তো এখন আল্লাহ এই ফেনার কথা বলছেন, এই ব...

পিতা মাতাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা

ছবি
  পিতা মাতাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা ---------------------------------------------------------------- আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা সম্পর্কে ভুল ধারণা নিয়ে বড় হওয়া একটি অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা হলেন অসীম দয়ালু, পরম করুণাময়। অথচ, আমরা ছোটবেলা থেকেই আল্লাহ সম্পর্কে বিকৃত ধারণা পেয়ে থাকি। সঠিক জ্ঞানের অভাবে পরিবার ও সমাজ আমাদের আল্লাহ সম্পর্কে এমন ধারণা দেয়, যেন তিনি প্রতি মুহূর্তে শাস্তি দিতে প্রস্তুত। যেমন: কোনো ব্যথা পেলে বলা হয়—"এইযে, আমার কথা শুনো নাই তো, এই জন্য আল্লাহ তোমাকে ব্যথা দিয়েছেন। বুঝ এখন!" একটু চিন্তা করুন, বাচ্চারা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা সম্পর্কে কী ধারণা নিয়ে বড় হবে? ছোট বাচ্চা যখন কাউকে কুর'আন পড়তে দেখে এবং আগ্রহভরে জিজ্ঞাসা করে, "কুর'আনে কী বলা আছে?" তখন তাকে বলা হয়, "তুমি যে এটা-ওটা কর, এইটার শাস্তি এই, ঐটার শাস্তি ঐ।" শাস্তি, গুনাহ, জাহান্নাম—এই শব্দগুলো দিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার প্রাথমিক পরিচয় দেওয়া হয়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। অথচ, আল্লাহ তা'আলা নিজে কুর'আনে ...

সূরা আদ-দোহা- তিনটি সহজ শব্দের মাধ্যমে

ছবি
  ৯৩ নাম্বার সূরা, সূরা আদ-দোহাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। তিনটি সহজ শব্দের মাধ্যমে আমি এই তিন অংশকে আপনাদের অন্তরে গেঁথে দিতে চাই। ১। আশা। অর্থাৎ, আল্লাহ আপনাকে (রাসূলুল্লাহকে) পরিত্যাগ করেননি। আল্লাহ আপনার প্রতি অসন্তুষ্ট নন। আপনার জন্য শুরুর দিকের চেয়ে শেষের দিক উত্তম হবে। আর আল্লাহ আপনাকে এতো বেশি পরিমাণে দিবেন যে আপনি খুশি হয়ে যাবেন। এ সবকিছু এক কথায়- আশা। ২। এরপর আল্লাহ যখন বললেন, আপনি এতিম ছিলেন আর আল্লাহ আপনাকে আশ্রয় দিয়েছেন। আপনি পথ খুঁজছিলেন আর তিনি আপনাকে পথ দেখিয়েছেন। আপনি নিঃস্ব ছিলেন, অতঃপর তিনি আপনাকে অভাবমুক্ত করলেন। আল্লাহ এখানে রাসূলুল্লাহ (স)কে তাঁর অনুগ্রহগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। তাই না? তাই, আমি এই দ্বিতীয় অংশকে বলবো- কৃতজ্ঞতা। ৩। সেজন্য ইয়াতীমের প্রতি কঠোর হবেন না। ভিক্ষুককে আপনি ধমক দিবেন না। আর আপনার প্রতি আপনার রবের অনুগ্রহ বর্ণনা করুন। অন্য কথায়, মানুষকে আশা দান করুন। প্রত্যাশা দান করুন। তাহলে তিনিটি অংশ হলো: ১। আশা ২। কৃতজ্ঞতা ৩। মানুষকে আশা প্রদান। এখন, যদি পরের সূরা, সূরা আলাম-নাশরাহ পড়েন, দেখবেন এটি শুরু হয়েছে আল্লাহর নেয়ামতের কথা স...