পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইবাদতে তিনটি আবেগ

ছবি
  ইবাদতে তিনটি আবেগ : ভালোবাসা, ভয় ও আশা আগেকার যুগের বহু আলেমেরা বলতেন, আল্লাহ্‌ তাআলার ইবাদত করা হয় মূলত তিনটি আবেগের উপর ভিত্তি করে: [১] আল-হুব (ভালোবাসা) [২] খাউফ (ভয়) এবং [৩] রজা (আশা) আমরা আল্লাহর ইবাদত করি, কারণ আমরা আল্লাহকে ভালোবাসি। আমরা আল্লাহর ইবাদত করি, কারণ আমরা আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করি। আমরা আল্লাহর ইবাদত করি, কারণ আমরা আল্লাহর প্রতি এবং তাঁর দয়ার প্রতি আশাবাদী। এই আশা ধরে রাখার কয়েকটি বিষয় রয়েছে। এক—আমাদের ভালো কাজের জন্য আল্লাহর কাছে পুরস্কার আশা করা। আমরা যদি দান করি, আমাদের আশা আছে যে আল্লাহ এই দান কবুল করে আমাদেরকে পুরস্কৃত করবেন। যদি মানুষের সাথে ভালো আচরণ করি, নামাজ পড়ি, রোজা রাখি, অর্থাৎ যেকোনো ভালো কাজই করি না কেন—আমাদের আশা আছে আল্লাহ আমাদেরকে এই সমস্ত কাজের জন্য পুরস্কার দিবেন। এই ভালো কাজের সর্বোচ্চ আশার পর্যায় হলো আল্লাহর জান্নাতের প্রত্যাশা রাখা। এই আশা করা যে আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। দুই—এই আশা করা যে আল্লাহ আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। হ্যাঁ, প্রত্যেক ঈমানদারের আল্লাহর দয়ার প্রতি আশা থাকা উচিত। আল্লাহ যে ক্ষমা করে দ...

মানব জাতির প্রতি আল্লাহর নাযিলকৃত সর্বশেষ শব্দ কী?

ছবি
  এরকম আশাদায়ক কথা সম্ভবত আগে কখনো শুনেন নাই। ------------------------------------------------ নিজের পাপের কারণে আল্লাহর শাস্তির ভয় করবেন, কাঁদবেন, বারবার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন কিন্তু কখনোই একদম হতাশ হয়ে যাবেন না। আশার আলোটা সবসময় অন্তরে প্রজ্বলিত রাখবেন। কারণ, আমাদের ধর্মে আল্লাহর ক্ষমা পাওয়ার আশা থেকে একদম হতাশ হয়ে পড়ার অনুমতি নেই। আপনি যদি তাওবা করেন, অনুতপ্ত হোন, নিজেকে শুধরে নেন আপনিও জান্নাতের স্বপ্ন দেখতে পারেন। খুবই বিস্ময়কর এবং চরম আশাব্যঞ্জক একটি ব্যাপার জানাচ্ছি। জানেন? মানব জাতির প্রতি আল্লাহর নাযিলকৃত সর্বশেষ শব্দ কী? আল্লাহর নাম তাউওয়াব। অর্থাৎ, যিনি বারবার তাওবা কবুল করেন। কুরআনের সমাপ্তি হয়েছে আল্লাহর নাম তাউওয়াব বলার মাধ্যেম। এটা খুবই খুবই গভীর একটি ইঙ্গিত বহন করে। চিন্তা করে দেখুন। সর্বশেষ যে শব্দ আল্লাহ মানবজাতির প্রতি প্রেরণ করেছেন তা ছিল তাঁর নাম তাউওয়াব। আমরা কীভাবে এটা জানি? কারণ, সবার শেষে কোন সূরাটি নাযিল হয়? "ইজা জায়া নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহ। ওয়া রাআইতান নাসা ইয়াদখুলুওনা ফিই দিই নিল্লাহি আফওয়াজা, ফাসাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াস তাগফিরহু, ইন্নাহু...

পরিবেশের দোহাই || নোমান আলী খান

ছবি
  পরিবেশের দোহাই || নোমান আলী খান আল্লাহ আমাদেরকে এই ধর্ম এজন্য দেননি যে আমরা পরিবেশ থেকে লুকিয়ে থাকবো। আল্লাহ আমাদেরকে এই ধর্ম দিয়েছেন পরিবেশকে পরিবর্তন করার জন্য। এজন্যই আসলে তিনি এই ধর্ম প্রদান করেছেন। এই ধর্ম ফিতনা থেকে পালিয়ে যায় না, বরং ফিতনাকে নির্মূল করে দেয়। এই ধর্মটির ভূমিকা এটাই। এজন্যই আল্লাহ এটাকে বলেছেন, আমাদের পিতা ইবরাহিম (আ)-এর মিল্লাহ, দ্বিন বা ধর্ম। ইবরাহিম (আ)-এর চারপাশ শিরকে পরিপূর্ণ ছিলো। আর তিনি প্রতিনিয়ত এটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন। তিনি প্রতিনিয়ত প্রশ্ন করেছিলেন, আর এটাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। আমরা ইবরাহিম (আ)-এর ধর্মকে ধারণ করতে পারবো না, যদি আমাদর অভ্যন্তরে এমন কিছু না থাকে যা আমাদের ইমানকে পরিচালিত করে। আমার সাথে সাথে শুধু এই বিষয়টি চিন্তা করুন। সেই মানুষেরা যারা সর্বপ্রথম কুরআন শুনেছিলেন, আমরা এই বিষয়ে সাধারণত চিন্তা করি না যে, যখন কুরআন নাযিল হোচ্ছিলো, অধিকাংশ মানুষ যারা কুরআন শ্রবণ করেছে, তারা মুসলিম ছিলো না। যখন কুরআন প্রথমে নাযিল হচ্ছিলো, আর রাসূল (স) কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত করছিলেন, বেশীরভাগ কান, যেগুলোতে কুরআন প্রবেশ করছিলো, সেগুলো মুসলিমদের কান ছিল...

এক মহান নারীর কাছ থেকে পাওয়া ছয়টি অমূল্য শিক্ষা

ছবি
  গাজায় ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়া এক মহান নারীর কাছ থেকে পাওয়া ছয়টি অমূল্য শিক্ষা ---------------------------------------------- ----------------- ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর, গোটা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছিল— আকিদাহ বা বিশ্বাস; সাবাত বা দৃঢ়তা, অটলতা, সহনশীলতা, নিপীড়নের মুখে প্রতিরোধ এবং আল্লাহর উপর ভরসার এক জীবন-পরিবর্তনকারী পাঠ। সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এই পাঠটি বড় কোনো শায়েখ দেননি, কোনো মঞ্চ থেকেও আসেনি, কোনো ইসলামী চিন্তাবিদের রচিত বইয়ের গভীর থেকেও নয়। শিক্ষাটি প্রদান করেছেন একজন সাধারণ মধ্যবয়সী নারী, যার নাম মেই। গাজায় বোমাবর্ষণে ঘরবাড়ি-ধ্বংসপ্রাপ্ত অসংখ্য নারীর মধ্যে তিনি একজন। মাত্র ৬০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও–ব্যস, এটুকুই। এটি ভাইরাল হয়ে যায়। সেই মুহূর্তটি, যখন তাঁকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এবং তরুণ উদ্ধারকারীদের সাথে তাঁর কথোপকথন, যারা তাকে বাঁচিয়েছিল। সেই ৬০ সেকেন্ডে যখন মেই কথা বলেছিলেন, মনে হচ্ছিল যেন ফেরেশতারা তাঁকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছিলেন সবচেয়ে সুন্দর, যথোপযুক্ত এবং সৌর্দর্যমন্ডিত কথার দ্বারা। ১। প্রথম বার্তা— --------------------- মেই আমাদের শি...

মক্কা বিজয় ও হুদায়বিয়া সন্ধির কথা

ছবি
  আজ খতমে তারাবিহতে পবিত্র কোরআনের ২৬তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আহকাফ, সুরা মুহাম্মদ, সুরা ফাতহ, সুরা হুজুরাত ও সুরা জারিয়াতের ১ থেকে ৩০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। আজকের তারাবিহতে আল্লাহর সাহায্য, মুত্তাকিদের পুরস্কার, মা–বাবার আনুগত্য, নবীজির মুখে জিনদের কোরআন শ্রবণ, গুজব রটানো, যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে আচরণনীতি, হুদায়বিয়ার সন্ধি, মক্কা বিজয়, সাহাবিদের প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টি, মানুষের সঙ্গে দুজন ফেরেশতা নিযুক্ত থাকা, কাফেরদের উত্থাপিত আপত্তির জবাব, যুদ্ধের হুকুম, মুমিনরা পরস্পরে ভাই ভাই, তাকওয়া, কসম, ওয়াদা, আল্লাহর আজমত ও বড় ইত্যাদির আলোচনা রয়েছে। দুই সন্তানের দৃষ্টান্ত কোরআনের ৪৬তম সুরা আহকাফ মক্কায় অবতীর্ণ, এর আয়াতের সংখ্যা ৩৫। এ সুরার ১৫ থেকে ১৭ নম্বর আয়াতে মা–বাবার অনুগত বিশ্বাসী সন্তান এবং মা–বাবার অবাধ্য সন্তানের উদাহরণ রয়েছে।ভালো সন্তান সে, যার অন্তরে আছে আলো। আল্লাহ বিশ্বাসী, আল্লাহর নির্দেশ পালন করে। আল্লাহর কৃতজ্ঞতা ও খুশির জন্য আমল করতে চায়। মাতা–পিতার কল্যাণ কামনা করে। এমন সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে আছে পুরস্কার—জান্নাত। খারাপ সন্তান সে, মাতা–পিতা যাকে ইমানের পথে দাওয়া...

রমজানে মহানবীর (সা.) দানশীলতা

ছবি
  রমজানে দানের গুরুত্ব এত বেশি যে, অনেক আলেমের মতে, রমজানের উপাদান তিনটি—এক. দিনে রোজা রাখা, দুই. রাতে ইবাদত করা, যাকে ‘কিয়ামুল লাইল’ বলে, এবং তিন. দান ও সেবামূলকজ কাজ করা। আজকাল আমরা রমজানে জনকল্যাণমূলক কাজ এড়িয়ে কেবল ব্যক্তিগত ইবাদতে মগ্ন থাকি এবং দান-সদকা থেকে হাত গুটিয়ে রাখি। এর মাধ্যমে প্রকারান্তরে রমজানের এই তৃতীয় উপাদানকে অবহেলা করা হয়। অথচ নবীজির (সা.) আদর্শ হলো, রমজানে দানের পরিমাণ বাড়ানো। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) মানবকুলের মধ্যে সর্বাধিক দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে যখন জিবরাইল (আ.) নিয়মিত আসতে শুরু করেন, তখন তাঁর দানশীলতা বহুগুণ বেড়ে যেত। জিবরাইল (আ.) রমজানের প্রতি রজনীতে নবীজির (সা.) সঙ্গে সাক্ষাতে এসে তার সঙ্গে কোরআন পাঠের অনুশীলন করতেন। নিঃসন্দেহে নবীজি(সা.)  ছিলেন বেগবান ঝড়ের চেয়েও অধিক গতির দানশীল। (মুসলিম, হাদিস: ২,৩০৮)  হাদিসের ব্যাখ্যায় ইবনে মুনাইয়ির (রহ.) বলেন, ‘দরিদ্র, অভাবগ্রস্ত ও ধনী—সকলের কাছেই পৌঁছে যেত রাসুলের দানের কল্যাণ। মুক্ত শীতল বায়ুর পর যেমন বৃষ্টির ঝাপটা আসে, রাসুলের (সা.)  দান হতো তার চেয়েও ব্যাপক। অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজ...

রমজানের শেষ দশক যেভাবে কাটাতেন নবীজি (সা.)

ছবি
  যদিও শেষ দশক বলা হয়, তবে পাঠকের এটা অবিদিত নয় যে, এই দশক মানে পূর্ণ দশদিন দশ রাত নয় চান্দ্রমাসের হিসেবে মাস উনত্রিশ দিনে হলে নয় দিনও হতে পারে। বিশ রমজান দিবাগত রাত থেকে শেষ দশকের সূচনা হয়। একে অনেকেই ‘নাজাতের রাত’ বলে অভিহিত করে থাকেন। একটি দুর্বল সনদের হাদিসে রয়েছে রমজানের প্রথম দশদিন রহমত, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাত এবং তৃতীয় দশদিন নাজাতের উপহার প্রদান করা হয়ে থাকে। শেষ দশকে নবীজির (সা.) ইবাদতের পরিমাণ বেড়ে যেত, তিনি কখনো এসব রাত জাগরণ ছাড়া কাটাননি। ইবাদতে বেশি শ্রম দেওয়া রমজানের শেষ দশ দিনে ইতিকাফের ‘অবকাশ’ যাপন করতেন নবীজি (সা.)। তিনি রাতের ইবাদতে অত্যধিক শ্রম দিতেন, যা অন্য সময় দেখা যেত না। রমজান মাসের শেষ দশকে নবীজি (সা.) এত বেশি ইবাদত করেছেন যা অন্য সময়ে করেননি। ( মুসলিম, হাদিস: ১১৭৫) আরেকটি হাদিসে আছে, রমজানে লোকেরা মসজিদে নামাজ আদায় করত...(দীর্ঘ হাদিসের একাংশে আছে, তিনি সকলকে সম্বোধন করে এরশাদ করেন, ‘লোক সকল, আল-হামদুলিল্লাহ, আজ রাত আমি গাফিলতি যাপন করি নি। এবং তোমাদের অবস্থানও আমার অবিদিত নয়।’ (আবু দাউদ: ১,৩৭৪) পূর্ণ রাত্রি জাগরণ রমজানের শেষ দশক আসলে নবীজি (সা.) পরনের কাপড় ...

ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য

ছবি
  আসসালামু আলাইকুম, বর্তমান সময়ে ফিলিস্তিন, বিশেষ করে গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটপূর্ণ। নিরীহ মানুষদের ওপর যে অন্যায় ও নিপীড়ন চলছে, তা সমগ্র মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে গভীর বেদনা সৃষ্টি করেছে। এই দুঃসময়ে আমাদের সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা উচিত, কারণ তিনিই সর্বোত্তম রক্ষাকারী ও ন্যায়বিচারকারী। আমরা সকলে মিলে নিচের দোয়াগুলো পড়ার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে পারি। ১. حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ উচ্চারণ: হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল অর্থ: আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং তিনিই সর্বোত্তম কার্য সম্পাদনকারী। 📖 সূরা আলে ইমরান (৩:১৭৩), সাহিহ আল-বুখারি (হাদিস নম্বর: ৪৫৬৩) ২. اللَّهُمَّ إِنَّا نَجْعَلُكَ فِي نُحُوْرِهِمْ وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شُرُورِهِمْ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাজ আলুকা ফী নুহুরিহিম ওয়া নাউদু বিকা মিন শুরুরিহিম অর্থ: হে আল্লাহ, আমরা আপনাকে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঢাল বানাই এবং তাদের অনিষ্ট থেকে আপনার কাছে আশ্রয় নিই। 📖 আবু দাউদ (হাদিস নম্বর: ১৫৩৭), ইবনু মাজাহ (হাদিস নম্বর: ৩৮৬৪) প্রতিদিন এই দোয়াগুল...

লাইলাতুল কদরে ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া

ছবি
  লাইলাতুল কদরে সবাই ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করুন। অবস্থা খুবই খারাপ। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের জন্য সহায় হোন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের জন্য সহায় হোন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের জন্য সহায় হোন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদেরকে সম্মানিত করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের মর্যাদা উন্নত করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের ভয় প্রশমিত করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের অসুস্থদের সুস্থ করে দিন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের আহতদের আরোগ্য দান করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের মৃতদের গ্রহণ করে নিন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের উপর আপনার রহমতের বারিধারা বর্ষণ করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদেরকে দৃঢ়তা দান করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট ...

গ্রেগরিয়ান বনাম হিজরি ক্যালেন্ডার

ছবি
  কখনো কি ভেবে দেখেছেন— প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ওফাত থেকে আজ পর্যন্ত কত বছর পার হয়ে গেল? গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, এটি ১,৩৯২ বছরের বেশি। কিন্তু জানেন? ইসলামিক (হিজরি) ক্যালেন্ডার অনুসারে এটি প্রায় ১,৪৩৫ চন্দ্র বছর। চলুন এই মজার পার্থক্যটি নিয়ে একটু গভীরে যাই এবং জেনে নেই কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ। গ্রেগরিয়ান বনাম হিজরি ক্যালেন্ডার: দুই ধরনের সময়ের গল্প গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার, যা আমরা সাধারণত ব্যবহার করি, একটি সৌর ক্যালেন্ডার। এটি পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে প্রতিটি বছর প্রায় ৩৬৫ দিনের। কিন্তু ইসলামিক (হিজরি) ক্যালেন্ডার সম্পূর্ণ আলাদা—এটি একটি চন্দ্র ক্যালেন্ডার, অর্থাৎ এটি চাঁদের চক্রের উপর ভিত্তি করে তৈরি। হিজরি ক্যালেন্ডারে প্রতিটি মাস প্রায় ২৯ বা ৩০ দিনের, এবং একটি পূর্ণ বছর প্রায় ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিনের। এটি সৌর বছরের চেয়ে ১০-১২ দিন ছোট! এই পার্থক্যের কারণে ইসলামিক মাস এবং উৎসব, যেমন রমজান বা ঈদ, প্রতি বছর গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে একটু আগে আগে আসে। এটি ইতিহাসকে হিজরি ক্যালেন্ডারে দেখার একটি অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি দেয়। প্রিয় নবীর ওফাত: একটি ঐতিহাস...

নিজের সর্বোত্তম রূপের দিকে যাত্রা শুরু করুন

ছবি
  রমজানকে বরণ করুন: নিজের সর্বোত্তম রূপের দিকে যাত্রা শুরু করুন -------------- * ------------------ * ----------------------- রমজানের আগমনী আভাস যতই ঘনিয়ে আসছে, বাতাসে এক ধরনের নীরব উচ্ছ্বাস অনুভূত হচ্ছে—অপেক্ষার একটি পবিত্র অনুভূতি, যা অন্য যেকোনো মাস থেকে আলাদা। চাঁদের সরু রেখা খুব শীঘ্রই আকাশে উদিত হবে যা করুণা, পরিবর্তন এবং অতুলনীয় সুযোগে পূর্ণ এক পবিত্র সময়ের সূচনা করবে। রমজান শুধু ক্যালেন্ডারের একটি মাস নয়; এটি আপনার জীবনের উদ্দেশ্যকে পুনরায় আবিষ্কার করার, আপনার আত্মাকে নবায়ন করার এবং আল্লাহ্ আপনাকে যেমন দেখতে চান, সেই সর্বোত্তম রূপের কাছাকাছি পৌঁছানোর এক ঐশ্বরিক আমন্ত্রণ। আপনি কি এই রমজানকে আপনার জীবনের সেরা রমজান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুত? এক নতুন পথচলার সূচনা আপনার অপেক্ষায় ----------------------------------------------- ভাবতে পারেন? প্রতিটি সকালে নিষ্পাপ একটি আমলনামা নিয়ে জেগে উঠছেন— অতীতের বড় বড় ভুলগুলো ছেড়ে এসে আপনি এমন এক মাসে প্রবেশ করছেন, যেখানে প্রতিটি ভালো কাজ অন্য মাসের তুলনায় বহুগুণে সমুজ্জ্বল হয়ে উঠবে। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছ...

আল্লাহ হলেন আল-গাফুর

ছবি
  আল্লাহর সুন্দর সুন্দর নামসমূহ যে গুণগুলো প্রকাশ করে আল্লাহ আমাদের কাছ থেকেও সেগুলো আশা করেন। কী বুঝাতে চাচ্ছি আমি? আরেকটু পরিষ্কার করে বলছি।  আল্লাহ হলেন আর-রহমান অর্থাৎ যিনি পরম দয়ালু। তাই তিনি আমাদের ভেতরেও রাহমা বা দয়া দেখতে চান। আল্লাহ হলেন আল-গাফুর অর্থাৎ যিনি ক্ষমা করেন। তাই তিনি চান আমরাও যেন অপর মানুষকে ক্ষমা করি। আল্লাহ হলেন আল-হাকিম মানে মহা প্রজ্ঞাবান। তাই তিনি চান আমরাও যেন প্রজ্ঞা খুঁজি। আল্লাহ হলেন আল-হাদী অর্থাৎ যিনি সঠিক পথ দেখান। তাই তিনি চান আমরাও যেন হেদায়েত খুঁজি, আল্লাহর রাস্তা খুঁজি। আল্লাহ হলেন আল-আলিম বা মহাজ্ঞানী। তাই তিনি চান আমরাও যেন জ্ঞান আহরণ করি। আল্লাহ হলেন আল-আদল অর্থাৎ ন্যায় বিচারক। তাই তিনি চান আমরাও যেন ন্যায় বিচার করি।  এখন আল্লাহ হলেন আল-গাফুর। অর্থাৎ যিনি ত্রুটি সমূহ ঢেকে রাখেন। তারমানে তিনি আমাদের কাছ থেকে কী আশা করেন? আমরাও যেন মানুষের দোষত্রুটি ঢেকে রাখি। আমার ব্যক্তিত্বের একটি গুণ হওয়া উচিত যে আমি মানুষের ভুল ত্রুটির কথা অন্যদের বলে বেড়াই না।  ঠিক যেমন আমার ব্যক্তিত্বের অংশ হওয়া উচিত আমি ন্যায় বিচারক, আমি ...

রমজান মাস শুধু ধার্মিক লোকদের মাস নয়

ছবি
  প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা, আজকের খুৎবাটা আমার নিজেকে এবং আপনাদের সবাইকে এ কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য যে, রমজান মাস শুধু ধার্মিক লোকদের মাস নয়, শুধু নেককার লোকদের মাস নয়, শুধু মুত্তাকী বা সালেহীনদের মাস নয়। এ মাসটি সকল মুসলিমের মাস, কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই। এটি এমন প্রত্যেকের মাস যে কালিমা পাঠ করে। এটি নেককারদের মাস এবং এটি তাদের জন্যও বিশেষ মাস যারা নেককার নয়। এটি যেমন আউলিয়া ও মুত্তাকীদের মাস, ঠিক তেমনি এটি পাপীদের জন্যও ক্ষমা পাওয়ার মাস। এটি এমন একটি মাস যা আল্লাহ্ প্রত্যেক মুসলিমকে উপহার দিয়েছেন, কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই। হে মুসলিম, যারা দ্বীন থেকে দূরে রয়েছেন, হে মুসলিম, যার হৃদয় অপরাধবোধে জর্জরিত যে, আপনি ইসলামের জীবনবিধান অনুসরণ করছেন না, আপনার বর্তমান জীবনযাত্রাকে রমজান মাস থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করবেন না। হে মুসলিম, বুঝে নিন যে রমজান আপনার, আমার এবং আমাদের সবার জন্য একটি উপহার, কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই। আমার একটি ঘটনার কথা মনে পড়ে গেলো, একবার আমি ইউরোপ ভ্রমণ করছিলাম। ইউরোপে এমন কিছু স্থান আছে–আপনারা জানেন হয়তো–যেখানে মুসলিমদের সংখ্যা অনেক বেশি। ...