Posts

Showing posts from November, 2019

দারিদ্র্য বিমোচনের কৌশল

Image
দারিদ্র্য বিমোচনের কৌশল শাহ্ আব্দুল হান্নান ইসলাম দারিদ্র্য বিমোচনে সক্ষম কি না, এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে ভাবতে গেলে এক দিকে মনে হয়-প্রশ্নটি সঠিক নয়। কেননা, ঐতিহাসিক বিচারে যদি আমরা দেখি, তাহলে দেখব, ইসলাম যখন বিস্তার লাভ করেছিল, তার খিলাফতের যখন প্রসার ঘটে, তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে পর্যায়ক্রমে সম্পূর্ণভাবে দারিদ্র্য উৎখাত হয়ে গিয়েছিল। ঐতিহাসিকভাবে দেখা গেছে, এমন সময় পার হয়েছে যখন জাকাত নেয়ার মতো কোনো লোক ছিল না। জাকাত নেয়ার লোক থাকে না কখন? যখন কোনো সমাজে দারিদ্র্য থাকে না। কিন্তু আজকের আধুনিক পাশ্চাত্য সমাজ কি এই দাবি করতে পারবে যে, এ সমাজে সাহায্য নেয়ার কেউ নেই? এর থেকে বুঝা যায়, ইসলামের ইতিহাস অনেক বেশি গৌরবোজ্জ্বল আর এই অর্থে শ্রেষ্ঠ যে, ইসলাম দারিদ্র্য দূর করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু এই দাবি পশ্চিমা বিশ্ব এখনো পুরোপুরিভাবে করতে পারবে না। এ প্রসঙ্গে বলতে হয়, ইসলামের লক্ষ্য হলো জনগণের কল্যাণ। ইসলামের শ্রেষ্ঠ আলেমরাও তাদের বইপুস্তকে এই কল্যাণের কথা বলেছেন। তাদের মধ্যে ইমাম গাজ্জালি, ইমাম শাতিবি, ইবনুল কাইয়ুমের কথা উল্লেখ করা যায়। মাকাসিদ আল-শরিয়াহ অর্থাৎ শরিয়াহর লক্ষ্য হচ্ছে

মেয়েদের জন্য ১0 টি হাদিস

Image
মেয়েদের জন্য ১0 টি হাদিস :- *দেবর মৃত্যু সমতুল্য। (মৃত্যু থেকে মানুষ যেভাবে পলায়ন বা সতর্কতা অবলম্বন করে এক্ষেত্রে তাই করতে হবে) (বুখারী শরীফ ৫২৩২, মুসলিম শরীফ ২১৭২, তিরমিযী শরীফ ১১৭১)  *কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে নির্জনে মিলিত হলে নিঃসন্দেহে তাদের তৃতীয়জন হয় শয়তান। (তিরমিযী শরীফ ১১৭১)  *তোমরা সেই মহিলাদের নিকট গমন করো না যাদের স্বামীরা বিদেশে আছে। কারণ, শয়তান তোমাদের রক্ত শিরায় প্রবাহিত হয়। (তিরমিযী শরীফ ১১৭২)  *রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদের বাহিরে দেখতে পান যে, নারীরা রাস্তায় পুরুষের সাথে মিশে গেছেন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের বলেন, তোমরা অপেক্ষা কর, কারণ, তোমাদের জন্য রাস্তার মাঝে হাটা উচিত নয়, তোমাদের জন্য হল রাস্তার পাশ। এ কথা শোনে নারী দেয়াল ঘেঁসে হাটা শুরু করে তখন দেখা গেল তাদের অনেকের কাপড় দেয়ালের সাথে মিশে যেত। (আবু দাউদ শরীফ ৫২৭২)   *কোন মহিলা যেন মাহরাম পুরুষ ছাড়া একাকিনী সফর না করে, তার নিকট যেন মাহরাম ছাড়া কোনো বেগানা পুরুষ প্রবেশ না করে, এ কথা শোনে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, হে রাসূলুল্লাহ সা

দুঃশ্চিন্তা ,অনুশোচনা

Image
অতীত নিয়ে তুমি যতই অনুশোচনা করো না কেনো, আর ভবিষ্যত নিয়ে তুমি যতই দুঃশ্চিন্তা করো না কেনো, তুমি তার কোনটাই পরিবর্তন করতে পারবে না। সুতরাং, সহজ-সাবলীলভাবে ও ধীর-স্থিরতার সাথে তুমি সামনের দিকে অগ্রসর হও, কারণ প্রত্যেকটা কাজের ফলাফল নির্ধারণ করেন আল্লাহ সুবহানাহু তাআ’লা। যা অন্য কোথাও যাবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, সেটা কোনদিন তোমার কাছে আসবে না। আর যা তোমার ভাগ্যে লিখা রয়েছে, সেটা থেকে তুমি কোনভাবেই পলায়ন করতে পারবে না। মনে রেখো, আল্লাহ যা করেন তা অবশ্যই অবশ্যই ভালোর জন্যই করেন। তবে সবসময় আমাদের সেটা ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু, যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তিনি অত্যন্ত কৌশলী ও বিজ্ঞ, আমাদের সেই মহান রব্বের কোন ইচ্ছা বা সিদ্ধান্তের ব্যপারে আপত্তি করা আসলে নিজের উপরেই জুলুম করা। সুতরাং, আল্লাহর সিদ্ধান্ত মেনে নাও, ধৈর্য্য ধারণ করো এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও, দেখবে একসময় যেটা তিক্ত মনে হয়েছিলো, সেটা মধুর মত মিষ্টি মনে হবে। ইনশাআল্লাহ।  রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তাআ’লা আসমান যমীন সৃষ্টি করার দিন একশটি রহমত সৃষ্টি করলেন। প্রতিটি রহমত আসমান ও যমীন

বিয়ের জন্য কেমন পাত্রী বাছাই করবেন

Image
বিয়ের জন্য কেমন পাত্রী বাছাই করবেনঃ 💙 (১) ঈমানঃ- বিবাহের জন্য সবার প্রথম পাত্র ও পাত্রী উভয়ের ঈমানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাওহীদে বিশ্বাসী, নামাযী এবং সুন্নতের অনুসারী এমন কারো জন্য বেনামাযী, কবর, মাযার, পীর পূজারী, মনপূজারী অথবা দুনিয়া পূজারী, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র বা প্রচলিত শিরকি-কুফুরীর রাজনীতির সাথে জড়িত এমন কাউকে বিয়ে করা যাবে না। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা ঈমান গ্রহণ করে। নিশ্চয়ই একজন মুসলমান ক্রীতদাসী, মুশরেক স্বাধীনা নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও (দুনিয়ার চাকচিক্য, সৌন্দর্য অথবা সম্পদের কারণে) তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেক পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত না সে ঈমান আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাস একজন স্বাধীন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। (সুরা বাক্বারাহঃ ২২১) (২) দ্বীনদারী বা ধার্মিকতাঃ- এই দুনিয়ার মাঝে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে একজন নেককার স্ত্রী। সম্পদ বা সৌন্দর্যের লোভে বেদ্বীন বা দ্বীনের মাঝে ত্রুটি আছে এমন কাউকে বিয়ে করলে দুনিয

আতিথেয়তা ও আপ্যায়ন করা সুন্নত

Image
আতিথেয়তা ও আপ্যায়ন করা সুন্নত শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী কোনো ব্যক্তি যখন কারও বাড়িতে উপস্থিত হন, তখন তিনি সেই বাড়ির মেহমান। আর যাঁর বাড়িতে মেহমান গেছেন, তিনি মেজবান বা মাহরাম। অতিথিকে সম্মান করা একজন মুসলমানের ইমানি কর্তব্য। মানবতার ধর্ম ইসলামে অতিথি আপ্যায়ন সওয়াবের কাজ বলে বিবেচিত। যেসব ভালো গুণের সম্মিলন একজন মানুষকে সামাজিকভাবে ভালো মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে, অতিথিপরায়ণতা এর অন্যতম। অতিথিপরায়ণতা ইসলামের অন্যতম একটি বিধানও বটে। এই গুণটির কারণে শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তৎকালীন সময়ে কাফের-মুশরিকদের কাছেও সমাদৃত ছিলেন। মেহমানদারি একটি মহৎ গুণ, যা আত্মীয়তার বন্ধনকে মজবুত করে, বন্ধুত্বকে করে সুদৃঢ় এবং সামাজিক সৌহার্দ্য সৃষ্টিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। আমাদের সব নবী ও রাসুল অতিথিপরায়ণ ছিলেন। মেহমানদারি ছিল আমাদের নবীজি (সা.)–এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। বিশেষত মুসলিম মিল্লাতের পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.) আতিথেয়তায় ছিলেন অনন্য ও অসাধারণ। তিনি দিনে অন্তত এক বেলা মেহমান ছাড়া আহার করতেন না। আল্লাহ তাআলা হজরত ইব্রাহিম (আ.)–এর কাছে পুত্র হজরত ইসহাক (আ.)–এর জন্মের সুসংবাদ ও তাঁর বংশে হজরত ই

ঈমানের ৭৭ টি শাখা

Image
ঈমানের ৭৭ টি শাখা: নবী করীম (সাঃ) ফরমাইয়াছেন, ঈমানের শাখা-প্রশাখা ৭০ এর চেয়ে বেশী, তন্মধ্যে প্রধান শাখা কালিমা ” লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”এর সবচেয়ে ছোট শাখা ,রাস্তা হতে কষ্টদায়ক বস্তু (ইট,পাটকেল,কাঁটা,নাপাক ইত্যাদি) সরিয়ে ফেলা। আর লজ্জাশীলতা ঈমানের একটি প্রধান শাখা (বুখারী ও মুসলিম)। ঈমানের আভিধানিক অর্থ নিরাপত্তা প্রদান করা,মুমিন অর্থ নিরাপত্তা প্রদানকারী। মু’মিন ঈমান এনে নিজেকে জাহান্নাম থেকে নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। শরীয়তের পরিভাষায় ঈমান বলা হয় ,নবী করিম (সাঃ) থেকে যে সব বিষয় অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে, সে সব বিষয় দিলের দ্বারা বিশ্বাস করা ও মান্য করা। দ্বীনের মূল হল ঈমান। এ ঈমানের ফযিলতের ওয়ায সর্বদাই চলছে। অথচ কিসে ঈমান আনতে হবে তা অনেকেরই জানা নেই,শুধু ফাযায়েলের বয়ানেই ঈমান পরিপূর্ণ হবে না। এ ঈমানের শাখা প্রশাখা কুরআন হাদীসের বিভিন্ন স্থানে চড়িয়ে রয়েছে। সীমাহীন চেষ্টার মাধ্যমে মুহাদ্দিছীনে কেরাম সেগুলো একত্রিত করেছেন। তাঁদের হিসেব মত এর শাখা প্রশাখার সংখ্যা ৭৭। ছহী হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, ঈমানের সমস্ত শাখাগুলো যার মধ্যে পাওয়া যাবে তিনিই পূর্ণ ঈমানদার হবেন।

পরিপূর্ণ পর্দা

Image
অনেক মুসলিম নারীই পরিপূর্ণ পর্দা না করার পেছনে একটি অজুহাত পেশ করে থাকেন। আর তা হলোঃ “আসলে আমি যাদের সাথে যে সমাজে চলাফেরা করি, সেখানে আমার বর্তমান ড্রেসআপ বাদ দিয়ে ইসলামিক পোশাক মেনে চলা সম্ভব না।” এই ধরনের অজুহাত মুলত শুধুমাত্র কিছু অধুনা মুসলিম নারীই দিয়ে থাকেন, তারা মূলত হাল ফ্যাশনের জালে বন্ধী। তাই হালফ্যাশনের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে তিনি শুধু মাথায় রংচঙা স্কার্ফ পড়েন; পরিপূর্ণ পর্দার ব্যাপারে মোটেও আন্তরিক নন। তাদের জন্য আমার পরামর্শ হচ্ছেঃ সম্মান ও মর্যাদা দেওয়ার মালিক আল্লাহ তা‘আলা। পোশাকের আভিজাত্য, হাল ফ্যাশনের সাথে তাল মিলিয়ে চলা এগুলো কারও সম্মান ও মর্যাদা নির্ধারণ করতে পারে না। কেবল আল্লাহ ও তাঁর বার্তাবাহক রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি পূর্ণ আনুগত্য এবং আল্লাহর শারী‘আহর বিধিবিধান মেনে পরিপূর্ণ পর্দার মাধ্যমেই নিজের আত্ম-মর্যাদা ও সম্মান নির্ধারিত হয়। শুনুন এ ব্যাপারে আল্লাহ কী বলছেনঃ “তোমাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি ধার্মিক, আল্লাহর কাছে সে-ই সবচেয়ে বেশি মর্যাদার অধিকারী।” (সূরা আল-হুজুরাত: ১৩) কাজেই সেই দিনকে ভয় করুন, যেদিন আজকের কথিত প্রগতিশ

শয়তানের ধোকাঃ

Image
শয়তানের ধোকাঃ শয়তান মানুষকে এমনভাবে আশ্বস্ত করে যে, তার জীবন অনেক দীর্ঘ এবং তার কাছে সৎকর্ম ও তওবা করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তাই সে যখন নামাজ পড়ার ইচ্ছা পোষণ করে শয়তান তাকে বলে, তুমি তো এখনও সেই ছোট রয়ে গেছ, যখন বড় হবে নামাজ পড়বে। এবং যখন আত্মশুদ্ধিকারী ব্যক্তি আত্মশুদ্ধি করতে চায় শয়তান তাকে বলে এটাতো তোমার প্রথম মওসুম; আগামী বৎসরের জন্যে তুমি অপেক্ষা কর। আর যখন কোন মানুষ কোরআন পড়তে চায় শয়তান তাকে বলে তুমি সন্ধ্যায় পড়বে। এবং সন্ধ্যা হলে বলে তুমি আগামীকাল পড়বে। এবং আগামীকাল বলে তুমি পরশু পড়বে, এভাবে মৃত্যু পর্যন্ত অপরাধকারী তার পাপের ওপর অবশিষ্ট থাকবে। আর এই প্রক্রিয়ায় শয়তান কিছু মানুষকে ইসলাম থেকে নিবৃত্ত করে রাখে। পোশাকের কারণে পুরুষেরা জাহান্নামে যাবেঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তিন প্রকার লোক এমন রয়েছে, যাদের সাথে আল্লাহ কথা বলবেন না, আর না কেয়ামতের দিন তাদের দিকে তাকাবেন, আর না তাদের পবিত্র করবেন বরং তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।” আমি (আবু হুরাইরা) বললাম, আল্লাহর রাসূল! তারা কারা? ওরা তো ক্ষতিগ্রস্ত! তিনি (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয

পুলসিরাত

Image
পুলসিরাত আপনি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তো? মৃত্যু আসার পূর্বেই সৎ কর্ম করে নিন। না হলে কিন্তু আফসোসের কোন সীমা থাকবে না...। কারণ এই সৎ কর্মের যে কি প্রয়োজন তা মৃত্যুর পর হারে হারে বুঝতে পারবেন, তাইতো মৃত্যু এসে যাওয়ার আগে যদি সৎ কর্ম না করেন, তবে সৎ কর্ম করার জন্য মৃত্যুর পর আবার দুনিয়ার ফিরে আসার জন্য আফসোস করবেন...। কিন্তু এই আফসোস শুধু আফসোসই থেকে যাবে, তার আর পূর্ণ হবে না...। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ "বলুন, তোমরা যে মৃত্যু থেকে পলায়নপর, সেই মৃত্যু অবশ্যই তোমাদের মুখামুখি হবে, অতঃপর তোমরা অদৃশ্য, দৃশ্যের জ্ঞানী আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন সেসব কর্ম, যা তোমরা করতে।" (সুরা জুমআঃ ৮) মহান আল্লাহ তায়ালা আরও বলেনঃ যখন তাদের কারও কাছে মৃত্যু আসে, তখন সে বলেঃ হে আমার পালণকর্তা! আমাকে পুনরায় (দুনিয়াতে) প্রেরণ করুন। যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি, যা আমি করিনি। কখনই নয়, এ তো তার একটি কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা আছে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত। (সুরা মুমিনুনঃ ৯৯-১০০) পুলসিরাত জাহান্নামের উপর রাখা একটি সেতু বা সাঁকো। এটা চুলের থেকেও চিক

ফেতনাহ থেকে সাবধান

Image
ছবি ফেতনাহ থেকে সাবধান! আধুনিক যুগের প্রায় সমস্ত ফকিহ বা মুফতিদের অভিমত হচ্ছে, প্রয়োজন ছাড়া ছবি তোলা জায়েজ নয়। আর সেলফি তোলা একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব এবং ইলমের দুর্বলতার পরিচায়ক। সেলফি তুলে নেটে প্রচার করা এক প্রকার মানসিক অসুস্থতা। আপনারা টিভি এবং ইন্টারনেট জনপ্রিয় অনেক ইসলামিক বক্তা ও লেখকদের ছবি তোলার বদ অভ্যাস দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। তারা তাদের হিসাব দেবে, আপনি আপনার হিসাব দেবেন। সুতরাং, আল্লাহকে ভয় করুন এবং নিষিদ্ধ ও আল্লাহ অপছন্দ করেন এমন বেহুদা কথা ও কাজ মানুষের মাঝে প্রচার করা থেকে বিরত থাকুন। একশ্রেণীর দাড়ি টুপি পড়া মানুষেরা ফাসেক মডেলদের মতো বনে জংগলে গিয়ে উদাসীন ভংগিতে ছবি তুলে নেটে প্রচার করে। আর অনেক লজ্জাহীন, বেপর্দা নারীরা পর পুরুষদের মনোরঞ্জনের জন্য ছবি আপলোড করে। এদের অন্তরে মানুষের মাঝে নিজেকে প্রচার করার মোহ ঢুকে গেছে, যা দুনিয়ার দিকে আকৃষ্ট করে। আপনি ভালো খাবার খাচ্ছেন, সুন্দর জায়গায় যাচ্ছেন ভালো কথা, আল্লাহ শুকরিয়া আদায় করুন। কিন্তু এই সমস্ত বেহুদা কথা মানুষের মাঝে প্রচার করে অন্যদের বিরক্ত করছেন কেনো? আপনি কি করছেন না করছেন, এটা জেনে আমার কি লা

জাহান্নামীদের করুণ অবস্থার সামান্য বিবরণ

Image
❑ জাহান্নামীদের করুণ অবস্থার সামান্য বিবরণ। জাহান্নামীদেরকে যখন জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ঘিরে ধরবে তখন তারা জাহান্নাম থেকে বের হয়ে পুনরায় দুনিয়ায় এসে সৎ কাজ করার জন্য আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করবে। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ ‘সেখানে তারা আর্তনাদ করে বলবে, ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করে দিন, আমরা পূর্বে যে (খারাপ) কাজ করতাম, তার পরিবর্তে আমরা ভাল কাজ করব। (আল্লাহ বলবেন) আমি কি তোমাদেরকে এতটা বয়স দেইনি যে, তখন কেউ শিক্ষা গ্রহণ করতে চাইলে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারত? আর তোমাদের নিকট তো সতর্ককারী এসেছিল। কাজেই তোমরা শাস্তি আস্বাদন কর, আর যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই’। (সূরা ফাতিরঃ ৩৭) অর্থাৎ আল্লাহ জাহান্নামীদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করবেন এবং তাদের আর কখনোই ক্ষমা করবেন না। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ ‘জাহান্নামীরা বলবে, ‘হে আমাদের রব, দুর্ভাগ্য আমাদের পেয়ে বসেছিল, আর আমরা ছিলাম পথভ্রষ্ট। হে আমাদের রব, জাহান্নাম থেকে আমাদেরকে বের করে দিন, তারপর যদি আমরা ফিরে যাই তবে অবশ্যই আমরা হব যালিম।’ আল্লাহ বলবেন, ‘তোমরা ধিকৃত অবস্থায় এখানেই থাক, আর আমার সাথে কথা বল না।’ (সূরা মু’মিনুনঃ ১০৬-১০৮) ❑ জাহান্নামী

হাশরের মাঠের কঠিন ভয়াবহতা

Image
হাশরের মাঠের কঠিন ভয়াবহতা দুনিয়াতে আমরা এসেছি পরীক্ষা দিতে —এটা হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় বাস্তবতা। নাটক, সিনেমা, খেলা, হিন্দি সিরিয়াল, মিউজিক, ভিডিও গেম, রংবেরঙের পানীয়, হাজারো বিনোদন সবসময় আমাদেরকে চেষ্টা করে এই বাস্তবতাকে ভুলিয়ে দিতে। আমরা নিজেদেরকে প্রতিদিন নানা ধরনের বিনোদনে নিবিষ্ট করে রেখে জীবনের কষ্ট ভুলে থাকার চেষ্টা করি। আমারা বিনোদনে যতই গা ভাসানোর চেষ্টা করি, ততই বিনোদনের প্রতি আসক্ত হয়ে যাই। যতক্ষণ বিনোদনে ডুবে থাকি, ততক্ষণ জীবনটা আনন্দময় মনে হয়। তারপর বিনোদন শেষ হয়ে গেলেই অবসাদ, বিরক্তি, একঘেয়েমি আমাদেরকে ঘিরে ধরে। আর এভাবেই ধীরে ধীরে একসময় আমরা জীবনের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠি। “কেন আমার নেই, কিন্তু ওর আছে?” “কেন আমারই বেলায় এরকম হয়, অন্যের কেন এরকম হয় না?” —এই সব অসুস্থ প্রশ্ন করে আমরা আমাদের মানসিক অশান্তিকে আরও জ্বালানী যোগান দেই। এই অশান্তির মূল কারণ হলো: আমরা যে এই জীবনে শুধু পরীক্ষা দিতে এসেছি, আমাদের এই পরিক্ষার জীবনের পরেও যে একটা কঠিন হিসাব নিকাশের দিন রয়েছে —এই কঠিন বাস্তবতাটাকেই আমরা ভুলে যাই। হাশরের মাঠের কঠিন ভয়াবহতা, যা মৃত্যু এবং

মৃত্যুর ফেরেশতারা যখন কোন মানুষের আত্মা কবজ করেন

Image
মৃত্যুর ফেরেশতারা যখন কোন মানুষের আত্মা কবজ করেন মৃত্যুর ফেরেশতারা যখন কোন মানুষের আত্মা কবজ করেন, তখন ফেরেশতাদের চেহারা, কথা ও আচরণ দ্বারাই একজন মানুষ বুঝতে পারে, দুনিয়াতে সে যেই আমল করেছে, কবরে তার জন্যে কি প্রতিদান অপেক্ষা করছে। আল্লাহর প্রতি সঠিক ঈমান এনে, আল্লাহকে ভয় করে ও ভালোবেসে তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে যে ব্যক্তি দুনিয়াতে নেক জীবন অতিবাহিত করে, মৃত্যুর সময়ই ফেরেশতারা কবরে ও আখেরাতের জীবনে তার জন্যে আল্লাহ যে সুখের জীবন প্রস্তুত করে রেখেছেন, সেই সুসংবাদ শোনাতে থাকে। যেকারণে কোন নেককার ব্যক্তির জানাযা শেষে যখন তার লাশ কাঁধে বহন করে কবরের দিকে নেওয়া হয়, সেই মৃত নেককার ব্যক্তিটি তখন বলতে থাকে, “তোমরা আমাকে দ্রুত (কবরের দিকে) নিয়ে চলো, আমাকে তোমরা দ্রুত নিয়ে চলো।” পক্ষান্তরে, কোন পাপী ব্যক্তির মৃত্যুর সময়ই দুনিয়াতে তার কৃত খারাপ কাজের শাস্তি শুরু হয়ে যায়। আর ফেরেশতারা কবরে ও আখেরাতের জীবনে তার জন্যে আল্লাহ যে কঠিন শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন, সেই দুঃসংবাদ শোনাতে থাকে। যেকারণে কোন পাপী ব্যক্তির জানাযা শেষে যখন তার লাশ কাঁধে বহন করে কবরের দিকে নেওয়া হয়, সেই মৃত পাপী ব

কালিমা আসলে কয়টি এবং কি কি

Image
কালিমা আসলে কয়টি এবং কি কি? জেনে নিন, কালিমা আসলে কয়টি এবং কি কি? ‘কালিমা’ শব্দের অর্থ হচ্ছে কথা বা বাক্য। ক্বুরআন ও হাদীসে বর্ণিত ইসলামের মূল শিক্ষা সম্বলিত কতগুলো শব্দের সমন্বয়ে ছোট ছোট বাক্য, যা মুসলিমরা বিভিন্ন সময়ে বারবার পড়ে থাকে, সেইগুলোকে কালিমা বলা হয়। ক্বুরআন ও হাদীসে বর্ণিত কিছু কালিমা বর্ণনা করা হলো। উল্লেখ্য এই কালিমাগুলো কখন কিভাবে পড়তে হয় সেইগুলো আমি আমার বিভিন্ন লেখাতে উল্লেখ করেছি, একারণে সেইগুলো উল্লেখ করে লেখাটাকে বড় করিনি। আপনারা ‘হিসনুল মুসলিম’ বই থেকে বিভিন্ন দুয়া কখন, কিভাবে পড়তে হয়, তা সুন্দরভাবে জানতে পারেবন। ইনশাআল্লাহ। (১) কালিমা তাইয়্যিবাঃ তাইয়্যিবা অর্থ পবিত্র। ‘কালিমা তাইয়্যিবা’ হচ্ছে ইসলামের সবচাইতে বড় শিক্ষা এবং ঈমানের সবচাইতে বড় দাবী। «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ». উচ্চারণঃ লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ। অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সত্যিকারের ইলাহ (উপাস্য) নেই। যদিও আমাদের দেশের মানুষ কালিমা তাইয়্যিবা বলতে জানে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”। কিন্তু ক্বুরআন বা হাদীসে একে কালিমা তাইয়্যিবা বলা হয়নি। আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “(হে

পরহেজগার একজন ব্যক্তি

Image
পরহেজগার একজন ব্যক্তি ইরাকের কুফা শহরে একজন যুবক সাধক বাস করতেন। আকার-আকৃতিতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সুদর্শন একজন যুবক এবং স্বভাব চরিত্রও ছিল তার অত্যন্ত সুন্দর। আর তিনি ছিলেন অত্যন্ত পরহেজগার একজন ব্যক্তি। ঐ শহরেই বাস করতো একজন রূপবতী, সুন্দরী এবং জ্ঞানবতী নারী। সে একদিন ঐ যুবককে দেখেই তার প্রেমে পড়ে যায়। এভাবে মেয়েটি কিছুকাল চুপ থাকে। অবশেষে ধৈর্যধারণ করতে না পেরে একদিন মেয়েটি সেই যুবকের রাস্তায় গিয়ে দাঁড়ায়। তার উদ্দেশ্য ছিল, যুবকটির পেছনে পেছনে গিয়ে তার বাড়িটি চিনে নেওয়া। কিন্তু যুবকটি সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে যখন মেয়েটির কাছাকাছি এলো, তখন মেয়েটি ছেলেটির সৌন্দর্য দেখে চুপ থাকার ধৈর্য হারিয়ে ফেললো। মেয়েটি বলে উঠল, ওহে যুবক! আমি তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই, শোনার পর তোমার যা ইচ্ছা হয় করো। কিন্তু যুবকটি মেয়েটির সাথে কোন কথা না বলে চলে গেল। এরপর পুনরায় একদিন মেয়েটি সেই যুবকের পথে গিয়ে তার মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়ে বলে উঠল, ওহে যুবক! আমি তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই, দয়াকরে শোণ। যুবকটি তখন তার মাথা নিচু করে নিয়ে বললঃ এটা হল অপবাদের জায়গা। আমি অপবাদের পাত্র হতে ভয় পা

সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত অধিক ফজিলতপূর্ণ কিছু সুরা ও আয়াত

Image
সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত অধিক ফজিলতপূর্ণ কিছু সুরা ও আয়াতঃ ১। সুরা ইখলাসের ফজিলতঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেন যে ব্যক্তি ‘কুল হুঅল্লা-হু আহাদ’(অর্থাৎ সূরা ইখলাস) ১০ বার পাঠ করবে, আল্লাহ্‌ সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতে এক মহল নির্মাণ করবেন।(মুসনাদে আহমদ, সিলসিলাহ সহিহাহ, সহিহ আল জামে আস-সগির ৬৪৭২) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার সাহাবাগনকে বললেন, ‘তোমরা কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে অপারগ?’ প্রস্তাবটি তাদের পক্ষে ভারী মনে হল। তাই তারা বলে উঠলেন ‘হে আল্লাহর রাসূল! এ কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে?’ ( অর্থাৎ কেও পারবে না।) তিনি বললেন, “সূরা ইখলাস কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য”। (অর্থাৎ, এই সূরা পড়লে এক তৃতীয়াংশের কুরআন পড়ার সমান নেকী অর্জিত হয়।) (সহীহুল বুখারি ৫০১৫) #সুরা ইখলাস ৩বার পড়লে পুরো কুরআন খতমের সওয়াব হয়। সুতরাং যত খুশী পড়ুন, চাইলেই প্রতিদিন শত শতবার(আপনার পক্ষে যতটা সম্ভব) কুরআন খতমের সওয়াব পেতে পারেন এভাবে—তবে এটা হচ্ছে অল্প কাজে বেশি প্রতিদান যেমন আমরা লাইলাতুল কদরের ১ রাতে হাজার রাতের চেয়েও বেশি প্রতিদান পেয়ে থাকি এমন কিন্ত তাই বলে পুরো কুরআন পড়া যেন থেমে না থাকে,