Posts

Showing posts from November, 2022

সূরা কুরাইশ নিয়ে কিছু কথা

Image
  সূরা কুরাইশ নিয়ে কিছু কথা - নোমান আলী খান সবাইকে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সুরাতুল কুরাইশ নিয়ে কিছু কথা। সূরা ফিলের পরপরই এই সূরা শুরু হয়। সুরাটি সহজে দুভাবে বিভক্ত করা যায়। খুবই ছোট সূরা এটি। কিন্তু আপনি একে দুভাগে দেখতে পারেন। প্রথম ভাগে আছেঃ আল্লাহ তৎকালীন কুরাইশদের জন্য কি কি করেছিলেন। তিনি কুরাইশদের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য কিছু নির্দিষ্ট জিনিস করেছেন। আর তিনি কী করেছেন? তিনি তাদের জন্য এমন ব্যবস্থা করে দিয়েছেন যে তারা শীত বা গ্রীষ্মে সবচাইতে সুবিধাজনক সময়ে সফর করতে পারে, অন্যান্য গোত্রের কাছ থেকে কোনরকম ছিনতাই বা ডাকাতির ভয় ছাড়াই। অথচ সে গোত্রগুলো পরিচিতই ছিল ছিনতাই আর ডাকাতির জন্য। কেন? কারণ তারা এই ঘরের জিম্মাদার। তাই আল্লাহ জিজ্ঞেস করছেন, আমি তোমাদের এতো সুযোগ সুবিধা কেন দিলাম? কেন আমি তোমাদেরকে হাতি বাহিনী থেকে রক্ষা করলাম? আগের সূরাতে আছে। কোন কারণে? এর বদলে তোমাদের কি দেয়া উচিত? فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هٰذَا الْبَيْتِ তাদের উচিত এই ঘরের রবের ইবাদত করা। তাদের উচিত এই ঘরের রবের ইবাদতে মগ্ন হয়ে যাওয়া। “তাদের আল্লাহ্‌র ইবাদত করা উচিত” – বলার বদলে তি

পরিপূর্ণ পর্দা না করা

Image
  অনেক মুসলিম নারীই পরিপূর্ণ পর্দা না করার পেছনে একটি অজুহাত পেশ করে থাকেন। আর তা হলোঃ “আসলে আমি যাদের সাথে যে সমাজে চলাফেরা করি, সেখানে আমার বর্তমান ড্রেসআপ বাদ দিয়ে ইসলামিক পোশাক মেনে চলা সম্ভব না।” এই ধরনের অজুহাত মুলত শুধুমাত্র কিছু অধুনা মুসলিম নারীই দিয়ে থাকেন, তারা মূলত হাল ফ্যাশনের জালে বন্ধী। তাই হালফ্যাশনের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে তিনি শুধু মাথায় রংচঙা স্কার্ফ পড়েন; পরিপূর্ণ পর্দার ব্যাপারে মোটেও আন্তরিক নন। তাদের জন্য আমার পরামর্শ হচ্ছেঃ সম্মান ও মর্যাদা দেওয়ার মালিক আল্লাহ তা‘আলা। পোশাকের আভিজাত্য, হাল ফ্যাশনের সাথে তাল মিলিয়ে চলা এগুলো কারও সম্মান ও মর্যাদা নির্ধারণ করতে পারে না। কেবল আল্লাহ ও তাঁর বার্তাবাহক রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি পূর্ণ আনুগত্য এবং আল্লাহর শারী‘আহর বিধিবিধান মেনে পরিপূর্ণ পর্দার মাধ্যমেই নিজের আত্ম-মর্যাদা ও সম্মান নির্ধারিত হয়। শুনুন এ ব্যাপারে আল্লাহ কী বলছেনঃ “তোমাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি ধার্মিক, আল্লাহর কাছে সে-ই সবচেয়ে বেশি মর্যাদার অধিকারী।” (সূরা আল-হুজুরাত: ১৩) কাজেই সেই দিনকে ভয় করুন, যেদিন আজকের কথিত প্রগতিশীল

দু'টি চূড়ান্ত পরিণতির তুলনামূলক বর্ণনা

Image
  দু'টি চূড়ান্ত পরিণতির তুলনামূলক বর্ণনা ------------------------ * -------- “জান্নাতের মাটি আর জমীন হচ্ছে জাফরান আর কস্তুরীর। এর ছাদ হচ্ছে আল্লাহর আসন। শিলাখণ্ডগুলো মণিমুক্তোর। দালানগুলো সোনারূপায় তৈরি। গাছের শাখা-প্রশাখাগুলো সোনারূপার। ফলগুলো মাখনের চেয়ে নরম, মধুর চেয়ে মধুর। পাতাগুলো সবচেয়ে কোমল কাপড়ের চেয়েও কোমল। কিছু নদী দুধের। যার স্বাদ কখনো বদলায় না। কিছু শরাবের। যারা পান করবে তাদের তৃপ্তি মিটবে। কিছু নদী পবিত্র মধুর। কিছু নদী সতেজ পানির। যে-ফলমূল তারা চাইবে তা-ই তাদের খাবার। যে-পাখির গোশত তারা খেতে চাইবে তা-ই পাবে। তাদের পানীয় হচ্ছে তাসনীম, সজীবতা উদ্দীপক ও কাাফূর। তাদের পেয়ালাগুলো স্বচ্ছ, সোনারূপার তৈরি। এর ছায়া এত বড় যে, দ্রুতগতির কোনো অশ্বারোহী এক শ বছর ধরে চললেও সেই ছায়া থেকে বের হতে পারবে না। এর বিশালতা এত বেশি যে, জান্নাতের সবচেয়ে নিচু অবস্থানে যে থাকবে তার রাজত্বে যেসব দেওয়াল, ভবন আর বাগান থাকবে সেগুলো পার করতে হাজার বছর লেগে যাবে। এর তাঁবু আর শিবিরগুলো যেন লুকোনো মুক্তো। একেকটা প্রায় ষাট মাইল লম্বা। এর ভবনগুলোতে রুমের উপর রুম। তাদের নিচ দিয়ে নদী বয়ে যায়। এগুলোর উচ্

ধৈর্যের পুরস্কার জান্নাত

Image
  ধৈর্যের পুরস্কার জান্নাত — ড. ইয়াসির ক্বাদী আল্লাহ তাঁর ক্ষমা, জান্নাত এবং জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা পাওয়াকে ধৈর্য ধারণ করার সাথে যুক্ত করেছেন। আমি আবারো বলছি, আল্লাহ তাঁর ক্ষমাকে ধৈর্যের সাথে যুক্ত করেছেন। আল্লাহ কুরআনে বলেন- اِلَّا الَّذِیۡنَ صَبَرُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ؕ اُولٰٓئِکَ لَهُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ وَّ اَجۡرٌ کَبِیۡرٌ - "তবে যারা সবর করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যই রয়েছে ক্ষমা ও মহা প্রতিদান।" (১১:১১) তাহলে আল্লাহর ক্ষমা ধৈর্যের সাথে সম্বন্ধযুক্ত। জান্নাতে প্রবেশ এবং জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা পাওয়াকেও ধৈর্য ধারণের সাথে সম্পর্কযুক্ত করা হয়েছে। আল্লাহ কুরআনে বলেন, جَنّٰتُ عَدۡنٍ یَّدۡخُلُوۡنَهَا وَ مَنۡ صَلَحَ مِنۡ اٰبَآئِهِمۡ وَ اَزۡوَاجِهِمۡ وَ ذُرِّیّٰتِهِمۡ وَ الۡمَلٰٓئِکَۃُ یَدۡخُلُوۡنَ عَلَیۡهِمۡ مِّنۡ کُلِّ بَابٍ ﴿ۚ۲۳ - "স্থায়ী জান্নাতসমূহ, যাতে তারা এবং তাদের পিতৃপুরুষগণ, তাদের স্ত্রীগণ ও তাদের সন্তানদের মধ্যে যারা সৎ ছিল তারা প্রবেশ করবে। আর ফেরেশতারা প্রতিটি দরজা দিয়ে তাদের নিকট প্রবেশ করবে।" سَلٰمٌ عَلَیۡکُمۡ بِمَا صَبَرۡتُمۡ فَنِعۡمَ عُقۡ

আল্লাহর ক্ষমা থেকে নিরাশ হবেন না

Image
  কথাগুলো সবসময় মনে রাখুন। কখনোই আল্লাহর ক্ষমা থেকে নিরাশ হবেন না। কারণ, আল্লাহর ক্ষমা ছাড়া আমাদের যে আর কোন উপায় নেই। তিনি ছাড়া আমাদের পাপগুলো আর কে ক্ষমা করবে? কোথায় যাব আমরা? --------------------- * ------------------- আল্লাহ পাপ পছন্দ করেন না, কিন্তু পাপ করার পর ধার্মিকদের অন্তর থেকে যে অনুশোচনা আসে আল্লাহ তা পছন্দ করেন। তাই, পাপ করার ইচ্ছে করবেন না। কিন্তু, যখন পাপ হয়ে যায়, একবার যখন তা আপনার অতীত হয়ে যায়— এই পাপের অনুশোচনাকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার দিকে প্রত্যাবর্তন করুন। প্রিয় মুসলিম, আল্লাহ যদি আমাদের নিষ্পাপ করে সৃষ্টি করতে চাইতেন তবে আমরা মানুষ হতাম না, আমরা ফেরেশতা হতাম। কিন্তু, আমরা মানুষ। মোটের উপর, প্রকৃতিগত ভাবেই আমরা পাপ প্রবণ। তাই বলে পাপকে আলিঙ্গন করবেন না। সবসময় এর বিরুদ্ধে লড়াই করুন। সবসময় সেগুলো নিয়ে অনুতাপ অনুভব করুন। কিন্তু, কখনোই আল্লাহর দয়ার প্রতি আশা ছেড়ে দিবেন না। সর্বদা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার দিকে ফিরে আসুন। জীবনে যাই করেন না কেন, যত বেশি বার করেন না কেন, এমন কি যদি আপনার অভ্যাসগত কোনো পাপও থেকে থাকে— নিজেকে মূল্যহীন এবং অপদার

আল্লাহর সাথে সময় কাটানো

Image
  আমরা কুরআন এবং হাদিস থেকে শিখেছি যে প্রচুর মানুষ জাহান্নামে যাবে, অগণিত অসংখ্য মানুষ। জাহান্নামে বেশি মানুষ থাকবে জান্নাতের চেয়েও। বস্তুত, অধিকাংশ মানুষ জাহান্নামে যাবে। কুরআন এবং সুন্নায় এটা উল্লেখ করা হয়েছে। সূরা সাবার ২০ নাম্বার আয়াতে এসেছে- وَ لَقَدۡ صَدَّقَ عَلَیۡهِمۡ اِبۡلِیۡسُ ظَنَّهٗ فَاتَّبَعُوۡهُ اِلَّا فَرِیۡقًا مِّنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ-”তাদের ব্যাপারে ইবলীস তার ধারণা সত্য প্রমাণিত করল (যে ধারণা ইবলীস আল্লাহর নিকট ব্যক্ত করেছিল যে, অল্প সংখ্যক ব্যতীত সে মানুষদেরকে নিজের বশীভূত করে ছাড়বে)। ফলে মু’মিনদের একটি দল ছাড়া তারা সবাই তার অনুসরণ করল।” আল্লাহ এখানে বলছেন মানব জাতি সম্পর্কে ইবলিশের অনুমান সত্য প্রমাণিত হলো। মানব জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ইবলিশকে অনুসরণ করল। শুধু ছোট একদল ঈমানদার ছাড়া। ইবলিশের অনুসরণটাই মানব জাতির ডিফল্ট অবস্থা। মানব জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এই জীবনের চেয়েও বড় একটি লক্ষ্যে কাজ করতে আগ্রহী নয়। বেশির ভাগ মানুষ পশুসুলভ জীবন যাপন করতে পেরেই সন্তুষ্ট। যখন একজন মানুষ পশুর মত জীবন যাপন করে, তখন সে মানুষ একটি পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। কারণ, পশুর তো একটি অজুহাত আছে যে সে

মানব জাতির জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ গুণ আল্লাহর ইবাদাত

Image
  সবসময় মনে রাখুন, কুরআন এসেছে মানুষকে আল্লাহর ইবাদাত করা শেখাতে। মানব জাতির জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ গুণ হলো আল্লাহর ইবাদাত করা। কোনো মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ প্রশংসা হলো সে আল্লাহর একজন ইবাদতকারী। এ জন্য কুরআন রাসূলুল্লাহ (স) এর প্রশংসা করার সময় তাঁকে দাস হিসেবে উল্লেখ করে। اَرَءَیۡتَ الَّذِیۡ یَنۡهٰی - عَبۡدًا اِذَا صَلّٰی - "তুমি কি তাকে (অর্থাৎ আবূ জাহলকে) দেখেছ যে নিষেধ করে, এক দাসকে [অর্থাৎ রসূলুল্লাহ (সা.)-কে] যখন সে নামায আদায় করতে থাকে?" (৯৬:৯-১০) سُبۡحٰنَ الَّذِیۡۤ اَسۡرٰی بِعَبۡدِهٖ لَیۡلًا مِّنَ الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ اِلَی الۡمَسۡجِدِ الۡاَقۡصَا - "পবিত্র ও মহীয়ান তিনি যিনি তাঁর বান্দাহকে রাতের বেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মাসজিদুল হারাম থেকে মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত..." (১৭:০১) তো, 'আব্দ' অর্থাৎ বান্দাহ বা দাস হলো কোনো মানুষের শ্রেষ্ঠ প্রশংসা। রাসূলুল্লাহ (স) এর জন্যেও শ্রেষ্ঠ প্রশংসা ছিল তাঁকে আল্লাহর দাস বলা। আমাদের সময়ে এসে আমরা মানুষের জন্য বহু গুণ আবিষ্কার করে ফেলেছি। কোনো ব্যক্তি যদি অমুক অমুক ডিগ্রী অর্জন করে, অমুক চাকরি করে, অমুক পেশায় যোগ দান করে, অনেক

সুস্থ হৃদয়

Image
  সুস্থ হৃদয় —নোমান আলী খান হৃদয়ের জন্য দুটো প্রতিশব্দ আছে, বলুন তো সেগুলো কি কি? ক্বালব আর ফুআদ। ক্বালব হলো হৃদয়ের সাধারণ প্রতিশব্দ। ফুয়াদ ব্যবহৃত হয় যখন…? যখন কোনো ধরণের উত্তেজিত কিংবা আবেগপ্রবণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। আপনারা কি জানেন কুরআনে খুবই সুন্দরভাবে আল্লাহ এই ব্যাপারগুলোর হিসেব রাখেন। তাই আপনারা সুরাতুল ক্বাসাসে দেখবেন এই একই জিনিসের জন্য দুটো শব্দ একইসাথে ব্যবহৃত হয়েছে। আল্লাহ বলেন- وَ اَصۡبَحَ فُؤَادُ اُمِّ مُوۡسٰی فٰرِغًا ؕ اِنۡ کَادَتۡ لَتُبۡدِیۡ بِهٖ لَوۡ لَاۤ اَنۡ رَّبَطۡنَا عَلٰی قَلۡبِهَا لِتَکُوۡنَ مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ (২৮:১০) মূসা (আ) এর মায়ের হৃদয় উড়েই যাচ্ছিল, ধড়ফড় করছিল, খালি হয়ে গেলো। কারণ তিনি তার বাচ্চাকে একটি বক্সে বন্দী করে মাত্রই পানিতে ভাসিয়ে দিলেন। এখন বাচ্চাটি এতো দূরে চলে গেছে যে তিনি আর দেখতে পাচ্ছেন না। তাই তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেন। একই সময়ে তার ভয়, তার দুঃখ, তার কষ্ট, ধকল, প্রচণ্ড আবেগ-অনুভূতির ব্যাপ্তি এতোই প্রকট ছিল যে তার হৃদয়কে শুধু ক্বালব বলা হয়নি, বরং কী বলা হয়েছে? ফুয়াদ। কারণ তা সম্পূর্ণরূপে অভিভূত হয়ে গিয়েছিল, পুড়ে যাচ্ছিল! তারপর

জ্যোতীষীদের কাছে গিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করার পরিণাম

Image
  ❖ গণক বা জ্যোতীষীদের কাছে গিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করার পরিণাম কোনটি? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি হবেঃ ৪০ দিনের নামায কবূল হবে না। এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির নামাজ তাদের কান অতিক্রম করে না- >> পলাতক ক্রীতদাস; যতক্ষণ না সে ফিরে আসে। >>এমন স্ত্রী; যার স্বামী তার উপর রাগ অবস্থায় রাত কাটিয়েছে। এবং >> ওই ইমাম; যাকে লোকে অপছন্দ করে।’ (তিরমিজি) >> গনককে হাত দেখালেঃ নিজের জীবনের ভালো-মন্দ জানার আগ্রহ নিয়ে কোনো গনককে হাত দেখালেও ওই ব্যক্তির ৪০ দিনের নামাজ কবুল হয় না। আর যদি গনের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে তবে ওই ব্যক্তি ঈমানহীন হয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে- - রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গণকের কাছে গিয়ে কোনো (ভূত কিংবা ভবিষ্যৎ ভালো-মন্দ বা অদৃশ্য) বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তবে ওই ব্যক্তির ৪০ দিনের নামাজ কবুল হয় না।’ (মুসলিম) - রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গণক বা জ্যোতিষীর কাছে গিয়ে তার দেয়া তথ্যকে সত্য মনে (বিশ্বাস) করলো, ওই ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু

যখন কুরআন পড়বেন.....

Image
  যখন কুরআন পড়বেন এ দৃষ্টিতে পড়ুন যে, এ কিতাবটি আপনার সৃষ্টিকর্তার, এটি ইন্সট্রাকশনের (নির্দেশাবলীর) বই, হেদায়েতের বই এবং যে বইটি আপনার নিজস্ব প্রকৃতিকে প্রস্ফুটিত করে, বার বার স্মরণ করিয়ে দেয়ার বই। এ কিতাবটি এসেছে আপনাকে মনে করিয়ে দিতে। পড়া শুরু করার আগে গভীরভাবে উপলব্ধি করুন, এই কিতাবটি আমার রবের কিতাব। যিনি আমাকে তৈরী করেছেন এটি তাঁর বই। যিনি আমার প্রতি সর্বাধিক আন্তরিক। তিনি সত্যিই আমাকে পথ দেখাতে চান। তিনি আমাকে ভালোবাসেন। তিনি আমার প্রতি মাত্রাতিরিক্ত দয়ালু। এ কথাগুলো মনে করে যদি কুরআন পড়তে যান, পড়া শুরু করার আগেই আপনার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়বে। আবু হুরাইরা (রা) কখনো কখনো কুরআন পড়ার পূর্বে অজ্ঞান হয়ে যেতেন। "হাজা কিতাবু রাব্বি" এটি আমার প্রভুর কিতাব!! তিনি আমার জন্য এটি পাঠিয়েছেন!! শুধু চিন্তা করে দেখুন, মহাকাশ থেকে পাঠানো ফ্রেশ একটি কিতাব। মুসলমানদের আসলে বড়ই কৃতজ্ঞ হওয়া উচতি এটা ভেবে যে, মহাকাশ থেকে পাঠানো একেবারে ফ্রেশ কিছু জিনিস তাদের আছে। আর তা হলো- আল্লাহর কিতাব কুরআন এবং আল্লাহর ঘর কা'বা, এর ফাউন্ডেশন। এগুলো মানুষের প্রতি আল্লাহর বড়ই করুণা। এই কিতা

শয়তান আল্লাহর নিকট কি যুক্তি দেখায় ?

Image
  শয়তান আল্লাহর নিকট যুক্তি দেখায়- “আমাকে বানিয়েছেন আগুন থেকে, আর আদমকে বানিয়েছেন মাটি থেকে।” তাই, আমি সেজদা করতে পারবো না। কিছু আলেম এই ভাষার ব্যবহারে দারুণ আগ্রহী হয়েছিলেন! আগুন আর মাটি। তাঁরা এ নিয়ে প্রচুর চিন্তা ভাবনা করেন। সেখান থেকে কিছু কথা নিম্নে তুলে ধরছি। সে আমাদের ব্যাপারে বলছে, আমরা কাদামাটির। ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ন। কারণ, যদি আপনি কাদামাটি নিয়ে আগুনে ফেলেন তাহলে তার কী হয়? আগুন নিভে যায়। কিন্তু আপনি যদি আগুন নিয়ে কাদামাটিতে দেন, তবে আপনি আসলে সেটাকে ছাঁচে ফেলে তাকে মাটির শিল্প বানাতে পারেন। তাই না? মাটি অদম্য। এতে আগুন ধরবে না ঠিক, কিন্তু তা শক্ত হলে আপনি তা থেকে উপকারী জিনিস বানাতে পারবেন। তো এভাবে শয়তানের তাপ মানুষকে আক্রমণ করে। আর এ আক্রমণ মানুষকে শুধু আরও শক্তিশালী করে তোলে। বিস্ময়কর চিত্র এটা। “আমাকে বানিয়েছেন আগুন থেকে, আর তাকে বানিয়েছেন মাটি থেকে।” বস্তুত সে বলছে, আমি উত্তম। এখন দেখি তো। সে কি চায় আমরাও সারাক্ষণ এমনটাই মনে করি? আমি এটা থেকে সৃষ্টি, তুমি ওটা থেকে। “তুমি চাকরি পেয়ে গেছো?! তুমি তো মাত্র আসোসিয়েট আর আমার ব্যাচেলর ডিগ্রি আছে!” “দাড়াও! তাদের মেয়ের বিয়

জান্নাতের নারীরা কেমন হবে

Image
  জান্নাতের নারীরা কেমন হবেঃ রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর পথে একটি সকাল বা একটি সন্ধ্যা ব্যয় করা দুনিয়া এবং তাতে যা কিছু আছে তার সবকিছু থেকেও উত্তম। যদি জান্নাতের কোন নারী দুনিয়ার দিকে তাকাত, তাহলে (তাদের সৌন্দর্যে) আসমান ও যমীনের মধ্যবর্তী স্থানগুলো আলোকিত হয়ে পড়ত এবং সুগন্ধে ভরে যেত। আর তার মাথার ওড়নাটি দুনিয়া ও তাতে যা কিছু আছে তা থেকেও উত্তম। (বুখারীঃ ৬৫৬৮) তাহলে একটু চিন্তা করে দেখুন, জান্নাতের নারীরা শুধুমাত্র একবার দুনিয়ার দিকে উঁকি দিলেই যদি সাড়া দুনিয়া আলোকিত হয়ে যায়, সাড়া দুনিয়ায় সুগন্ধে ভরে যায়, তবে জান্নাতের সেই নারীরা কি পরিমাণ সুন্দর হতে পারে...! আর তার থেকেও বড় কথা হচ্ছে, এত সুন্দর করে যে প্রভু এই নারীদের সৃষ্টি করলেন, সেই মহান স্রষ্টা আল্লাহ রব্বুল আলামিন তাহলে কত সুন্দর হতে পারেন...। জান্নাতীদের সব থেকে বড় নিয়ামত হবে আল্লাহ তায়ালার দর্শনঃ মহান আল্লাহ তায়ালা জান্নাতবাসীদের জিজ্ঞাসা করবেনঃ হে জান্নাত বাসীগণ! তোমরা কি তোমাদের আমলের প্রতিদান পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছ? তারা জবাব দিবে হে আমাদের প্রভু, আপনি আমাদেরকে এমন সব নেয়

হৃদয় থেকে হৃদয়ে

Image
  হৃদয় থেকে হৃদয়ে - নোমান আলী খান মুসলমানদের মাঝে অন্য মুসলিমদের নিয়ে বহু পূর্বানুমান কাজ করে। কেউ কিছু একটা নিয়ে কথা বলার সাথে সাথে আমরা অনুমান করে বসি- "ওহ! সে তো মনে হয় চরমপন্থী গ্রূপের।" অথবা এ অনুমান না করলে অন্যটা করি- "ওহ! সে তো মনে হয় প্রগ্রেসিভ মুসলিম। ওহ! লোকটা তো মনে হয় অমুক দলের।" আর আপনি যদি এ দলগুলোর কোনো একটার প্রতি কিছু দয়া, সহমর্মিতা বা তাদের কিছুটা বোঝার চেষ্টা করেন তখন অন্যরা আপনাকেও অমুক দলের মেম্বার মনে করা শুরু করে। এভাবে তীব্র একটা ভয় কাজ করে। আগে আমাকে খুঁজে দেখতে হবে সে কোন দল থেকে এসেছে। আমাকে নিশ্চিত করতে হবে আমি যেন বর্ডারের অন্য পাশে পড়ে না যাই। এইসব দলাদলির সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি কি জানেন? এর ফলে আমাদের ধর্মের সত্যিকারের সুন্দর শিক্ষাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আমার অভিমতে, কুরআন তিলাওয়াত করা হচ্ছে। মানুষ শিখছে এবং অন্যদের শেখাচ্ছে। বহু ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের দ্বীনের সত্যিকারের স্পিরিট, মানুষের অন্তরে যে মনোভাব এর গড়ে তোলার কথা, অন্তরের যে চিকিৎসা এর করার কথা- তা কোথায়? তার দেখা কোথায় মিলছে? আমার ক্ষেত্রে... আ

জাহান্নামীদের আফসোস

Image
  জাহান্নামীদের আফসোস -----------------*---------------- জাহান্নামের ফেরেশতারা জাহান্নামীদের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বলবে, তোমাদের আজ এ পরিণতি কেন? তোমাদের কাছে কি কোনো সতর্ককারী আসেনি? আল্লাহ তায়ালা সূরা মূলকের ৮ নাম্বার আয়াতে বলেন - كُلَّمَا أُلْقِيَ فِيهَا فَوْجٌ سَأَلَهُمْ خَزَنَتُهَا أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَذِيرٌ - "যখনই তাতে কোন দলকে নিক্ষেপ করা হবে, তখন তার প্রহরীরা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘তোমাদের নিকট কি কোন সতর্ককারী আসেনি’?" এমন এক ভয়ংকর জায়গায় তোমাদের শেষ পরিণতি হলো যেখানে কোন দয়া প্রদর্শন করা হয় না, এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার সময়ও শেষ। তোমাদের কী হলো? কেন তোমাদের আজ এ পরিণতি? কিভাবে এমনটি ঘটতে পারলো? তোমাদের কাছে কি কোনো সাবধানকারী আসেনি? ঐ সতর্ককারীর কথা যদি তোমার শুনতে তাহলে আজকের এই ভয়ংকর পরিণতি তোমাদের হতো না। জবাবে জাহান্নামীরা বলবে - قَالُوا۟ بَلَىٰ قَدْ جَآءَنَا نَذِيرٌ فَكَذَّبْنَا وَقُلْنَا مَا نَزَّلَ ٱللَّهُ مِن شَىْءٍ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا فِى ضَلَٰلٍ كَبِيرٍ - "তারা বলবে, ‘হ্যাঁ, আমাদের নিকট সতর্ককারী এসেছিল। তখন আমরা (তাদেরকে) মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত করেছিল