Posts

Showing posts from May, 2024

জান্নাতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা কেমন হবে?

Image
  জান্নাতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা কেমন হবে? ---------------------------- সূরা কাহাফের তৃতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেন-- مَّاکِثِیۡنَ فِیۡهِ اَبَدًا -- এখানে 'মা-কিসিনা' দ্বারা বুঝানো হচ্ছে সেখানে (জান্নাতে) তারা সবসময় নতুন কিছু পাওয়ার প্রতীক্ষায় থাকবে। আপনি জান্নাতে সারাক্ষণ আরো নতুন নতুন জিনিস পাওয়ার আশায় থাকবেন। আর এটা অনন্তকাল ধরে ঘটতে থাকবে। ব্যাপারটা আসলে সুখের মনস্তত্ত্বের (psychology of happiness) গহীনে লুকায়িত একটি ব্যাপার। পুরস্কারের মনস্তত্বের সাথে জড়িত একটি ব্যাপার। কোনো পুরস্কারের আসল আনন্দ পাওয়া যায় আসলে পুরস্কার পাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে। একজন ছাত্র সবচে সুখী থাকে তার হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে। বিয়ে হওয়ার ঠিক আগের দিন ছেলেটা খুব খুশি থাকে। বিশেষ করে মেয়েটি। সে অবশ্যই বিয়ের ঠিক আগের দিন সবচেয়ে সুখী থাকে। ভালো কিছু পাওয়ার প্রতীক্ষার মাঝে কি যেন এক অদ্ভুত আনন্দ লুকিয়ে আছে। বাচ্চার জন্ম হবে! অমুক তারিখে বিয়ে হবে! অমুক দিন বোনাস পাওয়া যাবে! ঈদ উপলক্ষে অনেক দিন ছুটি পাওয়া যাবে! ভ্রমণের দিন এগিয়ে আসছে! বহুদিন পর আমার প্রিয় বন্ধুর সাথে দেখা হবে! এই যে অ

বিশ্বনবী (হযরত রসূল (স:) এর জীবনী) pdf

Image
  বিশ্বনবী (হযরত রসূল (স:) এর জীবনী) এই বইটি দুটি বিভাগে বিভক্ত। এই বইটির 2য় অংশ অবশ্যই পড়া উচিত কারণ এটি তার ধরণের অন্যান্য বইয়ের তুলনায় নতুন জ্ঞান এনেছে

স্বপ্নের প্রকারভেদ

Image
  স্বপ্নের প্রকারভেদ - শায়েখ ইয়াসির কাদি আমরা কুরআন এবং সুন্নাহ থেকে জানতে পারি যে, স্বপ্ন আসতে পারে আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালার কাছ থেকে, স্বপ্ন আসতে পারে শয়তানের কাছ থেকে এবং আপনি নিজের কল্পনা থেকেও স্বপ্ন দেখতে পারেন। সুতরাং স্বপ্নের তিনটি বিভাগ রয়েছে। আল্লাহর কাছ থেকে স্বপ্ন। নবীরা এ ধরনের স্বপ্ন দেখে থাকেন। তাঁরা অন্য দু'ধরনের স্বপ্ন দেখেন না। এটা নবীদের বেলায় ঘটে। নবীরা শুধু আল্লাহর কাছ থেকে স্বপ্ন দেখেন। আল্লাহ তাদের স্বপ্ন শয়তানের আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছেন। এবং আল্লাহ তাদের নিজেদের কল্পনা থেকেও তাদের স্বপ্নকে সংরক্ষিত করেছেন। আর তাই যখনই একজন নবী একটি স্বপ্ন দেখেন সেটা অহি হিসেবে গণ্য করা হয়। এটাকে আল্লাহর নিকট থেকে অহি হিসেবে দেখা হয়। একজন নবীর প্রতিটি স্বপ্ন হল আল্লাহর নিকট থেকে অহি। আমরা ব্যাপারটি ইব্রাহীম (আ) এর পরিবারের বেলায় দেখেছি। ইব্রাহীম (আ) এর কি ঘটেছিল? তিনি ইসমাইল (আ) এর ব্যাপারে একটি স্বপ্ন দেখেন। তিনি দেখেন যে, তিনি ইসমাইল (আ) কে কুরবানি করছেন। 'ইন্নি আরা ফিল মানামে আন্নি আজবাহুক' আমি স্বপ্নে দেখেছি যে আমি তোমাকে জবেহ করছি। তাহলে নবী ইব্রাহীম (আ)

ইয়াজুজ-মাজুজের রহস্যময় গল্প

Image
  ইয়াজুজ-মাজুজ অর্থ দ্রুতগামী। ইয়াজুজ-মাজুজ পৃথিবীতে বের হয়ে অতি দ্রুত সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে। কারও কারও মতে, আরবি ‘মওজ’ শব্দ থেকে ‘ইয়াজুজ-মাজুজ’ শব্দের উৎপত্তি। এর অর্থ ‘তরঙ্গ’ বা ‘ঢেউ’। তাঁদের মতে, ইয়াজুজ-মাজুজ পৃথিবীতে বের হবে অজস্র সংখ্যায়, এরপর ঢেউয়ের মতো ছুটতে ছুটতে সারা পৃথিবীতে বিস্তার লাভ করবে। এ জন্যই তাদের এই নামকরণ। ইয়াজুজ-মাজুজ সম্প্রদায় আদম (আ.)-এর বংশধর। শাসক জুলকারনাইন ইয়াজুজ-মাজুজদের প্রাচীর দিয়ে আটকে রেখেছেন (সুরা কাহাফ, আয়াত ৯২-৯৭)। কিয়ামতের আগে হজরত ঈসা (আ.)-এর পৃথিবীতে পুনরাগমনের সময় তারা ওই প্রাচীর ভেঙে বেরিয়ে আসবে এবং সামনে যা পাবে, সব ভক্ষণ করবে। কোরআনে আছে, ‘সে (জুলকারনাইন) বলল, আমার প্রতিপালক আমাকে যে ক্ষমতা দিয়েছেন, তা-ই যথেষ্ট। সুতরাং তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে সাহায্য করো, আমি তোমাদের ও তাদের মাঝখানে এক মজবুত প্রাচীর গড়ে দেব। তোমরা আমার কাছে লোহার তাল নিয়ে আসো। তারপর মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গা পূর্ণ হয়ে যখন লোহার ঢিবি দুটি পাহাড়ের সমান হলো, তখন জুলকারনাইন বলল, তোমরা হাপরে দম দিতে থাকো। যখন তা আগুনের মতো গরম হলো, তখন সে বলল, তোমরা গলানো তামা নিয়ে

যে ৬টি কাজ বিপর্যয় সৃষ্টি করে

Image
  যে ৬টি কাজ সমাজ–জীবনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে সুরা হুজুরাত পবিত্র কোরআনের ৪৯তম সুরা। হুজুরাত মানে অন্দরমহল। সুরাটি মদিনায় অবতীর্ণ। এর ২ রুকু, ১৮ আয়াত। এই সুরার তিন অংশ: ১. রাসুলের সঙ্গে বিশ্বাসীদের ব্যবহার, ২. মুমিনদের বৈশিষ্ট্য, এবং ৩. আল্লাহর রাসুল (সা.)–কে প্রকৃত মর্যাদা প্রদান। সুরাটির প্রথম অংশে রাসুলের প্রতি মুমিনদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত এবং না করলে তার দুর্ভাগ্যজনক পরিণামের বর্ণনা করা হয়েছে। আবার রাসুলের প্রতি যথাযোগ্য আচরণের সুফলের বর্ণনাও এতে করা হয়েছে। সুরার দ্বিতীয় অংশে মুমিনদের বৈশিষ্ট্য এবং অন্য মুমিন ও মানুষের সঙ্গে মুমিনদের আচরণ, আর তা না করার পরিণাম সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। তৃতীয় অংশে এসে সুরাটি পরিণতিতে পোঁছেছে। আল্লাহর রাসুল (সা.)–কে প্রকৃত মর্যাদা দিয়ে আর তাঁর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে মুমিনদের নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে আল্লাহর পুরস্কারের কথা এসেছে। সুরাটি শেষ হয়েছে আল্লাহর মহত্ব প্রকাশ করে। এই সুরায় অসত্য, মিথ্যা, সন্দেহ উদ্রেককারী, গুজব বা শত্রুতার সৃষ্টি হয়—এমন কিছুর প্রচার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সংবাদ যাচাই না করে গুজব ছড়ানো ভয়াবহ পাপ। আল্লাহ ব

কদর হলো আল্লাহর গোপন বিষয়

Image
  কদর বা predestination আমরা কোনোদিন সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারবো না। এটা মানবীয় বুদ্ধির বাহিরের বিষয়। কারণ এর সম্পর্ক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার ক্ষমতার সাথে। আর আমরা আল্লাহর ক্ষমতা বুঝতে পারবো না। এর সম্পর্ক আল্লাহর জ্ঞানের সাথে। আর আমরা আমাদের সীমিত মস্তিষ্ক দিয়ে আল্লাহর সীমাহীন জ্ঞান বুঝতে পারবো না। এরকম অনুমান করাটা অহংকারমূলক যে, আমরা আমাদের তুচ্ছ এবং অতি ক্ষুদ্র বুদ্ধি দিয়ে আল্লাহর মহিমা এবং জ্ঞান বুঝতে পারবো। এ জন্য ইবেন আব্বাস (রা) বলেন—কদর হলো আল্লাহর গোপন বিষয়। যে কেউ আল্লাহর গোপন বিষয়ে অনুসন্ধান চালাবে এবং তার তালা খুলতে চাইবে সে শেষমেষ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে অস্বীকার করে বসবে। আপনি কোনদিন ভাগ্যের ধারণাটা পুরোপুরি বুঝতে পারবেন না। আপনি প্রথম ব্যক্তি না, এর আগেও অসংখ্য মানুষ এই একই প্রশ্ন করেছে যে, সবকিছু যদি পূর্ব নির্ধারিত হয় তাহলে আমার কি কিছু করার দরকার আছে? মনোযোগ দিয়ে শুনুন। বুখারী শরীফে বর্ণিত আছে, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল—ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যা কিছু করি তা কি আল্লাহ পূর্বেই লিখে রেখেছেন? আর আমি তা

আল-ফিক্‌হুল মুয়াস্‌সার pdf বাংলা

Image
  আল-ফিক্‌হুল মুয়াস্‌সার

উম্মাহর বর্তমান অবস্থা এবং সূরা কাহাফ

Image
  উম্মাহর বর্তমান অবস্থা এবং সূরা কাহাফ ------------------------------------------------- সূরা কাহাফের দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন-- قَيِّمًۭا لِّيُنذِرَ بَأْسًۭا شَدِيدًۭا مِّن لَّدُنْهُ وَيُبَشِّرَ ٱلْمُؤْمِنِينَ ٱلَّذِينَ يَعْمَلُونَ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا حَسَنًۭا - অর্থগুলো ভেঙে ভেঙে বলছি। قَیِّمًا একে (অর্থাৎ কুরআনকে) করেছেন সুপ্রতিষ্ঠিত। অর্থাৎ, কুরআনের বিধানগুলোতে কোনো পরিবর্তন নেই। দুনিয়া পরিবর্তন হয়ে গেলেও এতে কোনো পরিবর্তন হবে না। لِّيُنذِرَ بَأْسًۭا شَدِيدًۭا مِّن لَّدُنْهُ তাঁর পক্ষ থেকে কঠিন এক যুদ্ধ সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য। وَيُبَشِّرَ ٱلْمُؤْمِنِينَ ٱلَّذِينَ يَعْمَلُونَ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ এবং সেই মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয়ার জন্য যারা সৎকর্ম করে। أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا حَسَنًۭا নিশ্চয় তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান। আয়াতের দ্বিতীয় অংশের بَأْسًۭا শব্দটির অর্থ যুদ্ধ লিখেছি। কারণ, উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত মানাজির আহসান গিলানির মতে, কুরআনে যেখানেই بَأْسًۭ বা'স শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তা ব্যবহার করা হয়েছে শুধু দুনিয়ার জন্য। যেমন, সূরা বনী ই

আলা বিযিকরিল্লাহি তাতমাইন্নুল ক্বুলুব

Image
  আসসালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। কুরআন থেকে প্রাপ্ত আজকের শিক্ষাটি হলো সূরা রা’দের আয়াত নাম্বার ২৮। أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ - আলা বিযিকরিল্লাহি তাতমাইন্নুল ক্বুলুব। আমরা সকলেই এই আয়াতটি আগে শুনেছি। কিন্তু কোনো সন্দেহ নেই যে, এটা কুরআনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা এবং মূলনীতি। أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ - আলা বিযিকরিল্লাহি তাতমাইন্নুল ক্বুলুব। ‘আলা’ শব্দটি কুরআনে খুব কমই ব্যবহৃত হয়েছে। আর এটার অনন্য একটি ভূমিকা রয়েছে। বাংলায় এর সমতূল্য কোনো শব্দ নেই। ‘আলা’ হলো তিনটি বর্ণ সংবলিত একটি শব্দ। যার কাজ হলো বাক্যের পরবর্তী অংশটির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা। এটাকে বলা হয় হারফুত তানবীহ (حَرْفُ التَّنبيهِ)। এর দ্বারা আপনি মনোযোগ আকর্ষণ করেন। ইংরেজিতে যেমন বলা হয়, “হেই ইও (hey yo) ! আমার কথা শুনো।” ‘আলা’ শব্দটিও একই ধরণের অর্থ প্রকাশ করে। ‘হেই ইও’ (hey yo) বলার পর বাচ্চাদের অনেকেই আমার দিকে তাকিয়েছে; তাই না ? তো ‘আলা’ মূলত এটাই। ‘আলা’ শব্দটি কুরআনে খুবই কম ব্যবহৃত হয়েছে। হয়তো পাঁচ-ছয় বার বা তারও কম সংখ্যক বার কুরআনে ব্যবহৃত হয়েছে। আর এ

হিসনুল মুসলিম pdf

Image
  হিসনুল মুসলিম

রাহে বেলায়াত - রাসুলুল্লাহর (স.) যিক্‌র-ওযীফা pdf

Image
  রাহে বেলায়াত - রাসুলুল্লাহর (স.) যিক্‌র-ওযীফা

আবু মুসা (রা.)

Image
  হজরত আবু মুসা আল আশয়ারি (রা.)-এর গুণ ছিল অনেক। তিনি প্রথম দিকের মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন নেতৃস্থানীয় বিচারক। সবাই বলত: এই উম্মাহর বিচারক চারজন—উমর (রা.), আলী (রা.), আবু মুসা (রা.) ও জায়েদ ইবনে সাবিত (রা.)। আবু মুসা (রা.) মক্কা বিজয় ও হুনাইন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। রাসুল (সা.) আবু মুসা (রা.)-কে ইয়েমেনের গভর্নর করেন। প্রাচীন সময় থেকে ইয়েমেন দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। ইয়েমেন আকসা ও ইয়েমেন। মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)-কে ইয়েমেন আকসার এবং আবু মুসা (রা.)-কে ইয়েমেন আদনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুজনকে বিদায় দেওয়ার সময় রাসুল (সা.) তাঁদের বলেছিলেন, ইয়েমেনবাসীর সঙ্গে কোমল ব্যবহার করতে। কোনো কঠোরতা না করতে। মিলেমিশে বাস করতে। নিজের দেশ হওয়ায় শুরু থেকেই ইয়েমেনের মানুষদের ওপর আবু মুসা (রা.)-এর যথেষ্ট প্রভাব ছিল। তিনি সুষ্ঠুভাবে তাঁর দায়িত্ব পালন করেন। আরেক গভর্নর মুয়াজ (রা.)-এর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব ছিল। তাঁরা সীমান্তে মিলিত হয়ে নানা বিষয়ে পরামর্শ করতেন। আবু মুসা আল আশয়ারি (রা.) অত্যন্ত জ্ঞানী ছিলেন। হজরত আলী (রা.) বলতেন, আবু মুসা মাথা থেকে পা পর্যন্ত বিদ্যার রঙে র

মৃত্যুর বাস্তবতা

Image
  আসসালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। কুরআন থেকে প্রাপ্ত আজকের শিক্ষাটি হলো সূরা যুমারের আয়াত নাম্বার ৩০। إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُم مَّيِّتُونَ - ইন্নাকা মায়্যিতুন ওয়া ইন্নাহুম মাইয়্যিতুন। ইন্নাকা মাইয়্যিত, ওয়া ইন্নাহুম মাইয়্যিতুন। অর্থাৎ, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি মৃত্যুবরণ করবেন আর তারাও মৃত্যুবরণ করবে। إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُم مَّيِّتُونَ - ইন্নাকা মায়্যিতুন ওয়া ইন্নাহুম মাইয়্যিতুন। মৃত্যুর বাস্তবতা কুরআনের অনেকগুলো আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। আর প্রসঙ্গক্রমে, সুবহানাল্লাহ, এটা আল্লাহর তাক্বদীরের অংশ যে, যখন আমি রমজান মাসের জন্য ৩০ টি শিক্ষার তালিকা তৈরী করেছিলাম, এই আয়াতটি সেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত ছিলো না। আর যেকোনো কারণেই হোক, আজকে যখন আমি এই আলোচনাগুলোর ব্যাপারে চিন্তা করছিলাম, তখন মনে হলো যে, কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে, আর এই আয়াটিকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাই আমি পুনরায় সাজালাম এবং এই আয়াতটিকে আক্ষরিকভাবেই আজকে তালিকায় যুক্ত করলাম। আর এই মাত্রই আমরা জানতে পারলাম যে, আমাদের উসমান ভাই, যিনি আমাদের সাথে একইসাথে নামাজ পড়তেন, তিনি আজকেই সরক দুর্ঘনটায় মৃত্যুবরণ করেছেন। ইল্

বিশৃঙ্খলাসৃষ্টিকারীদের কাজ

Image
  আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। কুরআন থেকে প্রাপ্ত আজকের শিক্ষাটি হলো সূরা ইউনুসের আয়াত ৮১। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এখানে মুসা (আ) এর একটি উক্তি উল্লেখ করেছেন। মুসা যখন ফেরাউনের বাহিনীর সম্মুখীন হয়েছিলেন, তখন বলেছিলেন, إِنَّ اللَّهَ لا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ - ইন্নাল্লাহা লা ইউসলিহু ‘আমালাল মুফসিদিন। إِنَّ اللَّهَ لا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ - ইন্নাল্লাহা লা ইউসলিহু ‘আমালাল মুফসিদিন, অর্থাৎ আল্লাহ কখনোই বিশৃঙ্খলাসৃষ্টিকারীদের কাজকে সফল হতে দিবেন না। এটা কুরআনে বর্ণিত একটি বিধান। এটা কুরআনে বর্ণিত একটি বিচক্ষণতা। এটা এমন একটা মূলনীতি এবং নিয়ম, যার উপর ভিত্তি করে গোটা পৃথিবী চলছে। আল্লাহ কখনোই খারাপ মানুষের কাজকে সফল হতে দিবেন না। আল্লাহ কখনোই ফাসাদকে বিজয়ী হতে দিবেন না। إِنَّ اللَّهَ لا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ - ইন্নাল্লাহা লা ইউসলিহু ‘আমালাল মুফসিদিন। তো কখন মুসা এটা বলেছিলেন ? মুসা (আ) এটা বলেছিনে যখন তিনি ফেরাউনের রাজদরবারে গিয়েছিলেন এবং ফেরাউনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন। আর ফেরাউনকে তিনি বলেছিলেন যে, “আল্লাহ আমাকে প্রেরণ করেছেন।” ফেরাউন বললো

শান্তি এবং আপস-মীমাংসা

Image
  আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। কুরআন থেকে প্রাপ্ত আজকের শিক্ষাটি হলো সূরা নিসার আয়াত ১২৮। দুটি শব্দ, খুবই সহজ, মুখস্ত করুন। وَالصُّلْحُ خَيْرٌ - ওয়াসসুলহু খায়র, অর্থাৎ শান্তি এবং আপস-মীমাংসাই সর্বোত্তম। وَالصُّلْحُ خَيْرٌ - ওয়াসসুলহু খায়র।  এমন দুজন মানুষ যারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আছে, স্বামী এবং স্ত্রী যাদের মধ্যে মিল হচ্ছে না, দুটি জাতি অথবা গোত্র যারা পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত, তাদের জন্য আল্লাহ আমাদেরকে একটি সাধারণ নীতি, একটি বিধান প্রদান করেছেন - وَالصُّلْحُ خَيْرٌ - ওয়াসসুলহু খায়র। একটি শান্তি চুক্তিতে মিলিত হওয়া, আপস-মীমাংসায় আসা, এটা সর্বদাই সর্বোত্তম। সুবহানাল্লাহ ! আমাদের প্রতিপক্ষরা বলে, ইসলাম হলো যুদ্ধ, ইসলাম হলো সহিংসতা; আর কুরআনের বার্তা এবং সীরাতের বার্তা এর সম্পূর্ণ বিপরীত।  আল্লাহ সর্বদা মীমাংসা এবং শান্তির প্রতি উৎসাহিত করেছেন। প্রকৃতপক্ষে কুরাইশদের ব্যাপারেও আল্লাহ বলেছেন, وَإِن جَنَحُوا لِلسَّلْمِ فَاجْنَحْ لَهَا وَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ - ওয়াইন জানাহু লিসসালমি ফাজনাহ লাহা ওয়াতাওয়াক্কাল ‘আলাল্লাহ, অর্থাৎ তারা যদি শান্তির প্রতি ঝুঁকে, তখন তুমিও শান্তির প