Posts

Showing posts from December, 2023

একজন মুসলিম যুবককে যদি আপনি পাঁচটি পরামর্শ দিতে চান?

Image
  The Thinking Muslim: একজন মুসলিম যুবককে যদি আপনি পাঁচটি পরামর্শ দিতে চান, কি কি হবে সেগুলো? হামজা জর্জিস: প্রথম যে বিষয়টি আমি বলবো, আকিদা। আল্লাহর নাম এবং গুণাবলী সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। প্রায়োগিক আকিদা সম্পর্কে জানুন। কি রকম সেটা? একটা সহজ উদাহরণ দিচ্ছি। এলজিবিটিকিউর প্রচারকেরা মনে করে তারা তাদের শরীরের মালিক; তাই তারা তাদের শরীর নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করতে পারবে। কিন্তু ইসলামী আকিদা অনুযায়ী আমরা বিশ্বাস করি- আল্লাহ হলেন রব। তিনি সবকিছুর মালিক। তিনি আমাদের শরীরেরও মালিক। তাই আমরা আমাদের শরীর নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করতে পারি না। এ জন্যে আমাদের যুবকদের প্রায়োগিক আকিদা সম্পর্কে শিখতে হবে এবং আল্লাহর নাম এবং গুণাবলী সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। যখন শিখবেন আল্লাহ হলেন আর-রাহমান, যিনি অসীম দয়ালু; তখন আমাকেও একজন মানুষের সামর্থ অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব দয়ালু হতে হবে। আল্লাহ হলেন আল-মুতাকাব্বির। অর্থাৎ তিনি হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ এবং গৌরবান্বিত। আমি যেহেতু তাঁর একজন দাস মাত্র, তাই আমাকে এখন তাঁর সামনে একেবারে বিনম্র এবং বিনয়ী হতে যেতে হবে। এভাবে আল্লাহর নাম এবং গুণাবলীগুলোর আলোকে নিজ জীবনকে সৌন্দর্যম

নৈতিকতা রক্ষার সর্বশেষ দূ্র্গ

Image
  নৈতিকতা রক্ষার সর্বশেষ দূ্র্গ (১ম পর্ব) ------------------ * ----------------- একশো বছর আগেও আমেরিকাতে ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ বিয়ের আগে কোনো শারীরিক সম্পর্কে জড়াতো না। আর এখন ৯৫ শতাংশ মানুষ বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তাহলে বিয়ের গুরুত্ব আর থাকলো কোথায়!! একশো বছর পূর্বে ৯০ শতাংশ মেয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিল। আর এখন ৫০ শতাংশের চেয়েও কম মানুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ আছে। আমেরিকার অধিকাংশ মানুষ এখন একা থাকে। সমগ্র পারিবারিক ব্যবস্থাপনা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে, নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। আমরা আর কতকাল আমাদের মুখ বন্ধ করে রাখবো। আর কতকাল আমরা এসব নিয়ে কথা বলতে লজ্জা পাবো। আমরা কিসের অপেক্ষায় আছি? এমনকি আমাদের মুসলিম ভাই বোনেরাও এখন বৈবাহিক সম্পর্কে যুক্ত থাকতে হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের মুসলিম সমাজেই বৈবাহিক বিচ্ছেদ এখন আকাশচুম্বী। বহু উচ্চ শিক্ষিত, যোগ্যতাসম্পন্ন মুসলিম বোনেরা নিজেদের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন, ধার্মিক, ভদ্র স্বামী খুঁজে পাচ্ছে না। এর অন্যতম বড় কারণ হলো আমরা নারী পুরুষের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে ফেলেছি। নারীদের স্বাধীন করার ছদ্মবেশে, নারীত্বের সংজ্ঞা পুনঃনির্ধারণের ছদ্মবেশে নারীবাদের

জান্নাতুল ফিরদাউসে যাওয়ার সুযোগ

Image
  প্রতিটি মানুষের জান্নাতুল ফিরদাউসে যাওয়ার সুযোগ আছে। আপনার আমার আমাদের সবার। আর সেটা দূরের কোনো জিনিস না। দূরত্বটা মূলত মৃত্যু। যে কোনো সময় সেটা ঘটে যেতে পারে। প্রশ্ন হলো আপনি কি আসলেই সেখানে যেতে চান? সে জন্য যেরকম জীবন অতিবাহিত করার কথা আপনি আমি কি তা করছি? রাসূলুল্লাহ (স) এর এক বিস্ময়কর হাদিস। রাসূল (স) বলেন- "আল্লাহ জান্নাতুল ফিরদাউসে সকল মানুষের জন্য ঘর তৈরি করে রেখেছেন।" সকল মানুষের জন্য, শুধুমাত্র বিশ্বাসীদের জন্য না। কিন্তু কিছু মানুষ ওখানে যেতে চায় না। বিশ্বাসীরা যখন যাবে তখন তারা অনেক খালি ঘর দেখতে পাবে। সুতরাং তারা সে ঘরগুলো উত্তরাধিকারসূত্রে পাবে। আপনার প্রতি আল্লাহর প্রত্যাশা রয়েছে যে আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন। সুতরাং এটা নষ্ট করবেন না। দুর্বল ঈমান নিয়ে থাকবেন না। আল্লাহর প্রতি নিজের বিশ্বাস হারাবেন না। জীবনের কঠিন সময় গুলোকে এভাবে দেখুন—আল্লাহ দেখতে চান আপনি সেই ঘরগুলোর জন্য কতটুকু মূল্য দিতে চান। এমন জান্নাত যেখানে আপনার বয়স হবে ৩৩, কোনোদিন বৃদ্ধ হবেন না এবং অসুস্থ হবেন না। দুঃখ বা দুঃশ্চিন্তা কোনোদিন আক্রমণ করবে না। শারীরিক শক্তিমত্

যে ঢেউ আল-আকসাকে মুক্ত করেছিল

Image
  যে ঢেউ আল-আকসাকে মুক্ত করেছিল ------------------------*----------------------- ১০৯৯ সালের জুলাই মাসে ক্রুসেডাররা, তাদের দৃষ্টিত, আল আকসা আক্রমণ করে সফলভাবে দখল করে নেয়। আপনারা সবাই জানেন, মধ্যযুগের সবচাইতে ভয়ঙ্করতম গণহত্যা চালিয়েছিল তারা ওখানে। মাত্র দশ দিনের ব্যবধানে সম্পূর্ণ জেরুযালেম শহর গণহত্যার বলী হয়ে যায়। নারী, শিধু, হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে তারা। এর ফলাফল কি হয়েছিল? আমরা বেশীরভাগই সরাসরি ১১৮৭ সালে চলে যাই। এই ঘটনা ঘটেছিল ১০৯৯তে, আর আমরা লাফ দেই ১১৮৭-এ। সেই সালে কি হয়েছিল? সালাহুদ্দিন আইয়্যুবি, হিত্তিনের যুদ্ধ। কিন্তু এই ১০৯৯ থেকে ১১৮৭ এর মধ্যে কতো বছরের ব্যবধান? ৮৮, ৮৯ বছর। কিন্তু মধ্যবর্তী সময়টা কেমন ছিল? কি হয়েছিল সে অন্তর্বতীকালীন সময়ে? অনেক কিছু! আমরা যদি সালাহুদ্দিনকে সৃষ্টিকারী পরিস্থিতি বুঝতে না পারি, আমরা যদি সালাহুদ্দিন আসবার পূর্বসুত্রগুলো না ধরতে পারি, তাহলে আমরা স্বপ্ন দেখতেই থাকবো যে, আসমান থেকে আরেকজন সালাহুদ্দিন অলৌকিকভাবে নেমে আসবেন, যা করার করবেন। না, এভাবে হয় না। অনেক অনেক ঘটনা সালাহুদ্দিন তৈরির ভিত্তি তৈরি করেছিল। আমরা আজকে

তাওবা এবং নিজের সংশোধন

Image
  তাওবা এবং নিজের সংশোধন ------------------------------------- পৃথিবীতে এমন কোনো পাপ নেই যা ক্ষমারযোগ্য নয়। পৃথিবীতে কৃত সকল পাপ ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য। এ ক্ষমা পাওয়ার জন্য আপনাকে তাওবা করতে হবে। সূরা আলে ইমরানে আল্লাহ তায়ালা বলেন- "আর যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো দ্বীন গ্রহণ করতে চাইবে কক্ষনো তার সেই দ্বীন কবূল করা হবে না এবং আখেরাতে সে ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ কীরূপে সেই সম্প্রদায়কে সুপথ দেখাবেন যারা ঈমান আনার পর, এ রসূলকে সত্য বলে স্বীকার করার পর এবং তাদের নিকট সুস্পষ্ট দলীল আসার পর কুফরী করে? বস্তুতঃ আল্লাহ যালিম কওমকে পথ দেখান না। এরাই তারা যাদের প্রতিফল এই যে, তাদের প্রতি আল্লাহর, ফেরেশতাদের এবং সমুদয় মানবের অভিসম্পাত। তারা ওতেই চিরকাল থাকবে, তাদের শাস্তি লঘু করা হবে না এবং তাদেরকে বিরামও দেয়া হবে না।" তাহলে দেখা যাচ্ছে এদের উপর আল্লাহ দারুণ অসন্তুষ্ট। এদের অপরাধ ছোটো কোনো অপরাধ নয়। কিন্তু এখন ঠিক এর পরের আয়াতটি খেয়াল করুন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এমনকি এদেরকেও বাঁচার একটি পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন- "কিন্তু তারা ছাড়া যারা এরপর

ইয়েমেনিদের প্রশংসা

Image
  আমাদের রাসূলুল্লাহ (স) বহু হাদিসে ইয়েমেনিদের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন--"ইয়েমেনিরা তোমাদের কাছে এসেছে (তারা মদিনাতে এসেছিল ইসলাম গ্রহণ করতে), তাদের রয়েছে সবচেয়ে সেরা রূহ এবং কোমলতম অন্তর।" এরপর তিনি এই বিখ্যাত কথাটি বলেন- "আলঈইমা-নু ইয়ামানিন ওয়াল হিকমাতু ইয়ামা-নিয়্যাহ।" অর্থাৎ, ঈমান ইয়েমেনি এবং প্রজ্ঞাও ইয়েমেন থেকে। সহিহ বুখারির একটি হাদিসে এসেছে-- "আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিই শা-মিনা ওয়া ফিই ইয়ামানিনা।" অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমাদের শাম এবং ইয়েমেনে বারাকা দান করুন। সিরিয়া এবং ফিলিস্তিন সমগ্র অঞ্চলটাকে সে সময় শাম বলা হতো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা) কে দাওয়াতি কাজের উদ্দেশ্যে ইয়েমেনে পাঠান। সেসময় তিনি মুয়াজকে উপদেশ প্রদান করেন- "মানুষের জন্য সহজ করো, কঠিন করো না। মানুষকে সুসংবাদ প্রদান করো আর তাদেরকে দূরে ঠেলে দিও না। মানুষের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করো, তাদের মাঝে বিভক্তি তৈরি করো না।" তিনি আবু মুসা আশয়ারিকেও ইয়েমেনের অন্য একটি প্রদেশে পাঠান। উনাদের হাতে গণহারে মানুষ ইসলামে দীক্ষিত হয়। আরব উপদ্বীপের অন্যান্য অ

ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের জন্য

Image
  ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের জন্য সহায় হোন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের জন্য সহায় হোন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের জন্য সহায় হোন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদেরকে সম্মানিত করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের মর্যাদা উন্নত করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের ভয় প্রশমিত করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের অসুস্থদের সুস্থ করে দিন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের আহতদের আরোগ্য দান করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের মৃতদের গ্রহণ করে নিন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের উপর আপনার রহমতের বারিধারা বর্ষণ করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদেরকে দৃঢ়তা দান করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি আমাদেরকে দিয়ে তাদের প্রশান্তি দান করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনা

মৃত্যুর আগে অপূর্ব রোশনাই

Image
  হজরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) ছিলেন খুবই ন্যায়পরায়ণ একজন শাসক। মহানবী (সা.) এবং চার খলিফার শাসনের পর লম্বা সময় মুসলিমরা যে নৈরাজ্যের ভেতর ছিল, তিনিই তা দূর করেছিলেন। তার ন্যায়নীতির কারণে ইমাম শাফেয়ি (রহ.) তাঁকে মুসলিম জাহানের পঞ্চম খলিফা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। আলী (রা.)–এর মৃত্যুর সঙ্গে যে খিলাফত শেষ হয়ে গিয়েছিল, সেই খিলাফতকে যেন আবার ক্ষণিকের জন্য ফিরিয়ে এনেছিলেন ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.)। ইসলামের এই মহান ব্যক্তি খুবই অল্প সময়ের জন্য ক্ষমতায় ছিলেন। তাঁর শাসনকাল ছিল মাত্র তিন বছর। ৩৭ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ অল্প সময়ে তিনি এত বড় কৃতিত্ব রেখে গিয়েছিলেন, যা এখনো মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। ওমর ইবনে আবদুল আজিজ সব সময় তাঁর আমল নিয়ে চিন্তিত থাকতেন। তিনি সব সময় সন্দেহের ভেতর থাকতেন যে তিনি পর্যাপ্ত ভালো কাজ করে যেতে পারেননি। আল্লাহ তাআলা হয়তো এ জন্য তাঁকে শাস্তি দেবেন। জীবনের শেষ সময়ে এসে তাঁর এ ধরনের চিন্তা আরও বেড়ে গেল। শেষ সময়ে মুগিরা ইবনে আবদুল হাকিম নামের এক লোক তাঁর দেখাশোনা করতেন। মুগিরা বলেন, ‘ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) একটি বিশেষ দোয়া সব সময় করতেন। তিনি বলতেন, ‘হে আল্লাহ,

শত্রুদের প্রতি আলী (রা.)-র সংযত প্রতিবাদ

Image
  ইসলামের চতুর্থ খলিফা হজরত আলী (রা.)। তিনি ছিলেন মহানবী (সা.)-এর চাচাতো ভাই এবং জামাতা। তাঁর ব্যাপারে আমাদের নবী মোহাম্মদ (সা.) নিজেই বলেছেন, ‘আমি যদি হই জ্ঞানের নগরী, তবে আলী হলো সেই নগরীর প্রবেশপথ।’ আলী (রা.) সেই সাহাবি, হিজরতের রাতে যখন মহানবী (সা.)-কে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়, তখন তিনি ঝুঁকি নিয়ে মহানবীর কামরায় শুয়েছিলেন। খায়বার যুদ্ধে বীরত্বের ফলে তাঁকে ‘আসাদুল্লাহ’ বা ‘আল্লাহর সিংহ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। হজরত ওসমান (রা.)-র হত্যার পর তিনি ইসলামের চতুর্থ খলিফা হিসেবে দায়িত্ব পান। মুসলিম জাহান তখন কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। দেশে ভেতরে ও বাইরে শত্রুর কোনো অভাব ছিল না। সবচেয়ে বাজে ব্যাপার হলো, কে শত্রু আর কে মিত্র, তা বোঝা দুঃসাধ্য ছিল। আলী (রা.) ক্ষমতায় এসে ঘোষণা করলেন, উসমান (রা.)-এর হত্যার বিচার করা হবে কিন্তু তার আগে দেশের পরিস্থিতি শান্ত হোক। কিন্তু অনেক সাহাবি চাইছিলেন, আগে হজরত উসমান (রা.)-র হত্যার বিচার করা হোক। তাঁদের একজন ছিলেন হজরত মুয়াবিয়া (রা.)। তিনি ছিলেন উসমান (রা.)-এর চাচাতো ভাই। এরই মধ্যে শত্রুরা চক্রান্ত করে আলী (রা.) আর মুয়াবিয়া (রা.)-এর মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে

সভায় এসে গালিগালাজ

Image
  একবার ভাবুন তো, আপনি কোনো এক সভায় উপস্থিত হয়েছেন। সামনে হাজারো মানুষ জড়ো হয়েছেন। সভায় বক্তব্য দেবেন খুবই সম্মানিত একজন ব্যক্তি। হঠাৎ দর্শকদের মধ্যে একজন দাঁড়িয়ে বক্তাকে অপমান করতে লাগলেন। এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। কর্তৃপক্ষ সে জন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নিয়ে রাখে। ইসলামের সোনালি যুগেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। একটি সভায় বক্তব্য রাখছিলেন ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)। তিনি সেই বিখ্যাত ইমাম, যিনি চার মাজহাবের একটি ‘হাম্বলি মাজহাব’ প্রবর্তন করেছিলেন। মুসনাদ ই আহমদ–এর মতো গুরুত্বপূর্ণ হাদিস গ্রন্থ তিনি রচনা করেছেন। বক্তব্য দেওয়ার একপর্যায়ে একজন লোক এসে রূঢ় ভাষায় তাঁকে অপমান করতে লাগলেন। ইমাম আহমদ (রহ.) তাঁর কথায় কান দিলেন না। লোকটিকে থামানোর জন্য তাঁর ছাত্ররা দাঁড়িয়ে গেলেন। ইমাম আহমদ উল্টো তাঁর ছাত্রদের বললেন, ‘তোমরা বসো, কেউ জায়গা থেকে উঠবে না।’ তিনি আবারও সেই লোকের কথায় কান না দিয়ে সাধারণভাবে তাঁর বক্তব্য চালিয়ে যেতে লাগলেন। ইমাম আহমদ কোনো প্রতিবাদ করছেন না দেখে লোকটি এবার অকথ্য ভাষা ব্যবহার করতে লাগলেন। একপর্যায়ে তাঁর পরিবার নিয়েও বলতে লাগলেন। ছাত্ররা এবার আর সহ্য করতে পারলেন না। কয়েকজন দা

শত্রুর প্রতি বিনয় ও উদারতা

Image
   ইসলামের বিজয় ইতিহাসের অন্যতম বীরযোদ্ধা ছিলেন সালাউদ্দিন আইয়ুবি। তিনি হাত্তিনের যুদ্ধে খ্রিষ্টানদের সমন্বিত ক্রুসেড বাহিনীকে পরাজিত করেছিলেন। তার এই বিজয় জেরুজালেমকে দ্বিতীয়বারের মতো মুসলিমদের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিল। দিনটি ছিল ১১৯৩ সালের ৪ মার্চ। জেরুজালেমের শাসক গিদুসিলিয়ন অনুধাবন করেছিলেন খ্রিষ্টানরা যেভাবে দিনের পর দিন মুসলিমদের ওপর অত্যাচার ও বর্বরতা চালিয়েছে, আজ তার প্রতিশোধ নেওয়া হবে। সালাহউদ্দিন গিদুসিলিয়নের কাছে চিঠি পাঠালেন। চিঠিতে লেখা, ‘একজন রাজা হওয়ার কারণে আপনাকে হত্যা করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। তবে রেনল্ডের ক্ষেত্রে ভিন্ন। তাঁকে তার কর্মফল ভোগ করতে হবে।’ গিদুসিলিয়ন জানতেন, এর আগে খ্রিষ্টানরা সিরিয়া দখল করে একই ধরনের বার্তা মুসলিমদেরও দিয়েছিল। খ্রিষ্টানরা তাদের কথা রাখেনি। তারা নির্বিচার মুসলিমদের হত্যা করেছে। তবে সালাহউদ্দিন তাঁকে আশ্বস্ত করে বললেন, ‘ভয় নেই। আমরা আপনার পূর্বপুরুষদের মতো আচরণ করব না।’ সে সময় ক্রুসেডদের অধীনে অনেক নারী ছিলেন, যাঁরা মুসলিমদের বিজয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। এত দিন খ্রিষ্টানরা যা করেছে, আজ মুসলিমরাও তা–ই করবে তাঁদের সঙ্গে। অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে